11-06-2025, 08:17 PM
মা আমাকে খেতে দিতে দিতে বলল কিরে সুমির সাথে তোর দেখা হয়েছে আজকে। আমি না অফিস যাওয়ার সময় দেখেছি ওর মা নিয়ে যাচ্ছে সাথে করে তাই আর জাইনাই।
মা ভালো করেছিস দিক না মেয়ের বিয়ে। একদম ওদের দিকে তাকাবিনা।
আমি তুমি পাগল আমার মান সম্মান আছেনা। ওদের দেখে আমি অন্য রাস্তা দিয়ে চলে গেছি মা কি ভাবো আমাকে। মা ঠিক কাজ করেছিস। আচ্ছা বলে মা বলল ওর কিছু জামা কাপড় আছে এখানে আর বই সে তো নিয়ে গেলনা। তুই যা কিনে দিয়েছিস সেও নেয়নি। আমি দেখ যদি লাগে এসে নিয়ে যাবে তুমি দিতে যাবেনা।
মা না না এইঘরে একথা বলে ওই ঘরে গিয়েই কেমন উল্টো কথা বলল তোকে কি বলব। আমিও আর ও বাড়ি যাবনা। মেয়েটা ভালো ছিলরে আর ভালো রেজাল্ট করতে পারবেনা, মেয়েটাকে শেষ করে দেবে ওর মা।
আমি ওদের মেয়ে তোমার জন্য আমি অনেক করেছি ওদের জন্য আর না মা এবার ওদের কথা বাদ দিয়ে আমাদের কথা হবে। আজকে রাতেও আমার যে ঘুম আসেনা কি করছে সুমি যা হোক পড়াশুনা যেন করে। এইসব ভেবে আর কি করব। এভাবে প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেল আমাদের কোন যোগাযোগ নেই। ওর কলেজের সামনে দিয়ে আমি আর যাই না। সেদিন ছিল রবিবার মানে পুরো এক সপ্তাহ সুমিকে দেখিনা। মা আর আমি বসে আছি এমন সময় একটা বাচ্চা মেয়ে এল এসে মাকে ডাকল ও ঠাম্মি ঠাম্মি।
মা কে রে ও তুই বল কি হয়েছে। মেয়েটা বলল সুমি দিদির জামাকাপড় আর বই দিতে বলেছে। এই দাড়া আমি এনে দিচ্ছি বলে মা ঘরের ভেতরে চলে গেল। ফাকে মেয়েটা আমাকে একটা চিঠি হাতে দিল। আর আবার গিয়ে দাঁড়ালো। মা সুমির জামাকাপড়, আর বই এনে দিল। ওর হাতে আর বলল কে পাঠিয়েছে সুমি না ওর মা। মেয়েটা বলল সুমি দিদি কিন্তু অর মা রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। মা আচ্ছা এই নে নিয়ে গিয়ে দিয়ে দে। এই বলতে মেয়েটা চলে গেল।
মা বল্ল দেখেছিস এত কিছু দিলাম আজকে আর আস্তেও পারল না একটা বাচ্চা মেয়ে দিয়ে পাঠালো নেমক হারাম মহিলা একটা।
আমি যাক সব দিয়ে দিয়েছ তো। মা হ্যা কি রাখব আর ওকে যা দিয়েছিস সব দিয়ে দিয়েছি। আমি ভালো করেছে। মা আমি এবার একটু ঘুমাবো বলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলাম।মনের মধ্যে যে কি উৎকণ্ঠা আমার সে মাকে বুঝতে দেইনি। দরজা বন্ধ করে জানলা খুলে পকেট থেকে সুমির চিঠি তা বের করলাম। হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখে বুঝলাম এটা তো অনেক আগের লেখা মনে হয় কারন কাগজ দেখে তাই মনে হল কিন্তু ভাবতে লাগলাম খুলবো কি খুলবো না। কি লেখা আছে ওকে মনে হয় খুব চাপে রেখেছে ওর মা, নাকি আমাকে লিখেছে আমাকে ভুলে যাও এমন অনেক কিছু ভেবে না থাক খুলবো না যা লেখা থাকে থাক আবার ভাবলাম না দেখি, যা লিখে দেখে কোন উত্তর না দিলেই হল চেষ্টা করতে হবে ভুলে যাওয়ার, হাজার চিন্তা কি করবে। দেখলে কি ভালো হবে না মন্ধ হবে কি হবে কেন লিখ আমাকে গত এক সপ্তাহে একবারের জন্য দেখা করার চেষ্টা করল না কতটুকু রাস্তা মাকে ফাকি দিয়ে তো আসা যেত, না যখন আসলো না আমি দেখবো না ওর চিঠি যা লেখা থাকে থাকুক, এইসব ভাবছি আর হাতের মধ্যে চিঠিটা। না দেখেই ফেলি না হলে আবার হিতে বিপরীত হবে। ঠাকুরকে আমি ডাকিনা কারন জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছি দেখেছি মায়ের কঠোর পরিশ্রম করা তাই আমার ভগবাঙ্কে ডাক্তে ইচ্ছে করেনা তবে কেন দিল উনি আমার মাকে কষ্ট, তারপর যা হোক একটা ভালো দিকে যাচ্ছিলাম, সুমিকে যদি পেতাম আমার থেকে মা বেশী খুশি হত কারন সে যে ছিল মায়ের প্রিয় পাত্র। এই কয়দিনে মায়ের মুখেও হাসি নেই, আমি তো অফিস করি কাজে থাকি। মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছে এইসব ভাবতে ভাবতে না দেখি তো কি লিখেছে এই বলে বালিশের উপর বুক দিয়ে সামনে নিয়ে চিঠিটা খুলাম। কি লেখা পড়ে দেখি।
মা ভালো করেছিস দিক না মেয়ের বিয়ে। একদম ওদের দিকে তাকাবিনা।
আমি তুমি পাগল আমার মান সম্মান আছেনা। ওদের দেখে আমি অন্য রাস্তা দিয়ে চলে গেছি মা কি ভাবো আমাকে। মা ঠিক কাজ করেছিস। আচ্ছা বলে মা বলল ওর কিছু জামা কাপড় আছে এখানে আর বই সে তো নিয়ে গেলনা। তুই যা কিনে দিয়েছিস সেও নেয়নি। আমি দেখ যদি লাগে এসে নিয়ে যাবে তুমি দিতে যাবেনা।
মা না না এইঘরে একথা বলে ওই ঘরে গিয়েই কেমন উল্টো কথা বলল তোকে কি বলব। আমিও আর ও বাড়ি যাবনা। মেয়েটা ভালো ছিলরে আর ভালো রেজাল্ট করতে পারবেনা, মেয়েটাকে শেষ করে দেবে ওর মা।
আমি ওদের মেয়ে তোমার জন্য আমি অনেক করেছি ওদের জন্য আর না মা এবার ওদের কথা বাদ দিয়ে আমাদের কথা হবে। আজকে রাতেও আমার যে ঘুম আসেনা কি করছে সুমি যা হোক পড়াশুনা যেন করে। এইসব ভেবে আর কি করব। এভাবে প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেল আমাদের কোন যোগাযোগ নেই। ওর কলেজের সামনে দিয়ে আমি আর যাই না। সেদিন ছিল রবিবার মানে পুরো এক সপ্তাহ সুমিকে দেখিনা। মা আর আমি বসে আছি এমন সময় একটা বাচ্চা মেয়ে এল এসে মাকে ডাকল ও ঠাম্মি ঠাম্মি।
মা কে রে ও তুই বল কি হয়েছে। মেয়েটা বলল সুমি দিদির জামাকাপড় আর বই দিতে বলেছে। এই দাড়া আমি এনে দিচ্ছি বলে মা ঘরের ভেতরে চলে গেল। ফাকে মেয়েটা আমাকে একটা চিঠি হাতে দিল। আর আবার গিয়ে দাঁড়ালো। মা সুমির জামাকাপড়, আর বই এনে দিল। ওর হাতে আর বলল কে পাঠিয়েছে সুমি না ওর মা। মেয়েটা বলল সুমি দিদি কিন্তু অর মা রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। মা আচ্ছা এই নে নিয়ে গিয়ে দিয়ে দে। এই বলতে মেয়েটা চলে গেল।
মা বল্ল দেখেছিস এত কিছু দিলাম আজকে আর আস্তেও পারল না একটা বাচ্চা মেয়ে দিয়ে পাঠালো নেমক হারাম মহিলা একটা।
আমি যাক সব দিয়ে দিয়েছ তো। মা হ্যা কি রাখব আর ওকে যা দিয়েছিস সব দিয়ে দিয়েছি। আমি ভালো করেছে। মা আমি এবার একটু ঘুমাবো বলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলাম।মনের মধ্যে যে কি উৎকণ্ঠা আমার সে মাকে বুঝতে দেইনি। দরজা বন্ধ করে জানলা খুলে পকেট থেকে সুমির চিঠি তা বের করলাম। হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখে বুঝলাম এটা তো অনেক আগের লেখা মনে হয় কারন কাগজ দেখে তাই মনে হল কিন্তু ভাবতে লাগলাম খুলবো কি খুলবো না। কি লেখা আছে ওকে মনে হয় খুব চাপে রেখেছে ওর মা, নাকি আমাকে লিখেছে আমাকে ভুলে যাও এমন অনেক কিছু ভেবে না থাক খুলবো না যা লেখা থাকে থাক আবার ভাবলাম না দেখি, যা লিখে দেখে কোন উত্তর না দিলেই হল চেষ্টা করতে হবে ভুলে যাওয়ার, হাজার চিন্তা কি করবে। দেখলে কি ভালো হবে না মন্ধ হবে কি হবে কেন লিখ আমাকে গত এক সপ্তাহে একবারের জন্য দেখা করার চেষ্টা করল না কতটুকু রাস্তা মাকে ফাকি দিয়ে তো আসা যেত, না যখন আসলো না আমি দেখবো না ওর চিঠি যা লেখা থাকে থাকুক, এইসব ভাবছি আর হাতের মধ্যে চিঠিটা। না দেখেই ফেলি না হলে আবার হিতে বিপরীত হবে। ঠাকুরকে আমি ডাকিনা কারন জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছি দেখেছি মায়ের কঠোর পরিশ্রম করা তাই আমার ভগবাঙ্কে ডাক্তে ইচ্ছে করেনা তবে কেন দিল উনি আমার মাকে কষ্ট, তারপর যা হোক একটা ভালো দিকে যাচ্ছিলাম, সুমিকে যদি পেতাম আমার থেকে মা বেশী খুশি হত কারন সে যে ছিল মায়ের প্রিয় পাত্র। এই কয়দিনে মায়ের মুখেও হাসি নেই, আমি তো অফিস করি কাজে থাকি। মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছে এইসব ভাবতে ভাবতে না দেখি তো কি লিখেছে এই বলে বালিশের উপর বুক দিয়ে সামনে নিয়ে চিঠিটা খুলাম। কি লেখা পড়ে দেখি।
মা যে আমার অন্তরাত্মা
