13-05-2025, 02:23 AM
(11-05-2025, 09:25 AM)kamonagolpo Wrote: তরঙ্গললিতার রূপসুধার শেষ নিবেদন সম্পূর্ণ হতেই কক্ষজুড়ে এক স্নিগ্ধ নীরবতা নেমে এলো, যেন স্তব্ধ বাতাসও রেশ ধরে রেখেছে সেই অনির্বচনীয় সৌন্দর্যের। সেনাপতি কুচমর্দন একটি ঘোষণা করলেন, যা সেই নিস্তব্ধতাকে ভেঙে দিলো আলতো করে: "এবার আমার চতুর্থ পত্নী মৃদুমঞ্জরী, ধ্বজগতিকে তার সর্বস্ব দেখাবে।"উঃ কি সাংঘাতিক বিবরণ!
মৃদুমঞ্জরী, নাম যার মৃদুতারই প্রতিচ্ছবি, পালঙ্কের সামনে এসে দাঁড়ালো এক ঝলক চাঁদের আলোর মতো। তার অধরে খেলা করছিলো এক মায়াবী হাসি, শরতের শিউলি ফুলের মতো কোমল। তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিলো সঙ্গীতের সুরের মতো ছন্দময়।
তারপর, সে একে একে নিজের পরিধেয় বস্ত্র ত্যাগ করতে শুরু করলো। প্রথম প্রস্ফুটিত পদ্মের পাপড়ির মতো আলতো হাতে খুলে ফেললো তার আবরণী, আর শুভ্র ত্বকের উপর থেকে সরে গেলো রেশমী বসনের পরত।
যেমন রাতের মেঘ সরে গেলে দেখা যায় উজ্জ্বল চাঁদ, ঠিক তেমনই তার সুঠাম দেহের প্রতিটি রেখা, প্রতিটি ভাঁজ, প্রতিটি স্পর্শকাতর স্থান অনাবৃত হতে থাকলো ধীর গতিতে। প্রতিটি বস্ত্রের পতন এক একটি সুরের মূর্ছনা তুলছিল, আর সেই সুরের তালে তালে উদ্ভাসিত হচ্ছিল এক অনিন্দ্যসুন্দর প্রতিমা – যা শুধু চোখের জন্য নয়, আত্মাকে স্পর্শ করার জন্যও যেন অপেক্ষা করছিল।