09-03-2025, 10:49 PM
তারমানে মা এখনো ঘর হতে বেরোয়নি! অংশু হতবাক হল। ডালিয়া অংশুকে খেতে দিয়ে টেবিলের সামনের চেয়ারটা টেনে বসল। বলল---তোর বাবাকে তাড়াতাড়ি সবটা জানা, অংশু। দেখছিস তো তোর মায়ের কেমন অধঃপতন হয়েছে! লোকটা ভালো না। প্রতিদিন মদ গিলে আসে, মারধর করে তোর মাকে। গালি গালাচ করে। দেখেছিস তো চেহারাটা কেমন? গা ঘিনঘিন করে। কাল যখন তোর মা ওকে বাথরুমে স্নান করাতে নিয়ে ঢুকল, বেরোনোর পর গোটা বাথরুমে সে কি বিচ্ছিরি গন্ধ! কত দিন পর স্নান করল কি জানি বাপু! কি করে যে সুচি দি ওকে জোটালো! স্বামীকে ছেড়ে এসে শেষমেষ এই ভিখারির হাত ধরলি! কিসের অভাব ছিল তোর!
অংশুর মোটেই মায়ের সম্পর্কে এত এত কুকথা আর শুনতে ভালো লাগছে না। সে ভাবছিল এখুনি ডালিয়া মাসিকে বকে চুপ করিয়ে দেয়, কিন্তু হঠাৎ মাসি চুপ করে গেল আচমকা। অংশু কিছুক্ষনের মধ্যেই বুঝল ডালিয়া মাসির চুপ করে যাওয়ার কারণ। মা রান্না ঘরে এসে পড়েছে। পেছনে যাই বলুক না কেন ডালিয়া মাসি, সে জানে সে এ বাড়ির আশ্রিতা। মায়ের সামনে অভিযোগ-অনুযোগের সাহস পায় না।
অংশুকে খেতে বসতে দেখে সুচিত্রা বললে---ডালিয়া, ওকে মাছের পেটি বেছে দিয়েছিস তো? ও' আবার কাঁটা খেতে পারে না।
অংশু লক্ষ্য করল মাকে। খুব স্বাভাবিক হয়েই মা কথাটা বলল। অথচ মাকে ভীষণ অস্বাভাবিক দেখাচ্ছে। মায়ের গায়ে ব্লাউজ নেই। শাড়িটা কোনরকমে জড়ানো। ফর্সা গায়ে সর্বাঙ্গ ঘামে ভেজা, চকচক করছে মায়ের পিঠটা। একপাশ হতে উঁকি দিচ্ছে মায়ের বাম স্তনের একাংশ। চুলটা এলোমেলো বিধ্বস্ত। খোঁপাটা ঢিলে পড়েছে, চুলের বেণী দিয়েও ইতিউতি চুল অবিন্যস্ত। কপালের লাল টিপটা নেই। মায়ের গলার সোনার চেনটা গলায় ঘামে সেঁধিয়ে গেছে পিঠের দিকে। চোখে চশমাটাও নেই। অথচ গফুর যখন মায়ের ছোট শরীরটাকে জাপ্টে ধরে ধাক্কার পর ধাক্কা মারছিল তখনও মায়ের চোখে চশমা ছিল।
মা রান্নাঘরের বাসনের থাক থেকে থালায় ভাত বাড়ছে। থালার ওপর দুটো তরকারির বাটি বসিয়ে নিয়ে চলে গেল তারপর। অংশু ডালিয়াকে জিজ্ঞেস করলে---কোথায় গেল মা?
ডালিয়া মুখ বিকৃত করে বললে---মারধর খেলেও পিরিত দেখবি তোর মায়ের! নাগরকে খাওয়াবে। মদ গিলে এলে নাগর আর রান্না ঘরে আসে না খেতে। এখন দেখবি যা, তোর মা' ই ওকে কেমন খাইয়ে দেবে। এমন পীরিত দেখে গা জ্বলে যায়। ঘেন্না ধরে যে লোককে দেখলে, সে লোককে খাওয়ায় কি করে কে জানে!
অংশু আর কোনো কথা না বাড়িয়ে খাওয়া সারলো নিশ্চুপে। উঠে দাঁড়ালো খাওয়া শেষে। ডালিয়া বললে--আজ আর বিদ্যুৎ আসবে বলে মনে হয় না, শোবার আগে জানলাটা খুলে দিস। ছাদের ঘরগুলোয় বেশ বাতাস খেলে।
অংশু সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় মায়ের গলার স্বর পাচ্ছিল, ঠিক কি বলছে ঠাওর করা যাচ্ছে না। ভাবলে একবার জানলা দিয়ে দেখবে নাকি? তারপর নিজের মধ্যেই একটা শ্লেষ তৈরি হল। নিজের ঘরে এসে শুয়ে পড়ল সে।
ঠিকই জানলাগুলো খুলে দিতেই বেশ আরামপ্রদ বাতাস বইছে। এমন প্রাকৃতিক বাতাস কলকাতা শহরে মেলে না। অংশু তার মুগ্ধতায় মোহিত হয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে, বুঝতে পারেনি।
+++++
অংশুর মোটেই মায়ের সম্পর্কে এত এত কুকথা আর শুনতে ভালো লাগছে না। সে ভাবছিল এখুনি ডালিয়া মাসিকে বকে চুপ করিয়ে দেয়, কিন্তু হঠাৎ মাসি চুপ করে গেল আচমকা। অংশু কিছুক্ষনের মধ্যেই বুঝল ডালিয়া মাসির চুপ করে যাওয়ার কারণ। মা রান্না ঘরে এসে পড়েছে। পেছনে যাই বলুক না কেন ডালিয়া মাসি, সে জানে সে এ বাড়ির আশ্রিতা। মায়ের সামনে অভিযোগ-অনুযোগের সাহস পায় না।
অংশুকে খেতে বসতে দেখে সুচিত্রা বললে---ডালিয়া, ওকে মাছের পেটি বেছে দিয়েছিস তো? ও' আবার কাঁটা খেতে পারে না।
অংশু লক্ষ্য করল মাকে। খুব স্বাভাবিক হয়েই মা কথাটা বলল। অথচ মাকে ভীষণ অস্বাভাবিক দেখাচ্ছে। মায়ের গায়ে ব্লাউজ নেই। শাড়িটা কোনরকমে জড়ানো। ফর্সা গায়ে সর্বাঙ্গ ঘামে ভেজা, চকচক করছে মায়ের পিঠটা। একপাশ হতে উঁকি দিচ্ছে মায়ের বাম স্তনের একাংশ। চুলটা এলোমেলো বিধ্বস্ত। খোঁপাটা ঢিলে পড়েছে, চুলের বেণী দিয়েও ইতিউতি চুল অবিন্যস্ত। কপালের লাল টিপটা নেই। মায়ের গলার সোনার চেনটা গলায় ঘামে সেঁধিয়ে গেছে পিঠের দিকে। চোখে চশমাটাও নেই। অথচ গফুর যখন মায়ের ছোট শরীরটাকে জাপ্টে ধরে ধাক্কার পর ধাক্কা মারছিল তখনও মায়ের চোখে চশমা ছিল।
মা রান্নাঘরের বাসনের থাক থেকে থালায় ভাত বাড়ছে। থালার ওপর দুটো তরকারির বাটি বসিয়ে নিয়ে চলে গেল তারপর। অংশু ডালিয়াকে জিজ্ঞেস করলে---কোথায় গেল মা?
ডালিয়া মুখ বিকৃত করে বললে---মারধর খেলেও পিরিত দেখবি তোর মায়ের! নাগরকে খাওয়াবে। মদ গিলে এলে নাগর আর রান্না ঘরে আসে না খেতে। এখন দেখবি যা, তোর মা' ই ওকে কেমন খাইয়ে দেবে। এমন পীরিত দেখে গা জ্বলে যায়। ঘেন্না ধরে যে লোককে দেখলে, সে লোককে খাওয়ায় কি করে কে জানে!
অংশু আর কোনো কথা না বাড়িয়ে খাওয়া সারলো নিশ্চুপে। উঠে দাঁড়ালো খাওয়া শেষে। ডালিয়া বললে--আজ আর বিদ্যুৎ আসবে বলে মনে হয় না, শোবার আগে জানলাটা খুলে দিস। ছাদের ঘরগুলোয় বেশ বাতাস খেলে।
অংশু সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় মায়ের গলার স্বর পাচ্ছিল, ঠিক কি বলছে ঠাওর করা যাচ্ছে না। ভাবলে একবার জানলা দিয়ে দেখবে নাকি? তারপর নিজের মধ্যেই একটা শ্লেষ তৈরি হল। নিজের ঘরে এসে শুয়ে পড়ল সে।
ঠিকই জানলাগুলো খুলে দিতেই বেশ আরামপ্রদ বাতাস বইছে। এমন প্রাকৃতিক বাতাস কলকাতা শহরে মেলে না। অংশু তার মুগ্ধতায় মোহিত হয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে, বুঝতে পারেনি।
+++++