Thread Rating:
  • 11 Vote(s) - 2.27 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery পাঁচ তারকা হোটেলে ডিজে পার্টিতে মাতাল তরুনী
#6
পরদিন থেকে দুই বন্ধু শুরু করে রুমাইসার উপর নজরদারী, মূলতঃ রুমাইসার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট দেখে বুঝার চেস্টা করে, কি করে রুমাইসা, কার সাথে মিশে। কিন্তু রুমাইসা নিজের ছাড়া আর কিছু কখনো পোস্ট করে না, এমনকি বিভিন্ন বার বা লাউঞ্জের ছবি দিলেও লোকেশন ট্যাগ করে না। রকি অবশ্য এর মাঝে রুমাইসার বাসার সেই দাড়োয়ানের (মতি মিয়া) সাথে ভাব জমিয়ে ফেলেছে। বেটা ডিউটির ফাঁকে পাশের কনস্ট্রাকশন সাইটে গিয়ে গাজা টানে। দুইদিন ধরে লোক লাগিয়ে রেখেছে, কোথায় যায়, কি করে, সব খোজ নেয়ার জন্য। তার সোর্স তাকে জানিয়েছে মতিমিয়া অনলাইনে জুয়া খেলে পুরো মাসের বেতন খুইয়েছে, পরিবারের জন্য টাকা কিভাবে পাঠাবে সেই চিন্তায় মতি পাগলপ্রায়। রকি তার সোর্সকে দিয়ে মতিকে খবর পাঠিয়েছে যে সে তাকে সাহায্য করতে রাজী, কিন্তু শর্ত হলো রুমাইসার যাবতীয় খোজখবর তাকে দিতে হবে। মতি মিয়া শর্তে রাজী। সেদিন সন্ধ্যায় মতি মিয়া চায়ের দোকানে রকির সাথে দেখা করতে গেল। মতির কাছ থেকে রকি জানলো, রুমাইসার বাবা সাব-রেজিস্ট্রার, বিরাট ঘুষখোড়, নীতির বালাই নাই। রুমাইসার মায়ের একমাত্র কাজ হলো জামাইয়ের অবৈধ টাকায় গহনা কেনা ও শপিং করা। রুমাইসা ছোটোবেলা থেকেই উগ্র স্বভাবের আর চাল-চলনের বালাই নাই। সে ঘরে থাকে কি বাইরে, তার বাবার সেটা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই, সে নিজেই করে পরকীয়া। রুমাইসার মা তার মেয়ের উশৃংখল জীবন নিয়ে একসময় প্রচুর বকা-ঝকা করলেও রুমাইসা কখনোই সেটা পাত্তা দিতো না, এমনকি বেশী বাড়াবাড়ি করলে বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকী দিতো, তাই এখন বলা যায় একপ্রকার মেনে নিয়েছেন মেয়ের লাইফস্টাইল। রুমাইসা নিয়মিতই বাইরে রাত কাটায়, আর যেদিন ফিরে সেদিনও অনেক রাত করে ফেরে, অধিকাংশ সময়ই মাতাল থাকে। নিজেদের বাসা বলে কেউ কিছু বলে না, নতুবা কবেই বের করে দিতো। রকি মতি মিয়ার মোবাইল নম্বর রাখলো আর মতি মিয়ার হাতে পাঁচ হাজার টাকা ধরিয়ে দিলো। মতি মিয়া কৃতজ্ঞ চেহারায় রকিকে বললো, ভাইজান আপনার যখন যা জানার আমাকে হুকুম দিবেন।

এদিকে, আবির রুমাইসার ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ফলো দিয়ে রেখেছে। সেই প্রোফাইলেই রুমাইসা ঘোষনা দিয়েছে যে ওয়েস্টিন হোটেল, ঢাকায় নিউইয়ার সেলিব্রেশন পার্টিতে যাবে সে। আবির সাথে সাথে দুইটা টিকেট কিনলো ঐ পার্টির, সেই সাথে একটা জুনিয়র সুইট বুক করলো। তারপর তার এক সোর্সকে দিয়ে কেটামিন (ড্রিংকসের সাথে মিশিয়ে খায়, কিছুটা হেলুসিনেশন হয়, নিজের উপর নিয়ন্ত্রন থাকে না, রঙ বা গন্ধ নেই, তাই মেশালেও বুঝা যায় না) জোগাড় করলো। ওরা দুই বন্ধু এর আগেও এই কেটামিন ব্যবহার করে অনেক মেয়েকে বিছানায় নিয়েছে, পরীক্ষিত জিনিস। 



দেখতে দেখতে থার্টি ফার্স্ট নাইট আসলো, দুপুর দুইটার দিকে তারা ওয়েস্টিনে তাদের রুমে চেকইন করে সব ঠিক আছে কিনা চেক করে নিল। তারপর রুমের বিভিন্ন পজিশনে একশন ক্যামেরা সেট করে নিলো, লুকানোর চেস্টাও করলো না। তারপর রুমাইসার বাসার পাশে গাড়ী নিয়ে বসলো। মতি মিয়ার কাছ থেকে রকি জেনেছে রুমাইসা কাল রাতে বাড়ী ফেরার পর আর বের হয়নি।  সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রুমাইসার এক ছেলে বন্ধু আসলও রুমাইসাকে নিতে। রুমাইসা কিছুক্ষণ বাদে এসে গাড়িতে উঠলো, দূর থেকে তারা দেখতে পেল রুমাইসার পরনে একটা মিনি ড্রেস পরেছে, বেশ হট দেখাচ্ছে। তারা নির্দিষ্ট দূরুত্ব বজায় রেখে সামনের গাড়ীকে ফলো করলো। বসুন্ধরা থেকে রওনা দিয়ে তারা সোজা ওয়েস্টিনে এসে ঢুকলো, আবিরও ওয়েস্টিনে প্রবেশ করলো। 




[Image: 475817171_541512792238826_35625554546973...e=68C8931B]
[+] 1 user Likes osthir_aami's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: পাঁচ তারকা হোটেলে ডিজে পার্টিতে মাতাল তরুনী - by osthir_aami - 11-09-2025, 04:49 PM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)