10-09-2025, 07:35 PM
নাইম প্রিতিদিন একবার করে ঢু মারছে সিনেমা পাড়ায় । তবে ডলির কাছ থেকে নিজেকে লুকিয়ে চলছে । ওর উদ্দেশ্য ওস্তাদজির সাথে দেখা করা । কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না । খুব বেশি সময় ও দিতে পারছে না, খুব ক্লান্ত থাকে সারাদিন । রাত ভর, সিনেমা পাড়ার কাছেই একটা পাইকারি বাজারে মালামাল নামানো হয়, নাইম সেখানে কাজ করে । তাই সারাদিন ক্লান্তি ওকে ঘিরে রাখে ।
আজ প্রায় এক সপ্তা হতে চলল নাইম বেড়িয়ে এসেছে ডলির ঘর থেকে । ডলি যে ওকে খুঁজছে সেটা নাইম জানে । সিনেমা পাড়ায় বেশ কয়েকজন নাইম কে বলেছে ডলি ওকে খুঁজছে । কিন্তু নাইম দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, ও আর কখনোই ডলির কাছে ফিরে যাবে না ।
এরি মাঝে দুই একজন ওকে কথাও দিয়েছে, ছোট খাটো কাজ পাইয়ে দেবে । বিনিময়ে ফিফটি পারসেন্ট পেমেন্ট দিয়ে দিতে হবে । নাইম তাতেও রাজি, যে করেই হোক একবার যদি এই জগতে ঢুকতে পারে, নাইমের বিশ্বাস ওকে কেউ আটকাতে পারবে না ।
তবে নাইম সুধু ওই ছোট খাটো সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে চায় না । ওস্তাদজির সাথে দেখা করতে চায়, ও এই লোকটার মাঝে একজন সাধু পুরুষের গুনাবলি দেখতে পেয়েছে । ওর বিশ্বাস ওস্তাদজি ওকে যে করেই হোক সাহায্য করবে । আর এই সাহায্যের বদলে কিছু চাইবে ও না । কারন এই লোকের কোন কিছুর অভাব নেই । জীবনের কাছে আর কিবা চাওয়ার আছে এই বৃদ্ধ লোকের ।
প্রথম দিকে নাইম ডলির এই আচরণে খুব বিমর্ষ হয়ে পরেছিলো । কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলো না কেন ডলি ওর সাথে এমন করলো । তাও সুধু মাত্র একটা সিনেমা দেখার জন্য । কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে নাইমের বিমর্ষতা রাগে রুপান্তরিত হয়েছে ।
নাইম নির্ঘুম রাতে , সব্জির বস্তা মাথায় টানতে টানতে ভেবেছে , হ্যা একটা গানে ডলি ছিলো , তাতে কি ? হাজার হাজার লোক দেখছে , আর নাইম দেখলেই সমস্যা । নটি ব্যাটির আবার লজ্জা ! যদি লজ্জা থাকতো তবে এই লাইনে গিয়েছে কেনো? ওই গানে শুটিং করার সময় লজ্জা হয় নাই । এসব ভাবতে ভাবতে নাইমের রাগ ধিরে ধিরে জেদে রুপান্তরিত হয়েছে ।
নাইম ডিসিশন নিয়েছে , যে করেই হোক ও নায়ক হবে । এর জন্য যত কিছুই করতে হোক ও করবে । প্রয়োজনে ডলির নামে মিথ্যা বলবে ওস্তাদজির কাছে । কিন্তু নায়ক ও হবেই , ডলিকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য।
আজকে নাইমের ভাগ্য ভালো দেখা হয়ে গেছে, নাইম কে দেখেই চিনে ফেলেছে । হাত নেড়ে কাছে ডাকে নাইম কে । নাইম ও বুক ফুলিয়ে এতক্ষণ যে প্রডাকশন বয় ওকে আটকে রেখছিলো, তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ওস্তাদজির কাছে যায় ।
এই ছেলে তোমার এই অবস্থা কেনো? ডলির ও কোন পাত্তা নেই । ওস্তাদজি নাইম কে দেখে বেশ গম্ভির ভাবে বলে । নাইমের পরনে ময়লা পোশাক দেখে উনি বুঝে গেছেন কোন গড়বড় আছে । নাইম মাথা নিচু করে বলে , আপায় আমারে বাসা থেইকা বাইর কইরা দিসে ।
ওস্তাদজি আঁতকে ওঠেন, বলেন- বলো কি? তুমি থাকছো কোথায়? বের করে দিলো কেনো? ওনার চোখে মুখে সত্যিকারের উৎকণ্ঠা ।
নাইম এই কদিনে অন্য কিছু শিখুক আর না শিখুক । এটা শিখেছে যে কারো কাছ থেকে কোন কিছু নিতে হলে, নিজেকে অসহায় প্রমান করতে হবে । তাই নাইম নিজের মুখ আরো মলিন করে ফেলে, প্রায় কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে, রাস্তায় থাকি, ওই বাজারে কামলা দেই ।
ওস্তাদজি প্রথমে নাইমের কথা বুঝতে পারে না, নাইম বলেছেও মিন মিন করে । তাই আবার জিজ্ঞাস করে । কি বললে?
নাইম এবার আরো করুন স্বরে নিজের দুঃখের কথা বলে । এবার ওস্তাদজি কিছুটা বুঝতে পারে । তারপর জিজ্ঞাস করে, তুমি ডলির সাথে কি করেছো? বের করে দিলো কেনো?
নাইম মনে মনে ভাবে, যে করেই হোক ওর স্বপ্ন ও পূরণ করবে । এর জন্য যা যা করার দরকার ও করবে । নাইম আরো করুন স্বরে বলে, কি জানি আমি কিছু বুঝিনাই, একদিন রাইত কইরা বাড়ি ফিরাই আমারে মারতে শুরু করলো, আমি এতো হাত পায়ে ধরলাম, কোন কিছুই শুনল না । আমি এতো কইরা বললাম, আমি কই জামু, কি খামু । এটুকু বলে নাইম দুই ফোঁটা চোখের পানি ফেলে । ওস্তাদজি চোখে অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে আছে । কি করে বিশ্বাস করবে নাইমের কথা , এই সপ্তা খানেক আগেও ডলির সাথে দেখা হয়েছে । ও নাইম কে নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস । কিন্তু আবার নাইমের কথাও অবিশ্বাস করতে পারছে না , ছেলেটা মাত্র গ্রাম থেকে শহরে এসেছে , বেশ সহজ সরল । ও কি মিথ্যা বলবে ? ওস্তাদজি মনে মনে ভাবে ।
নাইম ফাঁকে একবার ওস্তাদজির মুখ দেখে নেয় । ও বুঝতে পারে কিছুটা কাজ হয়েছে । তবে আরো কিছু বলতে হবে । নাইম জানে ওস্তাদজি ডলিকেও বেশ স্নেহ করে । কিন্তু নাইম প্রতিজ্ঞা করেছে , নিজে নায়ক হয়ে ডলিকে দেখিয়ে দেবে , এর জন্য হাজার মিথ্যা দরকার হলেও ও বলবে ।
নাইম এবার কেঁদেই ফেললো , কেঁদে কেঁদে বলল । মাইরা আমারে ফাটাইয়া ফালাইসে , মারে আর কয় , তোর মতন পোলারে কি আমি বসাইয়া বসইয়া খাওয়ামু নাকি , আমার ট্যাকার দাম নাই , ভাবসিলাম তুই কাম কাইজ পাবি , তোর ট্যাকায় বইয়া বইয়া খামু । ওই বুইড়া কইসে তোর কোন চান্স নাই ।
ওস্তাদজি আরো অবাক হয়ে যায় । ডলি ওনার সম্পর্কে এসব বলতে পারে বিশ্বাস হয় না । নাইম কে কাঁপা স্বরে জিজ্ঞাস করে , ডলি মদ তদ খায়নি তো সেদিন ?
নাইম নাক টানতে টানতে বলে , আমি ক্যাম্নে কমু ।
ওস্তাদজি কিছুক্ষন একদম চুপ হয়ে যায় । তারপর নীরবতা ভেঙ্গে বলেন , এই মেয়েটার যে কখন কি হয় ,কত ব্রাইট ভবিষ্যৎ নিজের হাতে নষ্ট করেছে , এখন ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে সিরিয়াস , কিন্তু আজকে যা বললে , আমি কিছু বুঝতে পারছি না । তুমি এক কাজ করো , আমার অফিসে গিয়ে বসো আমি দেখছি কি করা যায় ।
নাইম মনে মনে খুশি হয় , তবে উপরে তা প্রকাশ করে না । বেশ কাতর স্বরে ওস্তাদজিকে বলে , আপনে আপারে কিছু জিগাইয়েন না , আমারে কইসে , যদি আমি এইসব কথা কারো কাছে কই , তাইলে আমারে আর এই শহরে থাকতে দিবো না। এমন ভাব করে যেন ও ডলির ভয়ে কাঁপছে । নাইম চেষ্টা করে যেন ওস্তাদজি ডলির সাথে যোগাযোগ না করে ।
আচ্ছা তুমি যাও , আমি দেখছি কি করা যায় । এই বলে ওস্তাদজি আর দাঁড়ালো না , নিজের কাজে চলে গেলো । ওনার এক লোক নাইম কে সাথে করে ওনার অফিসের দিকে গেলো ।
সন্ধার দিকে ওস্তাদজি অফিসে এলো । নাইমকে ডেকে নিজের কামড়ায় ঢুকল । নাইম কে বসতে বলে নিজেও বসলো । কিন্তু সহসাই কোন কথা বলল না । চেয়ারে দোল খেতে খেতে অনেকক্ষণ চুপ করে কি যেন ভাবল । নাইম ও পুরো সময়টা ওনার দিকে তাকিয়ে রইলো । ওর বুঝে আসছে না এর পর ওস্তাদজি কি করবে । নাইম মনে মনে প্রার্থনা করছে , যেন ওস্তাদজির মন নরম হয় । ওর জন্য কিছু একটা করে । কারন এই লোকটিই পারে নাইম কে সব সিঁড়ি ডিঙিয়ে সরাসরি সর্ব উচ্চ আসনে নিয়ে বসাতে ।
তাহলেই নাইম ডলি কে দেখিয়ে দিতে পারে , যে ও কি করতে পারে । ডলির বলা কথা গুলো আজো ওর কানে বাঝছে , ডলি বলেছিলো , ওর মত ছেলে আসে আর যায় । না নাইম ডলি কে দেখিয়ে দেবে । নাইম আসা যাওয়া করার জন্য আসেনি । এখানে থেকে যেতে এসেছে । সুধু থেকে যেতে নয় । এক নাম্বার হিরো হতে এসেছে ।
****
আজ প্রায় এক সপ্তা হতে চলল নাইম বেড়িয়ে এসেছে ডলির ঘর থেকে । ডলি যে ওকে খুঁজছে সেটা নাইম জানে । সিনেমা পাড়ায় বেশ কয়েকজন নাইম কে বলেছে ডলি ওকে খুঁজছে । কিন্তু নাইম দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, ও আর কখনোই ডলির কাছে ফিরে যাবে না ।
এরি মাঝে দুই একজন ওকে কথাও দিয়েছে, ছোট খাটো কাজ পাইয়ে দেবে । বিনিময়ে ফিফটি পারসেন্ট পেমেন্ট দিয়ে দিতে হবে । নাইম তাতেও রাজি, যে করেই হোক একবার যদি এই জগতে ঢুকতে পারে, নাইমের বিশ্বাস ওকে কেউ আটকাতে পারবে না ।
তবে নাইম সুধু ওই ছোট খাটো সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে চায় না । ওস্তাদজির সাথে দেখা করতে চায়, ও এই লোকটার মাঝে একজন সাধু পুরুষের গুনাবলি দেখতে পেয়েছে । ওর বিশ্বাস ওস্তাদজি ওকে যে করেই হোক সাহায্য করবে । আর এই সাহায্যের বদলে কিছু চাইবে ও না । কারন এই লোকের কোন কিছুর অভাব নেই । জীবনের কাছে আর কিবা চাওয়ার আছে এই বৃদ্ধ লোকের ।
প্রথম দিকে নাইম ডলির এই আচরণে খুব বিমর্ষ হয়ে পরেছিলো । কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলো না কেন ডলি ওর সাথে এমন করলো । তাও সুধু মাত্র একটা সিনেমা দেখার জন্য । কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে নাইমের বিমর্ষতা রাগে রুপান্তরিত হয়েছে ।
নাইম নির্ঘুম রাতে , সব্জির বস্তা মাথায় টানতে টানতে ভেবেছে , হ্যা একটা গানে ডলি ছিলো , তাতে কি ? হাজার হাজার লোক দেখছে , আর নাইম দেখলেই সমস্যা । নটি ব্যাটির আবার লজ্জা ! যদি লজ্জা থাকতো তবে এই লাইনে গিয়েছে কেনো? ওই গানে শুটিং করার সময় লজ্জা হয় নাই । এসব ভাবতে ভাবতে নাইমের রাগ ধিরে ধিরে জেদে রুপান্তরিত হয়েছে ।
নাইম ডিসিশন নিয়েছে , যে করেই হোক ও নায়ক হবে । এর জন্য যত কিছুই করতে হোক ও করবে । প্রয়োজনে ডলির নামে মিথ্যা বলবে ওস্তাদজির কাছে । কিন্তু নায়ক ও হবেই , ডলিকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য।
আজকে নাইমের ভাগ্য ভালো দেখা হয়ে গেছে, নাইম কে দেখেই চিনে ফেলেছে । হাত নেড়ে কাছে ডাকে নাইম কে । নাইম ও বুক ফুলিয়ে এতক্ষণ যে প্রডাকশন বয় ওকে আটকে রেখছিলো, তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ওস্তাদজির কাছে যায় ।
এই ছেলে তোমার এই অবস্থা কেনো? ডলির ও কোন পাত্তা নেই । ওস্তাদজি নাইম কে দেখে বেশ গম্ভির ভাবে বলে । নাইমের পরনে ময়লা পোশাক দেখে উনি বুঝে গেছেন কোন গড়বড় আছে । নাইম মাথা নিচু করে বলে , আপায় আমারে বাসা থেইকা বাইর কইরা দিসে ।
ওস্তাদজি আঁতকে ওঠেন, বলেন- বলো কি? তুমি থাকছো কোথায়? বের করে দিলো কেনো? ওনার চোখে মুখে সত্যিকারের উৎকণ্ঠা ।
নাইম এই কদিনে অন্য কিছু শিখুক আর না শিখুক । এটা শিখেছে যে কারো কাছ থেকে কোন কিছু নিতে হলে, নিজেকে অসহায় প্রমান করতে হবে । তাই নাইম নিজের মুখ আরো মলিন করে ফেলে, প্রায় কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে, রাস্তায় থাকি, ওই বাজারে কামলা দেই ।
ওস্তাদজি প্রথমে নাইমের কথা বুঝতে পারে না, নাইম বলেছেও মিন মিন করে । তাই আবার জিজ্ঞাস করে । কি বললে?
নাইম এবার আরো করুন স্বরে নিজের দুঃখের কথা বলে । এবার ওস্তাদজি কিছুটা বুঝতে পারে । তারপর জিজ্ঞাস করে, তুমি ডলির সাথে কি করেছো? বের করে দিলো কেনো?
নাইম মনে মনে ভাবে, যে করেই হোক ওর স্বপ্ন ও পূরণ করবে । এর জন্য যা যা করার দরকার ও করবে । নাইম আরো করুন স্বরে বলে, কি জানি আমি কিছু বুঝিনাই, একদিন রাইত কইরা বাড়ি ফিরাই আমারে মারতে শুরু করলো, আমি এতো হাত পায়ে ধরলাম, কোন কিছুই শুনল না । আমি এতো কইরা বললাম, আমি কই জামু, কি খামু । এটুকু বলে নাইম দুই ফোঁটা চোখের পানি ফেলে । ওস্তাদজি চোখে অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে আছে । কি করে বিশ্বাস করবে নাইমের কথা , এই সপ্তা খানেক আগেও ডলির সাথে দেখা হয়েছে । ও নাইম কে নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস । কিন্তু আবার নাইমের কথাও অবিশ্বাস করতে পারছে না , ছেলেটা মাত্র গ্রাম থেকে শহরে এসেছে , বেশ সহজ সরল । ও কি মিথ্যা বলবে ? ওস্তাদজি মনে মনে ভাবে ।
নাইম ফাঁকে একবার ওস্তাদজির মুখ দেখে নেয় । ও বুঝতে পারে কিছুটা কাজ হয়েছে । তবে আরো কিছু বলতে হবে । নাইম জানে ওস্তাদজি ডলিকেও বেশ স্নেহ করে । কিন্তু নাইম প্রতিজ্ঞা করেছে , নিজে নায়ক হয়ে ডলিকে দেখিয়ে দেবে , এর জন্য হাজার মিথ্যা দরকার হলেও ও বলবে ।
নাইম এবার কেঁদেই ফেললো , কেঁদে কেঁদে বলল । মাইরা আমারে ফাটাইয়া ফালাইসে , মারে আর কয় , তোর মতন পোলারে কি আমি বসাইয়া বসইয়া খাওয়ামু নাকি , আমার ট্যাকার দাম নাই , ভাবসিলাম তুই কাম কাইজ পাবি , তোর ট্যাকায় বইয়া বইয়া খামু । ওই বুইড়া কইসে তোর কোন চান্স নাই ।
ওস্তাদজি আরো অবাক হয়ে যায় । ডলি ওনার সম্পর্কে এসব বলতে পারে বিশ্বাস হয় না । নাইম কে কাঁপা স্বরে জিজ্ঞাস করে , ডলি মদ তদ খায়নি তো সেদিন ?
নাইম নাক টানতে টানতে বলে , আমি ক্যাম্নে কমু ।
ওস্তাদজি কিছুক্ষন একদম চুপ হয়ে যায় । তারপর নীরবতা ভেঙ্গে বলেন , এই মেয়েটার যে কখন কি হয় ,কত ব্রাইট ভবিষ্যৎ নিজের হাতে নষ্ট করেছে , এখন ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে সিরিয়াস , কিন্তু আজকে যা বললে , আমি কিছু বুঝতে পারছি না । তুমি এক কাজ করো , আমার অফিসে গিয়ে বসো আমি দেখছি কি করা যায় ।
নাইম মনে মনে খুশি হয় , তবে উপরে তা প্রকাশ করে না । বেশ কাতর স্বরে ওস্তাদজিকে বলে , আপনে আপারে কিছু জিগাইয়েন না , আমারে কইসে , যদি আমি এইসব কথা কারো কাছে কই , তাইলে আমারে আর এই শহরে থাকতে দিবো না। এমন ভাব করে যেন ও ডলির ভয়ে কাঁপছে । নাইম চেষ্টা করে যেন ওস্তাদজি ডলির সাথে যোগাযোগ না করে ।
আচ্ছা তুমি যাও , আমি দেখছি কি করা যায় । এই বলে ওস্তাদজি আর দাঁড়ালো না , নিজের কাজে চলে গেলো । ওনার এক লোক নাইম কে সাথে করে ওনার অফিসের দিকে গেলো ।
সন্ধার দিকে ওস্তাদজি অফিসে এলো । নাইমকে ডেকে নিজের কামড়ায় ঢুকল । নাইম কে বসতে বলে নিজেও বসলো । কিন্তু সহসাই কোন কথা বলল না । চেয়ারে দোল খেতে খেতে অনেকক্ষণ চুপ করে কি যেন ভাবল । নাইম ও পুরো সময়টা ওনার দিকে তাকিয়ে রইলো । ওর বুঝে আসছে না এর পর ওস্তাদজি কি করবে । নাইম মনে মনে প্রার্থনা করছে , যেন ওস্তাদজির মন নরম হয় । ওর জন্য কিছু একটা করে । কারন এই লোকটিই পারে নাইম কে সব সিঁড়ি ডিঙিয়ে সরাসরি সর্ব উচ্চ আসনে নিয়ে বসাতে ।
তাহলেই নাইম ডলি কে দেখিয়ে দিতে পারে , যে ও কি করতে পারে । ডলির বলা কথা গুলো আজো ওর কানে বাঝছে , ডলি বলেছিলো , ওর মত ছেলে আসে আর যায় । না নাইম ডলি কে দেখিয়ে দেবে । নাইম আসা যাওয়া করার জন্য আসেনি । এখানে থেকে যেতে এসেছে । সুধু থেকে যেতে নয় । এক নাম্বার হিরো হতে এসেছে ।
****
কেউ কথা রাখে না
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।