30-07-2025, 02:14 PM
(This post was last modified: 01-08-2025, 05:03 PM by gungchill. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
কিছু সম্পরকঃ ১ (খ)
এদিকে জয়ের বাড়ির পরিবেশ একেবারে ভিন্ন , ছেলের রেজাল্ট শুনে জয়নাল চৌধুরীর খুশিতে হার্ট এটাক হওয়ার জোগাড়। জয়নাল নিশ্চিত ছিলো জয় ফেইল করবে । কিন্তু এতো ভালো রেজাল্ট করবে সেটা কোনদিন ভাবেনি । আনন্দে জয়নালের চোখে পানি চলে আসে , পাশে বসা স্ত্রী আয়শার দিকে তাকিয়ে বলে , “ আয়শা আমি আর কোনদিন তোমার ছেলেকে উল্টা পাল্টা কিছু বলবো না , যদি বলি তুমি এই ফুলের ভাস টা দিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিবে”
স্বামীর কথা শুনে স্ত্রী হেসে কুটিকুটী হয় , বলে “ এতো আবার ছাড় দিয়ো না , আবার উছন্নে যাবে”
জান্নাত দূরে দাড়িয়ে ওর বাবা মায়ের এই নাটক দেখছিলো , ওর মাথায় আগুন জলছে , এই তো কিছুদিন আগে ওর মাধ্যমিকের রেজাল্ট হলো জয়ের চেয়ে অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে ও , কিন্তু সেদিন ওর বাবা মায়ের এমন ঢং দেখনি , তখন ওদের ভাব এমন ছিলো যে এটা কোন ব্যাপার ই না । এটা হওয়াই তো স্বাভাবিক , না হলেই বরং দুনিয়া উল্টে জেতো । আর এখন ছেলে সাদামাটা রেজাল্ট করেছে , কিন্তু ওদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে নাসার বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছে ।
“ তোমাদের ছেলে নিশ্চয়ই নকল করে পাশ করেছে আমি নিশ্চিত”
জান্নতের কথা শেষ হওয়ার আগেই জয়ের আগমন হয় , সার্টের কলার উঠিয়ে জয়নালের পাশে ধপ করে বসে পরে , তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে “ আম্মু তুমি জানো যারা অন্য কারো ভালো সহ্য করতে পারে না তাদের কি বলে?” এক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে মায়ের উত্তরের অপেক্ষা না করেই জয় নিজেই উত্তর দেয় , “ তাদের হিংসুটে বলে , আর হিংসুটেদের ওয়ার্ল্ড কাপ হলে আমাদের ঘর ট্রফি দিয়ে ভরে জেতো হা হা হা”
আয়শা ছেলের পায়ে একটা থাপ্পড় মেরে কপট রাগ দেখায় , কিন্তু জয় থামতেই চায় না ।
এদিকে জান্নাত তেড়ে আসে জয় কে মারার জন্য । সেটা দেখে জয় উঠে দৌর লাগায় আর উচ্চ স্বরে বলতে থাকে “ দেখেছো আম্মু আমি বলেছি না , আমাদে বাড়িতে ট্রফি রাখার যায়গা হতো না , পাশের বাড়ি ধার করতে হতো”
ছেলে মেয়ের কান্ড দেখে জয়নাল আর আয়শা হাসতে থাকে ।
জান্নাত জয় কে ধরতে না পেরে আরো বেশি রেগে যায় , রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বাবা মায়ের উদ্দেশ্যে বলে “ আমি তো A প্লাস পেয়েছিলাম কই তখন তো তোমাদের এমন হা হা হি হি দেখি নি , ছেলে একদম নাসার বিজ্ঞানী হয়ে এসছে এমন ভাব করছো”
“ আরে না রে মা , তুই আমার ভালো লক্ষি মেয়ে , তাই আমরা জানতাম তুই ভালো করবি , কিন্তু ওই উল্লুক টা যে পাশ করবে সেই আশাই ছিলো না , তাই একটু বেশি রিয়েক্টঁ করে ফেলেছি , তোর আর জয়ের দুজনের সাফল্য ই আমাদের জন্য গর্বের” বলে জয়নাল রাগে ফুঁসতে থাকা জান্নাতের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় ।
বিকেল বেলা অবশ্য , জান্নাত রাগ ভুলে যায় । জয়কে বলে “ কিরে তুই যে দুনিয়া উল্টে এলি পার্টি দিবি না?”
“ দেবো , কিন্তু সেই পার্টিতে বাচ্চা এলাউড না” জয় স্বভাব সুলভ চিকি টোনে বলল ।
“ তুই কাকে বাচ্চা বলছিস?” জান্নাত চোখ সরু করে জিজ্ঞাস করলো
“ এই নে টাকা , বান্ধবিদের সাথে খেয়ে নিস, আমার পার্টিতে সুধু বিশেষ লোকজন থাকবে” জয় পকেট থেকে দুই হাজার টাকা বের করে দিয়ে দেয় ।
জান্নাত অপমানিত বোধ করলেও টাকা নেয়া থেকে বিরত থাকে না । ভাবে এই ওভার এক্টিং করা হিরোর কাছ থেকে যত নেয়া যায় ততই ভালো । টাকা পেয়ে একটু খুশিই হয় । বলে “ কে তোর বিশেষ মানুষ”
“কে আবার আমার ভাই রাজীব”
“ ধুর দুইজনে পার্টি হয় নাকি” জান্নাত নাক সিটকায়
“ হয় হয় মানুষের মত মানুষ দুইজন হলেই হয়” জয় নাটকিয় ভঙ্গিতে বলে
“ কই আমি ত সুধু একজন মানুষ দেখতে পাচ্ছি সেটা হচ্ছে রাজীব , আর তুই তো একটা উল্লুক” বলে জান্নাত আর দাড়ায় না , দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে যায় ,যাওয়ার সময় জয়ের টেবিলে একটা চকলেট বাড় রেখে যায়। জয়ের পাশ উপলক্ষে কিনে এনেছিলো ।
জয় জান্নাত কে ধাওয়া করতে গিয়েও থেমে যায় । টেবিলের উপর থেকে চকলেট বারটি হাতে নেয় , ওর ঠোঁটে একটা উষ্ণ হাসি ফুটে ওঠে । ছোট্ট একটা চকোলেট বার যে মুখে না বলা আদর মায়া মমতার কথা গুলো নিরবে প্রকাশ করতে পারে সেটা জয়ের আগে জানা ছিলো না । sisters are different , ঘরে মায়া মমতার পরিবেশ সৃষ্টি করায় ওদের চেয়ে পারঙ্গম সুধু মা ই হতে পারে, জয় মনে মনে ভাবে।
*****
এদিকে জয়ের বাড়ির পরিবেশ একেবারে ভিন্ন , ছেলের রেজাল্ট শুনে জয়নাল চৌধুরীর খুশিতে হার্ট এটাক হওয়ার জোগাড়। জয়নাল নিশ্চিত ছিলো জয় ফেইল করবে । কিন্তু এতো ভালো রেজাল্ট করবে সেটা কোনদিন ভাবেনি । আনন্দে জয়নালের চোখে পানি চলে আসে , পাশে বসা স্ত্রী আয়শার দিকে তাকিয়ে বলে , “ আয়শা আমি আর কোনদিন তোমার ছেলেকে উল্টা পাল্টা কিছু বলবো না , যদি বলি তুমি এই ফুলের ভাস টা দিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিবে”
স্বামীর কথা শুনে স্ত্রী হেসে কুটিকুটী হয় , বলে “ এতো আবার ছাড় দিয়ো না , আবার উছন্নে যাবে”
জান্নাত দূরে দাড়িয়ে ওর বাবা মায়ের এই নাটক দেখছিলো , ওর মাথায় আগুন জলছে , এই তো কিছুদিন আগে ওর মাধ্যমিকের রেজাল্ট হলো জয়ের চেয়ে অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে ও , কিন্তু সেদিন ওর বাবা মায়ের এমন ঢং দেখনি , তখন ওদের ভাব এমন ছিলো যে এটা কোন ব্যাপার ই না । এটা হওয়াই তো স্বাভাবিক , না হলেই বরং দুনিয়া উল্টে জেতো । আর এখন ছেলে সাদামাটা রেজাল্ট করেছে , কিন্তু ওদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে নাসার বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছে ।
“ তোমাদের ছেলে নিশ্চয়ই নকল করে পাশ করেছে আমি নিশ্চিত”
জান্নতের কথা শেষ হওয়ার আগেই জয়ের আগমন হয় , সার্টের কলার উঠিয়ে জয়নালের পাশে ধপ করে বসে পরে , তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে “ আম্মু তুমি জানো যারা অন্য কারো ভালো সহ্য করতে পারে না তাদের কি বলে?” এক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে মায়ের উত্তরের অপেক্ষা না করেই জয় নিজেই উত্তর দেয় , “ তাদের হিংসুটে বলে , আর হিংসুটেদের ওয়ার্ল্ড কাপ হলে আমাদের ঘর ট্রফি দিয়ে ভরে জেতো হা হা হা”
আয়শা ছেলের পায়ে একটা থাপ্পড় মেরে কপট রাগ দেখায় , কিন্তু জয় থামতেই চায় না ।
এদিকে জান্নাত তেড়ে আসে জয় কে মারার জন্য । সেটা দেখে জয় উঠে দৌর লাগায় আর উচ্চ স্বরে বলতে থাকে “ দেখেছো আম্মু আমি বলেছি না , আমাদে বাড়িতে ট্রফি রাখার যায়গা হতো না , পাশের বাড়ি ধার করতে হতো”
ছেলে মেয়ের কান্ড দেখে জয়নাল আর আয়শা হাসতে থাকে ।
জান্নাত জয় কে ধরতে না পেরে আরো বেশি রেগে যায় , রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বাবা মায়ের উদ্দেশ্যে বলে “ আমি তো A প্লাস পেয়েছিলাম কই তখন তো তোমাদের এমন হা হা হি হি দেখি নি , ছেলে একদম নাসার বিজ্ঞানী হয়ে এসছে এমন ভাব করছো”
“ আরে না রে মা , তুই আমার ভালো লক্ষি মেয়ে , তাই আমরা জানতাম তুই ভালো করবি , কিন্তু ওই উল্লুক টা যে পাশ করবে সেই আশাই ছিলো না , তাই একটু বেশি রিয়েক্টঁ করে ফেলেছি , তোর আর জয়ের দুজনের সাফল্য ই আমাদের জন্য গর্বের” বলে জয়নাল রাগে ফুঁসতে থাকা জান্নাতের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় ।
বিকেল বেলা অবশ্য , জান্নাত রাগ ভুলে যায় । জয়কে বলে “ কিরে তুই যে দুনিয়া উল্টে এলি পার্টি দিবি না?”
“ দেবো , কিন্তু সেই পার্টিতে বাচ্চা এলাউড না” জয় স্বভাব সুলভ চিকি টোনে বলল ।
“ তুই কাকে বাচ্চা বলছিস?” জান্নাত চোখ সরু করে জিজ্ঞাস করলো
“ এই নে টাকা , বান্ধবিদের সাথে খেয়ে নিস, আমার পার্টিতে সুধু বিশেষ লোকজন থাকবে” জয় পকেট থেকে দুই হাজার টাকা বের করে দিয়ে দেয় ।
জান্নাত অপমানিত বোধ করলেও টাকা নেয়া থেকে বিরত থাকে না । ভাবে এই ওভার এক্টিং করা হিরোর কাছ থেকে যত নেয়া যায় ততই ভালো । টাকা পেয়ে একটু খুশিই হয় । বলে “ কে তোর বিশেষ মানুষ”
“কে আবার আমার ভাই রাজীব”
“ ধুর দুইজনে পার্টি হয় নাকি” জান্নাত নাক সিটকায়
“ হয় হয় মানুষের মত মানুষ দুইজন হলেই হয়” জয় নাটকিয় ভঙ্গিতে বলে
“ কই আমি ত সুধু একজন মানুষ দেখতে পাচ্ছি সেটা হচ্ছে রাজীব , আর তুই তো একটা উল্লুক” বলে জান্নাত আর দাড়ায় না , দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে যায় ,যাওয়ার সময় জয়ের টেবিলে একটা চকলেট বাড় রেখে যায়। জয়ের পাশ উপলক্ষে কিনে এনেছিলো ।
জয় জান্নাত কে ধাওয়া করতে গিয়েও থেমে যায় । টেবিলের উপর থেকে চকলেট বারটি হাতে নেয় , ওর ঠোঁটে একটা উষ্ণ হাসি ফুটে ওঠে । ছোট্ট একটা চকোলেট বার যে মুখে না বলা আদর মায়া মমতার কথা গুলো নিরবে প্রকাশ করতে পারে সেটা জয়ের আগে জানা ছিলো না । sisters are different , ঘরে মায়া মমতার পরিবেশ সৃষ্টি করায় ওদের চেয়ে পারঙ্গম সুধু মা ই হতে পারে, জয় মনে মনে ভাবে।
*****
কেউ কথা রাখে না
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)