05-07-2025, 03:46 PM
এই পর্যন্ত যা যা হলো
১. আবীরের কালো জাদুর শুরু
দূরের এক গ্রামে আবীর মুখোপাধ্যায় নামের এক পুরোহিত গোপনে কামনার কালো জাদু চর্চা শুরু করে। এই জাদুর জন্য নিষিদ্ধ যৌনতার প্রয়োজন হয়। আবীর তার জাদু পরীক্ষা করতে গ্রামের কিছু মানুষের উপর এটি প্রয়োগ করে এবং তাদের সাথে নিষিদ্ধ যৌনতায় লিপ্ত হয়। যখন সে বুঝতে পারে তার জাদু ঠিকভাবে কাজ করছে, তখন সে কয়েকজন মানুষকে একটি জঙ্গলের ডাকবাংলোতে নিয়ে যায়। সেখানে সে তার কামনার কালো জাদু প্রয়োগ করে সবার মধ্যে নিষিদ্ধ কামনা জাগিয়ে তাদের সাথে নোংরা যৌনতায় লিপ্ত হয় এবং পরে সবাইকে খুন করে নিজ গ্রামে ফিরে আসে।
২. কালুর জাদু এবং আবীরের হিংস্রতা
জঙ্গলের ডাকবাংলোতে আবীরের কালো জাদু ছাড়াও কালু নামের আরেকজনের কালো জাদু কাজ করছিল। কালুর জাদুর প্রভাবে আবীরের মধ্যে এক অজানা হিংস্রতা জাগে, যার ফলে সে নিষিদ্ধ যৌনতার পাশাপাশি একে একে সবাইকে খুন করে। প্রতিটি খুনের পর আবীর অনুভব করে তার ক্ষমতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে, যা শুধু যৌনতার মাধ্যমে সম্ভব ছিল না। কিন্তু একপর্যায়ে আবীরের মনে অনুশোচনা জাগে, এবং সে বাংলো থেকে পালাতে চায়। কিন্তু কালুর জাদুর কারণে জঙ্গলে কোনো রাস্তা খুঁজে পায় না, কারণ কালু জাদু করে রেখেছিল যেন কেউ পালাতে না পারে।
কালু যখন বাংলোতে পৌঁছে, তখন দেখে খুনগুলো ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। বাংলোতে মাত্র দুইজন মেয়ে এবং একজন ছেলে বেঁচে আছে, যে জঙ্গলে পথ হারিয়ে ঘুরছে। কালু রিস্ক না নিয়ে আবীরকে মুক্ত করে একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়। কিন্তু রাতে যখন কালু তাদের খুন করতে ফিরে আসে, তখন দেখে অন্য কেউ আবার খুন করে ফেলেছে। কালু বুঝতে পারে এটা আবীরের কাজ। আবীরের জাদুর প্রভাবে কালুও নিষিদ্ধ যৌনতায় লিপ্ত হয় এবং আবীরের কিছু ক্ষমতা নিজের মধ্যে অনুভব করে। এরপর আবীর ও কালুর মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
৩. কামিনীর পুনর্জন্ম
আবীর তার গ্রামে ফিরে কামিনী নামের এক মেয়ের সাথে প্রেম শুরু করে। পরে সে তাকে জমিদার বাড়িতে নিয়ে এসে খুন করে। কিছুদিন পর সেই জমিদার বাড়ির ধ্বংসস্তূপে কামিনী কালো কুয়াশার ছায়া হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করে। এই কামিনী ভয়ানক ও কামুক, যে কাউকে তার কামনার ফাঁদে ফেলে তাদের সাথে নিষিদ্ধ যৌনতায় লিপ্ত হয় এবং খুন করে।
৪. রুদ্রনাথের আগমন
আবীর তার রূপ পরিবর্তন করে রুদ্রনাথ নামে এক তান্ত্রিক সেজে জমিদার বাড়িতে আসে, কথিতভাবে কামিনীকে ধ্বংস করতে। কামিনী, রুদ্রনাথের ছদ্মবেশে আবীরকে চিনতে পারে না। কামিনী তাকে তার কামনার ফাঁদে ফেলে এবং তারা ভৌতিক যৌন মিলনে লিপ্ত হয়। এই মিলনের ফলে আবীরের ক্ষমতা নতুন মাত্রায় পৌঁছে যায়। আবীর বাইরে দেখায় যে সে কামিনীকে ধ্বংস করতে চায়, কিন্তু গোপনে তার সাথে ভৌতিক যৌনতা চালিয়ে যায় এবং কামিনীর ফাঁদে পড়া অন্যদের সাথেও যৌন সম্পর্কে জড়ায়।
রুদ্রনাথের (আবীর) প্রভাবে কামিনীর স্বভাবে পরিবর্তন আসে। সে আর মানুষ খুন করে না, শুধু কামনার ফাঁদে ফেলে। এর ধারাবাহিকতায় মালতি নামের একজন কামিনীর প্রতি আকৃষ্ট হয়।
৫. অমিত-সুজাতা ও রানার ঘটনা
শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে আসা অমিত ও সুজাতা নামের এক দম্পতি কামিনীর কামনার ফাঁদে পড়ে তার শিকার হয়। তাদের সন্তান রানা রাতে একটি অদ্ভুত পোর্টালে হারিয়ে যায়। যখন রানা ফিরে আসে, তখন সে আর শিশু নয়, একজন যুবক। তার পোশাক ও অস্ত্র দেখে মনে হয় সে কোনো ফিউচারিস্টিক জগৎ থেকে এসেছে। ফিরে আসার পর রানা কামিনীকে কালো কুয়াশা থেকে মুক্ত করে এবং রুদ্রনাথকে (আবীর) বন্দী করে।
রানা কোথায় ছিল? সে কীভাবে কামিনী ও রুদ্রনাথের রহস্য জানল? তার এই অদ্ভুত শক্তি ও জ্ঞানের উৎস কী? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পরবর্তীতে বিস্তারিতভাবে বলা হবে।
কীভাবে কামিনী কালো কুয়াশার রূপে ফিরে এল? তার পুনর্জন্মের পেছনে কোন শক্তি কাজ করছে? এই ঘটনার বিস্তারিত পরবর্তীতে বলা হবে।
আবীরের চূড়ান্ত পরিকল্পনা কী? তার ক্ষমতা কতদূর পৌঁছাবে? সে কী ধরনের অতিপ্রাকৃত শক্তির অধিকারী হবে? এই ঘটনাগুলোর বিস্তারিত পরবর্তীতে বলা হবে।
কালু কে? তার কালো জাদুর প্রকৃতি কী? তার রহস্যময় উদ্দেশ্য কী? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পরবর্তীতে বিস্তারিতভাবে বলা হবে।