21-04-2025, 07:01 AM
✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪
"দ্য গ্রেট পাকু" সজলের ক্লাসের এক ব্যাক বেঞ্চার, প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী। সজলের চেয়ে বছর দুয়েকের বড়। সকাল সন্ধ্যা চা-য়ের দোকানে কাজ করার সুবাদে, একটু বেশিই পাকা। পিতৃদত্ত পরিচয় হারিয়ে "পাকু" নামেই পরিচিত। কতৃপক্ষের জাবেদা খাতার বাইরে, আসল নামটার অস্তিত্বই হারিয়ে গেছে।
শীলার এই আকস্মিক অন্তর্ধানে পর্যুদস্ত সজলের কৈশোর, আত্মসমর্পণ করলো পাকুর কাছে। মিড-ডে মিলের পরে, পেট ব্যাথার নাম করে বেরিয়ে এলো সজল; সঙ্গে সর্ব ঘটের কাঁঠালি কলা পাকু, বন্ধুকে বাড়ি পৌঁছে দেবার নাম করে। কারণ, সজলের পাড়াতেই পাকুর বাড়ি।
পাকু যে দোকানে কাজ করে, তার একটু পরেই সজলদের ফ্ল্যাট। দোকানের মালিকের নাম কাদের। ছ' ফুট লম্বা, হাট্টাকাট্টা জোয়ান। চওড়া বুক, বছর পঁয়ত্রিশের সবল মাংসপেশিতে দানবের মতো চেহারা। শ্যামলা রঙের কাদের দোকানে বসে ছিলো; পাকুকে দেখেই বললো, "এই ছ্যামড়া, কোথায় যাচ্ছিস রে? সঙ্গে এটা ক্যা?" পাকুর মুখে সজলের পরিচয় শুনে বললো, "ও! রেবতী ম্যাডামের ছেলে। আচ্ছা, তোরা এখানে একটু বস। আমার একটু কাজ আছে, সেরে আসি। মুন্নাকে কোল্ড ড্রিংস খাওয়া। দোকানটা ফাঁকা রাখা যাবে না। আমি ঘুরে আসি; তারপর, মুন্নাকে দিয়ে আসবি।" — কাদের নিজের কাজে চলে গেলো।
দুই বন্ধু মিলে ঠাণ্ডা খেতে খেতে, শীলার ব্যাপারটা পাকুকে খুলে বললো সজল। অবশ্যই সেদিন রাতের ঘটনা নয়; শীলার এই আকস্মিক অন্তর্ধানের ব্যাপারটা। চার/পাঁচ দিনের কথা শুনেই পাকু বলে উঠলো,
- - ৪/৫ দিন; বিছানায় শুয়ে আছে, ঘর থেকে বেরোয়নি; ও, বুঝেছি; নিঘ্যাত ঐ মাগীর মাসিক হয়্যেছে।
- - এইই, তুই কী বলছিস রে! মাগী, মাসিক এ সবের মানে কী? আমি তো কোনদিন শুনিনি!
- - ওঃ, থুড়ি থুড়ি। এগুলা খারাপ কথা, তোদেরকে বুলতে লাই। মানে — মানে তোর ঐ দিদিটার মাসিক হয়্যাছে। মাসিক মানে, মেয়্যারা বড় হই গেলে, উদের পেশ্চাপের জাগা থেকে মাসে মাসে রক্ত বার হয়; তারে মাসিক বলে। তখন খুব পেটব্যথা করে। বিছানা ছেড়ে উঠতেই লারে (পারে না)।
- - হুঁ, সেইজন্যই বোধহয় ঘর থেকে বেরোয়নি শিলুদি।
- - হঁ রে। ইয়ার পর দেইখবি, উয়ার দুদ, পোন্দ সব বড় বড় হই যাবেক। হের লেগেই, তুর মা কইছে (বলেছে), হুটপটাৎ উর ঘরকে ন জেতে।
- - একি কাদের ভাই আপনি? জলুকে কোথায় পেলেন? ওর তো এই সময়ে স্কু/লে থাকার কথা। — ছেলের হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নিতে নিতে বললেন।
- - ওর নাকি টিফিনের পর পেট ব্যাথা করছিলো, আমার দোকানের ছেলেটা, ঐ যে পাকু; ও সঙ্গে করে নিয়ে আসছিলো। ঘেমে গেছে দেখে, আমি দোকানে বসিয়ে ঠান্ডা জিরাপানি খাইয়ে দিয়েছি। বদহজম হলে কমে যাবে বলে; এখন একটু সুস্থ বলে, বাইকে করে আপনাকে দিয়ে গেলাম। — সজলের হাত ছেড়ে দিয়ে বললো কাদের।
- - কাদের ভাই আপনি আসুন, একটু শরবত খেয়ে যান। — দরজা ছেড়ে একটু সরে দাঁড়িয়ে বললো রেবতী।
দু'দিন ধরে সজলের বাবাকে বলছে; কিন্তু, তার কোনো হেলদোল নেই। অফিস থেকে আসছে, রাতের খাবার খাচ্ছে, ক্লান্ত বলে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ছে। বৌ মরলো কি বাঁচলো দেখার দরকার নেই। অন্য কোথাও মুখ মারছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। শীলার বাবাকেও দেখলাম, পার্টি থেকে ফিরে ঘুমিয়ে কাটালো।
কাদের ভাইয়ের ছ' ফুট লম্বা শরীর থেকে অদ্ভুত একটা কামুক ঝাঁজ ছড়িয়ে পড়ছে। ঠোঁট কামড়ে এক ঝলক কাদেরের চোখের দিকে তাকিয়েই, নামিয়ে নিলো। চোখ চলে গেলো কাদেরের দু' পায়ের ফাঁকে; বড়সড় একটা শিঙাড়া। মনে হচ্ছে বড় মাপের একটা অজগর লুকিয়ে আছে। নিজের দু' পায়ের ফাঁকে একটা অস্থিরতা, একটা গরম ভাপ, একটা জল কাটার অনুভূতি। পরণের ম্যাক্সিটা তুলে ধরার অছিলায়, দু' পায়ের ফাঁকে একটু ঘষে নিলো। তাড়াতাড়ি কাদেরকে বিদায় দেবার জন্য বললো,
- - আচ্ছা কাদের ভাই তাহলে, কালকে দুপুরে এখানেই খাবেন। আপনার জন্য স্পেশাল রান্না করবো। তাড়াতাড়ি চলে আসবেন, খাবার খেলে আপনার মন ভরে যাবে। — কোমরে একটা 'লচক' দিয়ে বলে উঠলো রেবতী।
✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)