29-04-2025, 09:19 AM
পর্ব দুই:
কলেজ থেকে ফিরতে আজ একটু বেশিই দেরি হয়ে গেল। সমীর একেবারে নাছোড়বান্দা, শেষ পর্যন্ত জোর করেই ওর বাড়ি টেনে নিয়ে গেল। যদিও বাড়ি ফিরে দেখি মা তখনও ফেরেনি। যাক, মায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না ভেবে একটু শান্তি পেলাম। তাড়াতাড়ি বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। প্রায় ঘন্টাখানেক পর মায়ের আসার শব্দ শুনতে পেলাম।
ভাবছিলাম মাকে আজ আবার বাইকের কথাটা বলবো। সাহস করে ড্রইংরুমে এসে দেখি মা ফোনে কথা বলছে। কার সাথে কথা বলছে, তা আর জিজ্ঞেস করলাম না। নিজের ঘরে ফিরে এলাম। কিছু অ্যাসাইনমেন্টের কাজ বাকি ছিল, সেগুলো শেষ করলাম। তারপর মোবাইলে গেম খেলতে বসলাম। খেলতে খেলতে কখন যে দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেল খেয়ালই করিনি। আবার ড্রইংরুমে এলাম মায়ের সাথে কথা বলতে। এসে দেখি মা তখনও ফোনে কথা বলছে। বিরক্তি লাগলেও কিছু বললাম না। মাকে ডিনারের কথা জিজ্ঞেস করলাম। মা ইশারায় বুঝিয়ে দিলো একটু পরে খাবে। অগত্যা আবার নিজের ঘরে ফিরে এলাম।
পনেরো মিনিট পর মা ডাক দিলো ডিনার করার জন্য। খেতে বসে মাকে জিজ্ঞেস করলাম এতক্ষণ কার সাথে কথা বলছিলে। মা হেসে বললো, "আরে তোর শিখা আন্টির ফোন ছিল। ফোন করলে আর ছাড়তেই চায় না।" শিখা আন্টিকে আমি চিনি। মায়ের কলিগ, আমাদের বাড়িতেও এসেছেন কয়েকবার।
মাকে যখন বাইকের কথাটা বললাম, মা আগের মতোই দৃঢ়ভাবে না বলে দিলো। "না রিন্টু, কোনোভাবেই না।" রিন্টু আমার ডাকনাম। মা আর বাবা দুজনেই ঐ নামেই ডাকে। মায়ের এই একগুঁয়েমি আমার একদম ভালো লাগে না।
পরদিন সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। গতকাল রাতের অ্যাসাইনমেন্টের কিছু কাজ তখনও বাকি। তাড়াহুড়ো করে সমীরকে ফোন করলাম। ও কিছু পিডিএফ ফাইল পাঠালো। ফাইলগুলো ডাউনলোড করার সময় দেখি আমার ফোনের ব্যাটারি প্রায় শেষ। অগত্যা ফাইলগুলো মায়ের ফোনে ফরোয়ার্ড করে দিলাম। মা তখন রান্নাঘরে ব্রেকফাস্ট তৈরিতে ব্যস্ত। এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও বহুবার মায়ের ফোন ব্যবহার করেছি, তাই মা কিছু বললো না।
আধঘণ্টা পর সমীরকে মায়ের ফোন থেকে ফোন করতে গিয়ে মায়ের কল লিস্টে চোখ আটকে গেল। শেষ কলটা প্রকাশ আঙ্কেলের নম্বরে। শুধু তাই নয়, গত দু'দিনে শিখা আন্টির সাথে মায়ের ফোনে কোনো কথাই হয়নি। অথচ গতকাল প্রায় দু'ঘণ্টা প্রকাশ আঙ্কেলের সাথে মা কথা বলেছে। এমনকি তাদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা হয়, সেটাও কল লিস্টের দিকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায়।
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। মা তাহলে আমাকে মিথ্যে কথা বললো? কেন? শিখা আন্টির কথা বলার সময় এত জোর দিয়ে মিথ্যে বলার কী দরকার ছিল? আমার মাথায় হাজারটা প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করলো। এমন সময় মা রান্নাঘর থেকে ডাক দিলো ব্রেকফাস্টের জন্য। মায়ের ডাক শুনে আমার ভাবনার স্রোতে যেন সাময়িক ছেদ পড়লো। ব্রেকফাস্ট টেবিলে মায়ের মুখোমুখি বসেও আমার মনটা শান্ত হলো না। মায়ের মিথ্যে বলার কারণ কিছুতেই মাথায় আসছে না।
কলেজ থেকে ফিরতে আজ একটু বেশিই দেরি হয়ে গেল। সমীর একেবারে নাছোড়বান্দা, শেষ পর্যন্ত জোর করেই ওর বাড়ি টেনে নিয়ে গেল। যদিও বাড়ি ফিরে দেখি মা তখনও ফেরেনি। যাক, মায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না ভেবে একটু শান্তি পেলাম। তাড়াতাড়ি বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। প্রায় ঘন্টাখানেক পর মায়ের আসার শব্দ শুনতে পেলাম।
ভাবছিলাম মাকে আজ আবার বাইকের কথাটা বলবো। সাহস করে ড্রইংরুমে এসে দেখি মা ফোনে কথা বলছে। কার সাথে কথা বলছে, তা আর জিজ্ঞেস করলাম না। নিজের ঘরে ফিরে এলাম। কিছু অ্যাসাইনমেন্টের কাজ বাকি ছিল, সেগুলো শেষ করলাম। তারপর মোবাইলে গেম খেলতে বসলাম। খেলতে খেলতে কখন যে দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেল খেয়ালই করিনি। আবার ড্রইংরুমে এলাম মায়ের সাথে কথা বলতে। এসে দেখি মা তখনও ফোনে কথা বলছে। বিরক্তি লাগলেও কিছু বললাম না। মাকে ডিনারের কথা জিজ্ঞেস করলাম। মা ইশারায় বুঝিয়ে দিলো একটু পরে খাবে। অগত্যা আবার নিজের ঘরে ফিরে এলাম।
পনেরো মিনিট পর মা ডাক দিলো ডিনার করার জন্য। খেতে বসে মাকে জিজ্ঞেস করলাম এতক্ষণ কার সাথে কথা বলছিলে। মা হেসে বললো, "আরে তোর শিখা আন্টির ফোন ছিল। ফোন করলে আর ছাড়তেই চায় না।" শিখা আন্টিকে আমি চিনি। মায়ের কলিগ, আমাদের বাড়িতেও এসেছেন কয়েকবার।
মাকে যখন বাইকের কথাটা বললাম, মা আগের মতোই দৃঢ়ভাবে না বলে দিলো। "না রিন্টু, কোনোভাবেই না।" রিন্টু আমার ডাকনাম। মা আর বাবা দুজনেই ঐ নামেই ডাকে। মায়ের এই একগুঁয়েমি আমার একদম ভালো লাগে না।
পরদিন সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। গতকাল রাতের অ্যাসাইনমেন্টের কিছু কাজ তখনও বাকি। তাড়াহুড়ো করে সমীরকে ফোন করলাম। ও কিছু পিডিএফ ফাইল পাঠালো। ফাইলগুলো ডাউনলোড করার সময় দেখি আমার ফোনের ব্যাটারি প্রায় শেষ। অগত্যা ফাইলগুলো মায়ের ফোনে ফরোয়ার্ড করে দিলাম। মা তখন রান্নাঘরে ব্রেকফাস্ট তৈরিতে ব্যস্ত। এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও বহুবার মায়ের ফোন ব্যবহার করেছি, তাই মা কিছু বললো না।
আধঘণ্টা পর সমীরকে মায়ের ফোন থেকে ফোন করতে গিয়ে মায়ের কল লিস্টে চোখ আটকে গেল। শেষ কলটা প্রকাশ আঙ্কেলের নম্বরে। শুধু তাই নয়, গত দু'দিনে শিখা আন্টির সাথে মায়ের ফোনে কোনো কথাই হয়নি। অথচ গতকাল প্রায় দু'ঘণ্টা প্রকাশ আঙ্কেলের সাথে মা কথা বলেছে। এমনকি তাদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা হয়, সেটাও কল লিস্টের দিকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায়।
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। মা তাহলে আমাকে মিথ্যে কথা বললো? কেন? শিখা আন্টির কথা বলার সময় এত জোর দিয়ে মিথ্যে বলার কী দরকার ছিল? আমার মাথায় হাজারটা প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করলো। এমন সময় মা রান্নাঘর থেকে ডাক দিলো ব্রেকফাস্টের জন্য। মায়ের ডাক শুনে আমার ভাবনার স্রোতে যেন সাময়িক ছেদ পড়লো। ব্রেকফাস্ট টেবিলে মায়ের মুখোমুখি বসেও আমার মনটা শান্ত হলো না। মায়ের মিথ্যে বলার কারণ কিছুতেই মাথায় আসছে না।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)