09-08-2025, 02:18 PM
(This post was last modified: 09-08-2025, 02:21 PM by Samir the alfaboy. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(09-08-2025, 01:07 PM)prshma Wrote:আমি খুবই খুশি হয়েছি যে লেখক একজন পাঠিকার করা মন্তব্যকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন ও তার ও এডমিনদের কথা মত তার লেখা পরিবর্তন করেছেন। কারোর ধর্মীয় ভাবাবেগে যাতে আঘাত না লাগে সেটাকে লেখক utmost priority দিয়েছেন। তার জন্য লেখককে জানাই আমার তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আর এখানেই লেখক পাঠক / পাঠিকাদের চোখে নিজেকে এই ফোরামের অন্যান্য কিছু লেখক ও লেখিকার থেকে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এই ফোরামে চরম নোংরা মানসিকতার এক লেখক ও আরেক লেখিকা আছে যারা পাঠক / পাঠিকাদের ইচ্ছে অনিচ্ছের কোন গুরুত্ব তো দেয় ই না উল্টে কোন পাঠক / পাঠিকা যদি তাদের গল্পের বিন্দুমাত্র সমালোচনা করে তাদের কদর্য ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করে। নিজেদের সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে তাদের থ্রেট দিতে থাকে।
তাই লেখক আপনার ওপর আমার অনেক আশা যে আপনি আপনার গল্পে ব্যাভিচারী ও ব্যাভিচারিনী চরিত্রদের চরম শাস্তি দেবেন। আশা করি যে আপনি আমাকে আশাহত করবেন না।
আপনার প্রশংসা পেয়ে যেমন ভালো লাগল, তেমনি আগের লেখার সেই সংস্করণটার কথা মনে পড়তেই মনটা কেমন যেন শূন্য হয়ে গেল। কারণ, সম্পাদনার পর হারিয়ে গেল সেই সূচনাদৃশ্য-যেখানে এক বঙ্গনারীর স্নিগ্ধ, ঐতিহ্যবাহী রূপ ধীরে ধীরে ফুটে উঠছিল। হালকা রঙের শাড়ি গায়ে, আঁচল সামান্য কপালে টানা; কপালে উজ্জ্বল সিঁদুরের টিপ, হাতে শাঁখা-পলা, গলায় মঙ্গলসূত্রের সোনালি আভা। চুলের খোঁপায় গোঁজা গন্ধরাজ ফুলের মিষ্টি সুবাস চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। পায়ে লাল আলতার নকশা যেন প্রতিটি পদক্ষেপে উৎসবের রঙ বয়ে আনছে। চোখের কোণে মায়ার আভা, ঠোঁটে শান্ত, আশ্বাসবাণী হাসি-যেন মুহূর্তটিকে চিরস্থায়ী করে রাখার এক নীরব আবেদন।
আসলে গল্পগুলো লিখি পাঠক ও পাঠিকাদের কথা মাথায় রেখেই। এতটুকুই বলব-আমার কোনো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিছু প্রতীকের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছিল, সেই স্বাদটিও আমি এক পাঠকের অনুরোধে সংযোজন করেছিলাম। আমারও মনে হয়েছিল "অমৃতা" চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে এটি কাজে লাগবে। কিন্তু অভিযোগ এত প্রবলভাবে উঠল যে বাধ্য হয়ে সেই অংশ আবার সম্পাদনা করে নতুনভাবে লিখতে হলো।
এমনকি আমি সম্রাট "অশোক ও তার গুপ্ত সেনা" এবং "জাহাঙ্গীর-নূরজাহান" নিয়ে দুটি কাহিনির প্লটও তৈরি করেছিলাম, কিন্তু এত বেশি সেন্সরশিপের মধ্যে থেকে আর লেখা সম্ভব হলো না। তাই সেগুলো বাতিল করে দিতে হলো।
এখন গল্পের ক্লাইম্যাক্সের কথা বলি-আশা করি আপনাকে হতাশ করব না। ভুল করলে শাস্তি প্রাপ্য-অপরাধীরাও তা পাবে। তবে এখানে কে ব্যভিচারী আর কে ভিকটিম-সেটাই পাঠক ও পাঠিকাদের মনে সংশয় তৈরি করবে। আর কোনটি অপরাধ, কোনটি অনিচ্ছাকৃত ভুল-তাও তাঁদের ভাবনায় ঢেউ তুলবে।
আশা করি গল্পটার সাথে আপনি থাকবেন, আর আপনার সুচিন্তিত মতামতও পাব। আমি সমালোচনা এবং প্রশংসা -দুটোই প্রত্যাশা করছি।