25-07-2025, 10:43 PM
(This post was last modified: 24-08-2025, 11:56 AM by মাগিখোর. Edited 14 times in total. Edited 14 times in total.)
ইনডেক্স
বিধিসম্মত_সতর্কীকরণ
সিঁধ_কাটা
প্রোজেক্ট_ডি-ফ্লাওয়ার
প্ল্যান_এক্সিকিউশন
বিস্ফোরণ
মন্দারমণির_দ্বিতীয়_দিন
মন্দারমণির_বাকি_সময়
পাঁচ_বছর_পরে_পুনে_শহরে
অমলেন্দুর_কৈশোর
আমার_কাছেই_থাকুক
প্রথম_নারী_শরীর
অবাধ_শরীর_খেলা
সলতে_পাকানো
রমেনকে_উৎসর্গ
চতুরঙ্গ
বিধিসম্মত_সতর্কীকরণ
সিঁধ_কাটা
প্রোজেক্ট_ডি-ফ্লাওয়ার
প্ল্যান_এক্সিকিউশন
বিস্ফোরণ
মন্দারমণির_দ্বিতীয়_দিন
মন্দারমণির_বাকি_সময়
পাঁচ_বছর_পরে_পুনে_শহরে
অমলেন্দুর_কৈশোর
আমার_কাছেই_থাকুক
প্রথম_নারী_শরীর
অবাধ_শরীর_খেলা
সলতে_পাকানো
রমেনকে_উৎসর্গ
চতুরঙ্গ
~:প্রস্তাবনা:~
রাই কিশোরী, কিশোরী তো নয়ই; তরুণী না রমণী কি বলে পরিচয় দেবো, জানিনা। জেন জেড কিডস; এদের ভাবনা চিন্তাই আলাদা লেভেলের। মাধ্যমিকের পঠনপাঠন চলাকালীন প্রেমে পড়লো এক তরুণ আই.পি.এস. অফিসারের। কাকতালীয়ভাবে ভদ্রলোকের নাম ওর ভাইয়ের নামের সঙ্গে এক, যুধাজিৎ; অবশ্য বাঙালি নয়, অল ইন্ডিয়া ক্যাডারের, পুরো নাম যুধাজিৎ সিংহ। প্রথম দেখাতেই, যুধাজিতের ওপরে রাই পুরোপুরি 'লাট্টু'। একটা ছোট স্বার্থ চিন্তাও ছিলো ভেতরে ভেতরে। এই মাপের এক পুলিশ অফিসারের প্রেমে পড়লে; লোকাল শকুন শিয়ালদের থেকে নিরাপদ থাকা যাবে। এই ভেবে রাই টার্গেট করলো নিজের চাইতে ডবল বয়েসী পুলিশ অফিসারকে। স্যারের থানায় ঢোকার টাইমটা-কেই চয়েস করলো রাই।
বইখাতার ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে, ভয় পাওয়ার ভান করে গলি থেকে দৌড়ে বেরিয়ে অফিসারের বাইকের সামনে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লো রাই। বাইকটা দাঁড়িয়ে যেতেই, উঠে দাঁড়িয়ে অফিসারের হাতটা চেপে ধরলো, " স্যার স্যার! ওরা তাড়া করেছে আমাকে।" — "ওঠো বাইকে।" — বলেই গলির দিকে বাইক ঘোরালো যুধাজিৎ স্যার। বাইকের পেছনে বসে পুরো গলিটা চক্কর কাটালো রাই। তারপর, দাঁত বার করে বললো, "স্যার ওরা মনে হয় আপনার বাইকের আওয়াজে পালিয়ে গেছে। আমাকে একটু বাড়িতে পৌঁছে দেবেন?"
ভদ্রতার খাতিরে, রাইকে বাড়ি পৌঁছে দিলো যুধাজিৎ। রাইয়ের বায়নায় এক কাপ চা খেয়ে রাইয়ের মা-কে আস্বস্ত করে গেলো অফিসার যে উনি নিজেও রাইয়ের খেয়াল রাখবেন। এর পরে রাই, রাস্তায় যেখানেই দেখা পেতো; দাঁড় করিয়ে কিছু না কিছু কথা বলতো। বন্ধু মহলে প্রচার করে দিলো, যুধাজিৎ স্যার ওর বয়ফ্রেন্ড। ছেলে বন্ধুরা সাইড হয়ে গেলো। আর, মেয়ে বন্ধুরা অনেকে বলতে শুরু করলো, "আরে, উনি তো তোর ডবল বয়েসী।" — "স্যার এক্সপেরিয়েন্সড। ওনাদের ছোট বেলাতেই বিয়ে হয়ে যায়। আনকোরা কারোর কাছে সিল কাটানোর চেয়ে এক্সপেরিয়েন্সড লোকই ভালো। কেয়ার নিয়ে করবে। কোনো বিপদ হলে পালিয়ে যাবে না।" — রাইয়ের সপাট উত্তরে মুখ চুন হয়ে যেতো বন্ধুদের।
স্যারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে প্রাইভেট পড়ার জায়গাগুলোতে অ্যাডভান্টেজ নিতে শুরু করলো। টিউশনের টাকা দেবার সময় এলেই টিউটরকে বলতো, "স্যার, খরচা করে ফেলেছি। যুধাজিৎ স্যারের কাছ থেকে চেয়ে আপনাকে দিয়ে দেবো।" — টিউটর বাধ্য হয়ে বলতো, " না না! এইটুকুর জন্য আর স্যারকে বলতে হবে না।" — এই করে টিউশনির পুরো টাকাটাই নিজের পার্সে ভরতো রাই। স্যারের সঙ্গে গিয়ে লোকাল ক্যারাটে ক্লাসেও ফ্রি-তে ভর্তি হয়ে গেলো।