05-03-2025, 02:34 PM
অধ্যায়: আকরামের ছায়ায় রঞ্জিত
আকরামের মুগ্ধ করার খেলা
সকালে রঞ্জিত বারান্দায় বসে কাগজ পড়ছিল। বাতাস ছিল শান্ত, যেন রাতের সমস্ত অস্বস্তি মুছে গেছে।
ঠিক তখনই, আকরাম এক গ্লাস গরম দুধ নিয়ে সামনে এল।
“বাবু, এই নিন। গরম দুধ খান, শরীর ভালো থাকবে।”
রঞ্জিত অবাক হয়ে বলল, “আরেহ! তুমি এসব করতে গেলে কেন?”
আকরাম হাসল, “আপনাদের তো আমি নিজের পরিবারের মতোই দেখি বাবু। তাই খেয়াল রাখা আমার দায়িত্ব।”
রঞ্জিত এক মুহূর্তের জন্য চিন্তা করল।
আকরামের ব্যবহার এতই ভদ্র, এতই বিশ্বস্ত লাগছিল যে, সে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেল।
“আরে, তুমি তো খুব ভালো মানুষ, আকরাম। তোমার মতো বিশ্বস্ত লোক পাওয়া মুশকিল!”
আকরাম বিনীতভাবে মাথা ঝুকিয়ে হাসল, কিন্তু সেই হাসির আড়ালে একটা গভীর অন্ধকার ছায়া লুকিয়ে ছিল।
মীনাকে গোপন সতর্কবার্তা
মীনা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এই দৃশ্য দেখছিল।
রঞ্জিত কত সহজেই আকরামের কথায় মুগ্ধ হয়ে গেল!
কিন্তু মীনার চোখ আকরামের দৃষ্টি এড়ায়নি।
আকরাম একবার রঞ্জিতের দিকে তাকিয়ে হাসল, তারপর আস্তে করে মাথা ঘুরিয়ে মীনার দিকে তাকাল।
তবে সেই দৃষ্টি স্বাভাবিক ছিল না—সেই দৃষ্টিতে ছিল এক গভীর হুমকি।
“আমি চাইলে তোমার স্বামীকে শেষ করে দিতে পারি… তুমি জানো না আমি কী করতে পারি।”
মীনার সারা শরীর কেঁপে উঠল।
আকরামের চোখে কোনো ভয় নেই, বরং এক অদ্ভুত নির্লিপ্ত নিষ্ঠুরতা।
মীনা বুঝতে পারল—
এটা কোনো সাধারণ মানুষ নয়, এটা এক ভয়ংকর শক্তি, যে ধীরে ধীরে তাদের পুরো পরিবারকে গ্রাস করতে আসছে।
শুভর সন্দেহ আরও বাড়ছে
শুভ বারান্দার পাশে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল।
আকরামের ব্যবহার এত মসৃণ, এত বিশ্বাসযোগ্য, কিন্তু শুভ জানে, এর নিচে কিছু একটা লুকিয়ে আছে।
আকরাম কেন তার বাবার সঙ্গে এত মিশতে চাইছে?
আর সেই দৃষ্টি?
শুভ স্পষ্ট দেখল, আকরাম এক মুহূর্তের জন্য তার মাকে এমন এক দৃষ্টি দিল, যেন সে তাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
শুভর মনের ভেতর একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল।
আকরামের বিজয়ী হাসি
আকরাম এবার মৃদু হেসে বলল,
“বাবু, আমি তো কিছুদিনের মধ্যেই আপনাদের আরও ভালোভাবে সাহায্য করব। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, আমি আছি আপনার পাশে।”
রঞ্জিত তৃপ্তির হাসি দিল।
“তোমার মতো মানুষ থাকলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, আকরাম!”
মীনা বোঝে, এই বাড়িতে সত্যিকারের বিপদ নেমে এসেছে।
আকরাম শুধু তাদের আতঙ্কিত করছে না, সে রঞ্জিতের ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করছে।
এবং তার দৃষ্টি বলছে—
যদি কেউ বাধা দেয়, তবে তাকে সরিয়ে দেওয়াও কোনো ব্যাপার না!
আকরামের মুগ্ধ করার খেলা
সকালে রঞ্জিত বারান্দায় বসে কাগজ পড়ছিল। বাতাস ছিল শান্ত, যেন রাতের সমস্ত অস্বস্তি মুছে গেছে।
ঠিক তখনই, আকরাম এক গ্লাস গরম দুধ নিয়ে সামনে এল।
“বাবু, এই নিন। গরম দুধ খান, শরীর ভালো থাকবে।”
রঞ্জিত অবাক হয়ে বলল, “আরেহ! তুমি এসব করতে গেলে কেন?”
আকরাম হাসল, “আপনাদের তো আমি নিজের পরিবারের মতোই দেখি বাবু। তাই খেয়াল রাখা আমার দায়িত্ব।”
রঞ্জিত এক মুহূর্তের জন্য চিন্তা করল।
আকরামের ব্যবহার এতই ভদ্র, এতই বিশ্বস্ত লাগছিল যে, সে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেল।
“আরে, তুমি তো খুব ভালো মানুষ, আকরাম। তোমার মতো বিশ্বস্ত লোক পাওয়া মুশকিল!”
আকরাম বিনীতভাবে মাথা ঝুকিয়ে হাসল, কিন্তু সেই হাসির আড়ালে একটা গভীর অন্ধকার ছায়া লুকিয়ে ছিল।
মীনাকে গোপন সতর্কবার্তা
মীনা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এই দৃশ্য দেখছিল।
রঞ্জিত কত সহজেই আকরামের কথায় মুগ্ধ হয়ে গেল!
কিন্তু মীনার চোখ আকরামের দৃষ্টি এড়ায়নি।
আকরাম একবার রঞ্জিতের দিকে তাকিয়ে হাসল, তারপর আস্তে করে মাথা ঘুরিয়ে মীনার দিকে তাকাল।
তবে সেই দৃষ্টি স্বাভাবিক ছিল না—সেই দৃষ্টিতে ছিল এক গভীর হুমকি।
“আমি চাইলে তোমার স্বামীকে শেষ করে দিতে পারি… তুমি জানো না আমি কী করতে পারি।”
মীনার সারা শরীর কেঁপে উঠল।
আকরামের চোখে কোনো ভয় নেই, বরং এক অদ্ভুত নির্লিপ্ত নিষ্ঠুরতা।
মীনা বুঝতে পারল—
এটা কোনো সাধারণ মানুষ নয়, এটা এক ভয়ংকর শক্তি, যে ধীরে ধীরে তাদের পুরো পরিবারকে গ্রাস করতে আসছে।
শুভর সন্দেহ আরও বাড়ছে
শুভ বারান্দার পাশে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল।
আকরামের ব্যবহার এত মসৃণ, এত বিশ্বাসযোগ্য, কিন্তু শুভ জানে, এর নিচে কিছু একটা লুকিয়ে আছে।
আকরাম কেন তার বাবার সঙ্গে এত মিশতে চাইছে?
আর সেই দৃষ্টি?
শুভ স্পষ্ট দেখল, আকরাম এক মুহূর্তের জন্য তার মাকে এমন এক দৃষ্টি দিল, যেন সে তাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
শুভর মনের ভেতর একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল।
আকরামের বিজয়ী হাসি
আকরাম এবার মৃদু হেসে বলল,
“বাবু, আমি তো কিছুদিনের মধ্যেই আপনাদের আরও ভালোভাবে সাহায্য করব। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, আমি আছি আপনার পাশে।”
রঞ্জিত তৃপ্তির হাসি দিল।
“তোমার মতো মানুষ থাকলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, আকরাম!”
মীনা বোঝে, এই বাড়িতে সত্যিকারের বিপদ নেমে এসেছে।
আকরাম শুধু তাদের আতঙ্কিত করছে না, সে রঞ্জিতের ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করছে।
এবং তার দৃষ্টি বলছে—
যদি কেউ বাধা দেয়, তবে তাকে সরিয়ে দেওয়াও কোনো ব্যাপার না!