05-03-2025, 02:26 PM
অধ্যায়: ছায়ার মধ্যে দৃষ্টি
আকরামের ছায়া
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। জানালার বাইরে লালচে আকাশ ধীরে ধীরে অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছিল। শুভ আপন মনে বই পড়ছিল, কিন্তু তার মনোযোগ বারবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছিল। একটা অদ্ভুত অনুভূতি তাকে পেয়ে বসেছে—যেন কেউ তাকে দেখছে।
সে জানালার কাঁচে চোখ রাখল। উঠোনের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল আমগাছের নিচে একটা ছায়ামূর্তি দেখা গেল। প্রথমে মনে হলো হয়তো কোনো ভুল দেখছে, কিন্তু একটু ভালো করে তাকাতেই গা শিরশির করে উঠল।
আকরাম!
সে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, কোনো নড়াচড়া নেই। চোখ তুলে সোজা শুভর জানালার দিকে তাকিয়ে আছে। সেই দৃষ্টি… নিছক এক বৃদ্ধের নয়, যেন একটা শূন্যতা, এক ভয়ংকর অস্পষ্টতা তার চোখে ভাসছিল।
শুভ দ্রুত পর্দা টেনে দিল। বুকের মধ্যে ধুকপুক শুরু হয়ে গেছে। সে বুঝতে পারছে, এই বাড়ির পরিবেশটা স্বাভাবিক নেই, বিশেষ করে আকরামের উপস্থিতি যেন একটা অজানা অন্ধকার নিয়ে এসেছে।
রাতের নীরবতা ভাঙলো কে?
রাতে খাওয়ার পর মীনা শোবার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেন। রঞ্জিত পাশের চেয়ারে বসে খবরের কাগজ পড়ছিল। শুভও নিজের ঘরে চলে গেল, কিন্তু ঘুম আসছিল না।
হঠাৎ…
ধীর পায়ের শব্দ।
শুভ চমকে উঠল। মনে হলো, কেউ করিডোর দিয়ে হাঁটছে। সে আস্তে করে দরজার দিকে এগোল। দরজার ফাঁক দিয়ে করিডোরের দিকে তাকাতেই তার সারা শরীর কেঁপে উঠল।
আকরাম।
সে ধীরে ধীরে মায়ের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়াল, ঠিক আগের রাতের মতোই। কিন্তু এবার সে শুধু দাঁড়িয়ে নেই—সে নিঃশব্দে দরজার হাতলটা ধরে নাড়ানোর চেষ্টা করল।
শুভর শ্বাস আটকে এলো।
কেন আকরাম বারবার মায়ের ঘরের সামনে আসে?
ঠিক তখনই, ঘরের ভেতর থেকে মায়ের ফিসফিসে আওয়াজ এলো—
“কে ওখানে?”
আকরাম মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে গেল, তারপর আস্তে করে সরে গেল অন্ধকারের দিকে। শুভ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। সে আর সহ্য করতে পারছে না, এই রহস্যের সমাধান তাকে বের করতেই হবে!
মীনার অজানা আতঙ্ক
পরদিন সকালে মীনা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি পরছিলেন। চোখে কাজল দিচ্ছিলেন, কিন্তু মনে হচ্ছিল কিছু একটা ঠিক নেই। আজকাল তার বুকের মধ্যে একটা অজানা আতঙ্ক কাজ করে, বিশেষ করে আকরামের চোখের দিকে তাকালে।
বিছানার পাশে রাখা ছোট আয়নাটা হাতে নিয়ে মুখটা দেখলেন। ঠিক তখনই…
এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো, আয়নার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা মীনা তিনি নন!
তার প্রতিচ্ছবির ঠোঁটের কোণে যেন একটা বিকৃত হাসি খেলে গেল!
তিনি আতঙ্কে আয়নাটা ফেলে দিলেন।
দরজার বাইরে তখন ধীর পায়ের শব্দ…
আকরামের ছায়া
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। জানালার বাইরে লালচে আকাশ ধীরে ধীরে অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছিল। শুভ আপন মনে বই পড়ছিল, কিন্তু তার মনোযোগ বারবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছিল। একটা অদ্ভুত অনুভূতি তাকে পেয়ে বসেছে—যেন কেউ তাকে দেখছে।
সে জানালার কাঁচে চোখ রাখল। উঠোনের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল আমগাছের নিচে একটা ছায়ামূর্তি দেখা গেল। প্রথমে মনে হলো হয়তো কোনো ভুল দেখছে, কিন্তু একটু ভালো করে তাকাতেই গা শিরশির করে উঠল।
আকরাম!
সে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, কোনো নড়াচড়া নেই। চোখ তুলে সোজা শুভর জানালার দিকে তাকিয়ে আছে। সেই দৃষ্টি… নিছক এক বৃদ্ধের নয়, যেন একটা শূন্যতা, এক ভয়ংকর অস্পষ্টতা তার চোখে ভাসছিল।
শুভ দ্রুত পর্দা টেনে দিল। বুকের মধ্যে ধুকপুক শুরু হয়ে গেছে। সে বুঝতে পারছে, এই বাড়ির পরিবেশটা স্বাভাবিক নেই, বিশেষ করে আকরামের উপস্থিতি যেন একটা অজানা অন্ধকার নিয়ে এসেছে।
রাতের নীরবতা ভাঙলো কে?
রাতে খাওয়ার পর মীনা শোবার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেন। রঞ্জিত পাশের চেয়ারে বসে খবরের কাগজ পড়ছিল। শুভও নিজের ঘরে চলে গেল, কিন্তু ঘুম আসছিল না।
হঠাৎ…
ধীর পায়ের শব্দ।
শুভ চমকে উঠল। মনে হলো, কেউ করিডোর দিয়ে হাঁটছে। সে আস্তে করে দরজার দিকে এগোল। দরজার ফাঁক দিয়ে করিডোরের দিকে তাকাতেই তার সারা শরীর কেঁপে উঠল।
আকরাম।
সে ধীরে ধীরে মায়ের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়াল, ঠিক আগের রাতের মতোই। কিন্তু এবার সে শুধু দাঁড়িয়ে নেই—সে নিঃশব্দে দরজার হাতলটা ধরে নাড়ানোর চেষ্টা করল।
শুভর শ্বাস আটকে এলো।
কেন আকরাম বারবার মায়ের ঘরের সামনে আসে?
ঠিক তখনই, ঘরের ভেতর থেকে মায়ের ফিসফিসে আওয়াজ এলো—
“কে ওখানে?”
আকরাম মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে গেল, তারপর আস্তে করে সরে গেল অন্ধকারের দিকে। শুভ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। সে আর সহ্য করতে পারছে না, এই রহস্যের সমাধান তাকে বের করতেই হবে!
মীনার অজানা আতঙ্ক
পরদিন সকালে মীনা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি পরছিলেন। চোখে কাজল দিচ্ছিলেন, কিন্তু মনে হচ্ছিল কিছু একটা ঠিক নেই। আজকাল তার বুকের মধ্যে একটা অজানা আতঙ্ক কাজ করে, বিশেষ করে আকরামের চোখের দিকে তাকালে।
বিছানার পাশে রাখা ছোট আয়নাটা হাতে নিয়ে মুখটা দেখলেন। ঠিক তখনই…
এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো, আয়নার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা মীনা তিনি নন!
তার প্রতিচ্ছবির ঠোঁটের কোণে যেন একটা বিকৃত হাসি খেলে গেল!
তিনি আতঙ্কে আয়নাটা ফেলে দিলেন।
দরজার বাইরে তখন ধীর পায়ের শব্দ…