01-04-2025, 08:13 AM
(22-02-2025, 11:10 PM)Master363538 Wrote: আমি একেবারে প্রথমবার গল্প ডিলিট এর আগে থেকেই গল্প টা পড়ছি। মজুমদার সাহেব খলিল থেকে টাকা ধার করে আকাশের উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো, মজুমদার সাহেবের অসুস্থতা, হাসপাতালে শিউলি কে খলিল এর ব্রা প্যান্টি কিনে দেয়া, আমি প্রতিটি পার্টি রেগুলার পড়েছি। আমি আগেও একাধিকবার কমেন্টে বলেছি যে, শিউলি হলো গল্পের নায়িকা, এই গল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় যৌনতা হলো শিউলি। কিন্তু এখন আমি ই বলছি, শিউলি হলো এখন একজন ভিলেন এবং সবচেয়ে বিরক্তিকর চরিত্র।সবাই নিজের মতামত দিচ্ছেন তাই ভাবলাম আমিও দিয়ে দেই।এই ওয়েবসাইট কত ধরনের গল্প যে দেখলাম। মা ছেলে, ভাই বোন বাপ মা,দাদু, কোথাও বনেদি বউ জেলের সাথে লাগাচ্ছে কোথাও পাগলের সাথে এরপর বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে সেখানে এই Adultery খুব সাধারণ ঘটনা। তবুও এই শিউলি পার্ট টা নিয়ে লেখককে এত মোরাল পুলিশিং করা হচ্ছে কেন বুঝি না। আশা করি লেখক শিউলির আপডেট বন্ধ রাখবেন না।
লেখক উনার লেখনীর শক্তি দিয়ে শিউলি কে পাঠকের কাছে তুমুল জনপ্রিয় করেছিলেন প্রথম দিকে। একজন সহজ সরল গৃহবধূ যে তার স্বামী মজুমদার কে খুব ভালোবাসে। কিন্তু ওর যৌবন এর আগুন তাকে পরকিয়া প্রেমে পাগল করে দিল, অথচ সংসার আর বিবাহিত পরিবার কে ঠিকই প্রেম ভালোবাসা দিয়ে সামলে নিচ্ছে। গল্পটা দারুণ ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে শিউলি হয়ে গেল ভিলেন আর পাঠকের কাছে বিরক্তিকর।
আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছি। যখন ই আপনি কোন যৌনতার গল্পের ভিতর একজন ভালো নির্দোষ মানুষের মৃত্যু নিয়ে আসবেন, তখনই গল্পের যৌনতা শেষ। শিউলি চরিত্রের প্রতি এজন্যই এখন বিরক্তি আসে আমার, অথচ আমি একমাত্র শিউলির জন্যই গল্প টা পড়তাম। মজুমদার সাহেব এর মতো একজন ভালো মানুষ এভাবে কষ্ট পেয়ে রাতে মৃত্যুবরণ করলেন, কতটা যন্ত্রণা আর হাহাকার, তখনই শিউলি থেকে যৌন আকর্ষণ চলে গেছে। আকাশ ওর বাবার মৃত্যু তে পাগলপ্রায়, ছোট শাওন ওর বাবা মজুমদার সাহেব এর কবরে গিয়ে কান্না করে, এখানে আর শিউলি কে বিন্দুমাত্র ভালো লাগে না। শিউলি হতে পারে খুব সুন্দরী, কিন্তু ওর এই অতিরিক্ত যৌনতা ওর স্বামী মজুমদার সাহেব এর মৃত্যুর কারণ, পুরো সংসার টা নষ্ট করে দিয়েছে শিউলি, একটা পরিবার শেষ হয়ে গেছে। আমাদের সমাজ এখনো এতো খারাপ হয় নি যে মানুষের মৃত্যু দেখেও যৌনতা নিয়ে আগ্রহ দেখাবে।
সুন্দরী স্ত্রী হেলেন এর জন্য ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এখন কি আমাদের হেলেন এর সৌন্দর্য যৌবন নিয়ে আগ্রহ আছে? নেই, হেলেন কে নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। আমাদের আগ্রহ হলো ধ্বংস হয়ে যাওয়া সভ্যতা ট্রয় নগরী নিয়ে। ঠিক তেমনি শিউলি যত সুন্দরী হোক, যতই যৌবন থাকুক শিউলির, আমার আর শিউলির প্রতি আগ্রহ নেই, আমার আগ্রহ ট্রয় নগরীর মতো শিউলির নষ্ট হয়ে যাওয়া পরিবার নিয়ে।
গল্পের নাম টা জীবন চক্র। জীবনের চক্রে মানুষ অনেক সময় ঠকে যায় মজুমদার সাহেব এর মতো, কিন্তু জীবনের চক্রে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, প্রকৃতি ঠিকই প্রতিশোধ নিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে শিউলি যদি মনে করে যে সে নিজের সৌন্দর্য আর যৌবন নিয়ে পুরো ফ্যামিলি কে ছাড় খার করে সুখে থাকবে, তাহলে তা ভুল, সময় ঠিকই শোধ নিবে, এটাই জীবন চক্র।
খলিল চৌধুরী কি সত্যিই শিউলি কে ভালোবাসে? নাকি এটা টাকা আর ক্ষমতা দিয়ে দখল করে বিজয়ী হওয়ার মোহ? খলিল কি সবসময় শিউলি কে ভালোবাসবে? শিউলি কে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসতেন মজুমদার সাহেব। তাই তো, শিউলি কে হারিয়ে, শিউলির দেয়া কষ্টে, শিউলী কে হারিয়ে ফেলার বেদনা সহ্য করতে না পেরে মজুমদার সাহেব মৃত্যুবরণ করলেন।
মজুমদার সাহেব এর অপারেশন হলো, খুব অসুস্থ, অথচ শিউলি যৌনতা উপভোগ করতে ব্যস্ত। শাওন এর খুব পেট ব্যাথা, প্রচুর অসুস্থ, অথচ শিউলি যৌনতা উপভোগ করতে ব্যস্ত। অতিরিক্ত যৌনতা সবসময় খারাপ ফল বয়ে আনে৷ খলিল এর কিনে দেয়া সোনার অলংকার দেখে শিউলি ভুলে গেল ওর এতো বছরের সংসার, এতো লোভী সে।
গল্প থেকে যৌনতা উপভোগ করার কিছু নেই আর। তবুও আমি গল্পের শিউলি পার্ট টা এখনো পড়ছি। না, খলিল শিউলির যৌনতা নিয়ে আর আগ্রহ নেই আমার, মজুমদার সাহেব এর মৃত্যুর সাথে শিউলির প্রতি যৌন আগ্রহ টাও শেষ আমার। আমি এখন শিউলি এর গল্পটা পড়ছি, শুধুমাত্র শিউলি এর পরিণতি দেখার জন্য। জীবন চক্র কিভাবে শিউলি কে আর খলিল কে প্রকৃতির শোধ দেয় সেটা দেখার জন্য আমি এখনো এই গল্পের প্রতিটি আপডেট পড়ছি।
সবসময় কমেন্ট করা হয় না। গল্পটা একেবারে অনেক আগে থেকে পড়ছি। তাই অনেক কিছু লিখলাম। সবগুলো আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত।