16-04-2025, 10:06 PM
খাওয়া দাওয়ার এলাহী ব্যবস্থা ছিল তেমন নয়। তবু ডালিয়া মাসিকে দিয়ে ছয় রকম পদ রাঁধিয়েছে মা। অংশুমান দাশগুপ্ত তার মায়ের বিয়েতে ভোজ খাচ্ছে। অস্বস্তির সাথে কেমন এক উদ্দীপনা, উৎসাহ টের পাচ্ছে। তার সাথে মিশে আছে বিষণ্নতা, গ্লানি। অংশু খাওয়া শেষ করে চলে এলো দিদার ঘরে। শায়িত দিদা বললে---বাইরে এত লোকজন কেন রে?
অংশু নিরুত্তর রইল। টেলিফোন করল তার বাবার মোবাইল নম্বরে। জয়ন্ত সকাল থেকেই চিন্তিত। কাল রাত থেকে ছেলেটা একবারও ফোন করেনি। টেলিফোনটা বাজতেই সে দ্রুত রিসিভারটা ধরল।
----বাবা, ডিউটিতে যাবে না?
---যাবো বৈকি। কিন্তু তোর কি খবর রে? মায়ের কাছে গিয়ে যে সব ভুলে গেলি!
অংশু চুপ করে রইল খানিক। তারপর বললে---না না। সেরকম নয়।
---তোর হোম টিউটররা ফিরে যাচ্ছে। তারা বারবার বলছে সামনে পরীক্ষা এই সময় ছুটি কাটাতে যাবার কোনো মানে হয় না।
অংশু বললে---আর ক'টা দিন পরেই ফিরে আসবো বাবা।
---তোর দিদা কেমন আছে?
---একই রকমই। তোমার কথা প্রায়শই বলে।
জয়ন্ত চুপ করে খালি গম্ভীর উত্তর দিলে---হুম্ম। পুনরায় বললে----তোর মায়ের ব্যাপারে কিছু জানে?
পরক্ষনে সে ভাবলে ছেলেকে জিজ্ঞেস করা বোধ হয় ঠিক হল না। কিন্তু ছেলেও যথেষ্ট বড় হয়েছে, তার কি কিছু বুঝতে বাকি আছে নাকি! অংশু বললে---বাবা, আজ মা...
---কি? হাতের ঘড়িটা বাঁধতে বাঁধতে কাঁধে রিসিভার চেপে জিজ্ঞেস করলে জয়ন্ত।
---আজ...মায়ের বিয়ে।
থমকে গেল জয়ন্ত। তারপর নিমিষেই বললে---হোক! তোর সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। দ্রুত চলে আয়।
রাস্তায় গাড়ি ড্রাইভ করছে জয়ন্ত। সকালের কলকাতা এফএম 'এ গান আসছে পুরোনো দিনের। এই ব্যবস্থাটা চন্দন করেছিল। ড্রাইভিং করতে করতে গান শোনা ওর চাই। সুচিত্রা বিয়ে করল গফুরকে। বিয়েটা কি জরুরী ছিল? গফুরকেই বা কেন? শুধুই কি গফুরের পৌরুষ? সুচির কি এ বয়সেও এতই চাহিদা ছিল? এখনো প্রশ্নগুলো এলোমেলো ঘুরপাক খাচ্ছে ডাঃ জয়ন্ত দাশগুপ্তের মাথায়। সুচির বিয়ে, নতুন সংসার, নতুন দাম্পত্য, মাত্র কয়েকদিনে সব ওলটপালট হয়ে গেল। হয়ত ক্ষীণ হলেও কি জয়ন্ত আশা রেখেছিল সব ভুল বোঝাবুঝি, পাপ, অপরাধ ভুলে আবার তারা এক হয়ে যাবে? আর সুচির এই বিয়ে কি সেই ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুকে ধূলিসাৎ করে দিল?
***
অংশু নিরুত্তর রইল। টেলিফোন করল তার বাবার মোবাইল নম্বরে। জয়ন্ত সকাল থেকেই চিন্তিত। কাল রাত থেকে ছেলেটা একবারও ফোন করেনি। টেলিফোনটা বাজতেই সে দ্রুত রিসিভারটা ধরল।
----বাবা, ডিউটিতে যাবে না?
---যাবো বৈকি। কিন্তু তোর কি খবর রে? মায়ের কাছে গিয়ে যে সব ভুলে গেলি!
অংশু চুপ করে রইল খানিক। তারপর বললে---না না। সেরকম নয়।
---তোর হোম টিউটররা ফিরে যাচ্ছে। তারা বারবার বলছে সামনে পরীক্ষা এই সময় ছুটি কাটাতে যাবার কোনো মানে হয় না।
অংশু বললে---আর ক'টা দিন পরেই ফিরে আসবো বাবা।
---তোর দিদা কেমন আছে?
---একই রকমই। তোমার কথা প্রায়শই বলে।
জয়ন্ত চুপ করে খালি গম্ভীর উত্তর দিলে---হুম্ম। পুনরায় বললে----তোর মায়ের ব্যাপারে কিছু জানে?
পরক্ষনে সে ভাবলে ছেলেকে জিজ্ঞেস করা বোধ হয় ঠিক হল না। কিন্তু ছেলেও যথেষ্ট বড় হয়েছে, তার কি কিছু বুঝতে বাকি আছে নাকি! অংশু বললে---বাবা, আজ মা...
---কি? হাতের ঘড়িটা বাঁধতে বাঁধতে কাঁধে রিসিভার চেপে জিজ্ঞেস করলে জয়ন্ত।
---আজ...মায়ের বিয়ে।
থমকে গেল জয়ন্ত। তারপর নিমিষেই বললে---হোক! তোর সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। দ্রুত চলে আয়।
রাস্তায় গাড়ি ড্রাইভ করছে জয়ন্ত। সকালের কলকাতা এফএম 'এ গান আসছে পুরোনো দিনের। এই ব্যবস্থাটা চন্দন করেছিল। ড্রাইভিং করতে করতে গান শোনা ওর চাই। সুচিত্রা বিয়ে করল গফুরকে। বিয়েটা কি জরুরী ছিল? গফুরকেই বা কেন? শুধুই কি গফুরের পৌরুষ? সুচির কি এ বয়সেও এতই চাহিদা ছিল? এখনো প্রশ্নগুলো এলোমেলো ঘুরপাক খাচ্ছে ডাঃ জয়ন্ত দাশগুপ্তের মাথায়। সুচির বিয়ে, নতুন সংসার, নতুন দাম্পত্য, মাত্র কয়েকদিনে সব ওলটপালট হয়ে গেল। হয়ত ক্ষীণ হলেও কি জয়ন্ত আশা রেখেছিল সব ভুল বোঝাবুঝি, পাপ, অপরাধ ভুলে আবার তারা এক হয়ে যাবে? আর সুচির এই বিয়ে কি সেই ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুকে ধূলিসাৎ করে দিল?
***