22-04-2025, 01:20 PM
(This post was last modified: 24-04-2025, 11:55 AM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
অনেক রাতে অবধি পার্ক সার্কাস ক্রসিংয়ের ধারে রেস্তোরাগুলোতে ভিড় লেগেই থাকে। এর একটা কারণ হচ্ছে, আশেপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা সস্তার হোটেলগুলো। এগুলোতে মূলত চিকিৎসার প্রয়োজনে কলকাতায় আসা বাংলাদেশিরা থাকে। কাছেই রয়েছে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। কুড়ি বছর আগের পার্ক সার্কাসকে এখনকার পার্ক সার্কাসের সঙ্গে মেলানো মুশকিল। একটু এগিয়ে মল্লিক বাজারের কাছে এসে মূল রাস্তা থেকে ভিতরে এলে রিপন স্ট্রিট, বেডফোর্ড লেনের মতো ঘিঞ্জি এলাকাগুলো আজ চুপচাপ।
ফিরোজ খান নিজেও আজকে তাড়াতাড়ি সাতটার মধ্যে দোকান বন্ধ করে ঘরে ঢুকে পড়েছেন। শেষবার কবে এত তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করেছিলেন তার মনে পড়ছে না। কিন্তু, কিই বা করবেন, চারদিকে হাওয়া গরম। হাওয়ায় চারদিকে অনেকরকম উড়ো খবর ভাসছে। সেগুলোর কতটা সত্যি কেউ জানে না কিন্তু অচেনাতেই মানুষের ভয় বেশি।
কিন্তু, ডিনার শেষ করে যখন খান সাহেব আবিষ্কার করলেন ঘুমের ওষুধ ফুরিয়ে গেছে তখন বেজায় চটে গেলেও বাইরে বেরোনো ছাড়া তার আর কোন উপায় রইল না। এদিকে সব দোকান বন্ধ, অন্যদিন গলিটা লোকজনে ভর্তি থাকে, আজ সব শুনশান।
খান সাহেব মুখের রং করা দাড়িটায় একবার হাত বুলিয়ে নিলেন, তারপর গলি থেকে বেরিয়ে সোজা বড় রাস্তায় এসে মল্লিক বাজারের দিকে হাঁটতে আরম্ভ করলেন। অন্যসময় এই রাস্তা বেশ জনাকীর্ণ থাকে। রাস্তার উপর ঝাঁ চকচকে সব দোকানপাট, কিন্তু আজ সব বন্ধ। স্ট্রিট লাইটের আলোয় ছায়াগুলো লুকিয়ে পড়েছে। কিন্তু, সেই ঔজ্জ্বল্য দেখার জন্য কেউ নেই যে।
কিছুদূর এগোতে রাস্তার ধারে একটা কালো গাড়ি দেখতে পেলেন। তাতে হেলান দিয়ে একজন সিগারেট খাচ্ছে। কৌতূহল আর ঝামেলায় জড়াতে না চাওয়ার দ্বন্দ্বে যখন আহমেদ সাহেব ভুগছেন তখন লোকটিই নিজে এগিয়ে এসে তার সমাধান করল।
"সেলাম আলেইকুম জনাব।"
"আলেইকুম আসসালাম বেটা।"
"জনাব, ক্যায়া আপ সাজিদ কো জানতে হ্যায় ?"
"কউন সাজিদ ?" সাজিদ নামের লোক এ চত্বরে অন্তত পাঁচজন আছে।
"থোড়ি মদদ কর দিজিয়ে জনাব। আপ বুর্জুগ আদমি হ্যায়, ইস ইলাকে কো চাপ্পা চাপ্পা জানতে হ্যায়।" বলতে বলতেই গাড়ির মাঝের দরজা খুলে দেয় লোকটা। ভিতরে দুজন লোক বসে, একজনের হাতে একটা ছবি।
"ইস তসবির কা আদমি কো হাম ঢুন্ড রাহে হ্যায়। ক্যায়া আপ ইনহে পেহচানতে হ্যায় ?"
খান সাহেব খোলা দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন। ছবির ছেলেটাকে কোথাও আগে দেখেছেন বলে মনে করতে পারলেন না। আরও মনোযোগ দিয়ে ছবিটা দেখতে লাগলেন। যদি চিনতে পারেন।
এইসময় বাইরের লোকটা দিল এক ধাক্কা। খান সাহেব গিয়ে পড়লেন গাড়ির ভিতর। ভিতরে বসা লোকটা খান সাহেবের মুখের উপর একটা কাপড় চেপে ধরল। মিষ্টি একটা গন্ধ, ঘুম আসছে খান সাহেবের।
একটু পরে দেখা গেল একটা কালো গাড়ি দ্রুত গতিতে জগদীশ চন্দ্র বসু রোড ধরে মৌলালির দিকে চলে যাচ্ছে।
ফিরোজ খান নিজেও আজকে তাড়াতাড়ি সাতটার মধ্যে দোকান বন্ধ করে ঘরে ঢুকে পড়েছেন। শেষবার কবে এত তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করেছিলেন তার মনে পড়ছে না। কিন্তু, কিই বা করবেন, চারদিকে হাওয়া গরম। হাওয়ায় চারদিকে অনেকরকম উড়ো খবর ভাসছে। সেগুলোর কতটা সত্যি কেউ জানে না কিন্তু অচেনাতেই মানুষের ভয় বেশি।
কিন্তু, ডিনার শেষ করে যখন খান সাহেব আবিষ্কার করলেন ঘুমের ওষুধ ফুরিয়ে গেছে তখন বেজায় চটে গেলেও বাইরে বেরোনো ছাড়া তার আর কোন উপায় রইল না। এদিকে সব দোকান বন্ধ, অন্যদিন গলিটা লোকজনে ভর্তি থাকে, আজ সব শুনশান।
খান সাহেব মুখের রং করা দাড়িটায় একবার হাত বুলিয়ে নিলেন, তারপর গলি থেকে বেরিয়ে সোজা বড় রাস্তায় এসে মল্লিক বাজারের দিকে হাঁটতে আরম্ভ করলেন। অন্যসময় এই রাস্তা বেশ জনাকীর্ণ থাকে। রাস্তার উপর ঝাঁ চকচকে সব দোকানপাট, কিন্তু আজ সব বন্ধ। স্ট্রিট লাইটের আলোয় ছায়াগুলো লুকিয়ে পড়েছে। কিন্তু, সেই ঔজ্জ্বল্য দেখার জন্য কেউ নেই যে।
কিছুদূর এগোতে রাস্তার ধারে একটা কালো গাড়ি দেখতে পেলেন। তাতে হেলান দিয়ে একজন সিগারেট খাচ্ছে। কৌতূহল আর ঝামেলায় জড়াতে না চাওয়ার দ্বন্দ্বে যখন আহমেদ সাহেব ভুগছেন তখন লোকটিই নিজে এগিয়ে এসে তার সমাধান করল।
"সেলাম আলেইকুম জনাব।"
"আলেইকুম আসসালাম বেটা।"
"জনাব, ক্যায়া আপ সাজিদ কো জানতে হ্যায় ?"
"কউন সাজিদ ?" সাজিদ নামের লোক এ চত্বরে অন্তত পাঁচজন আছে।
"থোড়ি মদদ কর দিজিয়ে জনাব। আপ বুর্জুগ আদমি হ্যায়, ইস ইলাকে কো চাপ্পা চাপ্পা জানতে হ্যায়।" বলতে বলতেই গাড়ির মাঝের দরজা খুলে দেয় লোকটা। ভিতরে দুজন লোক বসে, একজনের হাতে একটা ছবি।
"ইস তসবির কা আদমি কো হাম ঢুন্ড রাহে হ্যায়। ক্যায়া আপ ইনহে পেহচানতে হ্যায় ?"
খান সাহেব খোলা দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন। ছবির ছেলেটাকে কোথাও আগে দেখেছেন বলে মনে করতে পারলেন না। আরও মনোযোগ দিয়ে ছবিটা দেখতে লাগলেন। যদি চিনতে পারেন।
এইসময় বাইরের লোকটা দিল এক ধাক্কা। খান সাহেব গিয়ে পড়লেন গাড়ির ভিতর। ভিতরে বসা লোকটা খান সাহেবের মুখের উপর একটা কাপড় চেপে ধরল। মিষ্টি একটা গন্ধ, ঘুম আসছে খান সাহেবের।
একটু পরে দেখা গেল একটা কালো গাড়ি দ্রুত গতিতে জগদীশ চন্দ্র বসু রোড ধরে মৌলালির দিকে চলে যাচ্ছে।