21-05-2025, 09:15 PM
(21-05-2025, 07:25 PM)prataphali Wrote: ভাল বলেছেন। আপনার কথা কিছুটা গ্রহণীয়। বাকিটা বোধহয় নয়।
ভালবাসা কেউ জানেনা। ভালবাসা শেখে। গন্ধর্ব সৌরসেন তার প্রেয়সী মধুশ্রী কে ভালবাসত। তাই তার মন আনমনা ছিল বিরহে। শাপভ্রষ্ট হয়ে মর্তে জন্ম নিয়ে দুঃখ পেয়ে, পরস্পরকে দুঃখ দিয়ে তারা একটু শিখল। তাতেই শাপমোচন।
সৌমাভ নিজেকে ভালবাসল। তার নাম অহংকার। আমি আমি - অহং - করা। নিজেকে ভালবাসার গন্ডী থেকে বেরতে পারল না। তাই দেবদাস হয়ে গেল। কেন। তার অহং আহত হয়েছিল। আমাকে অপমান করা? নিজেকেই শাস্তি দিল। সেই শাস্তি দেওয়া নিজেকে ভালবাসাকে একটা ঠকানো নাম দিল। আমি ঈশিতাকে ভালবাসি। বুঝতেই পারল না অভাগা, ঈশিতাকে ভালবাসা একটা মুখোশ। আসলে অপমানকে ভুলতে পারেনি। তাই ঈশিতাকে শাস্তি দিতে চাইল সে। এটাকে ইমোশন্যাল ব্ল্যাকমেইল বলা যায়।
ভালবাসা কেউ জানেনা। ভালবাসা শেখে। শেখায় নিচু হতে হয়। বিনয়ী হতে হয়। শ্রদ্ধাবান হতে হয়। নিচু হয়ে ভালবাসা শিখতেই পারল না সে।
সে যে বারো বছরের বড় ঈশিতার থেকে - কখনও চিন্তা করেছে সে? বারো বছর আগে তার সমস্ত কর্মের জন্যে সে কি গর্বিত?
ভালবাসা মানে ক্ষমা, ভালবাসা মানে একটি নির্মাণ। তার জন্যে ধৈর্য লাগে, সহানুভূতি লাগে। সারাক্ষণ অপরের বিচার করলে ভালবাসা শেখা যায় না। ভালবাসা একটি চারাগাছ। তাকে যত্ন করতে হয়, জল, সার, রৌদ্র দিতে হয়। আগাছার উৎপাত হয়ে তা উৎপাটন করতে হয়। কীটদ্রংষ্ট হলে কীটনাশক দিতে হয়।
ভালবাসা দোকানে ক্রয়যোগ্য খেলনা নয়, যে ভাল না লাগলে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন খেলনা কেনা যায়।
অপূর্ব লিখেছেন তো! আপনার লেখার হাত খুব সুন্দর। লিখতে শুরু করুন।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)