05-03-2025, 02:33 PM
অধ্যায়: অশুভ সকালের পূর্বাভাস
কু ডাক আর অদ্ভুত পূর্বাভাস
সকালের আকাশ ছিল ভারী, যেন কালো মেঘ জমে আছে। বাতাসে একটা অস্বাভাবিক ঠাণ্ডা।
শুভর ঘুম ভাঙল এক অদ্ভুত শব্দে—
“কাও… কাও… কাও…”
শুভ চোখ খুলেই দেখল, জানালার পাশে বসে থাকা এক ঝাঁক কাক বাড়ির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ডাকছে।
সে উঠে জানালার বাইরে তাকাল।
বাড়ির ছাদ, উঠোন, এমনকি গাছের ডালেও অসংখ্য কাক বসে আছে!
তারা সবাই যেন কিছু একটা দেখছে, কিছু একটা অনুভব করছে।
শুভর কেমন একটা অস্বস্তি হলো।
ঠিক তখনই মায়ের ডাক শুনে সে নিচে ছুটে গেল।
মায়ের ভয়ের অনুভূতি
মীনা রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তার চোখ আতঙ্কে বড় হয়ে গেছে।
“শুভ, এই কাকগুলো এত ডাকছে কেন? আমার খুব অস্বস্তি লাগছে…”
শুভ কিছু বলার আগেই তারা শুনতে পেল, দূর থেকে একটা লম্বা শিসের শব্দ আসছে।
একটা নয়, অনেকগুলো!
এটা কোনো সাধারণ শিস নয়—এটা যেন কোনো লুকিয়ে থাকা শক্তির ডাক!
মীনা কেঁপে উঠলেন, তার মনে হলো, এই ডাক তাকে কোথাও টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।
শুভ কিছু একটা বলার আগেই, হঠাৎ করে একটা ছায়া রান্নাঘরের দরজার কাছে দেখা দিল।
আকরামের ছায়া
আকরাম দাঁড়িয়ে আছে রান্নাঘরের দরজায়।
তার মুখে অদ্ভুত এক অপার্থিব হাসি।
তার চোখ অস্বাভাবিক লালচে, ঠোঁটের কোণে একটানা সেই বিকৃত হাসি।
“বৌমা, আজ তোমার শরীরটা ঠিক আছে তো?”
তার কণ্ঠস্বরে একটা অদ্ভুত মায়া, কিন্তু সেই মায়ার আড়ালে একটা গভীর অন্ধকার লুকিয়ে আছে।
মীনা পিছিয়ে গেলেন।
শুভ গলা শক্ত করে বলল, “তুমি এখানে কী করছো?”
আকরাম ধীর লয়ে বলল, “আমি তো শুধু খোঁজ নিচ্ছিলাম, সবাই ভালো আছে কি না…”
তারপর সে তাকাল মীনার দিকে—একটা অস্বাভাবিক লোলুপ দৃষ্টি।
শুভর মনে হলো, এই দৃষ্টির ভেতরে কোনো মানুষ নেই—এটা যেন একটা ভিন্ন শক্তি।
অন্ধকারের টান
দিনের বেলা হলেও, আকরামের উপস্থিতি ঘরের ভেতরটা অন্ধকার করে তুলল।
মীনা বুঝতে পারছিলেন, কিছু একটা তাকে আকর্ষণ করছে, তাকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।
তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে উঠল।
তার মাথার ভেতর একটা কণ্ঠস্বর—
“আসো… আসো… আমি তোমাকে ডাকছি…”
তার শরীর কাঁপছিল, কিন্তু পা যেন নিজের ইচ্ছায় আকরামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল!
শুভ আতঙ্কে দেখল, তার মা আস্তে আস্তে আকরামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
“মা!”
শুভ ঝাঁকিয়ে ধরল মীনাকে।
মীনা চমকে উঠলেন, যেন একটা ঘোর থেকে বেরিয়ে এলেন।
তিনি দ্রুত পিছিয়ে গেলেন, মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।
আকরামের বিদায়, কিন্তু হুমকি রয়ে গেল…
আকরাম একবার মীনাকে দেখল, তারপর হাসল।
“সব ঠিক আছে তো, বৌমা?”
মীনা কোনো উত্তর দিলেন না।
শুভ গর্জে উঠল, “এখান থেকে বেরিয়ে যাও!”
আকরাম ধীরে ধীরে পেছনে হাঁটতে লাগল, তার চোখের দৃষ্টি শুভর চোখের সঙ্গে আটকে থাকল।
তারপর সে ফিসফিস করে বলল—
“আমি তো শুধু শুরু করেছি, খোকা… তুমি থামাতে পারবে না…”
তারপর সে বেরিয়ে গেল, কিন্তু তার পিছনে একটা কুয়াশার মতো অন্ধকার রেখে গেল।
শুভ আর মীনা বুঝে গেল, তারা বড় বিপদের মধ্যে আছে…
কু ডাক আর অদ্ভুত পূর্বাভাস
সকালের আকাশ ছিল ভারী, যেন কালো মেঘ জমে আছে। বাতাসে একটা অস্বাভাবিক ঠাণ্ডা।
শুভর ঘুম ভাঙল এক অদ্ভুত শব্দে—
“কাও… কাও… কাও…”
শুভ চোখ খুলেই দেখল, জানালার পাশে বসে থাকা এক ঝাঁক কাক বাড়ির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ডাকছে।
সে উঠে জানালার বাইরে তাকাল।
বাড়ির ছাদ, উঠোন, এমনকি গাছের ডালেও অসংখ্য কাক বসে আছে!
তারা সবাই যেন কিছু একটা দেখছে, কিছু একটা অনুভব করছে।
শুভর কেমন একটা অস্বস্তি হলো।
ঠিক তখনই মায়ের ডাক শুনে সে নিচে ছুটে গেল।
মায়ের ভয়ের অনুভূতি
মীনা রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তার চোখ আতঙ্কে বড় হয়ে গেছে।
“শুভ, এই কাকগুলো এত ডাকছে কেন? আমার খুব অস্বস্তি লাগছে…”
শুভ কিছু বলার আগেই তারা শুনতে পেল, দূর থেকে একটা লম্বা শিসের শব্দ আসছে।
একটা নয়, অনেকগুলো!
এটা কোনো সাধারণ শিস নয়—এটা যেন কোনো লুকিয়ে থাকা শক্তির ডাক!
মীনা কেঁপে উঠলেন, তার মনে হলো, এই ডাক তাকে কোথাও টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।
শুভ কিছু একটা বলার আগেই, হঠাৎ করে একটা ছায়া রান্নাঘরের দরজার কাছে দেখা দিল।
আকরামের ছায়া
আকরাম দাঁড়িয়ে আছে রান্নাঘরের দরজায়।
তার মুখে অদ্ভুত এক অপার্থিব হাসি।
তার চোখ অস্বাভাবিক লালচে, ঠোঁটের কোণে একটানা সেই বিকৃত হাসি।
“বৌমা, আজ তোমার শরীরটা ঠিক আছে তো?”
তার কণ্ঠস্বরে একটা অদ্ভুত মায়া, কিন্তু সেই মায়ার আড়ালে একটা গভীর অন্ধকার লুকিয়ে আছে।
মীনা পিছিয়ে গেলেন।
শুভ গলা শক্ত করে বলল, “তুমি এখানে কী করছো?”
আকরাম ধীর লয়ে বলল, “আমি তো শুধু খোঁজ নিচ্ছিলাম, সবাই ভালো আছে কি না…”
তারপর সে তাকাল মীনার দিকে—একটা অস্বাভাবিক লোলুপ দৃষ্টি।
শুভর মনে হলো, এই দৃষ্টির ভেতরে কোনো মানুষ নেই—এটা যেন একটা ভিন্ন শক্তি।
অন্ধকারের টান
দিনের বেলা হলেও, আকরামের উপস্থিতি ঘরের ভেতরটা অন্ধকার করে তুলল।
মীনা বুঝতে পারছিলেন, কিছু একটা তাকে আকর্ষণ করছে, তাকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।
তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে উঠল।
তার মাথার ভেতর একটা কণ্ঠস্বর—
“আসো… আসো… আমি তোমাকে ডাকছি…”
তার শরীর কাঁপছিল, কিন্তু পা যেন নিজের ইচ্ছায় আকরামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল!
শুভ আতঙ্কে দেখল, তার মা আস্তে আস্তে আকরামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
“মা!”
শুভ ঝাঁকিয়ে ধরল মীনাকে।
মীনা চমকে উঠলেন, যেন একটা ঘোর থেকে বেরিয়ে এলেন।
তিনি দ্রুত পিছিয়ে গেলেন, মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।
আকরামের বিদায়, কিন্তু হুমকি রয়ে গেল…
আকরাম একবার মীনাকে দেখল, তারপর হাসল।
“সব ঠিক আছে তো, বৌমা?”
মীনা কোনো উত্তর দিলেন না।
শুভ গর্জে উঠল, “এখান থেকে বেরিয়ে যাও!”
আকরাম ধীরে ধীরে পেছনে হাঁটতে লাগল, তার চোখের দৃষ্টি শুভর চোখের সঙ্গে আটকে থাকল।
তারপর সে ফিসফিস করে বলল—
“আমি তো শুধু শুরু করেছি, খোকা… তুমি থামাতে পারবে না…”
তারপর সে বেরিয়ে গেল, কিন্তু তার পিছনে একটা কুয়াশার মতো অন্ধকার রেখে গেল।
শুভ আর মীনা বুঝে গেল, তারা বড় বিপদের মধ্যে আছে…