05-03-2025, 02:30 PM
অধ্যায়: শুভর বিভীষিকা
আকরামের ভয় দেখানোর খেলা
শুভ বুঝতে পারছিল, সে যদি কিছু না করে, তাহলে মা কোনো এক অদ্ভুত শক্তির কবলে পড়ে যাবে। কিন্তু আকরামও বোকার মতো বসে থাকবে না।
সে জানে শুভ তার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আর তাই, এবার শুভকেই ভয় দেখানোর পালা।
রাতের মধ্যরাতের ছায়া
সেদিন রাতে শুভর আবার ঘুম ভেঙে গেল।
কিন্তু এবার কোনো ফিসফিস শব্দ নয়, কোনো ধূপের গন্ধ নয়—বরং এক অদ্ভুত অনুভূতি, যেন কেউ তাকে তাকিয়ে দেখছে।
সে ধীরে ধীরে চোখ খুলল।
তার ঘরের জানালার পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে!
আলো খুব কম ছিল, কিন্তু শুভ স্পষ্ট দেখতে পেল—কেউ একজন, একদম স্থির হয়ে, তার দিকেই তাকিয়ে আছে।
সে বুঝতে পারছিল না, এটা মানুষ না অন্য কিছু…
কিন্তু তারপর…
ছায়ামূর্তিটা ধীরে ধীরে হাসতে লাগল!
একটা বিকৃত হাসি, যেন তার সমস্ত ভয় শুষে নিচ্ছে।
শুভ চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না!
ঠিক তখনই সেই ছায়া তার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল…
শুভ দ্রুত হাত বাড়িয়ে লাইটের সুইচ টিপল!
ঘর আলোতে ভরে গেল…
কিন্তু…
কেউ নেই!
কিন্তু শুভ জানে, এটা তার কল্পনা নয়।
মৃতদেহের হাত
সকালে শুভ ঠিক করল, সে বাবার কাছে কিছু বলবে না, কারণ সে জানে বাবা বিশ্বাস করবে না।
কিন্তু তার মনে একটা সন্দেহ হচ্ছিল—আকরামের ঘরে কি কিছু আছে?
সে সুযোগ বুঝে চুপিচুপি আকরামের ঘরে ঢুকে পড়ল।
ঘরটা অন্ধকার আর স্যাঁতসেঁতে, মনে হচ্ছিল বহুদিন ধরে কেউ এখানে ঠিকমতো থাকে না।
শুভ খুঁজতে লাগল, কিছু অস্বাভাবিক জিনিস আছে কি না।
তার চোখ গেল একটা কাঠের পুরোনো বাক্সের দিকে।
সে আস্তে করে সেটা খুলল…
তারপর যা দেখল, তাতে তার হৃৎপিণ্ড এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেল!
বাক্সের মধ্যে একটা মানুষের কাটা হাত!
শুভ চিৎকার করে পিছিয়ে গেল।
তার গা গুলিয়ে উঠল, মনে হলো সে বমি করে ফেলবে।
ঠিক তখনই পেছন থেকে একটা ঠান্ডা, ভাঙা গলার আওয়াজ এলো—
“তুমি কী খুঁজছ, খোকা?”
শুভ ধীরে ধীরে পেছনে ঘুরল…
আকরাম সেখানে দাঁড়িয়ে, তার ঠোঁটের কোণে সেই বিকৃত হাসি!
শুভ বুঝতে পারল, সে খুব বড় একটা ভুল করে ফেলেছে।
আকরাম তাকে ছাড়বে না।
আকরামের ভয় দেখানোর খেলা
শুভ বুঝতে পারছিল, সে যদি কিছু না করে, তাহলে মা কোনো এক অদ্ভুত শক্তির কবলে পড়ে যাবে। কিন্তু আকরামও বোকার মতো বসে থাকবে না।
সে জানে শুভ তার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আর তাই, এবার শুভকেই ভয় দেখানোর পালা।
রাতের মধ্যরাতের ছায়া
সেদিন রাতে শুভর আবার ঘুম ভেঙে গেল।
কিন্তু এবার কোনো ফিসফিস শব্দ নয়, কোনো ধূপের গন্ধ নয়—বরং এক অদ্ভুত অনুভূতি, যেন কেউ তাকে তাকিয়ে দেখছে।
সে ধীরে ধীরে চোখ খুলল।
তার ঘরের জানালার পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে!
আলো খুব কম ছিল, কিন্তু শুভ স্পষ্ট দেখতে পেল—কেউ একজন, একদম স্থির হয়ে, তার দিকেই তাকিয়ে আছে।
সে বুঝতে পারছিল না, এটা মানুষ না অন্য কিছু…
কিন্তু তারপর…
ছায়ামূর্তিটা ধীরে ধীরে হাসতে লাগল!
একটা বিকৃত হাসি, যেন তার সমস্ত ভয় শুষে নিচ্ছে।
শুভ চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না!
ঠিক তখনই সেই ছায়া তার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল…
শুভ দ্রুত হাত বাড়িয়ে লাইটের সুইচ টিপল!
ঘর আলোতে ভরে গেল…
কিন্তু…
কেউ নেই!
কিন্তু শুভ জানে, এটা তার কল্পনা নয়।
মৃতদেহের হাত
সকালে শুভ ঠিক করল, সে বাবার কাছে কিছু বলবে না, কারণ সে জানে বাবা বিশ্বাস করবে না।
কিন্তু তার মনে একটা সন্দেহ হচ্ছিল—আকরামের ঘরে কি কিছু আছে?
সে সুযোগ বুঝে চুপিচুপি আকরামের ঘরে ঢুকে পড়ল।
ঘরটা অন্ধকার আর স্যাঁতসেঁতে, মনে হচ্ছিল বহুদিন ধরে কেউ এখানে ঠিকমতো থাকে না।
শুভ খুঁজতে লাগল, কিছু অস্বাভাবিক জিনিস আছে কি না।
তার চোখ গেল একটা কাঠের পুরোনো বাক্সের দিকে।
সে আস্তে করে সেটা খুলল…
তারপর যা দেখল, তাতে তার হৃৎপিণ্ড এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেল!
বাক্সের মধ্যে একটা মানুষের কাটা হাত!
শুভ চিৎকার করে পিছিয়ে গেল।
তার গা গুলিয়ে উঠল, মনে হলো সে বমি করে ফেলবে।
ঠিক তখনই পেছন থেকে একটা ঠান্ডা, ভাঙা গলার আওয়াজ এলো—
“তুমি কী খুঁজছ, খোকা?”
শুভ ধীরে ধীরে পেছনে ঘুরল…
আকরাম সেখানে দাঁড়িয়ে, তার ঠোঁটের কোণে সেই বিকৃত হাসি!
শুভ বুঝতে পারল, সে খুব বড় একটা ভুল করে ফেলেছে।
আকরাম তাকে ছাড়বে না।