09-03-2025, 10:51 PM
পর্ব: ৩০
মধ্যরাতে কখন বিদ্যুৎ এসেছে বোঝা যায়নি। মাথার ওপর বনবন করে পাখাটা ঘুরছে নজরে এলো অংশুর। উঠে বসল সে। ক'টা বাজলো দেখবার জন্য তাকালো সটান দেয়াল ঘড়িতে। সাড়ে ছ'টা। দোতলা ছাদের বড় বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো সে। দীঘির ওপর দিয়ে স্নিগ্ধ বাতাস আর মৃদু সূর্যালোক এসে পড়ছে। দীঘিতে পানা, কলমি ভর্তি হয়ে সবুজ হয়ে রয়েছে। শুধু সিমেন্ট বাঁধাই ঘাটের নিকটে বেশ কিছু অংশ স্বচ্ছ।
অংশু ভাবলে এখনো বোধ হয় ঘুম ভাঙেনি এ বাড়িতে কারোর। ভুল ভাঙলো নীচ তলায় গিয়ে। মাকে দেখলে বারান্দায় বড় চেয়ারটায় বসে চোখে চশমা এঁটে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কয়েকটা উত্তরপত্র নিয়ে বসেছে। সামনে বিট্টুও। ছোট আঙুলে গুনে গুনে খাতাতে পরিষ্কার করে লিখে রাখছে যোগ-বিয়োগের সংখ্যাগুলি।
অংশুকে দেখে সুচিত্রা বললে---ঘুম ভাঙলো? যা মুখ হাত ধুয়ে আয়। তোর ডালিয়া মাসি জলখাবার রেডি করছে।
অংশু বাথরুমে ঢুকল। ব্রাশ পেস্ট সেরে বেরিয়ে আসতে ডালিয়া জলখাবার দিয়ে গেল ও'কে। মনে পড়ল কাল রাতের কথা। অথচ মাকে বড্ড স্বাভাবিকই দেখাচ্ছে। ঠিক যেমন কলকাতায় সংসারের প্রতিদিন স্কু ল শিক্ষিকা মাকে সে দেখে থাকে তেমনই। কে বলবে কাল রাতে নিজের মদ্যপ প্রেমিকের কাছে এই নারী নিপীড়িত, নিষ্পেষিত হচ্ছিল!
অংশু বললে---মা, আজ তোমার স্কু ল নেই?
মা তটস্থ হয়ে বললে---কত বাজলো বল দেখি?
---সাড়ে সাতটা তো হবেই।
মা খাতার দিকে মনোনিবেশ করল। আর মুখ না তুলে বলতে লাগলে---এই স্কু লে আসতে না আসতেই খাতার বোঝা চেপেছে...শান্তি কোথাও নাই।
---এই কলেজে তো নাকি ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কম?
---কম হলে কি হবে, আগের যে টিচার ট্রান্সফার নিয়েছে সে তার খাতাগুলো জমা করে গেছে। এখন আমাকে এসে দেখতে হচ্ছে।
অংশু বিট্টুকে বললে---কি রে? অঙ্ক পারছিস?
বিট্টু লাজুক ভাবে হাসতে লাগলো। সুচিত্রা ছেলেকে বললে---বড্ড বদের ধাড়ি। এবার স্কু লে দেব। দেখ দেখি ভাগ গুলো ঠিক করেছে কিনা?
অংশু খাতার পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখল ভাগ গুলো সবকটাই ঠিক করেছে। তবে '৯' অক্ষরটা বড্ড বিকৃত করে লেখা। অংশু শুধরে লিখে দিয়ে বললে---এমন করে লিখতে হয়...বুঝলি?
মা বললে---হাতের লেখা বড্ড বাজে। তবে বুদ্ধিশুদ্ধি আছে বৈকি। ...দাদা যে কদিন থাকবে, দাদার কাছে হাতের লেখা শিখে নিস।
***
মধ্যরাতে কখন বিদ্যুৎ এসেছে বোঝা যায়নি। মাথার ওপর বনবন করে পাখাটা ঘুরছে নজরে এলো অংশুর। উঠে বসল সে। ক'টা বাজলো দেখবার জন্য তাকালো সটান দেয়াল ঘড়িতে। সাড়ে ছ'টা। দোতলা ছাদের বড় বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো সে। দীঘির ওপর দিয়ে স্নিগ্ধ বাতাস আর মৃদু সূর্যালোক এসে পড়ছে। দীঘিতে পানা, কলমি ভর্তি হয়ে সবুজ হয়ে রয়েছে। শুধু সিমেন্ট বাঁধাই ঘাটের নিকটে বেশ কিছু অংশ স্বচ্ছ।
অংশু ভাবলে এখনো বোধ হয় ঘুম ভাঙেনি এ বাড়িতে কারোর। ভুল ভাঙলো নীচ তলায় গিয়ে। মাকে দেখলে বারান্দায় বড় চেয়ারটায় বসে চোখে চশমা এঁটে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কয়েকটা উত্তরপত্র নিয়ে বসেছে। সামনে বিট্টুও। ছোট আঙুলে গুনে গুনে খাতাতে পরিষ্কার করে লিখে রাখছে যোগ-বিয়োগের সংখ্যাগুলি।
অংশুকে দেখে সুচিত্রা বললে---ঘুম ভাঙলো? যা মুখ হাত ধুয়ে আয়। তোর ডালিয়া মাসি জলখাবার রেডি করছে।
অংশু বাথরুমে ঢুকল। ব্রাশ পেস্ট সেরে বেরিয়ে আসতে ডালিয়া জলখাবার দিয়ে গেল ও'কে। মনে পড়ল কাল রাতের কথা। অথচ মাকে বড্ড স্বাভাবিকই দেখাচ্ছে। ঠিক যেমন কলকাতায় সংসারের প্রতিদিন স্কু ল শিক্ষিকা মাকে সে দেখে থাকে তেমনই। কে বলবে কাল রাতে নিজের মদ্যপ প্রেমিকের কাছে এই নারী নিপীড়িত, নিষ্পেষিত হচ্ছিল!
অংশু বললে---মা, আজ তোমার স্কু ল নেই?
মা তটস্থ হয়ে বললে---কত বাজলো বল দেখি?
---সাড়ে সাতটা তো হবেই।
মা খাতার দিকে মনোনিবেশ করল। আর মুখ না তুলে বলতে লাগলে---এই স্কু লে আসতে না আসতেই খাতার বোঝা চেপেছে...শান্তি কোথাও নাই।
---এই কলেজে তো নাকি ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কম?
---কম হলে কি হবে, আগের যে টিচার ট্রান্সফার নিয়েছে সে তার খাতাগুলো জমা করে গেছে। এখন আমাকে এসে দেখতে হচ্ছে।
অংশু বিট্টুকে বললে---কি রে? অঙ্ক পারছিস?
বিট্টু লাজুক ভাবে হাসতে লাগলো। সুচিত্রা ছেলেকে বললে---বড্ড বদের ধাড়ি। এবার স্কু লে দেব। দেখ দেখি ভাগ গুলো ঠিক করেছে কিনা?
অংশু খাতার পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখল ভাগ গুলো সবকটাই ঠিক করেছে। তবে '৯' অক্ষরটা বড্ড বিকৃত করে লেখা। অংশু শুধরে লিখে দিয়ে বললে---এমন করে লিখতে হয়...বুঝলি?
মা বললে---হাতের লেখা বড্ড বাজে। তবে বুদ্ধিশুদ্ধি আছে বৈকি। ...দাদা যে কদিন থাকবে, দাদার কাছে হাতের লেখা শিখে নিস।
***