05-03-2025, 02:39 PM
অধ্যায়: শুভর অসুস্থতা ও মীনার সন্দেহ
শুভর দুর্বলতা
শুভর জ্ঞান ফেরার পর থেকেই তার শরীর ভীষণ দুর্বল লাগছিল।
সে বিছানায় শুয়ে থাকলেও মনে হচ্ছিল, যেন তার শরীরটা কেউ শক্ত করে ধরে রেখেছে।
সে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল, কিন্তু পারল না।
তার গলা শুকিয়ে গেছে, চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা লাগছে।
মা যখন মাথায় হাত রাখল, সে বুঝল—তার শরীর খুব গরম!
মীনা চিন্তিত হয়ে বলল,
“শুভ, কিরে? শরীর এত গরম কেন? ঠিক করে শুই!”
শুভ কাঁপা গলায় বলল,
“মা… আমি ভালো লাগছে না…”
সে কিছু বলতে গিয়েও আর বলতে পারল না।
কিন্তু তার মনে হচ্ছিল, এই অসুস্থতা সাধারণ কোনো জ্বর নয়!
মীনার সন্দেহ
সারাদিন শুভ বিছানায় শুয়ে রইল, একটুও উঠতে পারল না।
মীনা তার ছেলেকে দেখছিল আর মনে মনে অস্থির হয়ে পড়ছিল।
রঞ্জিত অফিস থেকে ফিরতেই সে উদ্বিগ্ন গলায় বলল,
“শুভর শরীর ভালো নেই, আমি ভাবছি ডাক্তার ডাকব।”
রঞ্জিত বলল,
“আচ্ছা, চিন্তা করো না। আমি এখনই ডাক্তার ডেকে আনছি।”
কিন্তু মীনার মনে হচ্ছিল, শুভের এই অসুস্থতার পেছনে অন্য কিছু আছে!
তার মনে পড়ল, কয়েকদিন ধরে শুভ খুব চুপচাপ হয়ে গেছে।
আকরামের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে।
আর আগের দিন রাতে সে বেশ অস্বাভাবিক আচরণ করছিল, যেন কোনো ভয় পেয়েছে!
মীনা সন্দেহের চোখে উঠোনের দিকে তাকাল।
সেখানে আকরাম দাঁড়িয়ে ছিল—নির্বিকার, কিন্তু তার ঠোঁটে একটা অদ্ভুত হাসি।
ডাক্তার এল, কিন্তু…
রঞ্জিত এক পরিচিত ডাক্তারকে ডাকল, যিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলেন।
ডাক্তার শুভর নাড়ি পরীক্ষা করলেন, শরীরের তাপমাত্রা দেখলেন।
তারপর বললেন,
“উত্তেজনায় জ্বর এসেছে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারণ জ্বর। এই ওষুধগুলো দাও, দুই-তিন দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।”
মীনার বুক ধক করে উঠল।
সাধারণ জ্বর?
কিন্তু শুভ তো ভয়ংকর কিছু দেখেছিল, সে কোনো সাধারণ অসুস্থতার মধ্যে নেই!
ডাক্তার চলে যাওয়ার পর মীনা শুভর পাশে বসল।
তার ছেলের চোখ বন্ধ, কিন্তু শরীরটা অদ্ভুতভাবে শক্ত হয়ে আছে, যেন কিছু একটা তাকে চেপে ধরে রেখেছে!
সে কপালে হাত রাখল, শুভ কেঁপে উঠল।
তার ঠোঁট কাঁপতে লাগল, যেন কিছু বলতে চাইছে।
মীনা কান এগিয়ে নিল।
শুভ ধীরে ধীরে ফিসফিস করে বলল,
“…মা… আকরাম… একটা… দানব…”
মীনার গা শিউরে উঠল!
তারপরই শুভ চুপ করে গেল, গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল।
আকরামের অদ্ভুত আচরণ
সেই রাতেই মীনা দেখল, আকরাম উঠোনে কিছু একটা করছে।
সে একা দাঁড়িয়ে, মুখে ফিসফিস করে কিছু বলছে।
তার দুই হাতে কিছু কালো সুতো আর ছোট ছোট ধাতব টুকরো!
মীনা আতঙ্কে বুঝতে পারল—এটা কোনো সাধারণ কাজ নয়!
সে কিছু একটা করছে, যা এই বাড়ির জন্য ভালো হবে না।
আর তার লক্ষ্য হয়তো শুভই!
শুভর দুর্বলতা
শুভর জ্ঞান ফেরার পর থেকেই তার শরীর ভীষণ দুর্বল লাগছিল।
সে বিছানায় শুয়ে থাকলেও মনে হচ্ছিল, যেন তার শরীরটা কেউ শক্ত করে ধরে রেখেছে।
সে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল, কিন্তু পারল না।
তার গলা শুকিয়ে গেছে, চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা লাগছে।
মা যখন মাথায় হাত রাখল, সে বুঝল—তার শরীর খুব গরম!
মীনা চিন্তিত হয়ে বলল,
“শুভ, কিরে? শরীর এত গরম কেন? ঠিক করে শুই!”
শুভ কাঁপা গলায় বলল,
“মা… আমি ভালো লাগছে না…”
সে কিছু বলতে গিয়েও আর বলতে পারল না।
কিন্তু তার মনে হচ্ছিল, এই অসুস্থতা সাধারণ কোনো জ্বর নয়!
মীনার সন্দেহ
সারাদিন শুভ বিছানায় শুয়ে রইল, একটুও উঠতে পারল না।
মীনা তার ছেলেকে দেখছিল আর মনে মনে অস্থির হয়ে পড়ছিল।
রঞ্জিত অফিস থেকে ফিরতেই সে উদ্বিগ্ন গলায় বলল,
“শুভর শরীর ভালো নেই, আমি ভাবছি ডাক্তার ডাকব।”
রঞ্জিত বলল,
“আচ্ছা, চিন্তা করো না। আমি এখনই ডাক্তার ডেকে আনছি।”
কিন্তু মীনার মনে হচ্ছিল, শুভের এই অসুস্থতার পেছনে অন্য কিছু আছে!
তার মনে পড়ল, কয়েকদিন ধরে শুভ খুব চুপচাপ হয়ে গেছে।
আকরামের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে।
আর আগের দিন রাতে সে বেশ অস্বাভাবিক আচরণ করছিল, যেন কোনো ভয় পেয়েছে!
মীনা সন্দেহের চোখে উঠোনের দিকে তাকাল।
সেখানে আকরাম দাঁড়িয়ে ছিল—নির্বিকার, কিন্তু তার ঠোঁটে একটা অদ্ভুত হাসি।
ডাক্তার এল, কিন্তু…
রঞ্জিত এক পরিচিত ডাক্তারকে ডাকল, যিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলেন।
ডাক্তার শুভর নাড়ি পরীক্ষা করলেন, শরীরের তাপমাত্রা দেখলেন।
তারপর বললেন,
“উত্তেজনায় জ্বর এসেছে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারণ জ্বর। এই ওষুধগুলো দাও, দুই-তিন দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।”
মীনার বুক ধক করে উঠল।
সাধারণ জ্বর?
কিন্তু শুভ তো ভয়ংকর কিছু দেখেছিল, সে কোনো সাধারণ অসুস্থতার মধ্যে নেই!
ডাক্তার চলে যাওয়ার পর মীনা শুভর পাশে বসল।
তার ছেলের চোখ বন্ধ, কিন্তু শরীরটা অদ্ভুতভাবে শক্ত হয়ে আছে, যেন কিছু একটা তাকে চেপে ধরে রেখেছে!
সে কপালে হাত রাখল, শুভ কেঁপে উঠল।
তার ঠোঁট কাঁপতে লাগল, যেন কিছু বলতে চাইছে।
মীনা কান এগিয়ে নিল।
শুভ ধীরে ধীরে ফিসফিস করে বলল,
“…মা… আকরাম… একটা… দানব…”
মীনার গা শিউরে উঠল!
তারপরই শুভ চুপ করে গেল, গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল।
আকরামের অদ্ভুত আচরণ
সেই রাতেই মীনা দেখল, আকরাম উঠোনে কিছু একটা করছে।
সে একা দাঁড়িয়ে, মুখে ফিসফিস করে কিছু বলছে।
তার দুই হাতে কিছু কালো সুতো আর ছোট ছোট ধাতব টুকরো!
মীনা আতঙ্কে বুঝতে পারল—এটা কোনো সাধারণ কাজ নয়!
সে কিছু একটা করছে, যা এই বাড়ির জন্য ভালো হবে না।
আর তার লক্ষ্য হয়তো শুভই!