21-05-2025, 07:25 PM
(21-05-2025, 11:12 AM)Mohomoy Wrote: এই গল্পের মূল চরিত্রই ঈশিতা।
সে নায়িকা এই গল্পের।
বাকী কোন নায়ক নেই। সৌমাভ তো নয়ই। বরং ও হচ্ছে মেইন ভিলেন। সাথে জয়তী, সুভদ্রা।
আসলে ধোঁকার এই জগতে সবাই স্বার্থপর,
ইগো এমনি এক জিনিস যেটার কারনে হয় নিজে ধ্বংস হয় নয়তো কাছের কেউ।
সৌমাভর অতিরিক্ত দেমাগ, অহংবোধ, নিজেকে অতিরিক্ত প্রাধান্য দেয়া, নিজেকে মহা মূল্যবান হিসাবে জাহির করার প্রবনতা ওকে অন্ধ করে দিয়েছিলো।
নি:সন্দেহে সৌমাভ স্বার্থপর।
ভালোবাসা পেতে হলে ভালোবাসতে জানতে হয়।
সৌমাভ তো ভালোবাসতেই জানতো না।
সৌমাভ, সুভদ্রা, জয়তী, গুঞ্জা ওরা সবাই একই গোয়ালের গরু।
আর কুট্টি মুট্টি.... ওদের আসলে দোষ দেয়া যায়না। বুঝতে শেখার পর থেকে ওরা দুই হতভাগ্য একদল চূড়ান্ত পর্যায়ের স্বার্থপর মানুষের মাঝে থেকে বড় হয়েছে। তাই ওরা প্রেম শেখেনি, ভালোবাসতে জানেনা।
মানুষ মাত্রেই ভুলের উর্ধ্বে নয়। একজন নৃশংস অপরাধীকেও যাবজ্জীবন সাজার পর ছেড়ে দেয়া হয়, কখনও সখনও খুনীও ক্ষমা পায়।
কিন্তু ঈশিতা পায়নি। কারন ওর ভাগ্য জুড়ে গিয়েছিলো সৌমাভ সরকার নামক একজন অতি নিচ আর ক্ষুদ্র মানসিকতা সম্পন্ন লোকের সাথে, যে কিনা ক্ষমা করতে জানে না। আর যে ক্ষমা করতে জানে না সে আর যাই হোক মানুষ নয় অন্তত।
ভাল বলেছেন। আপনার কথা কিছুটা গ্রহণীয়। বাকিটা বোধহয় নয়।
ভালবাসা কেউ জানেনা। ভালবাসা শেখে। গন্ধর্ব সৌরসেন তার প্রেয়সী মধুশ্রী কে ভালবাসত। তাই তার মন আনমনা ছিল বিরহে। শাপভ্রষ্ট হয়ে মর্তে জন্ম নিয়ে দুঃখ পেয়ে, পরস্পরকে দুঃখ দিয়ে তারা একটু শিখল। তাতেই শাপমোচন।
সৌমাভ নিজেকে ভালবাসল। তার নাম অহংকার। আমি আমি - অহং - করা। নিজেকে ভালবাসার গন্ডী থেকে বেরতে পারল না। তাই দেবদাস হয়ে গেল। কেন। তার অহং আহত হয়েছিল। আমাকে অপমান করা? নিজেকেই শাস্তি দিল। সেই শাস্তি দেওয়া নিজেকে ভালবাসাকে একটা ঠকানো নাম দিল। আমি ঈশিতাকে ভালবাসি। বুঝতেই পারল না অভাগা, ঈশিতাকে ভালবাসা একটা মুখোশ। আসলে অপমানকে ভুলতে পারেনি। তাই ঈশিতাকে শাস্তি দিতে চাইল সে। এটাকে ইমোশন্যাল ব্ল্যাকমেইল বলা যায়।
ভালবাসা কেউ জানেনা। ভালবাসা শেখে। শেখায় নিচু হতে হয়। বিনয়ী হতে হয়। শ্রদ্ধাবান হতে হয়। নিচু হয়ে ভালবাসা শিখতেই পারল না সে।
সে যে বারো বছরের বড় ঈশিতার থেকে - কখনও চিন্তা করেছে সে? বারো বছর আগে তার সমস্ত কর্মের জন্যে সে কি গর্বিত?
ভালবাসা মানে ক্ষমা, ভালবাসা মানে একটি নির্মাণ। তার জন্যে ধৈর্য লাগে, সহানুভূতি লাগে। সারাক্ষণ অপরের বিচার করলে ভালবাসা শেখা যায় না। ভালবাসা একটি চারাগাছ। তাকে যত্ন করতে হয়, জল, সার, রৌদ্র দিতে হয়। আগাছার উৎপাত হয়ে তা উৎপাটন করতে হয়। কীটদ্রংষ্ট হলে কীটনাশক দিতে হয়।
ভালবাসা দোকানে ক্রয়যোগ্য খেলনা নয়, যে ভাল না লাগলে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন খেলনা কেনা যায়।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)