08-08-2025, 05:24 PM
৩
গত চারদিন যাবত নির্দয় রাজধানীর দয়ামায়াহীন আচরনে এইটুকু দরদ যেন নাইম কে আরও আবেগতারিত করে ফেললো । উত্তর দেয়ার শক্তি হারিয়ে ফেললো নাইম । কারন চোখের জল যেন থামতেই চাচ্ছে না ওর ।
কিরে ডলি কি হইসে, এই পোলা কে ? অন্য একটি নারী জিজ্ঞাস করে । কোন ঝামেলা হইসে ?
নারে গত তিন চাইর দিন ধইরা দেখি এইহানে বইসা থাকে ছেলেটা , আজকে দেখি কান্না করে । কি হইসে জিজ্ঞাস করি কিছু বলে না ।
চল এইখনে দারাইয়া থাকিস না এমনেই আমাগো ঝামেলার শেষ নাই । বারতি ঝামেলার কি দরকার । এই বলে দ্বিতীয় নারী চলে গেলো । কিন্তু ডলি গেলো না । একটু ইসতস্তত করে ওখানেই থেকে গেলো । আসে পাশে তাকিয়ে দেখল দু একজন লোক জমা হতে শুরু করেছে । ডলির খুব মায়া হচ্ছে ছেলেটির জন্য । যেদিন প্রথম দেখছিলো সেদিনি বার বার তাকিয়ে দেখছে ডলি । কচি একটি ছেলে এখনো দাড়ি গোঁফ ও ঠিক মতো ওঠেনি আর চেহারায় রাজ্যের মায়া। ছেলেটিকে দেখে ডলির একজনের কথা মনে পড়ে যায় । ১৭ বছর আগে যাকে বিসর্জন দিতে হয়েছিলো ।
এই ছেলে কি হইল কিছু বল না ক্যান , ডলির কিছুতেই ছেলেটিকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না কিন্তু চারিদিকে যেমন লোক জড় হচ্ছে তাতে সমস্যা হতে পারে । যদিও ডলি বড় নায়িকা না যে ওর নামে পত্রিকায় খবর ছেপে যাবে ।তার উপর ডলি * সহ * পড়া। কিন্তু নানা রকম কথা হবে সিনেমা পারায় এতে কাজ পেতে সমস্যা হবে এমনিতেই ডলির যা বয়স এই বয়সে কাজের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতেই থাকে ।
এই তুমি উঠবা না আমি গেলাম । এই বলে ডলি আর দাড়ায় না হন হন করে হাটা ধরে । অন্য দিনের মতো আর বাসে ওঠেনা , হাটতেই থাকে । যদি ছেলেটি ওর পিছু পিছু আসে এই আশায় । ডলি বোঝে না কেন ছেলেটির জন্য ওর এতো মায়া হচ্ছে । হাটতে হাটতে বার বার পেছন ফিরে তাকাচ্ছে ডলি । কিছুক্ষন পর ডলি বুঝলো ছেলেটি হয়তো আসেনি ওর পিছু পিছু । মনটা খারাপ হয়ে গেলো ডলির ইচ্ছে হলো আবার ফিরে যায় । কার না কার ছলে এমন করে রাস্তায় বসে কাঁদছে ।
কিন্তু ডলি আর ফিরে গেলো না । পরবর্তী বাসস্টপ আসতেই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো । বাসের অবস্থা দখে দম বন্ধ হয়ে এলো ডলির । ভীষণ চাপ প্যাসেঞ্জারর সবাই গাদাগাদি করে উঠছে বাসে , কে মহিলা কে পুরুষ সেদিকে কারো খেয়াল নেই । এমন নয় যে ডলির শরীর পরপুরুষ এর জন্য অস্পৃশ্য, হরদম পরপুরুষ এর হাত পড়ছে ডলির শরীরে , কেউ কাজের অসিলায় দিচ্ছে আবার কেউ কাজ দেয়ার অসিলায় । কিন্তু সিনেমা পাড়া থেকে বেরোলেই ডলি অন্য রকম হয়ে যায় ওর মাঝে একজন বাড়ির বউ এসে ভর করে । এই বাসের ভিরে কোন লম্পট এসে সুযোগ নিয়ে ওর শরীর এর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেবে সেটা ভাবতেই ডলির শরীর টা কেমন জানি গুলিয়ে ওঠে ।
চাইলে ডলি একটি সিএনজী স্কুটার নিয়ে চলে যেতে পারে । কয় টাকা আর খরচ হবে ? কিন্তু ডলির মনে সায় দেয়না এতগুলি টাকা সুধু নিজের সাচ্ছন্দের জন্য খরচ করতে । একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে ডলি বাসের দরজার দিকে এগিয়ে যায় । কেউই খেয়াল করেনা যে ডলি মহিলা না পুরুষ এক বুন্দু ছাড় পায়না ডলি একজন মহিলা হিসেবে । কয়েকজন ঘেমো পুরুষ মানুষ এর ভেতর অনেকটা হারিয়ে যায় ডলি। কারো কনুই এসে গুঁতো দেয় ডলির নরম বুকে আবার কারো হাঁটু এসে সজোরে লাগে ডলির পাছায় । এতে করে একটুও খারাপ লাগেনা ডলির । কারন এই লোক গুলি ওকে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই নিয়েছে একজন মহিলা হিসেবে নয় ।আর আঘাত হানা কনুই, হাত আর পা গুলো ওর শরীর একজন নারীর শরীর হিসেবে ছুঁয়ে যায়নি । বরং একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আঘাত করেছে। খারাপ লাগে তখন যখন কোন লম্পট নারী লোভী নিজের কুচ্ছিত বাসনা পুরন করার জন্য নিজের কুচ্ছিত শরীর দিয়ে ডলি কে স্পর্শ করে । খারপ মনটা একটু ভালো হয়ে যায় । যাক কোন লম্পট এর পাল্লায় পড়তে হয়নি ওকে আজ ।
অনেক কষ্টে বাসে উঠে একটু হাপ ছেড়ে দাড়াতেই জানালা দিয়ে বাইরে চোখ পড়লো ডলির । সেই ছেলেটি , এদিক অদিক তাকিয়ে কি যেন খুঁজছে । অনেক লম্বা হওয়ার কারনে ওকে দেখতে ডলির তেমন সমস্যা হয়নি । ততোক্ষণে বাস ছেড়ে দিয়েছে । লোকজনের চাপে ডলি প্রায় বাসের মাঝা মাঝি চলে এসেছিলো । এখন এই ভীর ঠেলে দরজা পর্যন্ত যাওয়া ও একটা দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু না । কিন্তু ডলি নিজের মাঝে একটা প্রচণ্ড তাগিদ বোধ করতে লাগলো । তাই ও ভুলে গেলো ওর আসে পাশে সব পুরুষ মানুষ আর ও একটা মহিলা । ঠেলে ঠুলে চলে এলো দারজার সামনে ।
এই ছেলে কি খোঁজো ? ছেলেটার পিছনে দাঁড়িয়ে আচমকা জিজ্ঞাস করে ডলি ।
গত চারদিন যাবত নির্দয় রাজধানীর দয়ামায়াহীন আচরনে এইটুকু দরদ যেন নাইম কে আরও আবেগতারিত করে ফেললো । উত্তর দেয়ার শক্তি হারিয়ে ফেললো নাইম । কারন চোখের জল যেন থামতেই চাচ্ছে না ওর ।
কিরে ডলি কি হইসে, এই পোলা কে ? অন্য একটি নারী জিজ্ঞাস করে । কোন ঝামেলা হইসে ?
নারে গত তিন চাইর দিন ধইরা দেখি এইহানে বইসা থাকে ছেলেটা , আজকে দেখি কান্না করে । কি হইসে জিজ্ঞাস করি কিছু বলে না ।
চল এইখনে দারাইয়া থাকিস না এমনেই আমাগো ঝামেলার শেষ নাই । বারতি ঝামেলার কি দরকার । এই বলে দ্বিতীয় নারী চলে গেলো । কিন্তু ডলি গেলো না । একটু ইসতস্তত করে ওখানেই থেকে গেলো । আসে পাশে তাকিয়ে দেখল দু একজন লোক জমা হতে শুরু করেছে । ডলির খুব মায়া হচ্ছে ছেলেটির জন্য । যেদিন প্রথম দেখছিলো সেদিনি বার বার তাকিয়ে দেখছে ডলি । কচি একটি ছেলে এখনো দাড়ি গোঁফ ও ঠিক মতো ওঠেনি আর চেহারায় রাজ্যের মায়া। ছেলেটিকে দেখে ডলির একজনের কথা মনে পড়ে যায় । ১৭ বছর আগে যাকে বিসর্জন দিতে হয়েছিলো ।
এই ছেলে কি হইল কিছু বল না ক্যান , ডলির কিছুতেই ছেলেটিকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না কিন্তু চারিদিকে যেমন লোক জড় হচ্ছে তাতে সমস্যা হতে পারে । যদিও ডলি বড় নায়িকা না যে ওর নামে পত্রিকায় খবর ছেপে যাবে ।তার উপর ডলি * সহ * পড়া। কিন্তু নানা রকম কথা হবে সিনেমা পারায় এতে কাজ পেতে সমস্যা হবে এমনিতেই ডলির যা বয়স এই বয়সে কাজের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতেই থাকে ।
এই তুমি উঠবা না আমি গেলাম । এই বলে ডলি আর দাড়ায় না হন হন করে হাটা ধরে । অন্য দিনের মতো আর বাসে ওঠেনা , হাটতেই থাকে । যদি ছেলেটি ওর পিছু পিছু আসে এই আশায় । ডলি বোঝে না কেন ছেলেটির জন্য ওর এতো মায়া হচ্ছে । হাটতে হাটতে বার বার পেছন ফিরে তাকাচ্ছে ডলি । কিছুক্ষন পর ডলি বুঝলো ছেলেটি হয়তো আসেনি ওর পিছু পিছু । মনটা খারাপ হয়ে গেলো ডলির ইচ্ছে হলো আবার ফিরে যায় । কার না কার ছলে এমন করে রাস্তায় বসে কাঁদছে ।
কিন্তু ডলি আর ফিরে গেলো না । পরবর্তী বাসস্টপ আসতেই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো । বাসের অবস্থা দখে দম বন্ধ হয়ে এলো ডলির । ভীষণ চাপ প্যাসেঞ্জারর সবাই গাদাগাদি করে উঠছে বাসে , কে মহিলা কে পুরুষ সেদিকে কারো খেয়াল নেই । এমন নয় যে ডলির শরীর পরপুরুষ এর জন্য অস্পৃশ্য, হরদম পরপুরুষ এর হাত পড়ছে ডলির শরীরে , কেউ কাজের অসিলায় দিচ্ছে আবার কেউ কাজ দেয়ার অসিলায় । কিন্তু সিনেমা পাড়া থেকে বেরোলেই ডলি অন্য রকম হয়ে যায় ওর মাঝে একজন বাড়ির বউ এসে ভর করে । এই বাসের ভিরে কোন লম্পট এসে সুযোগ নিয়ে ওর শরীর এর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেবে সেটা ভাবতেই ডলির শরীর টা কেমন জানি গুলিয়ে ওঠে ।
চাইলে ডলি একটি সিএনজী স্কুটার নিয়ে চলে যেতে পারে । কয় টাকা আর খরচ হবে ? কিন্তু ডলির মনে সায় দেয়না এতগুলি টাকা সুধু নিজের সাচ্ছন্দের জন্য খরচ করতে । একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে ডলি বাসের দরজার দিকে এগিয়ে যায় । কেউই খেয়াল করেনা যে ডলি মহিলা না পুরুষ এক বুন্দু ছাড় পায়না ডলি একজন মহিলা হিসেবে । কয়েকজন ঘেমো পুরুষ মানুষ এর ভেতর অনেকটা হারিয়ে যায় ডলি। কারো কনুই এসে গুঁতো দেয় ডলির নরম বুকে আবার কারো হাঁটু এসে সজোরে লাগে ডলির পাছায় । এতে করে একটুও খারাপ লাগেনা ডলির । কারন এই লোক গুলি ওকে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই নিয়েছে একজন মহিলা হিসেবে নয় ।আর আঘাত হানা কনুই, হাত আর পা গুলো ওর শরীর একজন নারীর শরীর হিসেবে ছুঁয়ে যায়নি । বরং একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আঘাত করেছে। খারাপ লাগে তখন যখন কোন লম্পট নারী লোভী নিজের কুচ্ছিত বাসনা পুরন করার জন্য নিজের কুচ্ছিত শরীর দিয়ে ডলি কে স্পর্শ করে । খারপ মনটা একটু ভালো হয়ে যায় । যাক কোন লম্পট এর পাল্লায় পড়তে হয়নি ওকে আজ ।
অনেক কষ্টে বাসে উঠে একটু হাপ ছেড়ে দাড়াতেই জানালা দিয়ে বাইরে চোখ পড়লো ডলির । সেই ছেলেটি , এদিক অদিক তাকিয়ে কি যেন খুঁজছে । অনেক লম্বা হওয়ার কারনে ওকে দেখতে ডলির তেমন সমস্যা হয়নি । ততোক্ষণে বাস ছেড়ে দিয়েছে । লোকজনের চাপে ডলি প্রায় বাসের মাঝা মাঝি চলে এসেছিলো । এখন এই ভীর ঠেলে দরজা পর্যন্ত যাওয়া ও একটা দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু না । কিন্তু ডলি নিজের মাঝে একটা প্রচণ্ড তাগিদ বোধ করতে লাগলো । তাই ও ভুলে গেলো ওর আসে পাশে সব পুরুষ মানুষ আর ও একটা মহিলা । ঠেলে ঠুলে চলে এলো দারজার সামনে ।
এই ছেলে কি খোঁজো ? ছেলেটার পিছনে দাঁড়িয়ে আচমকা জিজ্ঞাস করে ডলি ।
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)