25-08-2025, 07:14 PM
(This post was last modified: 25-08-2025, 07:36 PM by gungchill. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
অনেক চেষ্টা করেও ডলি নাইম কে কলেজে ভর্তি করাতে পারেনি । মাধ্যমিকের কোন কাগজ পত্র নেই । কম করে হলেও দশ পনেরো দিন এই নিয়ে দৌড়া দৌড়ী করেছে । তাবে নাইমের এই নিয়ে কোন তাড়া ছিলো না। সুধু বলতো , আজকে না অন্য দিন যাবো ।
শেষে একদিন রাতে খাওয়ার সময় নাইম স্বীকার করলো , খেতে খেতে মিন মিন করে নাইম বলল , আপা একটা কথা কই , রাগ কইরো না।
দুশ্চিন্তা গ্রস্ত ডলি বেশি মনোযোগ দেয়নি নাইমের কথায় , বলল বল কি বলবি ।
কিছুক্ষন চুপ রইলো নাইম , তারপর বলল , আপা আমি মেট্রিক ফেইল করসি। কথাটা বলে নাইম চুপ করে রইলো ।
ডলি এবারো নাইমের কথায় তেমন মনোযোগ দিলো না , তবে কিছুক্ষন পর নাইমের কথাটা ওর মাথায় এলো , তীক্ষ্ণ স্বরে চেঁচিয়ে উঠলো ডলি , কি বললি ? সারাদিন আমি কাম কাজ ফালাইয়া ওরে নিয়া ঘুরতাসি , আর সাহেব ও আমার লগে মুখ বন্ধ কইরা ঘুরতাসে!!! মুখে কোন রা নাই । আমারে আগে বলবি না ?
ডর লাগসে কইতে , নাইম কাচুমাচু করে বলে । এদিকে ডলির রাগ সপ্তম আসমানে , এওি কয়দিন কোন কাজ করেনি ও সিনেমা পাড়াতেই যায়নি । সারাদিন কঠিন রোদে এই কলেজ সেই কলেজ ঘুরে বেরিয়ছে ।
ওই সয়তান পোলা , এই বলে ডলি হাত তুলে তেড়ে যায় । কিন্তু মাঝ পথেই নিজেকে থামিয়ে দেয় ডলি । নাইমের দিকে তাকায় , ভয়ে কুঁকড়ে গেছে , দু হাত তুলে মুখ ঢাকার চেষ্টা করছে । ডলি হাত নামিয়ে নেয় , ভাবে কোন অধিকারে এই ছেলেকে মারতে গিয়েছিলো ও । খেতে থাকতে দিচ্ছে উপকার করছে , এই ব্যাপার গুলো তো ওকে হাত তোলার অধিকার দেয় না । হাত তুলতে হলে আরো গভির সম্পর্ক থাকার দরকার । ডলির কি সেই সম্পর্ক আছে এই ছেলের সাথে ?
নাইম বুঝে গেছে ডলি আর ওকে মারবে না , তাই শান্ত হয়ে আবার ভাত খেতে শুরু করেছে । কিন্তু ডলির খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে , ওর মাথায় সুধু একটা চিন্তা ঘুরছে , এ কি করছে ও , এই ছেলের সাথে নিজেকে এভাবে জড়াচ্ছে কেনো? জীবনে অনেকবার দুঃখ পেয়েছে । আরো একবার দুঃখ পাওয়ার কি সখ জেগেছে ওর মনের । নিজের মনকে আচ্ছা মতন গালি দেয় ডলি , পোড়া মুখির সখ মেটেনা ।
রাতে ডলির ঘুম হয় না , নিচে বিছানা করে শোয়া নাইমের ঘুমন্ত মুখের দিকে বার বার তাকায় । এক অসহ্য ছটফটানি মনে । ঘুমন্ত অবস্থায় নাইম কে আরো সুন্দর আরো পবিত্র লাগছে । ডলির মনে এক অদম্য আখাঙ্কা জাগে ইচ্ছে হয় নাইমের পাশে শুয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে । কিন্তু জানে এটা কোনদিন সম্ভব না । এই বয়সি একটা ছেলের পক্ষে ব্যাপারটা সহজ ভাবে নেয়া কঠিন হবে । উল্টাপাল্টা ভেবে বসবে ।
ছটফট করেই সারা রাত্র কেটে যায় , খুব সকালে বিছানা থেকে উঠে , গোসল করে নেয় ডলি । তারপর কাপড় বদলে , বেড়িয়ে যায় । আজকে সিনেমা পাড়ায় যাবে । হাতে কেজ নেই তবুও যদি ওখানে গেলে কোন উপায় হয়।
একটু সকাল সকাল হওয়ায় বাসে তেমন ভিড় নেই , আর ঘণ্টা খানেক পর ভিড় শুরু হবে । ডলি সিট পেয়ে যায় , জানালার পাশে একটা সিটে বসে পরে । বাস ছাড়ার সাথে সাথে সকালের হালকা বাসাতে চোখে বন্ধ হয়ে আসে ডলির । সারারাত না ঘুমানোর ফল ।
সিনেমা পাড়ায় নেমে ডলি আলতাফের খোঁজ করতে শুরু করে । আলতাফ এখনো ক্ষেপে আছে । কিন্তু আলতাফ ছাড়া তেমন কোন উপায় নেই ডলির । কিছুক্ষন পর আলতাফের সাথে দেখাও হয়ে যায় ডলির। ডলি কে দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নেয় আলতাফ ।
কথা কইবেন না ভালো কথা , একটা দুইটা কাজ তো দিতে পারেন , আলতাফের সামনে দাড়িয়ে ডলি হাসিমুখে বলে ।
তোমারে কাম দেওয়নের ক্ষমতা আমার নাই ডলি , তুমি হইলা বড় ইস্টার , কাস্টিং ম্যানেজারের মুখের উপর বইলা দাও কাম করুম না । আলতাফ মুখে অন্যদিকে ঘুরিয়ে রেখেই বলে ।
ডলি আবারো হাসে , বলে আপনে কইলে ওই কাস্টিং ম্যানেজারের পাও ধইরা মাফ চামু , কিন্তু কাম দেন ।
বও দেহি কি করন যায় । আলতাফ ঝাঁঝের সাথে বলে । অনেকক্ষণ বসে থাকে ডলি । এক পর্যায়ে আলতাফের কাছে এক লোক আসে , বলে আলতাফ ভাই , আমারে ডাইরেক্টার স্যার পাঠাইসে , মাথা নষ্ট ছবির সেটে একজন মহিলা লাগবো , অভিনয় জানে এমন , আর শরীর সাস্থ ভালো , ১০-১২ বছরের পোলার মায়ের রোল।
ডলি নড়েচড়ে বসে , ওর সাথে মিলে যাচ্ছে ডিরেক্টরের চাহিদা । ডলি খুক খুক করে কেশে নিজের অবস্থান জানান দেয় ।
কতক্ষনের রোল ? আলতাফ জিজ্ঞাস করে ।
দুই তিন মিনিট , লোকটি বলে ,
আরে মিয়া ভাইঙ্গা কোও কি কিরতে হইবো ।
রে*প সিন , লোকটি বলে
দশ হাজার লাগবো , আলতাফ বলে ওঠে
ওরে বাবা , তুমি দেহি গানের শুটিঙের দাম চাও , আজকাইল কাটপিস গানের মাইয়ারাও এতো টেকা পায় না। আর সিন তো অস্লিল কিছু না , তুমি তো বিশা ভাই রে চেনো , উনি বেশি অশ্লীল কাম করেন না । খালি ব্লাউজ ছিঁড়বো , পেটিকোট আর ব্রা থাকবো । যাও পাঁচ দিমুনে , আইজকাল বাজেট তো তুমি জানো । তার উপর এই সিন আসিলো না , প্রযোজক জোর কইরা ঢুকাইসে । শালা টেকাও দিবো না আবার এই সিন ও লাগবো ছবিতে।
নয় দিলে দেও নাইলে ফোটো , আলতাফ পা চিবুতে চিবুতে বলে ।
আরে ভাই এমুন করো ক্যান । আর পাঁচশো বারাইয়া দিমু নে ।
ধ্যাত মিয়া , খেঁকিয়ে ওঠে আলতাফ , আমি কমাই হাজার আর আপনে বাড়ান পাঁচশো , মিয়া মাছের বাজার পাইসেন । দশ হাজারের এক টেকা কম নিমু না ,
শেষে অনেক দেন দরবার করে নয় হাজারেই স্যাটেল হয় । আলতাফ জানে দশ হাজার ই পেয়েছে ওই ব্যাটা , এক হাজার ওর পকেটে যাবে ।
আলতাফ ডলির দিকে ইশারা করে । ডলি উঠে লোকটার সাথে চলে যায় । যাওয়ার সময় আলতাফ বলে যাওনের সময় কমিশনের ট্যাকা দিয়া যাইও ।
****
ডলিকে একটা পুরনো দেখতে ধুসর রঙের শাড়ি পরানো হয়েছে সাদা ব্লাউজ আর সাদা পেটিকটের সাথে । মাথার চুল মাঝ সিঁথি করে পেছনে খোপা করা হয়েছে । ঠোঁটে হলকা লিপস্টিক , ভারি কোন মেকাপ নয় । একদম গৃহিণী লুক দেয়া হয়েছে । ডলি নিজেকে বার বার আয়নায় দেখে । মনে মনে ভাবে আজকে যদি ও সিনেমার জগতে না আসতো তাহলে কি হতো? এরকম বেশে কোন বাড়ির গৃহিণী কি হতে পারতো? কেমন গৃহিণী হতো ও , বাড়ির সব কাজ করে সবার খোঁজ রাখা কর্মঠ গৃহিণী , আর রাতে স্বামীর ঘরে ফিরলে হাসি মুখে স্বামীকে স্বাদরে নিজের বুকে টেনে নিয়ে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়া টাইপ । নাকি সারাক্ষণ এর ওর সাথে ঝগড়া করা গৃহিণী , আর স্বামী রাতে ফিরলে সবার নামে নালিশ করে তার গরম মাথা আরো গরম করে দেয়া টাইপ?
ডলি আপন মনেই একটু হাসে , পেছনে ছেলেটি বসে আছে , যে বয়সের জন্য কাস্টিং করা হয়েছে তার চেয়ে বেয়স ঢের বেশি । ডলি লক্ষ করে ছেলেটি ওর সাদা ব্লাউজের ভেতর থেকে ফুটে ওঠা কালো ব্রার ব্যাক স্ট্রাপ দেখছে । ডলি বিরক্ত হয় , আজকাল ছেলে গুলোর যে কি হয়েছে গোঁফ ওঠার আগে মেয়দের শরীর সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যায় । তারপর ডলির মনে নাইমের মুখটা ভেসে ওঠে । কি নিষ্পাপ একটা চেহারা , আর কত ভদ্র। হ্যা জেরিন ওর প্রিয় নাইকা , মনে মনে জেরিন কে পছন্দ করে , সেটা বলেও মুখ ফুটে । কিন্তু ডলি অন্য কোন মেয়েদের দিকে কু নজর দিতে দেখনি । ও নিজেও একটা মেয়ে কতদিন ধরে এক ঘরে আছে অথচ উল্টাপাল্টা কিছু দেখেনি নাইমের মাঝে । ডলি নিজের মাঝে এক ধরনের পরিতৃপ্তি আর গর্ব বোধের আভাসা পায় । ভাবটা এমন যে নাইম কে এসব শিখিয়ে ও নিজেই বড় করে তুলছে ।
এর কিছুক্ষন পর , ডাক পরে ডলির । সামনে বিশা কে দেখতে পায় । ডলিকে বেশ ভালো করেই চেনে বিশা , যখন ও নাইকা হিশেবে এসেছিলো , তখনো বিশার হাতে বেশ কয়েক বার রে*প হয়েছে । আর চরিত্র অভিনেত্রী হিশেবেও যখন এসেছে তখন ও বিশার হাতে অসংখ্য বার রে*প হয়েছে ।
কেমন আছো ডলি ? বিশা ডলিকে দেখেই জিজ্ঞাস করে । বিশা বড় স্টার হলেও বেশ হাম্বল । ডলিও উত্তরে দেয় হেসে , ভালো আছি ভাই ।
সিন শুরু হয় , প্রথমে ডলি আর ওর ছেলে একটা বিল্ডিঙের পাশে দাড়িয়ে থাকে , ডলির চোখে মুখে হতাশা আর উৎকণ্ঠা । এদিক ওদিক কি যেন খুজে ফিরছে ওর চোখ । পাশের ছেলেটির চোখে মুখে ক্ষুধার যন্ত্রণা , যদিও আনাড়ি ছেলে তা ফুটিয়ে তুলতে পারেনি । কিন্তু সেদিকে পরিচালকের দৃষ্টি নেই । এইসব ছোট খাটো ব্যাপার কেউ দেখে না , সবার চোখ থাকবে আসল দৃশ্যে ।
ডলি সামনে দিয়ে যে যাচ্ছে , তার কাছেই সাহায্য চাইছে , ওর স্বামীর অপারেশনের জন্য । কেউ দিচ্ছে না , সবাই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে । এমন সময় বিশা আর ওর দলবল একটি হুড খোলা জিপে করে যেতে থাকে। এবং বিশার চোখ পরে ডলির উপর । শটে ডলির ভারি নিতম্ব আর ভারি বুকের দিকে ফোকাস করা থাকে ক্যামেরা ।
হার্ড ব্রেক হয় জিপ , ওই দেখসোস ওইটা কি? বিশা নিজের সাঙ্গোপাঙ্গো দের জিজ্ঞাস করে । জি ভাই রসগোল্লা , একজন বলে ওঠে ।
চেখে দেখতে হবে তো , এই বলে বিশা বিশ্রী করে নিজের জিভ দিয়ে ঠোঁট চ্যাটে এবং সেটার ক্লোজাপ শট নেয়া হয় । দলবল নিয়ে নেমে পরে বিশা , এগিয়ে যায় ডলির দিকে । ডলির সামনে গিয়েও আরো একবার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটে এবং আপাদমস্তক বেশ কয়েকবার চোখ বোলায় । বিশার সাঙ্গ পাঙ্গ রা পেছনে একে অপরের সাথে হাসাহাসি করতে থাকে ।
ইনোসেন্ট গৃহবধূ ডলি এসব কিছুই বোঝে না । ও বিশার কাছেও টাকা চায় । তখন বিশা খপ করে ডলির হাত ধরে নিজের নাকের সামনে নিয়ে এসে জোরে শুকে নেয় , তারপর বলে দেবো তো কত টাকা লাগবে , টাকা দেবো সাথে আদোর ও দেবো হা হা হা । ততক্ষণে ডলি বুঝে গেছে বিশা কি চায় ।
পরের শটে দেখায় , ডলি ছেলের হাত ধরে দউরাচ্ছে , আর পেছনে বিশা আর ওর দল । ক্যামেরা বেশ কয়েকটি এঙ্গেল থেকে বার বার ডলির দুলতে থাকা বুকের দিকে ফোকাস করে , এর পর কাট হয় ।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় দৌড়াতে দৌড়াতে ডলি একটি গুদাম ঘরে ঢুকে যায় । সেখানে বিশা ও দলবল দ্বারা বেষ্টিত হয়ে ডলি নিজের বুকের কাছে দু হাত নিয়ে বিশাল স্তন জোড়া ঢাকার বৃথা চেষ্টা করে , বিশার দলের এক লোক ডলির ছেলেকে ধরে রাখে ।
এখন সিনে সুধু বিশা আর ডলি , ডলির আঁচল বিশার হাতে , ডলির মুখে গলায় আর উন্মুক্ত বুকে পানি স্প্রে করে ঘাম দেখানো হয়েছে , সেই পানির কিছু ছটা বুকে লেগে সাদা ব্লাউজ ট্রান্সপারেট হয়ে গেছে , কালো ব্রা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । ডলি দু হাত দিয়ে নিজের বুক ঢেকে পেছনে এক পা করে পেছাচ্ছে । পেছনে যাওয়ার ফলে ধিরে ধিরে ডলির শরীর থেকে শাড়ি খুলে আসছে । আর বিশা চোখে মুখে বিশ্রী ভঙ্গী করে ডলির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । ক্যামেরা একবার কাট করে ডলির ছেলেকে দেখায় । সে প্রান পন চেষ্টা করছে নিজেকে ছাড়ানোর , আর ডাকছে , মা মা মা করে ।
আমাকে ছেড়ে দাও দয়া করে , আমাকে নষ্ট করো না টাইপ ডায়লগ দু একবার বলল ডলি । এই নষ্ট করো না ডায়লগ ডলি জীবনে বহুবার দিয়েছে । কিন্তু এর মানে আজো বুঝে উঠতে পারে না । একটা মানুষ রে*প হওয়ার পর নষ্ট হয় কি করে , সেটা ডলির মাথায় ঢোকে না । একটা মানুষকে জোড় করে ধরে সেক্স করলেই সে নষ্ট হয়ে যাবে !!! এতো সহজ!!
নেক্সট সিনে বিশা ব্লাউজ আর পেটিকোট পরা ডলি কে ধরার চেষ্টা করে , কিন্তু সুধু ডলির ব্লাউজ ওর হাতে আটকে যায় , আর ডলি পেছানোর চেষ্টা করতে গেলে ব্লাউজ ছিঁড়ে বিশার হাতে চলে আসে । আর ডলি তাল হারিয়ে একটা চটের বস্তার উপর পরে যেতে শুরু করে । ক্যামেরা জুমকরে থাকে পতনশীল ডলির কালো ব্রা পরা বুকের দিকে । হাত দু পাশে ব্রিস্তিত , কোন কিছু ধরে নিজের পতন ঠেকানোর চেষ্টা করছে ।
ক্যামেরা বিশার সব সঙ্গিদের মুখের উপর দিয়ে একবার ঘুরে যায় , সবাই অট্টহাসি দিতে থাকে , শেষে ক্যামেরা জুম হয় ডলির ছেলের উপর , সে মা বলে চিৎকার করে চোখ বন্ধ করে ফেলে ।
পরবর্তী টেক শুরু হয় , ডলি বস্তার উপর , হাত দিয়ে বুক ঢাকা , আর বিশা ডলির পায়ের কাছে দারানো , নিজের প্যান্টের চেইন খোলার অভিনয় করছে । এর পর ক্যামেরা জুম হতে শুরু করে , ডলির নগ্ন পেট , ব্রা ঢাকা বুক আর ঘর্মাক্ত করুন মুখ । বিশা দু হাতে ডলির দু হাত বুকের উপর থেকে সরিয়ে নেয় , আর ঠোঁট ডলির গলা বুক আর স্তন বিভাজিকার কাছে এনে চুমু খাওয়ার ভান করতে থাকে ।
এই পর্যায়ে ডিরেক্টর চেঁচিয়ে বলে ওঠে কাট । বিশা বেশ বিরক্ত হয়ে , ভালোই চলছিলো সিন , ডিরেক্টর বিশার কাছে এসে বলে , বিশা ভাই , এভাবে হবে না ঠোঁট আর স্কিনে কন্টাক্ট হতে হবে ।
কিন্তু বিশা এই ধরনের কাজ করতে নারাজ , অনেকক্ষণ বিশা আর পরিচালকের সাথে তর্ক বিতর্ক চলে । ডলি শুয়েই থাকে , অবাক হয়ে খেয়াল করে কেউ ওর ইচ্ছা জানতে চাইছে না । টাকা নিয়ে অভিনয় করতে এসেছো মানে যা ইচ্ছা তাই করানো হবে , এটাই ওর মত মেয়েদের ভাগ্য আজকাল সিনেমা পাড়ায় ।
শেষ পর্যন্ত বিশাকে রাজি করানো সম্ভব হয় না , বিশা নিজের মত করেই কোন ভাবে ঠোঁট আর ডলির শরীরের স্পর্শ ছাড়া কাজ শেষ করে । সিন টেক শেষে বিশা চলে যায় । এর পর আবার শুরু হয় , এবার একে একে বিশার সাঙ্গো পাঙ্গোদের পালা । বিশা সিনের যে ক্ষতি করেছে তা পরিচালক , প্রযোজকের নির্দেশে এদের দিয়ে উসুল করে নেয় । একেজন যেন প্রতিযোগিতায় নামে কে বেশি খুশি করতে পারে পরিচালক কে । জিভ দিয়ে চেটে ডলির গলা , গাল , বুকের উপর অংশ আর স্তন বিভাজিকা চ্যটচেটে করে ফেলে , কেউ কেউ পরিচালকের নির্দেশ কে টোপকে ডলির স্তনে ব্রা এর উপর দিয়েই হাত দেয় ।
এক পর্যায়ে এসে ডলি সুধু নিস্তেজ হয়ে পরে থাকে , ডায়লগ বলতে বা নিজেকে রক্ষা করার অভিনয় করতেও ঘৃণা হয় ওর । কিন্তু পরিচালক কাট বলে না , এসব সিনে শিল্প মানের কোন দরকার নেই , মানুষ হলে আসবেই সুধু ডলির আধ নগ্ন বুক আর ভিলেন দের চাটাচাটি দেখতে । একে একে দশ জন ডলির বুক চেটে টিপে কয়েকজন আবার হালকা কামর ও দিয়েছে। সিন কাট হয় ।
কিন্তু ডলি কে ওভাবেই থাকতে বলা হয় , তারপর ক্যামেরা সেট আপ করা হয় , ডলির ঠোঁটের এক কোনে লাল রং লাগিয়ে দেয়া হয় , আর ডলি কে বলা হয় নিথর হয়ে পরে থাকতে , তারপর শেষ দৃশ্য শুট শুরু হয় , ডলির ছেলে ছাড়া পেয়ে , দৌরে মায়ের কাছে যায় , কিন্তু একটা দশ বছরের ছেলে জানে কি করতে হবে , প্রথমে মা বেঁচে আছে না মরে গেছে সেটা চেক না করে , যা করে তা হলো মেঝেতে পরে থাকা শাড়ি দিয়ে মায়ের ব্রা ঢাকা বুক ঢেকে দেয় । তারপর নাআআআ বলে চিৎকার করে , মায়ের বুকের উপর লুটিয়ে পরে , বেশ কিছুক্ষন মায়ের বুকে কান্না করে , শেষে মাথা তোলে , চিৎকার করে , বলে সিকান্দার (বিশার কেরেক্টারের নাম) তোকে আমি ছারবো নাআআআআ। পরিচালকের মাথায় প্রশ্ন আসে না এই শিশু ভিলেনের নাম জানলো কি করে?
ছেলেটিও ডলির নিথর দেহের সুযোগ নিতে ভুল করে না ,মৃত মায়ের বুকের উপর মাথা রেখে কান্নার অভিনয় করার সময় ডলি স্পষ্ট হাসির চিহ্ন দেখতে পায় ছেলেটির ঠোঁটে । বড় একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে ডলির ।
মনে মনে ভাবে , যে দর্শক রে*প সিন দেখে কাম উত্তেজনা বোধ করে , আবার সেই দর্শক ই একটা দশ বছরের অবুঝ বালকের কাছ থেকে আশা করে যে , সে মৃত মায়ের জন্য কান্না করার আগে শাড়ি দিয়ে মায়ের বুক ঢেকে দেবে । বরই আজব মানুষের মন ।
******
শেষে একদিন রাতে খাওয়ার সময় নাইম স্বীকার করলো , খেতে খেতে মিন মিন করে নাইম বলল , আপা একটা কথা কই , রাগ কইরো না।
দুশ্চিন্তা গ্রস্ত ডলি বেশি মনোযোগ দেয়নি নাইমের কথায় , বলল বল কি বলবি ।
কিছুক্ষন চুপ রইলো নাইম , তারপর বলল , আপা আমি মেট্রিক ফেইল করসি। কথাটা বলে নাইম চুপ করে রইলো ।
ডলি এবারো নাইমের কথায় তেমন মনোযোগ দিলো না , তবে কিছুক্ষন পর নাইমের কথাটা ওর মাথায় এলো , তীক্ষ্ণ স্বরে চেঁচিয়ে উঠলো ডলি , কি বললি ? সারাদিন আমি কাম কাজ ফালাইয়া ওরে নিয়া ঘুরতাসি , আর সাহেব ও আমার লগে মুখ বন্ধ কইরা ঘুরতাসে!!! মুখে কোন রা নাই । আমারে আগে বলবি না ?
ডর লাগসে কইতে , নাইম কাচুমাচু করে বলে । এদিকে ডলির রাগ সপ্তম আসমানে , এওি কয়দিন কোন কাজ করেনি ও সিনেমা পাড়াতেই যায়নি । সারাদিন কঠিন রোদে এই কলেজ সেই কলেজ ঘুরে বেরিয়ছে ।
ওই সয়তান পোলা , এই বলে ডলি হাত তুলে তেড়ে যায় । কিন্তু মাঝ পথেই নিজেকে থামিয়ে দেয় ডলি । নাইমের দিকে তাকায় , ভয়ে কুঁকড়ে গেছে , দু হাত তুলে মুখ ঢাকার চেষ্টা করছে । ডলি হাত নামিয়ে নেয় , ভাবে কোন অধিকারে এই ছেলেকে মারতে গিয়েছিলো ও । খেতে থাকতে দিচ্ছে উপকার করছে , এই ব্যাপার গুলো তো ওকে হাত তোলার অধিকার দেয় না । হাত তুলতে হলে আরো গভির সম্পর্ক থাকার দরকার । ডলির কি সেই সম্পর্ক আছে এই ছেলের সাথে ?
নাইম বুঝে গেছে ডলি আর ওকে মারবে না , তাই শান্ত হয়ে আবার ভাত খেতে শুরু করেছে । কিন্তু ডলির খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে , ওর মাথায় সুধু একটা চিন্তা ঘুরছে , এ কি করছে ও , এই ছেলের সাথে নিজেকে এভাবে জড়াচ্ছে কেনো? জীবনে অনেকবার দুঃখ পেয়েছে । আরো একবার দুঃখ পাওয়ার কি সখ জেগেছে ওর মনের । নিজের মনকে আচ্ছা মতন গালি দেয় ডলি , পোড়া মুখির সখ মেটেনা ।
রাতে ডলির ঘুম হয় না , নিচে বিছানা করে শোয়া নাইমের ঘুমন্ত মুখের দিকে বার বার তাকায় । এক অসহ্য ছটফটানি মনে । ঘুমন্ত অবস্থায় নাইম কে আরো সুন্দর আরো পবিত্র লাগছে । ডলির মনে এক অদম্য আখাঙ্কা জাগে ইচ্ছে হয় নাইমের পাশে শুয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে । কিন্তু জানে এটা কোনদিন সম্ভব না । এই বয়সি একটা ছেলের পক্ষে ব্যাপারটা সহজ ভাবে নেয়া কঠিন হবে । উল্টাপাল্টা ভেবে বসবে ।
ছটফট করেই সারা রাত্র কেটে যায় , খুব সকালে বিছানা থেকে উঠে , গোসল করে নেয় ডলি । তারপর কাপড় বদলে , বেড়িয়ে যায় । আজকে সিনেমা পাড়ায় যাবে । হাতে কেজ নেই তবুও যদি ওখানে গেলে কোন উপায় হয়।
একটু সকাল সকাল হওয়ায় বাসে তেমন ভিড় নেই , আর ঘণ্টা খানেক পর ভিড় শুরু হবে । ডলি সিট পেয়ে যায় , জানালার পাশে একটা সিটে বসে পরে । বাস ছাড়ার সাথে সাথে সকালের হালকা বাসাতে চোখে বন্ধ হয়ে আসে ডলির । সারারাত না ঘুমানোর ফল ।
সিনেমা পাড়ায় নেমে ডলি আলতাফের খোঁজ করতে শুরু করে । আলতাফ এখনো ক্ষেপে আছে । কিন্তু আলতাফ ছাড়া তেমন কোন উপায় নেই ডলির । কিছুক্ষন পর আলতাফের সাথে দেখাও হয়ে যায় ডলির। ডলি কে দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নেয় আলতাফ ।
কথা কইবেন না ভালো কথা , একটা দুইটা কাজ তো দিতে পারেন , আলতাফের সামনে দাড়িয়ে ডলি হাসিমুখে বলে ।
তোমারে কাম দেওয়নের ক্ষমতা আমার নাই ডলি , তুমি হইলা বড় ইস্টার , কাস্টিং ম্যানেজারের মুখের উপর বইলা দাও কাম করুম না । আলতাফ মুখে অন্যদিকে ঘুরিয়ে রেখেই বলে ।
ডলি আবারো হাসে , বলে আপনে কইলে ওই কাস্টিং ম্যানেজারের পাও ধইরা মাফ চামু , কিন্তু কাম দেন ।
বও দেহি কি করন যায় । আলতাফ ঝাঁঝের সাথে বলে । অনেকক্ষণ বসে থাকে ডলি । এক পর্যায়ে আলতাফের কাছে এক লোক আসে , বলে আলতাফ ভাই , আমারে ডাইরেক্টার স্যার পাঠাইসে , মাথা নষ্ট ছবির সেটে একজন মহিলা লাগবো , অভিনয় জানে এমন , আর শরীর সাস্থ ভালো , ১০-১২ বছরের পোলার মায়ের রোল।
ডলি নড়েচড়ে বসে , ওর সাথে মিলে যাচ্ছে ডিরেক্টরের চাহিদা । ডলি খুক খুক করে কেশে নিজের অবস্থান জানান দেয় ।
কতক্ষনের রোল ? আলতাফ জিজ্ঞাস করে ।
দুই তিন মিনিট , লোকটি বলে ,
আরে মিয়া ভাইঙ্গা কোও কি কিরতে হইবো ।
রে*প সিন , লোকটি বলে
দশ হাজার লাগবো , আলতাফ বলে ওঠে
ওরে বাবা , তুমি দেহি গানের শুটিঙের দাম চাও , আজকাইল কাটপিস গানের মাইয়ারাও এতো টেকা পায় না। আর সিন তো অস্লিল কিছু না , তুমি তো বিশা ভাই রে চেনো , উনি বেশি অশ্লীল কাম করেন না । খালি ব্লাউজ ছিঁড়বো , পেটিকোট আর ব্রা থাকবো । যাও পাঁচ দিমুনে , আইজকাল বাজেট তো তুমি জানো । তার উপর এই সিন আসিলো না , প্রযোজক জোর কইরা ঢুকাইসে । শালা টেকাও দিবো না আবার এই সিন ও লাগবো ছবিতে।
নয় দিলে দেও নাইলে ফোটো , আলতাফ পা চিবুতে চিবুতে বলে ।
আরে ভাই এমুন করো ক্যান । আর পাঁচশো বারাইয়া দিমু নে ।
ধ্যাত মিয়া , খেঁকিয়ে ওঠে আলতাফ , আমি কমাই হাজার আর আপনে বাড়ান পাঁচশো , মিয়া মাছের বাজার পাইসেন । দশ হাজারের এক টেকা কম নিমু না ,
শেষে অনেক দেন দরবার করে নয় হাজারেই স্যাটেল হয় । আলতাফ জানে দশ হাজার ই পেয়েছে ওই ব্যাটা , এক হাজার ওর পকেটে যাবে ।
আলতাফ ডলির দিকে ইশারা করে । ডলি উঠে লোকটার সাথে চলে যায় । যাওয়ার সময় আলতাফ বলে যাওনের সময় কমিশনের ট্যাকা দিয়া যাইও ।
****
ডলিকে একটা পুরনো দেখতে ধুসর রঙের শাড়ি পরানো হয়েছে সাদা ব্লাউজ আর সাদা পেটিকটের সাথে । মাথার চুল মাঝ সিঁথি করে পেছনে খোপা করা হয়েছে । ঠোঁটে হলকা লিপস্টিক , ভারি কোন মেকাপ নয় । একদম গৃহিণী লুক দেয়া হয়েছে । ডলি নিজেকে বার বার আয়নায় দেখে । মনে মনে ভাবে আজকে যদি ও সিনেমার জগতে না আসতো তাহলে কি হতো? এরকম বেশে কোন বাড়ির গৃহিণী কি হতে পারতো? কেমন গৃহিণী হতো ও , বাড়ির সব কাজ করে সবার খোঁজ রাখা কর্মঠ গৃহিণী , আর রাতে স্বামীর ঘরে ফিরলে হাসি মুখে স্বামীকে স্বাদরে নিজের বুকে টেনে নিয়ে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়া টাইপ । নাকি সারাক্ষণ এর ওর সাথে ঝগড়া করা গৃহিণী , আর স্বামী রাতে ফিরলে সবার নামে নালিশ করে তার গরম মাথা আরো গরম করে দেয়া টাইপ?
ডলি আপন মনেই একটু হাসে , পেছনে ছেলেটি বসে আছে , যে বয়সের জন্য কাস্টিং করা হয়েছে তার চেয়ে বেয়স ঢের বেশি । ডলি লক্ষ করে ছেলেটি ওর সাদা ব্লাউজের ভেতর থেকে ফুটে ওঠা কালো ব্রার ব্যাক স্ট্রাপ দেখছে । ডলি বিরক্ত হয় , আজকাল ছেলে গুলোর যে কি হয়েছে গোঁফ ওঠার আগে মেয়দের শরীর সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যায় । তারপর ডলির মনে নাইমের মুখটা ভেসে ওঠে । কি নিষ্পাপ একটা চেহারা , আর কত ভদ্র। হ্যা জেরিন ওর প্রিয় নাইকা , মনে মনে জেরিন কে পছন্দ করে , সেটা বলেও মুখ ফুটে । কিন্তু ডলি অন্য কোন মেয়েদের দিকে কু নজর দিতে দেখনি । ও নিজেও একটা মেয়ে কতদিন ধরে এক ঘরে আছে অথচ উল্টাপাল্টা কিছু দেখেনি নাইমের মাঝে । ডলি নিজের মাঝে এক ধরনের পরিতৃপ্তি আর গর্ব বোধের আভাসা পায় । ভাবটা এমন যে নাইম কে এসব শিখিয়ে ও নিজেই বড় করে তুলছে ।
এর কিছুক্ষন পর , ডাক পরে ডলির । সামনে বিশা কে দেখতে পায় । ডলিকে বেশ ভালো করেই চেনে বিশা , যখন ও নাইকা হিশেবে এসেছিলো , তখনো বিশার হাতে বেশ কয়েক বার রে*প হয়েছে । আর চরিত্র অভিনেত্রী হিশেবেও যখন এসেছে তখন ও বিশার হাতে অসংখ্য বার রে*প হয়েছে ।
কেমন আছো ডলি ? বিশা ডলিকে দেখেই জিজ্ঞাস করে । বিশা বড় স্টার হলেও বেশ হাম্বল । ডলিও উত্তরে দেয় হেসে , ভালো আছি ভাই ।
সিন শুরু হয় , প্রথমে ডলি আর ওর ছেলে একটা বিল্ডিঙের পাশে দাড়িয়ে থাকে , ডলির চোখে মুখে হতাশা আর উৎকণ্ঠা । এদিক ওদিক কি যেন খুজে ফিরছে ওর চোখ । পাশের ছেলেটির চোখে মুখে ক্ষুধার যন্ত্রণা , যদিও আনাড়ি ছেলে তা ফুটিয়ে তুলতে পারেনি । কিন্তু সেদিকে পরিচালকের দৃষ্টি নেই । এইসব ছোট খাটো ব্যাপার কেউ দেখে না , সবার চোখ থাকবে আসল দৃশ্যে ।
ডলি সামনে দিয়ে যে যাচ্ছে , তার কাছেই সাহায্য চাইছে , ওর স্বামীর অপারেশনের জন্য । কেউ দিচ্ছে না , সবাই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে । এমন সময় বিশা আর ওর দলবল একটি হুড খোলা জিপে করে যেতে থাকে। এবং বিশার চোখ পরে ডলির উপর । শটে ডলির ভারি নিতম্ব আর ভারি বুকের দিকে ফোকাস করা থাকে ক্যামেরা ।
হার্ড ব্রেক হয় জিপ , ওই দেখসোস ওইটা কি? বিশা নিজের সাঙ্গোপাঙ্গো দের জিজ্ঞাস করে । জি ভাই রসগোল্লা , একজন বলে ওঠে ।
চেখে দেখতে হবে তো , এই বলে বিশা বিশ্রী করে নিজের জিভ দিয়ে ঠোঁট চ্যাটে এবং সেটার ক্লোজাপ শট নেয়া হয় । দলবল নিয়ে নেমে পরে বিশা , এগিয়ে যায় ডলির দিকে । ডলির সামনে গিয়েও আরো একবার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটে এবং আপাদমস্তক বেশ কয়েকবার চোখ বোলায় । বিশার সাঙ্গ পাঙ্গ রা পেছনে একে অপরের সাথে হাসাহাসি করতে থাকে ।
ইনোসেন্ট গৃহবধূ ডলি এসব কিছুই বোঝে না । ও বিশার কাছেও টাকা চায় । তখন বিশা খপ করে ডলির হাত ধরে নিজের নাকের সামনে নিয়ে এসে জোরে শুকে নেয় , তারপর বলে দেবো তো কত টাকা লাগবে , টাকা দেবো সাথে আদোর ও দেবো হা হা হা । ততক্ষণে ডলি বুঝে গেছে বিশা কি চায় ।
পরের শটে দেখায় , ডলি ছেলের হাত ধরে দউরাচ্ছে , আর পেছনে বিশা আর ওর দল । ক্যামেরা বেশ কয়েকটি এঙ্গেল থেকে বার বার ডলির দুলতে থাকা বুকের দিকে ফোকাস করে , এর পর কাট হয় ।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় দৌড়াতে দৌড়াতে ডলি একটি গুদাম ঘরে ঢুকে যায় । সেখানে বিশা ও দলবল দ্বারা বেষ্টিত হয়ে ডলি নিজের বুকের কাছে দু হাত নিয়ে বিশাল স্তন জোড়া ঢাকার বৃথা চেষ্টা করে , বিশার দলের এক লোক ডলির ছেলেকে ধরে রাখে ।
এখন সিনে সুধু বিশা আর ডলি , ডলির আঁচল বিশার হাতে , ডলির মুখে গলায় আর উন্মুক্ত বুকে পানি স্প্রে করে ঘাম দেখানো হয়েছে , সেই পানির কিছু ছটা বুকে লেগে সাদা ব্লাউজ ট্রান্সপারেট হয়ে গেছে , কালো ব্রা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । ডলি দু হাত দিয়ে নিজের বুক ঢেকে পেছনে এক পা করে পেছাচ্ছে । পেছনে যাওয়ার ফলে ধিরে ধিরে ডলির শরীর থেকে শাড়ি খুলে আসছে । আর বিশা চোখে মুখে বিশ্রী ভঙ্গী করে ডলির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । ক্যামেরা একবার কাট করে ডলির ছেলেকে দেখায় । সে প্রান পন চেষ্টা করছে নিজেকে ছাড়ানোর , আর ডাকছে , মা মা মা করে ।
আমাকে ছেড়ে দাও দয়া করে , আমাকে নষ্ট করো না টাইপ ডায়লগ দু একবার বলল ডলি । এই নষ্ট করো না ডায়লগ ডলি জীবনে বহুবার দিয়েছে । কিন্তু এর মানে আজো বুঝে উঠতে পারে না । একটা মানুষ রে*প হওয়ার পর নষ্ট হয় কি করে , সেটা ডলির মাথায় ঢোকে না । একটা মানুষকে জোড় করে ধরে সেক্স করলেই সে নষ্ট হয়ে যাবে !!! এতো সহজ!!
নেক্সট সিনে বিশা ব্লাউজ আর পেটিকোট পরা ডলি কে ধরার চেষ্টা করে , কিন্তু সুধু ডলির ব্লাউজ ওর হাতে আটকে যায় , আর ডলি পেছানোর চেষ্টা করতে গেলে ব্লাউজ ছিঁড়ে বিশার হাতে চলে আসে । আর ডলি তাল হারিয়ে একটা চটের বস্তার উপর পরে যেতে শুরু করে । ক্যামেরা জুমকরে থাকে পতনশীল ডলির কালো ব্রা পরা বুকের দিকে । হাত দু পাশে ব্রিস্তিত , কোন কিছু ধরে নিজের পতন ঠেকানোর চেষ্টা করছে ।
ক্যামেরা বিশার সব সঙ্গিদের মুখের উপর দিয়ে একবার ঘুরে যায় , সবাই অট্টহাসি দিতে থাকে , শেষে ক্যামেরা জুম হয় ডলির ছেলের উপর , সে মা বলে চিৎকার করে চোখ বন্ধ করে ফেলে ।
পরবর্তী টেক শুরু হয় , ডলি বস্তার উপর , হাত দিয়ে বুক ঢাকা , আর বিশা ডলির পায়ের কাছে দারানো , নিজের প্যান্টের চেইন খোলার অভিনয় করছে । এর পর ক্যামেরা জুম হতে শুরু করে , ডলির নগ্ন পেট , ব্রা ঢাকা বুক আর ঘর্মাক্ত করুন মুখ । বিশা দু হাতে ডলির দু হাত বুকের উপর থেকে সরিয়ে নেয় , আর ঠোঁট ডলির গলা বুক আর স্তন বিভাজিকার কাছে এনে চুমু খাওয়ার ভান করতে থাকে ।
এই পর্যায়ে ডিরেক্টর চেঁচিয়ে বলে ওঠে কাট । বিশা বেশ বিরক্ত হয়ে , ভালোই চলছিলো সিন , ডিরেক্টর বিশার কাছে এসে বলে , বিশা ভাই , এভাবে হবে না ঠোঁট আর স্কিনে কন্টাক্ট হতে হবে ।
কিন্তু বিশা এই ধরনের কাজ করতে নারাজ , অনেকক্ষণ বিশা আর পরিচালকের সাথে তর্ক বিতর্ক চলে । ডলি শুয়েই থাকে , অবাক হয়ে খেয়াল করে কেউ ওর ইচ্ছা জানতে চাইছে না । টাকা নিয়ে অভিনয় করতে এসেছো মানে যা ইচ্ছা তাই করানো হবে , এটাই ওর মত মেয়েদের ভাগ্য আজকাল সিনেমা পাড়ায় ।
শেষ পর্যন্ত বিশাকে রাজি করানো সম্ভব হয় না , বিশা নিজের মত করেই কোন ভাবে ঠোঁট আর ডলির শরীরের স্পর্শ ছাড়া কাজ শেষ করে । সিন টেক শেষে বিশা চলে যায় । এর পর আবার শুরু হয় , এবার একে একে বিশার সাঙ্গো পাঙ্গোদের পালা । বিশা সিনের যে ক্ষতি করেছে তা পরিচালক , প্রযোজকের নির্দেশে এদের দিয়ে উসুল করে নেয় । একেজন যেন প্রতিযোগিতায় নামে কে বেশি খুশি করতে পারে পরিচালক কে । জিভ দিয়ে চেটে ডলির গলা , গাল , বুকের উপর অংশ আর স্তন বিভাজিকা চ্যটচেটে করে ফেলে , কেউ কেউ পরিচালকের নির্দেশ কে টোপকে ডলির স্তনে ব্রা এর উপর দিয়েই হাত দেয় ।
এক পর্যায়ে এসে ডলি সুধু নিস্তেজ হয়ে পরে থাকে , ডায়লগ বলতে বা নিজেকে রক্ষা করার অভিনয় করতেও ঘৃণা হয় ওর । কিন্তু পরিচালক কাট বলে না , এসব সিনে শিল্প মানের কোন দরকার নেই , মানুষ হলে আসবেই সুধু ডলির আধ নগ্ন বুক আর ভিলেন দের চাটাচাটি দেখতে । একে একে দশ জন ডলির বুক চেটে টিপে কয়েকজন আবার হালকা কামর ও দিয়েছে। সিন কাট হয় ।
কিন্তু ডলি কে ওভাবেই থাকতে বলা হয় , তারপর ক্যামেরা সেট আপ করা হয় , ডলির ঠোঁটের এক কোনে লাল রং লাগিয়ে দেয়া হয় , আর ডলি কে বলা হয় নিথর হয়ে পরে থাকতে , তারপর শেষ দৃশ্য শুট শুরু হয় , ডলির ছেলে ছাড়া পেয়ে , দৌরে মায়ের কাছে যায় , কিন্তু একটা দশ বছরের ছেলে জানে কি করতে হবে , প্রথমে মা বেঁচে আছে না মরে গেছে সেটা চেক না করে , যা করে তা হলো মেঝেতে পরে থাকা শাড়ি দিয়ে মায়ের ব্রা ঢাকা বুক ঢেকে দেয় । তারপর নাআআআ বলে চিৎকার করে , মায়ের বুকের উপর লুটিয়ে পরে , বেশ কিছুক্ষন মায়ের বুকে কান্না করে , শেষে মাথা তোলে , চিৎকার করে , বলে সিকান্দার (বিশার কেরেক্টারের নাম) তোকে আমি ছারবো নাআআআআ। পরিচালকের মাথায় প্রশ্ন আসে না এই শিশু ভিলেনের নাম জানলো কি করে?
ছেলেটিও ডলির নিথর দেহের সুযোগ নিতে ভুল করে না ,মৃত মায়ের বুকের উপর মাথা রেখে কান্নার অভিনয় করার সময় ডলি স্পষ্ট হাসির চিহ্ন দেখতে পায় ছেলেটির ঠোঁটে । বড় একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে ডলির ।
মনে মনে ভাবে , যে দর্শক রে*প সিন দেখে কাম উত্তেজনা বোধ করে , আবার সেই দর্শক ই একটা দশ বছরের অবুঝ বালকের কাছ থেকে আশা করে যে , সে মৃত মায়ের জন্য কান্না করার আগে শাড়ি দিয়ে মায়ের বুক ঢেকে দেবে । বরই আজব মানুষের মন ।
******
কেউ কথা রাখে না
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।