16-05-2025, 01:26 PM
সুমি তোমার কি কিছু মনে নেই এইত তোমার গৃহ প্রবেশের বাজার করতে গিয়ে ঠাম্মি কিনে দিয়েছিল এইটা তো সেটা। আমি ও তাই মনে নেইরে। কেন ওইদিন পরেছিলাম মনে নেই তোমার। মনে থাকবে কি করে বন্ধুরা সব এসেছিল তুমি ছিলে ব্যাস্ত। আমি হায়রে একদম ঠিক কথা। ঠিক আছে আমি তোকে আরেকটা কিনে দেবো কিরে দিলে নিবি তো। সুমি তুমি দিলে হবেনা ঠাম্মির দিতে হবে তবে বাবা মা কিছু বল্বেনা, তুমি দিলেও বল্বেনা জানি তবুও। নাও এবার এসেগেছি প্রায় এখানে নামিয়ে দেবে নাকি কলেজ পর্যন্ত যাবে এটুকু হেটেও যেতে পারি। আমি না আমি যাই দেখি ১১ টার ট্রেন ধরব সমস্যা নেই শনিবার তো কালকে ছুটি কাজ কম আছে। সুমি দেখ পরে আমার দোষ দেবেনা কিন্তু। চল তাহলে। আমি হুম বsওজা কলেজের ভেতরে বাইক নিয়ে গেলাম এবং বাইক রেখে ওর সাথে ভেতরে গেলাম। যদিও মেয়েদের কলেজ তবে কেউ কিছু বলেনি সোজা অফিসে গিয়ে বলতে অর ফর্ম দিল আর আমি ফিলাপ করে দিলাম। জমা দেবো তখন টাকা লাগবে। সুমি বলল আমি এনেছি বলে ব্যাগ থেকে বের করতে গেল। আমি রাখ আমি দিচ্ছি বলে আমার থেকে দিয়ে দিলাম। সব রেডি করে কলেজ থেকে বের হলাম তখন সারে ১০ শ টা বাজে। আমি করে ক্লাস হবে তোর। সুমি না তবে আমি বাড়ি যাই তুমি চলে যাও ট্রেন ধরবেনা। আর তুমি টাকা দিলে কেন, ঠাম্মি আমাকে টাকা দিয়েছে বাবাকে বলিনি টাকা লাগবে বাবা দেবে কোথা থেকে। আমি ঠিক আছে কাউকে বলতে হবেনা তুই ওই দিয়ে একটা কিছু কিনে নিস। সুমি আর কত করবে তোমরা আমার জন্য হ্যা তুমি টাকা দিলে ঠাম্মি টাকা দিল এমনিতে কোন টাকা নাওনা এই ঋণ আমি শোধ করব কি করে। আমি বেশী পাকামো করতে হবেনা ওঠ আমি নামিয়ে দিয়ে যেতে পারবো। সুমি ভেবে দেখ আমি হেটে চলে যাবো ছাতা আছে ব্যাগে তুমি যাও অফিস লেট করনা। আমি আবার দেরী করে ওঠ বলছি। সুমী হুম বলে ঊঠে বসে পড়ল কলেজ ক্যাম্পাসের মধেই। অর বান্দবীরা বলল কিরে চলে যাচ্ছিস নাকি, এটা কি তোর বয়ফ্রেন্ড নাকি রে। সুমি দেখলে এইজন্য আমি উঠতে চাইনি। পরে কলেজে আসলে সবাই আমাকে ঝেকে ধরবে। কি বিপদে ফেললে তুমি। আমি কেন যা সত্যি তাই বলবি আমি তোর স্যার বলবে ওরা বুঝবে। এই বলে বের হয়ে এলাম। সুমি ঘোরার ডিম বুঝবে সবাই এইভাবে আসে তো আমিও এলাম, আমি এ কলেজের সবচাইতে গরীব আমার আবার বয়ফ্রেন্ড। তবূও ওরা বুঝবেনা আমাকে খ্যাপাবে বার বার। আমি কি আছে বলে দিবি হ্যা। সুমি দেখ আমি বামুন হয়ে চাঁদ ধরার স্বপ্ন দেখতে চাইনা। তুমি চলো আর কথা বলতে হবেনা আমাকে নামিয়ে দিয়ে যাও তুমি। আমি ধর ভালো করে আমি জোরে চালাই। বলে চালাতে শুরু করলাম। সুমি আমাকে জাপটে জরিয়ে ধরে উরি চুল সব এলোমেলো হয়ে গেল। সময় নেই আর তাই ইচ্ছে থাকলেও আর সময় দিতে পারলাম না। রাস্তার মুখে নামিয়ে দিলাম সোজা বাড়ি যাবি মায়ের সাথে দেখা করে তারপর বাড়ি যাবি। সুমি তুমি যাও বলতে হবেনা আমি তাই করব এখন আসেন কাকাবাবু। আমি তবেরে বলে চুল ধরে বললাম তোর হবে বাড়ি আসি। বলে চলে গেলাম ষ্টেশনে। বাইক রেখে ট্রেনে বসে পড়লাম। ৩০ মিনিট লাগবে যেতে, বসে ভাবলাম এতদিন পরিয়েছি কোনদিন এমন ফিলিংস হয়নি, আজকে যে সুমিকে ছারতে ইচ্ছে করছিল না। যাক সময় কম অফিসে গেলাম। টিফিন আওয়ারে তমাল আমাকে আবার বলল কিরে ভাই কি জেনেছিস কিছু। আমি না হবেনা ভাই অর কথা ভুলে যা ওসব হবেনা অজাথা আমাকে বিরক্ত করিস না। তোমার তাহলে আমার শ্বশুর তুই হবিনা। ওর নাম্বার আছে দিবি আমাকে। আমি পাগল একটা নুন আনতে পান্তা ফুরায় মোবাইল পাবে কই। ওদের বাড়িতেই মোবাইল নেই। অন্য মেয়ে দেখ ভাই এখানে কোন চান্স নেই। যাক অফিস্বর কাজ সেরে শনিবার বলে বেলা থাক্তেই বের হলাম। সোজা বাইক নিয়ে বাড়ি এলাম, সত্যি ভাবছিলাম সুমি থাকবে কিন্তু ওকে দেখলাম না। খেয়ে দেয়ে বল্লাম মা সুমি আসেনি এই প্রথম ওর খোঁজ নিলাম মায়ের কাছে।
মা নারে ওর বাবার হাত কেটে গেছে নিয়ে গেছে হাঁসপাতালে। অনেকটা কেটে গেছে তুই যাবি নাকি একটু মেয়েটা আর ওর মা গেছে বাবাকে নিয়ে। আমাদের ওই সামনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। দেখে মনে হল সেলাই লাগবে। একটু যা না।
মা নারে ওর বাবার হাত কেটে গেছে নিয়ে গেছে হাঁসপাতালে। অনেকটা কেটে গেছে তুই যাবি নাকি একটু মেয়েটা আর ওর মা গেছে বাবাকে নিয়ে। আমাদের ওই সামনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। দেখে মনে হল সেলাই লাগবে। একটু যা না।
মা যে আমার অন্তরাত্মা
