05-03-2025, 02:32 PM
অধ্যায়: আকরামের দৃষ্টি, মীনার ভেতরের টানাপোড়েন
আকরামের চোখ যে কিছু লুকিয়ে রাখে…
আকরাম শুধু কালো জাদু করেই থেমে থাকেনি। এখন সে এক ধাপ এগিয়ে গেছে।
সে বুঝেছে, শুধু জাদুর প্রভাব ফেললেই হবে না—সে মনস্তাত্ত্বিক খেলাও খেলবে।
মীনার মনে ভীতি এবং অস্বস্তি জন্মানোই তার পরবর্তী লক্ষ্য।
রঞ্জিতের সামনে দাঁড়িয়ে মীনাকে তাড়া করা
সেদিন সন্ধ্যায় রঞ্জিত চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে ছিল। মীনা ঠিক তার পাশে।
তারা কথা বলছিল—সাধারণ পারিবারিক বিষয় নিয়ে।
কিন্তু মীনা অনুভব করছিল কিছু একটা…
এক জ্বলন্ত দৃষ্টি তার শরীরকে বিদ্ধ করছে!
সে ধীরে ধীরে পাশ ফিরে তাকাল…
আকরাম দাঁড়িয়ে আছে, সামনের উঠোনে, হাতে একটা ঝাঁটা, কিন্তু ঝাঁটাটা পরিষ্কার করা বন্ধ করে সে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে!
তার চোখের দৃষ্টি কেমন যেন অস্বাভাবিক, গা শিউরে ওঠার মতো।
সে রঞ্জিতের সামনে দাঁড়িয়ে নির্লজ্জের মতো তাকিয়ে আছে মীনার দিকে!
মীনার সমস্ত শরীরের রক্ত যেন জমে গেল!
সে চোখ সরিয়ে নিল, কিন্তু একটা অদ্ভুত অনুভূতি তার ভেতর ঢুকে গেল—আকরামের সেই দৃষ্টি যেন তার শরীর ভেদ করে মনের ভেতর ঢুকে পড়ছে!
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, রঞ্জিত কিছুই টের পাচ্ছে না।
মীনা ফিসফিস করে বলল, “আকরাম কেমন যেন আচরণ করছে… তোমার কিছু মনে হয় না?”
রঞ্জিত তার কথার গুরুত্ব দিল না।
“লোকটা বৃদ্ধ, তুমি অযথা বেশি ভাবছ।”
কিন্তু মীনা জানে, সে বেশি ভাবছে না… এই চোখের ভাষা সে বুঝতে পারছে।
মাথার ভেতরে কণ্ঠস্বর…
সেই রাতেও মীনা ভালো করে ঘুমোতে পারল না।
তার কানে কেমন যেন একটা ফিসফিস আওয়াজ আসছে।
মনে হচ্ছে, কেউ যেন তার নাম ধরে ডাকছে—
“মীনা…”
সে চমকে উঠে তাকাল।
রঞ্জিত পাশে ঘুমিয়ে আছে।
কিন্তু অনুভব করল—কোথাও কেউ আছে।
সে ধীরে ধীরে পাশ ফিরে তাকাল…
আয়নার সামনে একটা ছায়া দাঁড়িয়ে আছে!
আয়নার প্রতিচ্ছবিতে সে দেখল—একটা কালো অবয়ব, লম্বা শরীর, মুখটা অস্পষ্ট, কিন্তু চোখ দুটি লালচে অন্ধকারের মতো জ্বলছে।
মীনা শ্বাস নিতে পারছিল না, চিৎকার করতে গিয়েও পারল না।
তার মনে হলো, এই ছায়াটা আস্তে আস্তে তার কাছে এগিয়ে আসছে…
ঠিক তখনই, মোমবাতির আলোয় ঘর উজ্জ্বল হয়ে উঠল, আর ছায়াটা এক ঝটকায় মিলিয়ে গেল!
মীনা উঠে বসে পড়ল, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে, শরীর ঘামে ভিজে গেছে।
সে বুঝতে পারল, এই বাড়িতে কিছু একটা আছে।
কিন্তু এটা কি তার কল্পনা? নাকি সত্যি সত্যি কিছু একটার প্রভাব পড়ছে তার ওপর?
শুভ বুঝতে পারছে… কিন্তু সে কি কিছু করতে পারবে?
শুভও লক্ষ্য করছিল, মা কেমন যেন বদলে যাচ্ছে।
আগে সে শক্ত ছিল, এখন কেমন অস্থির, দুর্বল, বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে।
আকরাম যে শুধুমাত্র তাকিয়েই ভয় দেখাচ্ছে তা নয়, সে ধীরে ধীরে মায়ের মনে ঢুকে পড়ছে!
শুভ কি কিছু করতে পারবে? নাকি আকরামের শক্তি ধীরে ধীরে তাদের পুরো পরিবারকে গ্রাস করবে?
আকরামের চোখ যে কিছু লুকিয়ে রাখে…
আকরাম শুধু কালো জাদু করেই থেমে থাকেনি। এখন সে এক ধাপ এগিয়ে গেছে।
সে বুঝেছে, শুধু জাদুর প্রভাব ফেললেই হবে না—সে মনস্তাত্ত্বিক খেলাও খেলবে।
মীনার মনে ভীতি এবং অস্বস্তি জন্মানোই তার পরবর্তী লক্ষ্য।
রঞ্জিতের সামনে দাঁড়িয়ে মীনাকে তাড়া করা
সেদিন সন্ধ্যায় রঞ্জিত চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে ছিল। মীনা ঠিক তার পাশে।
তারা কথা বলছিল—সাধারণ পারিবারিক বিষয় নিয়ে।
কিন্তু মীনা অনুভব করছিল কিছু একটা…
এক জ্বলন্ত দৃষ্টি তার শরীরকে বিদ্ধ করছে!
সে ধীরে ধীরে পাশ ফিরে তাকাল…
আকরাম দাঁড়িয়ে আছে, সামনের উঠোনে, হাতে একটা ঝাঁটা, কিন্তু ঝাঁটাটা পরিষ্কার করা বন্ধ করে সে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে!
তার চোখের দৃষ্টি কেমন যেন অস্বাভাবিক, গা শিউরে ওঠার মতো।
সে রঞ্জিতের সামনে দাঁড়িয়ে নির্লজ্জের মতো তাকিয়ে আছে মীনার দিকে!
মীনার সমস্ত শরীরের রক্ত যেন জমে গেল!
সে চোখ সরিয়ে নিল, কিন্তু একটা অদ্ভুত অনুভূতি তার ভেতর ঢুকে গেল—আকরামের সেই দৃষ্টি যেন তার শরীর ভেদ করে মনের ভেতর ঢুকে পড়ছে!
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, রঞ্জিত কিছুই টের পাচ্ছে না।
মীনা ফিসফিস করে বলল, “আকরাম কেমন যেন আচরণ করছে… তোমার কিছু মনে হয় না?”
রঞ্জিত তার কথার গুরুত্ব দিল না।
“লোকটা বৃদ্ধ, তুমি অযথা বেশি ভাবছ।”
কিন্তু মীনা জানে, সে বেশি ভাবছে না… এই চোখের ভাষা সে বুঝতে পারছে।
মাথার ভেতরে কণ্ঠস্বর…
সেই রাতেও মীনা ভালো করে ঘুমোতে পারল না।
তার কানে কেমন যেন একটা ফিসফিস আওয়াজ আসছে।
মনে হচ্ছে, কেউ যেন তার নাম ধরে ডাকছে—
“মীনা…”
সে চমকে উঠে তাকাল।
রঞ্জিত পাশে ঘুমিয়ে আছে।
কিন্তু অনুভব করল—কোথাও কেউ আছে।
সে ধীরে ধীরে পাশ ফিরে তাকাল…
আয়নার সামনে একটা ছায়া দাঁড়িয়ে আছে!
আয়নার প্রতিচ্ছবিতে সে দেখল—একটা কালো অবয়ব, লম্বা শরীর, মুখটা অস্পষ্ট, কিন্তু চোখ দুটি লালচে অন্ধকারের মতো জ্বলছে।
মীনা শ্বাস নিতে পারছিল না, চিৎকার করতে গিয়েও পারল না।
তার মনে হলো, এই ছায়াটা আস্তে আস্তে তার কাছে এগিয়ে আসছে…
ঠিক তখনই, মোমবাতির আলোয় ঘর উজ্জ্বল হয়ে উঠল, আর ছায়াটা এক ঝটকায় মিলিয়ে গেল!
মীনা উঠে বসে পড়ল, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে, শরীর ঘামে ভিজে গেছে।
সে বুঝতে পারল, এই বাড়িতে কিছু একটা আছে।
কিন্তু এটা কি তার কল্পনা? নাকি সত্যি সত্যি কিছু একটার প্রভাব পড়ছে তার ওপর?
শুভ বুঝতে পারছে… কিন্তু সে কি কিছু করতে পারবে?
শুভও লক্ষ্য করছিল, মা কেমন যেন বদলে যাচ্ছে।
আগে সে শক্ত ছিল, এখন কেমন অস্থির, দুর্বল, বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে।
আকরাম যে শুধুমাত্র তাকিয়েই ভয় দেখাচ্ছে তা নয়, সে ধীরে ধীরে মায়ের মনে ঢুকে পড়ছে!
শুভ কি কিছু করতে পারবে? নাকি আকরামের শক্তি ধীরে ধীরে তাদের পুরো পরিবারকে গ্রাস করবে?