19-08-2025, 04:02 PM
৮
এদিকে ডলি নাইম কে খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে উঠছে । যে জায়গায় বসিয়ে রেখে গিয়েছিলো সেখানে নেই । বেশ কিছুক্ষন ডলি সেখানেই বসে অপেক্ষা করে । তারপর খুজতে বের হয় । এদিক সেদিক এর ওর কাছে জিজ্ঞাস করে । কিন্তু নাইম কে তো আর কেউ চেনে না , তাই কেউ বলতেও পারে না ।
টাটকা রোদে এদিক সেদিক দৌড়া দৌড়ী করে ডলির ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে । গায়ের পোশাক ঘামে ভিজে শরীরের সাথে সেঁটে বসেছে । মনে নানা রকম টেনশন কাজ করছে , ছেলেটা বোকাসোকা এটা ডলি জানে । আর এই কারনেই ভয় হচ্ছে । কোথায় গিয়ে উল্টো পাল্টা কিছু করে ফেলতে পারে । আর সিনেমা পারার মানুষদের মেজাজ সব সময় থাকে খিটখিটে , এরা একজনের উপরের ঝাল অন্য জনের উপর ওঠায় । দেখা গেলো পরিচালক , নায়ক নাইকাদের কিছু বলতে পারছে না , সেই ঝাল তুলবে এসিস্টেন্ট এর উপর , আর এসিস্টেন্ট সেই ঝাল তুলবে প্রডাকশন ম্যানেজারের উপর । আর প্রডাকশন ম্যানেজার প্রডাকশন বয় দের উপর । আর এই প্রডাকশন বয় রা সেই ঝাল তুলবে আশেপাশে ভিড় করা উৎসুক জনতার উপর ।
আর দুঃসংবাদ এই যে , নাইম জানে না ও একজন উৎসুক জনতা ছাড়া কিছুই না । নিজের মাঝে একটা নায়ক ভাব আছে ওর , ও ভাবে এই সিনেমা পারায় ও একদিন বড় মুখ হবে , আর সেটা ওকে দেখে এখানকার মানুষ আগেই বুঝে যাবে । ওর সুন্দর মুখশ্রী দেখে পরিচালক রা ওকে টেনে নিয়ে গিয়ে নায়ক বানিয়ে দেবে । বোকা ছেলেটা বোঝে না যে সুধু সুন্দর মুখ থাকলেই কাজ হয় না । এরকম কত সুন্দর চেহারা সিনেমা পারার আনাচে কানাচে পরে থেকে পচে গেছে তার কোন গুনতি নেই ।
অনেক জায়গায় খোঁজ করে ডলি ক্লান্ত হয়ে এক জায়গায় বসে পরে । ওর রাগ চরমে উঠে গেছে , পই পই করে বলে গিয়েছে , এখান থেকে না নড়তে । কিন্তু হিরো সে কথা মানবে কেনো , সিনেমা পারা কে নিজের বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করে , নিজের মনেই বিড়বিড় করতে থাকে ডলি ।
এমন সময় ডলির এক সহকর্মী এসে ডলির পাশে বসে , এই মেয়ের সাথে অনেক সিনেমায় নাইকার সখির পার্ট করেছে ডলি । তাই তুই তুকারি সম্পর্ক …
এই ডলি , তোর সাথে একটা পোলা আসে না ? ওরে দেখলাম ওস্তাদজির সাথে আট নাম্বার সেটে যাইতে।
কি কস ? ওস্তাদ জি ওরে চিনলো কি কইরা? ডলি অবাক হয় ।
নাসির ভাইয়ের লগে কি জানি হাঙ্গামা হইসিলো , এর পর ওস্তাদ জি ওরে নিয়া গেছে ।
ডলির বুক ধড়াস করে ওঠে , নাসির লোক ভালো না । যাই রে … বলে ডলি উঠে দাড়ায় , তারপর আট নাম্বার সেটের দিকে হাটা দেয় ।
বেশ কষ্ট করে আট নাম্বার সেটে ঢুকতে হয় ডলিকে , ভেতর গানের সুটিং হবে । নাইকা জেরিন আর দিলবার খানের বৃষ্টি ভেজা গানের সুটিং । তাই সবাই কে ঢুকতে দেয়া হবে না । যদিও দারোয়ান ডলি কে চেনে তারপর ও ঢুকতে দিতে চায় না , শেষে পঞ্চাশ টাকা খরচ করে ঢুকতে হয়েছে ।
ভেতরে গিয়ে দেখে ওস্তাদ জি এক্সট্রা দের ড্রিল বুঝিয়ে দিচ্ছে । আর নাইম বাবু হয়ে একটা চেয়ারে বসে আছে। ডলি নাইমের পাশে এসে দাড়ায় । রাগে ওর গা জলে যাচ্ছে । কিন্তু নাইমের সেদিকে কোন খেয়াল নেই । ডলি নাইমের চোখ অনুসরন করে দেখতে পায় , ও কোথায় তাকিয়ে আছে … গানের বৃষ্টির সিন শুট হবে তাই অলরেডি এক্সট্রাদের শরীর ভেজা , সাদা শাড়ি আর সাদা ব্লাউজের ভেতরে কালো ব্রা , এই হচ্ছে এস্কট্রাদের কস্টিউম । আর নাইক মনোযোগ সহকারে এক্সট্রাদেরে সেই ভেজা শরীর পর্যবেক্ষণ করছে । আরো রাগ বেড়ে গেলো ডলির । কান চেপে ধরলো পেছন থেকে , এই পোলা তুমি এইখানে আর আমি সারা এলাকা তোমারে খুঁজি। বাড়ি জাইবা না নাকি এগুলা দেখবা সারাদিন ।
এরি মাঝে ওস্তাদজি চলে আসেন , ডলি কে দেখে বলেন , আরে ডলি তুমি এখানে , কেমন আছো?
ডলি সাথে সাথে ওস্তাদজি কে পা ছুয়ে সালাম করে , জি ওস্তাদজি ভালো আছি
ডলি এই ওস্তাদজির হাত ধরেই ফিল্মে এসেছিলো , তাই এখন আর ডলি খুব প্রয়োজন না পরলে ওস্তাদজির সামনে পড়তে চায় না । নিজের বর্তমান অবস্থার জন্য ডলির লজ্জা হয় । একটা কলেজের কালচারাল ফাংশনে ওস্তাদজি প্রধান অতিথি ছিলো , সেখানে ডলি একটা নাচ পরিবেশন করেছিলো । ডলির সৌন্দর্য আর নাচ দেখে ওস্তাদজি খুব ইম্প্রেসড হয়ে ডলি কে সিনেমা করার কথা বলে । ডলির মা রাজি হওয়ায় এই ওস্তাদজি ই ডলিকে প্রথম ছবিতে সুযোগ করে দেয় ।
ওস্তাদজি যেদিন ডলি কে প্রথম সাইন করাতে নিয়ে আসে তখন বলেছিলো , ডলি আকজে তুমি এই সিনেমার দ্বিতীয় প্রধান ফিমেল লিড করছো , মনে রেখো ঠিক মত কাজ করলে লিড ফিমেল হতে তোমার সময় লাগবে না , আমি তোমাকে রাস্তা করে দিলাম সেই রাস্তায় হাটার দায়িত্ব তোমার ।
কিন্তু ডলি সেই রাস্তায় হাটতে গিয়ে ভুল করে বসেছে , এখন আর ডলি সেই রাজপথে নেই , সিনেমা জগতের কানা গলি হাতরে মরছে ।
এই ছেলে কে? ওস্তাদজি নাইম কে দেখিয়ে বলে ।
জি আমার সাথে আসছে , ডলি পুরনো দিন থেকে বর্তমানে ফিরে এসে বলে ।
খুব সুন্দর ছেলে তো, সুনলাম ও নাকি নায়ক হতে চায় , চেহারা ছবি তো ভালো , কিন্তু বয়স কম । একদম বাচ্চা , এই বয়সে তো লিড রোল পাবে না , মিনিমাম আরো পাঁচ বছর ওয়েট করতে হবে ।
নাইম ওস্তাদজির মুখে ওর প্রসংসা শুনে খুব খুশি হয় , আবার লজ্জা ও পায় ।
এমন সময় সেটে হুলুস্থুল পরে যায় , নাইকা এসেছে , নাইম জেরিন কে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে , যেমন সিনেমাতে সুন্দর তেমন বাস্তবেও সুন্দর । এর আগেও একবার জেরিন কে দেখছে , কিন্তু এতো কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি । আজকে জেরিন কে এতো কাছ থেকে দেখতে পেয়ে ওস্তাদজির উপরে নাইমের স্রদ্ধা বেড়ে গেলো । এই লোকটার কারনেই জেরিন কে ওর সপ্নের রানী কে এতো কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছে ।
এই ছেলে তোমার কি হয় ? এক মাত্র ওস্তাদজি নাইকা আসার প্রভাব পরেনি , উনি ডলির সাথে কথা বলেই যাচ্ছে ।
ডলি কি উত্তর দিবে ভেবে পায় না , কিছুক্ষন ভেবে বলল দূর সম্পর্কের আত্মীয় , বলতে পারেন গ্রামের পরিচিত।
ওও , তা তোমার সাথেই থাকে ? লেখা পড়া কতদুর , ওস্তাদজি আবার জিজ্ঞাস করে ।
জি ওসাতাদ জি আমার সাথে থাকে , লেখা পড়া বেশি দূর না । ডলি আন্দাজে উত্তর দেয় , নিশ্চয়ই এই সিনেমা পাগল ছেলে লেখা পড়ায় ভালো হবে না , ভাবে ডলি ।
হুম , সুন্দর চেহারা থাকলেই তো নায়ক হওয়া যায় না , লেখা পড়া লাগে , ওস্তাদজি একটু গম্ভির হয়ে বলে ।
ডলি নাইমের প্রতি ওস্তাদজির এমন সু নজর দেখে খুব খুশি হয় , মনে মনে ভাবে যেহেতু ওস্তাদজি নাইম কে পছন্দ করেছে ,উনি কিছু না কিছু একটা করবে এই ছেলের জন্য । ওস্তাদজি ফেরিস্তা তুল্য মানুষ , কোনদিন কারো ক্ষতি করেন নাই , আর এই সিনেমা জগতে সবচেয়ে প্রচলিত কু কর্ম , যেটা আছে সেটাও করেছেন বলে কোন প্রমান নেই । ডলি নিজেই একজন সাক্ষি , ওকে সেনেমা লাইনে আনা কাজ দেয়ার জন্য কোনদিন কু নজরেও তাকায় নি , শরীরে টাচ করা তো দুরের কথা ।
ওস্তাদজি……… জেরিন পেছন থেকে নাকি স্বরে লম্বা টন দিয়ে ডাকে ওস্তাদজি কে , উনি পেছনে ফিরে তাকালে , দু হাত মলতে মলতে বলে , তারাতারি করুন না, আমার আজকে কক্সবাজার যেতে হবে তোওওওও।
আচ্ছা তুমি এক কাজ করো ডলি , এই ছেলেকে নিয়ে আমার অফিসে আসো আগামিকাল , আজকে যাও
ডলি অস্তাদজি কে পায়ে ধরে আবার সালাম করে , নাইম কেও করতে বাধ্য করে । তারপর নাইম কে নিয়ে বেড়িয়ে আসে । যদিও নাইমের আরো কিছুক্ষন থাকার ইচ্ছে ছিলো । জেরিন এখন বৃষ্টিতে ভিজে নাচবে , শাড়ি ভিজে গিয়ে ওর নাভি দেখা যাবে , নাইম খেয়াল করেছে জেরিনের পরনেও ওই এক্সট্রাদের মতই একটা সাদা শাড়ি পরনে । নিশ্চয়ই ওটা ভিজে গেলো নাভি দেখা যেতো । এতো কাছ থেকে জেরিনের নাভি দেখার সুযোগ মিস করতে চাইছিলো না নাইম । কিন্তু ডলি ওর কোন কথা শুনল না । এক প্রকার টেনেই নিয়ে বেড়িয়ে গেলো
*****
এদিকে ডলি নাইম কে খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে উঠছে । যে জায়গায় বসিয়ে রেখে গিয়েছিলো সেখানে নেই । বেশ কিছুক্ষন ডলি সেখানেই বসে অপেক্ষা করে । তারপর খুজতে বের হয় । এদিক সেদিক এর ওর কাছে জিজ্ঞাস করে । কিন্তু নাইম কে তো আর কেউ চেনে না , তাই কেউ বলতেও পারে না ।
টাটকা রোদে এদিক সেদিক দৌড়া দৌড়ী করে ডলির ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে । গায়ের পোশাক ঘামে ভিজে শরীরের সাথে সেঁটে বসেছে । মনে নানা রকম টেনশন কাজ করছে , ছেলেটা বোকাসোকা এটা ডলি জানে । আর এই কারনেই ভয় হচ্ছে । কোথায় গিয়ে উল্টো পাল্টা কিছু করে ফেলতে পারে । আর সিনেমা পারার মানুষদের মেজাজ সব সময় থাকে খিটখিটে , এরা একজনের উপরের ঝাল অন্য জনের উপর ওঠায় । দেখা গেলো পরিচালক , নায়ক নাইকাদের কিছু বলতে পারছে না , সেই ঝাল তুলবে এসিস্টেন্ট এর উপর , আর এসিস্টেন্ট সেই ঝাল তুলবে প্রডাকশন ম্যানেজারের উপর । আর প্রডাকশন ম্যানেজার প্রডাকশন বয় দের উপর । আর এই প্রডাকশন বয় রা সেই ঝাল তুলবে আশেপাশে ভিড় করা উৎসুক জনতার উপর ।
আর দুঃসংবাদ এই যে , নাইম জানে না ও একজন উৎসুক জনতা ছাড়া কিছুই না । নিজের মাঝে একটা নায়ক ভাব আছে ওর , ও ভাবে এই সিনেমা পারায় ও একদিন বড় মুখ হবে , আর সেটা ওকে দেখে এখানকার মানুষ আগেই বুঝে যাবে । ওর সুন্দর মুখশ্রী দেখে পরিচালক রা ওকে টেনে নিয়ে গিয়ে নায়ক বানিয়ে দেবে । বোকা ছেলেটা বোঝে না যে সুধু সুন্দর মুখ থাকলেই কাজ হয় না । এরকম কত সুন্দর চেহারা সিনেমা পারার আনাচে কানাচে পরে থেকে পচে গেছে তার কোন গুনতি নেই ।
অনেক জায়গায় খোঁজ করে ডলি ক্লান্ত হয়ে এক জায়গায় বসে পরে । ওর রাগ চরমে উঠে গেছে , পই পই করে বলে গিয়েছে , এখান থেকে না নড়তে । কিন্তু হিরো সে কথা মানবে কেনো , সিনেমা পারা কে নিজের বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করে , নিজের মনেই বিড়বিড় করতে থাকে ডলি ।
এমন সময় ডলির এক সহকর্মী এসে ডলির পাশে বসে , এই মেয়ের সাথে অনেক সিনেমায় নাইকার সখির পার্ট করেছে ডলি । তাই তুই তুকারি সম্পর্ক …
এই ডলি , তোর সাথে একটা পোলা আসে না ? ওরে দেখলাম ওস্তাদজির সাথে আট নাম্বার সেটে যাইতে।
কি কস ? ওস্তাদ জি ওরে চিনলো কি কইরা? ডলি অবাক হয় ।
নাসির ভাইয়ের লগে কি জানি হাঙ্গামা হইসিলো , এর পর ওস্তাদ জি ওরে নিয়া গেছে ।
ডলির বুক ধড়াস করে ওঠে , নাসির লোক ভালো না । যাই রে … বলে ডলি উঠে দাড়ায় , তারপর আট নাম্বার সেটের দিকে হাটা দেয় ।
বেশ কষ্ট করে আট নাম্বার সেটে ঢুকতে হয় ডলিকে , ভেতর গানের সুটিং হবে । নাইকা জেরিন আর দিলবার খানের বৃষ্টি ভেজা গানের সুটিং । তাই সবাই কে ঢুকতে দেয়া হবে না । যদিও দারোয়ান ডলি কে চেনে তারপর ও ঢুকতে দিতে চায় না , শেষে পঞ্চাশ টাকা খরচ করে ঢুকতে হয়েছে ।
ভেতরে গিয়ে দেখে ওস্তাদ জি এক্সট্রা দের ড্রিল বুঝিয়ে দিচ্ছে । আর নাইম বাবু হয়ে একটা চেয়ারে বসে আছে। ডলি নাইমের পাশে এসে দাড়ায় । রাগে ওর গা জলে যাচ্ছে । কিন্তু নাইমের সেদিকে কোন খেয়াল নেই । ডলি নাইমের চোখ অনুসরন করে দেখতে পায় , ও কোথায় তাকিয়ে আছে … গানের বৃষ্টির সিন শুট হবে তাই অলরেডি এক্সট্রাদের শরীর ভেজা , সাদা শাড়ি আর সাদা ব্লাউজের ভেতরে কালো ব্রা , এই হচ্ছে এস্কট্রাদের কস্টিউম । আর নাইক মনোযোগ সহকারে এক্সট্রাদেরে সেই ভেজা শরীর পর্যবেক্ষণ করছে । আরো রাগ বেড়ে গেলো ডলির । কান চেপে ধরলো পেছন থেকে , এই পোলা তুমি এইখানে আর আমি সারা এলাকা তোমারে খুঁজি। বাড়ি জাইবা না নাকি এগুলা দেখবা সারাদিন ।
এরি মাঝে ওস্তাদজি চলে আসেন , ডলি কে দেখে বলেন , আরে ডলি তুমি এখানে , কেমন আছো?
ডলি সাথে সাথে ওস্তাদজি কে পা ছুয়ে সালাম করে , জি ওস্তাদজি ভালো আছি
ডলি এই ওস্তাদজির হাত ধরেই ফিল্মে এসেছিলো , তাই এখন আর ডলি খুব প্রয়োজন না পরলে ওস্তাদজির সামনে পড়তে চায় না । নিজের বর্তমান অবস্থার জন্য ডলির লজ্জা হয় । একটা কলেজের কালচারাল ফাংশনে ওস্তাদজি প্রধান অতিথি ছিলো , সেখানে ডলি একটা নাচ পরিবেশন করেছিলো । ডলির সৌন্দর্য আর নাচ দেখে ওস্তাদজি খুব ইম্প্রেসড হয়ে ডলি কে সিনেমা করার কথা বলে । ডলির মা রাজি হওয়ায় এই ওস্তাদজি ই ডলিকে প্রথম ছবিতে সুযোগ করে দেয় ।
ওস্তাদজি যেদিন ডলি কে প্রথম সাইন করাতে নিয়ে আসে তখন বলেছিলো , ডলি আকজে তুমি এই সিনেমার দ্বিতীয় প্রধান ফিমেল লিড করছো , মনে রেখো ঠিক মত কাজ করলে লিড ফিমেল হতে তোমার সময় লাগবে না , আমি তোমাকে রাস্তা করে দিলাম সেই রাস্তায় হাটার দায়িত্ব তোমার ।
কিন্তু ডলি সেই রাস্তায় হাটতে গিয়ে ভুল করে বসেছে , এখন আর ডলি সেই রাজপথে নেই , সিনেমা জগতের কানা গলি হাতরে মরছে ।
এই ছেলে কে? ওস্তাদজি নাইম কে দেখিয়ে বলে ।
জি আমার সাথে আসছে , ডলি পুরনো দিন থেকে বর্তমানে ফিরে এসে বলে ।
খুব সুন্দর ছেলে তো, সুনলাম ও নাকি নায়ক হতে চায় , চেহারা ছবি তো ভালো , কিন্তু বয়স কম । একদম বাচ্চা , এই বয়সে তো লিড রোল পাবে না , মিনিমাম আরো পাঁচ বছর ওয়েট করতে হবে ।
নাইম ওস্তাদজির মুখে ওর প্রসংসা শুনে খুব খুশি হয় , আবার লজ্জা ও পায় ।
এমন সময় সেটে হুলুস্থুল পরে যায় , নাইকা এসেছে , নাইম জেরিন কে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে , যেমন সিনেমাতে সুন্দর তেমন বাস্তবেও সুন্দর । এর আগেও একবার জেরিন কে দেখছে , কিন্তু এতো কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি । আজকে জেরিন কে এতো কাছ থেকে দেখতে পেয়ে ওস্তাদজির উপরে নাইমের স্রদ্ধা বেড়ে গেলো । এই লোকটার কারনেই জেরিন কে ওর সপ্নের রানী কে এতো কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছে ।
এই ছেলে তোমার কি হয় ? এক মাত্র ওস্তাদজি নাইকা আসার প্রভাব পরেনি , উনি ডলির সাথে কথা বলেই যাচ্ছে ।
ডলি কি উত্তর দিবে ভেবে পায় না , কিছুক্ষন ভেবে বলল দূর সম্পর্কের আত্মীয় , বলতে পারেন গ্রামের পরিচিত।
ওও , তা তোমার সাথেই থাকে ? লেখা পড়া কতদুর , ওস্তাদজি আবার জিজ্ঞাস করে ।
জি ওসাতাদ জি আমার সাথে থাকে , লেখা পড়া বেশি দূর না । ডলি আন্দাজে উত্তর দেয় , নিশ্চয়ই এই সিনেমা পাগল ছেলে লেখা পড়ায় ভালো হবে না , ভাবে ডলি ।
হুম , সুন্দর চেহারা থাকলেই তো নায়ক হওয়া যায় না , লেখা পড়া লাগে , ওস্তাদজি একটু গম্ভির হয়ে বলে ।
ডলি নাইমের প্রতি ওস্তাদজির এমন সু নজর দেখে খুব খুশি হয় , মনে মনে ভাবে যেহেতু ওস্তাদজি নাইম কে পছন্দ করেছে ,উনি কিছু না কিছু একটা করবে এই ছেলের জন্য । ওস্তাদজি ফেরিস্তা তুল্য মানুষ , কোনদিন কারো ক্ষতি করেন নাই , আর এই সিনেমা জগতে সবচেয়ে প্রচলিত কু কর্ম , যেটা আছে সেটাও করেছেন বলে কোন প্রমান নেই । ডলি নিজেই একজন সাক্ষি , ওকে সেনেমা লাইনে আনা কাজ দেয়ার জন্য কোনদিন কু নজরেও তাকায় নি , শরীরে টাচ করা তো দুরের কথা ।
ওস্তাদজি……… জেরিন পেছন থেকে নাকি স্বরে লম্বা টন দিয়ে ডাকে ওস্তাদজি কে , উনি পেছনে ফিরে তাকালে , দু হাত মলতে মলতে বলে , তারাতারি করুন না, আমার আজকে কক্সবাজার যেতে হবে তোওওওও।
আচ্ছা তুমি এক কাজ করো ডলি , এই ছেলেকে নিয়ে আমার অফিসে আসো আগামিকাল , আজকে যাও
ডলি অস্তাদজি কে পায়ে ধরে আবার সালাম করে , নাইম কেও করতে বাধ্য করে । তারপর নাইম কে নিয়ে বেড়িয়ে আসে । যদিও নাইমের আরো কিছুক্ষন থাকার ইচ্ছে ছিলো । জেরিন এখন বৃষ্টিতে ভিজে নাচবে , শাড়ি ভিজে গিয়ে ওর নাভি দেখা যাবে , নাইম খেয়াল করেছে জেরিনের পরনেও ওই এক্সট্রাদের মতই একটা সাদা শাড়ি পরনে । নিশ্চয়ই ওটা ভিজে গেলো নাভি দেখা যেতো । এতো কাছ থেকে জেরিনের নাভি দেখার সুযোগ মিস করতে চাইছিলো না নাইম । কিন্তু ডলি ওর কোন কথা শুনল না । এক প্রকার টেনেই নিয়ে বেড়িয়ে গেলো
*****
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)