14-08-2025, 08:45 AM
(This post was last modified: 14-08-2025, 09:08 AM by ABCD_123. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পরিস্কার হতে বাথরুমে যেতে হবে, উঠবো উঠবো ভাবছি আর ঠিক সেই সময় কানে আসে ছোটকার ‘আঃ’ ‘আঃ’ আওয়াজ।। বুঝতে পারি ছোটকাও হস্তমৈথুন করে শরীর ঠান্ডা করছে।। ছোটকার গলার আওয়াজ পেয়ে আমি আর সেদিন বাথরুম গেলাম না, যদি ছোটকাও বাথরুম যায় !! তাই হাত দিয়ে পাজামাটাকে টেনে পাজামা দিয়েই আমার যোনীর সবটা জায়গা মুছে দিলাম।। পরে ছোটকা কি করলো সেদিকে আর নজর ছিল না, কিছুক্ষনের মধ্যেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলাম।।
“ও মা, সব করে ফেলেছো, বুঝেছি খুব-ই মন খারাপ তোমার, কোন ট্রেন?”
আমি আমার বা-পাশে পাশ ফিরে শুয়ে পরলাম। মানে ছোটকার দিকে আমার পিঠ, যেন ছোটকা আমাকে দেখতে না পায়।। এর পরেও ছোটকা বেশ কিছুক্ষন জেগে ছিল, কিন্তু আমি আর ডান পাশে পাশ ফিরি নি।। নিজের ওপরে নিজের নিয়ন্ত্রন রেখে আমি ঘুমোনোর চেষ্টা করতে লাগলাম।। আর কিছুক্ষন পর দেখি ছোটকাও উঠে গিয়ে লাইট নিভিয়ে শুয়ে পরলো।।
পরেরদিন সকাল ৮ঃ১০-এ মা-এর ডাকে ঘুম ভাঙল, তাকিয়ে দেখি মা আমার জন্য চা নিয়ে এসেছে, আমাকে জাগিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো “কি রে কটায় ঘুমিয়েছিস কাল, এই বেলা করে ঘুম থেকে উঠছিস?”
“মা, আমার ঘুমোতে ঘুমোতে অনেকটা রাত হয়ে গেছিল, আমার অনেক পড়া থাকে” বলেই তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে আমি বাথরুমে গেলাম।।
“ঠিক আছে এখন উঠে পড়তে বস কিছুক্ষন, তারপর তো কলেজ যেতে হবে”
খুব সাবলীলভাবে মা-কে মিথ্যে কথাটা বলতে পেরে বেশ ভালো লাগছিল, আসলে কাল ঘুমোতে অনেক রাত হয়েছে ঠিক-ই, কিন্তু সেটা যে আমার পড়ার জন্য নয়, মা-কে তো সেকথা বলিনি।। তাছাড়া কাল যে আমি প্রথম হস্তমৈথুন করেছি সে কথাও তো মা জানে না, আর এই হস্তমৈথুনের জন্যে শরীরে এক রকমের প্রশান্তি এসেছে, যার ফলে ঘুমটা অনেক বেশী গভীর হয়েছে।। এসব কথা মা-কে বলা যায় না, মা-ও তো তার সব কথা আমাকে বলে নি।।
যাই হোক, উঠে দেখি ছোটকা ঘরে নেই, রোজকার মতো মর্নিং ওয়াকে গেছে, আমি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।। যাক, ছোটকা নিজের রুটিন টাইমেই উঠে বেরিয়ে গেছে।। ছোটকাও এখন শুয়ে থাকলে মা আবার কিছু একটা হয়তো দুশ্চিন্তা করার সুযোগ পেত।। আমি প্রাতঃকৃত্যাদি সেরে বই নিয়ে পড়তে বসলাম।। কিছুক্ষনের মধ্যেই ছোটকা ফিরে এসে স্নান-টান করে ৯টার দিকে অফিস বেরিয়ে গেলো, রোজের মতন আমিও তখন স্নানের জন্য বাথরুম ঢুকলাম, রেডি হয়ে কিছুটা খেয়ে নিয়ে ১০টার আগেই কলেজের জন্য বেরিয়ে পরলাম।।
সারাদিন কলেজে আজ আমি খুব আনমনা, খালি ভাবছিলাম “আমার প্রথম হস্তমৈথুন রাত”-এর কথা।। গতকাল রাতের তারিখটা মাথায় আরেকবার ঝালিয়ে নিলাম।। সারাদিন ধরে মাথায় সেসব চিন্তাই আজ ঘোরাফেরা করছিল।। বন্ধুরা বেশ ক-বার বলেছে “কিরে সৌমি, তুমি আজ কোথায়, এত আনমনা কেন, কার আবার প্রেমে পরলি? আমি ওদের কথায় কর্নপাত করিনি, ফলে ওরা চুপ করে গেছে।। বিকেলের দিকে ফিরলাম বাড়িতে, এসে পেট ভরে খেলাম, তারপর বিছানায় এসে ঘুমিয়ে পরলাম।। প্রতিদিন এভাবেই কলেজ থেকে এসে সন্ধ্যের আগে একটু ঘুমোই আমি।।
কাল রাতের ঐ ব্যাপারটার জন্য আজ সারাদিন আমার মধ্যে একটা অপরাধবোধ কাজ করছিল।। কেন আমি কাল ছোটকার ওই শক্ত হয়ে ওঠা লিঙ্গ দেখলাম, তারপর ছোটকার হস্তমৈথুন, আর শেষে কেনইবা আমি নিজেও হস্তমৈথুন করে যৌনরস বের করলাম।। এসব নানা প্রশ্ন আমাকে বিদ্ধ করতে থাকে, বার বার মনে হতে থাকে আমি যেন কিছুতে ডুবে যাচ্ছি, তলিয়ে যাচ্ছি, যার কোনো কিনারা তো পাচ্ছি-ই না, কোনো তলও চোখে পরছে না, অতল এক অন্ধকার গহবরে যেন প্রবেশ করছি, যেখানে যেতে লোক দেখানো আপত্তি বা বাধা দিতে চাইছি ঠিক-ই, কিন্তু অসীম এক সুন্দর ভালোলাগা যেন আমাকে হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে।। আর আমার বাধা-আপত্তি সব তছনছ করে উড়ে যাচ্ছে, আর আমি যেন আস্তে আস্তে আঁকড়ে ধরতে চাইছি আমার ভালোলাগাকে, এসব ভাবতে ভাবতেই গভীর ঘুমে মগ্ন হয়ে গেলাম।।
ছোটকা অফিস থেকে ফিরলো একটু আগেই ৬ঃ৩০ টা নাগাদ, আর আমাকে ডেকে উঠিয়ে দিল।।
জিজ্ঞেস করলো “অনেক ঘুমোচ্ছিস যে মা কিছু বলছে না? তাড়াতাড়ি উঠে পড়তে বস।।”
আমি বললাম “হ্যা, মা তো সকালেই জিজ্ঞেস করেছিল, মা-র কাজ-ই তো ওই, শুধু টেনশান করা, একটু শুয়ে থাকলেই ভাবে আমার শরীর খারাপ হয়ে গেছে”
“তুই কি বললি?” একটু আতঙ্কিত গলায় ছোটকা আমায় জিজ্ঞেস করলো।।
“বললাম পড়তে পড়তে অনেক রাত হয়ে গেছিলো, তাই ঘুমিয়েছি।।”
“ঠিক আছে, পড়, আর হ্যা সুমি, শোন, আমি অফিস থেকে ১২ দিনের ছুটি নিলাম, বাড়ি যাবো, মনটা কেমন যেন ভালো লাগছে না, খুব মন খারাপ লাগছে বাড়ির জন্য, তাই ঠিক করলাম ঘুরে আসি”
আমি জিজ্ঞেস করলাম,”ওঃ এই জন্যেই তোমার মন খুশি খুশি, ছুটকির কথা মনে করে মন খারাপ লাগছে, তাই তো?” কথাগুলো বলতে বলতেই মনে হচ্ছিল আমার হার্টের ভেতরে কোথাও যেন চিনচিন করে ব্যাথায় মোচড় দিয়ে উঠলো।। ব্যাথা পাওয়ার সাথে সাথে আমার মধ্যে একটা ভালো লাগাও কাজ করছিল যে আমি হয়তো আবার আগের মতো হয়ে যেতে পারবো, আর পড়াতেও মন বসাতে পারবো।।
সেসব চেপে আমি জিজ্ঞেস করলাম, “যাবে যে মা-কে বলেছো?”
“না, বলিনি এখনো, এই বলবো এখনি”
“ট্রেনের টিকিট কেটেছো?”
“কেটেছি”
“ও মা, সব করে ফেলেছো, বুঝেছি খুব-ই মন খারাপ তোমার, কোন ট্রেন?”
“পদাতিক এক্সপ্রেস”
আমি বুঝতে পারি ছোটকা আজকাল খুব টেনশানে ভোগে।। একদিন বলেওছি, “তুমি কিন্তু ছোটকা খুব টেনশানে থাকো, তোমার সাথে কি ছুটকির ঝগড়া-টগরা চলছে?”
“না, না রে, সেরকম কিছু না, আমি একটু চিন্তা-ভাবনা করতে ভালোবাসি, তাই তোর মনে হয় আমি টেনশড থাকি, আসলে তা না।।”
আমি বুঝতে পারি ছোটকা আর কথাটা বাড়াতে চায় না।। আমিও তখন পড়ায় মন দিই।।
খাওয়ার টেবিলে গিয়ে ছোটকা মা-কে বাড়ি যাওয়ার কথাটা বলল।। মা জিজ্ঞেস করলো, “কেন হঠাৎ করে বাড়ি যাবি ঠিক করলি কেন, সব খবর ভালো তো?”
“না না, ওদিকের খবর সব ভালো, আমার-ই মনটা ভালো লাগছে না, বাড়ি থেকে আসার পর আর যাই নি, বাড়ি থেকে কোনোদিন তো বাইরে বেরোই নি, তাই হোমসিকনেস আর কি।।”
“আচ্ছা যা, তো কবে ফিরবি?” মা জিজ্ঞেস করলো।।
“এই ১২ দিন ছুটি নিয়েছি, তাই রবিবার নিয়ে ১৩ দিন, তারপর চলে আসবো”
রাতের খাওয়া হয়ে গেলো।। ঘরে এসে আমি টেবিলে পড়তে বসি, ছোটকাও টেবিলে ল্যাপটপ রেখে কি যেন কাজ করছে।। হঠাৎ গতকাল রাতের কথা মনে পরলো, ঠিক এভাবেই ছোটকা কাল রাতেও বসে ছিল আর আমি বিছানায় শুয়ে টেবিলের আড়াল রেখে ছোটকার সেই শক্ত উত্থিত পুরুষাঙ্গ দেখছিলাম, দেখেছিলাম ছোটকা কি করে ডান হাত দিয়ে লিঙ্গটাকে পেচিয়ে ধরে ওপরে-নিচে করে টেনে টেনে হস্তমৈথুন করছিল।। লিঙ্গের মুন্ডিটা দেখছিলাম।। উফফ, মাথাটা আবার গরম হতে শুরু করলো।। কেন এসব চিন্তা মাথা থেকে সরাতে পারছি না?
পরক্ষনেই ভাবছি, আমি নিজেকে এত খারাপ ভাবছি কেন, ভালো তো লাগছে, খুব-ই ভালো লাগছে, তাহলে অনুতাপ কেন, যৌনতা তো স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, বাবা-মাও তো করেছে, আর করেছে বলেই তো আমি এসেছি পৃথিবীতে।। এই ভালোলাগাটা তো সবার হয়, আমি কি করে তার থেকে বাদ যেতে পারি? গতকাল হস্তমৈথুন করেছি প্রথমবার, কাউকে তো শিখিয়ে দিতে হয় নি, নিজে নিজেই তো চরম তৃপ্তিতে পৌছেছি, প্রকৃতিগতভাবেই তো আমার হাত যোনীতে গেছে আর আরামে অভিভুত হয়েছি আমি।।
দুই বিপরীত মেরুর সংঘাত চলছে আমার চিন্তা-চেতনায়।। একবার ভাবছি ‘ঠিক করেছি’, আরেকবার ভাবছি ‘ঠিক করিনি’।। আমার নিজের অঙ্গে নিজে হাত দিয়ে আরাম পেয়েছি, তাতে কার কি এসে যায়? মোহিত করা সেই আরামের অনুভূতি তো আমার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবাহিত হয়েছে, এটা বলাই যায় সেই সম্পুর্ন ভিন্ন মাত্রার ভালো লাগার শিহরন আগে কখনো অন্য কোথাও পাই নি যা ছিল অভুতপুর্ব।।
নিজের সঙ্গে নিজেরই দ্বন্দে আমি দ্বিধাগ্রস্ত।। মনে মনে ঠিক করলাম নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে রাখতে হবে, পরীক্ষা সামনে, তাই মন দিতে হবে পড়ায়।। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করলাম, “হে ঈশ্বর আমায় শক্তি দাও যেন আমি এসব থেকে মুক্ত থাকতে পারি, আমার মধ্যে এরকম ভৌতিক ও অপশক্তিকে তুমি দূর করো।।” আমার মস্তিস্কের কিছু অংশ যখন আমার এই অস্থির আকর্ষনকে ভৌতিক ও অপশক্তি বলে ভাবছে, তার বিপরীতে প্রতিবাদী অংশ বলছে,”যে তোমাকে জন্ম দিয়েছে, যে এই সমগ্র মনুষ্য বিশ্বের অস্তিত্বের কারন তাকে তুমি ভৌতিক ও অপশক্তি হিসেবে অভিহিত করছো, তোমার এই মত কিছুতেই গ্রহনযোগ্য না, বরং এই অস্থির আকর্ষনই সৃষ্টির মুল কারন।।”
রাত ১০ঃ৩০টা বেজেছে।। মা নিশ্চই এখন শুয়ে পরেছে।। আমিও শুয়েই পরি, তবে আর এসব অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘোরাফেরা করবে না।। আমি বিছানা থেকে নেমে বাথরুমে গেলাম।। ফিরে এসে ছোটকাকে বললাম “আমি শুয়ে পরছি ছোটকা, মাথাটা খুব ধরে আছে।।”
ছোটকা বলল “এত তাড়াতাড়ি শুয়ে পরছিস, ঠিক আছে। আমিও শুয়ে পরবো একটু পরেই।।”
আমি আমার বা-পাশে পাশ ফিরে শুয়ে পরলাম। মানে ছোটকার দিকে আমার পিঠ, যেন ছোটকা আমাকে দেখতে না পায়।। এর পরেও ছোটকা বেশ কিছুক্ষন জেগে ছিল, কিন্তু আমি আর ডান পাশে পাশ ফিরি নি।। নিজের ওপরে নিজের নিয়ন্ত্রন রেখে আমি ঘুমোনোর চেষ্টা করতে লাগলাম।। আর কিছুক্ষন পর দেখি ছোটকাও উঠে গিয়ে লাইট নিভিয়ে শুয়ে পরলো।।
সকালে আজ আমি আর ছোটকা এক-ই সময়ে উঠেছি।। অন্যদিন ছোটকা মর্নিং ওয়াকে যায়, আজ নর্থবেঙ্গলে বাড়ি যাবে, তাই সকালে উঠে আজ আর মর্নিং ওয়াকে যায় নি, নিজের জিনিষপত্র গোছাতে ব্যাস্ত।। রাতের ট্রেন, তাই সব গোছগাছ করে অন্যদিনের মতোই অফিসে গেল।। আমিও কলেজে গেলাম, কিন্তু মনটা কিছুটা ভারাক্রান্ত, মনে হয় ছোটকা চলে যাবে এই কারনেই।। রাতে যথাসময়ে ছোটকা একটা উবের ডেকে সব লাগেজগুলো উঠিয়ে স্টেশানের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হলো।। একদিকে আমার যেমন মন খারাপ লাগছিল, অন্যদিকে তেমন-ই মনে হচ্ছিল যেন কিছু মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হলাম।। যাবার আগে আমাকে মন দিয়ে পড়তে বলল, আমিও বললাম “তুমিও ভালোভাবে যেও, আর গিয়ে ফোন করো।।” ১২ দিনের ছুটি নিয়েছে ছোটকা, ভালোই হয়েছে কিছুদিন আমি একা একা থাকতে পারবো।।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)