12-09-2025, 06:43 PM
তিনদিন পার হয়ে গেছে এই বাড়িতে এসেছে নাইম, কিন্তু এখন পর্যন্ত ওস্তাদজির সাথে দেখা হয়নি ওর । সকাল দুপুর রাতে খাবার দেয়া হচ্চে, কিছু নতুন পোশাক ও দেয়া হয়েছে । কিন্তু এই ঘর থেকে বেড়িয়ে অন্য কোথাও যেতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে । ওই কর্কশ কাজের মহিলার মাধ্যমে ওকে এসব নির্দেশ আর জিনিস পত্র পাঠানো হয় ।
নাইমের দম বন্ধ হয়ে আসে , ভালো ভালো খাবার ওর আর ভালো লাগে না , প্রায় ই খাবার ফেরত পাঠায় । যদিও নাইম স্বীকার করতে চায় না , তবুও ওর মন জানে , এখানে এতো এতো ভালো খাবারের সাথে যখন কর্কশ আর নির্দয় আচরণ পরিবেশন করা হয় , তখন ওর ডলির বাসায় মেঝেতে বসে খাওয়া সেই ডিম ভাজি আর খিচুরির কথা মনে পরে যায় । নরম বিছানায় একেকি রাত্রি যাপন করার সময় রাতের বেলা হঠাত ঘুম ভেঙ্গে গেলে ডলির ঘরের সেই মেঝেতে শীতল পাটি বিছিয়ে শান্তির ঘুমের কথা মনে পরে যায় ।
কিন্তু নাইম এসব চিন্তা ভাবনাকে আশকারা দেয় না । যতবার ওর ডলির কথা মনে পরে । ততবার নাইম সেই রাতের ডলির বলা কথা গুলো মনে মনে আওরায় । নিজেকে মনে করিয়ে দেয় , ডলি ওর সাথে কেমন আচরণ করেছিলো । আর এর মাধ্যমে নাইম নতুন উদ্দাম খুজে পায় ডলির উপর রাগ করার । নাইম বিশ্বাস করে ডলির উপর যত বেশি রাগ করবে ওর উন্নতি তত তারাতারি হবে ।
নাইম দুপুর বেলাটা ঘুমিয়ে পার করে । বিকেলের দিকে ঘুম থেকে উঠে বিছানাতেই শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে, বিকেলের সময়টা কি করবে । এসব যখন ভাবছিলো তখনি দারোয়ান সাথে একজন কে নিয়ে ওর ঘরে আসে। এমনিতে দারোয়ান লোকটা খারাপ না । নাইম এর সাথে সেদিনের ঘটনার পর আরো কয়েকবার দেখা হয়েছে। নাইম কে দুবার চা খাইয়েছে, বিড়ি সেধেছিলো নাইম নেয় নি । সিগারেট হলে হয়তো একবার ট্রাই করতো । কারন নাইম সিনেমায় দেখেছে নায়করা সিগারেট খায় । বিড়ি খুব কম নায়ক খায়, দুই একটা সিনেমায় দেখছে নায়ক বিড়ি খায় ।
দারোয়ান নাইম কে শুয়ে থাকতে দেখে বলে, ওই জলদি ওঠ, এইটা তোর স্যার, তোরে পড়াইবো । পড়ার কথা শুনলেই নাইমের শরীরে জ্বর আসে । আগে যখন কলেজে পড়তো তখন ঠিক মত কলেজে যেতো না নাইম । ফাকি দিয়ে সিনেমা হলে যেতো । কোন রকম টেনেটুনে পাশ করতে পারলেই হতো ওর । কারন নাইমের বাবা লেখাপড়া নিয়ে তেমন কিছুই বলতো না । বরং চাইতো ছেলে পড়া বাদ দিয়ে মাঠে কাজ করুক । কিন্তু নাইমের মা চাইতো নাইম পড়ুক ।
কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর আর পড়ার কথা বলার মত কেউ ছিলো না । কিন্তু মাঠে যাওয়ার ভয়ে নাইম পড়া চালিয়ে যায় নামকাওয়াস্তে । কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর আর লেখাপড়ার ধারে কাছ দিয়ে যায় নি। তাই নিজের সামনে জলজ্যান্ত একটা টিচার দাড়িয়ে থাকতে দেখে ঘাবড়ে যায় নাইম । নাইম ওর নতুন শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে থাকে, ওর চোখে মুখে ভয় । কলেজে প্রচুর মার খেয়েছে শিক্ষকদের কাছে ।
নাইম যখন মুখ শুকনা করে শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে আছে, দারোয়ান তখন নতুন শিক্ষক কে চেয়ারে বসাচ্ছে সমাদর করে । আহেন স্যার বহেন বহেন, এই আপনের ছাত্র । ভালা মতন পড়াইবেন, ত্যারিব্যারি করলে কইসসা পিটান দিবেন । কথা গুলো বলে দারোয়ান ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো ।
যদিও নাইম ভয়ে ঘেমে উঠেছে, কিন্তু নতুন শিক্ষক কে দেখে ভয়ের কারন তেমন একটা নেই । রোগা পটকা একটা ছেলে, চোখে মোটা চশমা । নাইম যদি ওকে একটা ধাক্কা দেয় তাহলে দশ হাত দূরে গিয়ে পরবে । কিন্তু নাইমের ভয় “শিক্ষক” শব্দটাকে, এই উপাধি কে ধারন করেছে সেটা বড় কথা নয় ।
তোমার নাম নাইম , প্রশ্ন নয় বরং আলাপ শুরু করার ভঙ্গিতে বলল নতুন স্যার । কিন্তু নাইম কোন উত্তর দিলো না । হালকা গলা শুকিয়ে গেছে ওর । নতুন শিক্ষক নাইম কে চুপ থাকতে দেখে আবার নিজেই বলল , আমার নাম তুহিন , আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র , সমাজ বিজ্ঞান আমার সাবজেক্ট ।
আমার কাজ হচ্ছে , তোমাকে এইচ এস সি পাশ করানো , তারপর কলেজে ভর্তি করা । আজ যেহেতু বিকেল হয়ে গেছে , আজ আর হবে না । কাল আমরা তোমাকে উন্মুক্ত তে ভর্তি করার প্রসেস শুরু করবো । আর হ্যা আর একটা দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে , সেটা হচ্ছে তোমার ভাষা ঠিক করা । না তোমাকে একদম শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে হবে না । তবে গ্রামের ভাষা বলা যাবে না । শহুরে লোকেরা যেভাবে কথা বলে সেটা শিখতে পারলেই হবে ।
এক টানা কথা গুলো বলে তুহিন চশমা ঠিক করে নিলো নিজের মদ্ধমা দিয়ে । তারপর নাইমের দিকে তাকালো , নাইম কি বলে সেটা শোনার জন্য । কিন্তু নাইম এখনো নিসচুপ ।
নাইম তুমি কি আমাকে ভয় পাচ্ছো? ভ্রু কুঁচকে নাইমের দিকে তাকালো তুহিন । নিজেও অবাক হয়ে গেছে ও । একটা মানুষ ওকে ভয় পাচ্ছে ব্যাপারটা একেবারে নতুন ওর কাছে । এ পর্যন্ত কেউ ওকে ভয় পায়নি । ব্যাপারটা খুব এমিউজিং লাগছে ওর কাছে । কিন্তু ভয় থাকলে ও নিজের কাজ করতে পারবে না । ওকে বেশ ভালো পরিমান টাকা অফার করা হয়েছে । আর টাকা ওর দরকার ।
নাইম তুমি আমাকে ভয় পেও না , আমি তোমার শিক্ষক হয়ে নয় , তোমাকে হেল্প করতে এসেছি । তুমি আমাকে তুহিন ভাই ডাকতে পারো । এখন বলো তো , তুহিন ভাই আপনি আগামিকাল কখন আসবেন , তুমি ঠিক তোমার মত করে বলবে । আমি যেভাবে বলেছি সেভাবে নয় ।
নাইম এর ভয় একটু দূর হয় , ছেলেটাকে আসলেই স্যার স্যার লাগছে না । গ্রামের বড় ভাইয়ের মতই লাগছে । আর ছেলেটার পোশাক দেখে ওর মতই গরিব মনে হচ্ছে । নাইম একটু সাহস পায় । বলে তুহিন ভাই আপনে কালাকা কহন আইবেন ?
তুহিন হাসে , বলে এই তো পেরেছো । তবে এখন থেকে আমি যেভাবে কথা বলি সেভাবে বলার চেষ্টা করবে , বুঝেছো ।
নাইমের ভয় আরো একটু কেটে যায় , ছেলেটা সত্যি ওর সাথে খুব সহজ ভাবে কথা বলছে । কলেজের স্যারেরা কোনদিন এভাবে কথা বলেনি । কথার আগে বেত চলতো ওদের ।
জি বুঝেছি , শব্দ দুটো বলতেই ওর ডলির কথা মনে পরে গেলো । ডলিও ওকে এভাবে কথা বলতে শিখাতে চেয়েছিলো । সাথে সাথে মনটা বিষিয়ে গেলো । এই বজ্জাত মহিলাকে যতই দূরে ঠেলতে চায় ততই বার বার কাছে চলে আসে ।
****
নাইমের দম বন্ধ হয়ে আসে , ভালো ভালো খাবার ওর আর ভালো লাগে না , প্রায় ই খাবার ফেরত পাঠায় । যদিও নাইম স্বীকার করতে চায় না , তবুও ওর মন জানে , এখানে এতো এতো ভালো খাবারের সাথে যখন কর্কশ আর নির্দয় আচরণ পরিবেশন করা হয় , তখন ওর ডলির বাসায় মেঝেতে বসে খাওয়া সেই ডিম ভাজি আর খিচুরির কথা মনে পরে যায় । নরম বিছানায় একেকি রাত্রি যাপন করার সময় রাতের বেলা হঠাত ঘুম ভেঙ্গে গেলে ডলির ঘরের সেই মেঝেতে শীতল পাটি বিছিয়ে শান্তির ঘুমের কথা মনে পরে যায় ।
কিন্তু নাইম এসব চিন্তা ভাবনাকে আশকারা দেয় না । যতবার ওর ডলির কথা মনে পরে । ততবার নাইম সেই রাতের ডলির বলা কথা গুলো মনে মনে আওরায় । নিজেকে মনে করিয়ে দেয় , ডলি ওর সাথে কেমন আচরণ করেছিলো । আর এর মাধ্যমে নাইম নতুন উদ্দাম খুজে পায় ডলির উপর রাগ করার । নাইম বিশ্বাস করে ডলির উপর যত বেশি রাগ করবে ওর উন্নতি তত তারাতারি হবে ।
নাইম দুপুর বেলাটা ঘুমিয়ে পার করে । বিকেলের দিকে ঘুম থেকে উঠে বিছানাতেই শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে, বিকেলের সময়টা কি করবে । এসব যখন ভাবছিলো তখনি দারোয়ান সাথে একজন কে নিয়ে ওর ঘরে আসে। এমনিতে দারোয়ান লোকটা খারাপ না । নাইম এর সাথে সেদিনের ঘটনার পর আরো কয়েকবার দেখা হয়েছে। নাইম কে দুবার চা খাইয়েছে, বিড়ি সেধেছিলো নাইম নেয় নি । সিগারেট হলে হয়তো একবার ট্রাই করতো । কারন নাইম সিনেমায় দেখেছে নায়করা সিগারেট খায় । বিড়ি খুব কম নায়ক খায়, দুই একটা সিনেমায় দেখছে নায়ক বিড়ি খায় ।
দারোয়ান নাইম কে শুয়ে থাকতে দেখে বলে, ওই জলদি ওঠ, এইটা তোর স্যার, তোরে পড়াইবো । পড়ার কথা শুনলেই নাইমের শরীরে জ্বর আসে । আগে যখন কলেজে পড়তো তখন ঠিক মত কলেজে যেতো না নাইম । ফাকি দিয়ে সিনেমা হলে যেতো । কোন রকম টেনেটুনে পাশ করতে পারলেই হতো ওর । কারন নাইমের বাবা লেখাপড়া নিয়ে তেমন কিছুই বলতো না । বরং চাইতো ছেলে পড়া বাদ দিয়ে মাঠে কাজ করুক । কিন্তু নাইমের মা চাইতো নাইম পড়ুক ।
কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর আর পড়ার কথা বলার মত কেউ ছিলো না । কিন্তু মাঠে যাওয়ার ভয়ে নাইম পড়া চালিয়ে যায় নামকাওয়াস্তে । কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর আর লেখাপড়ার ধারে কাছ দিয়ে যায় নি। তাই নিজের সামনে জলজ্যান্ত একটা টিচার দাড়িয়ে থাকতে দেখে ঘাবড়ে যায় নাইম । নাইম ওর নতুন শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে থাকে, ওর চোখে মুখে ভয় । কলেজে প্রচুর মার খেয়েছে শিক্ষকদের কাছে ।
নাইম যখন মুখ শুকনা করে শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে আছে, দারোয়ান তখন নতুন শিক্ষক কে চেয়ারে বসাচ্ছে সমাদর করে । আহেন স্যার বহেন বহেন, এই আপনের ছাত্র । ভালা মতন পড়াইবেন, ত্যারিব্যারি করলে কইসসা পিটান দিবেন । কথা গুলো বলে দারোয়ান ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো ।
যদিও নাইম ভয়ে ঘেমে উঠেছে, কিন্তু নতুন শিক্ষক কে দেখে ভয়ের কারন তেমন একটা নেই । রোগা পটকা একটা ছেলে, চোখে মোটা চশমা । নাইম যদি ওকে একটা ধাক্কা দেয় তাহলে দশ হাত দূরে গিয়ে পরবে । কিন্তু নাইমের ভয় “শিক্ষক” শব্দটাকে, এই উপাধি কে ধারন করেছে সেটা বড় কথা নয় ।
তোমার নাম নাইম , প্রশ্ন নয় বরং আলাপ শুরু করার ভঙ্গিতে বলল নতুন স্যার । কিন্তু নাইম কোন উত্তর দিলো না । হালকা গলা শুকিয়ে গেছে ওর । নতুন শিক্ষক নাইম কে চুপ থাকতে দেখে আবার নিজেই বলল , আমার নাম তুহিন , আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র , সমাজ বিজ্ঞান আমার সাবজেক্ট ।
আমার কাজ হচ্ছে , তোমাকে এইচ এস সি পাশ করানো , তারপর কলেজে ভর্তি করা । আজ যেহেতু বিকেল হয়ে গেছে , আজ আর হবে না । কাল আমরা তোমাকে উন্মুক্ত তে ভর্তি করার প্রসেস শুরু করবো । আর হ্যা আর একটা দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে , সেটা হচ্ছে তোমার ভাষা ঠিক করা । না তোমাকে একদম শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে হবে না । তবে গ্রামের ভাষা বলা যাবে না । শহুরে লোকেরা যেভাবে কথা বলে সেটা শিখতে পারলেই হবে ।
এক টানা কথা গুলো বলে তুহিন চশমা ঠিক করে নিলো নিজের মদ্ধমা দিয়ে । তারপর নাইমের দিকে তাকালো , নাইম কি বলে সেটা শোনার জন্য । কিন্তু নাইম এখনো নিসচুপ ।
নাইম তুমি কি আমাকে ভয় পাচ্ছো? ভ্রু কুঁচকে নাইমের দিকে তাকালো তুহিন । নিজেও অবাক হয়ে গেছে ও । একটা মানুষ ওকে ভয় পাচ্ছে ব্যাপারটা একেবারে নতুন ওর কাছে । এ পর্যন্ত কেউ ওকে ভয় পায়নি । ব্যাপারটা খুব এমিউজিং লাগছে ওর কাছে । কিন্তু ভয় থাকলে ও নিজের কাজ করতে পারবে না । ওকে বেশ ভালো পরিমান টাকা অফার করা হয়েছে । আর টাকা ওর দরকার ।
নাইম তুমি আমাকে ভয় পেও না , আমি তোমার শিক্ষক হয়ে নয় , তোমাকে হেল্প করতে এসেছি । তুমি আমাকে তুহিন ভাই ডাকতে পারো । এখন বলো তো , তুহিন ভাই আপনি আগামিকাল কখন আসবেন , তুমি ঠিক তোমার মত করে বলবে । আমি যেভাবে বলেছি সেভাবে নয় ।
নাইম এর ভয় একটু দূর হয় , ছেলেটাকে আসলেই স্যার স্যার লাগছে না । গ্রামের বড় ভাইয়ের মতই লাগছে । আর ছেলেটার পোশাক দেখে ওর মতই গরিব মনে হচ্ছে । নাইম একটু সাহস পায় । বলে তুহিন ভাই আপনে কালাকা কহন আইবেন ?
তুহিন হাসে , বলে এই তো পেরেছো । তবে এখন থেকে আমি যেভাবে কথা বলি সেভাবে বলার চেষ্টা করবে , বুঝেছো ।
নাইমের ভয় আরো একটু কেটে যায় , ছেলেটা সত্যি ওর সাথে খুব সহজ ভাবে কথা বলছে । কলেজের স্যারেরা কোনদিন এভাবে কথা বলেনি । কথার আগে বেত চলতো ওদের ।
জি বুঝেছি , শব্দ দুটো বলতেই ওর ডলির কথা মনে পরে গেলো । ডলিও ওকে এভাবে কথা বলতে শিখাতে চেয়েছিলো । সাথে সাথে মনটা বিষিয়ে গেলো । এই বজ্জাত মহিলাকে যতই দূরে ঠেলতে চায় ততই বার বার কাছে চলে আসে ।
****
কেউ কথা রাখে না
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।