04-03-2025, 11:34 PM
পাখিদের গান ও আশেপাশের পরিবেশ
সকালবেলা আশেপাশের বটগাছ আর আমগাছ থেকে বিভিন্ন পাখির ডাক ভেসে আসছিল। তবে সেগুলো ছিল অদ্ভুত—স্বাভাবিক কিচিরমিচির নয়, যেন শিস দেওয়ার মতো একটা একটানা শব্দ, যা সাধারণত শোনা যায় না। মীনা বারান্দায় দাঁড়িয়ে এই পাখিদের অস্বাভাবিক ডাক শুনছিলেন। কেন জানি না, মনে হচ্ছিল এগুলো কোনো সতর্কবার্তা দিচ্ছে, বা কারও উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
গাছের ডালে বসে থাকা এক দল কাক হঠাৎ যেন অস্থির হয়ে উঠল। তারা একসঙ্গে ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে গেল, তাদের আওয়াজে বাতাস যেন ভারী হয়ে উঠল। আশেপাশের সবুজ প্রকৃতির মধ্যেও একটা অজানা অস্বস্তি ঘুরপাক খাচ্ছিল। দূরে শুকনো বাঁশবাগানের মধ্য থেকে এক ঝলক বাতাস এলো, মীনার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেল।
মীনার খারাপ লাগা ও ভয়ের অনুভূতি
মীনা অনুভব করলেন, শরীর কেমন যেন দুর্বল লাগছে। হালকা শীতের সকাল, তবু গায়ের মধ্যে ঘাম জমে উঠছে। মনটা অকারণে ভারী হয়ে আসছে, যেন চোখের আড়ালে কেউ দাঁড়িয়ে আছে, তাকিয়ে আছে।
তিনি ধীরে ধীরে ঘরে ফিরে এলেন, কিন্তু অস্বস্তি কমলো না। রান্নাঘরে ঢুকতে গিয়ে হঠাৎ মনে হলো কেউ যেন তাঁর কাঁধের ওপর নিঃশ্বাস ফেলল। চমকে পেছন ফিরে তাকালেন, কিন্তু কেউ নেই।
মীনা দ্রুত রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন, কিন্তু মনে হলো করিডোরের শেষ প্রান্তে… ছায়ার আড়ালে কেউ দাঁড়িয়ে ছিল।
শুভর অনুভূতি
শুভ দোতলার জানালার পাশে বসে ছিল, বাইরের গাছগুলো দুলছিল হালকা বাতাসে। কিন্তু সবকিছু কেমন যেন থমথমে। আশেপাশের প্রকৃতি সাধারণত সজীব থাকে, কিন্তু এখানে আসার পর থেকে পরিবেশটা যেন কিছু একটা চেপে রেখেছে।
হঠাৎ, একটা পাখি জানালার কাঁচে এসে ধাক্কা খেলো! শুভ চমকে উঠল। নিচে তাকিয়ে দেখল, ছোট্ট একটা শালিক মাটিতে পড়ে ছটফট করছে, তার চোখ দুটো বিস্ফারিত, শরীরটা অবশ হয়ে যাচ্ছে।
শুভর গলা শুকিয়ে গেল। সে জানালার কাঁচে হাত রাখতেই একটা ঠান্ডা অনুভূতি টের পেল—অস্বাভাবিক ঠান্ডা।
তারপর আবার শুনতে পেল সেই চাপা শব্দ…
মৃদু, ফিসফিসানির মতো… যেন খুব দূর থেকে ভেসে আসছে—
“তুই ফিরে এসেছিস…”
(চলবে…)
সকালবেলা আশেপাশের বটগাছ আর আমগাছ থেকে বিভিন্ন পাখির ডাক ভেসে আসছিল। তবে সেগুলো ছিল অদ্ভুত—স্বাভাবিক কিচিরমিচির নয়, যেন শিস দেওয়ার মতো একটা একটানা শব্দ, যা সাধারণত শোনা যায় না। মীনা বারান্দায় দাঁড়িয়ে এই পাখিদের অস্বাভাবিক ডাক শুনছিলেন। কেন জানি না, মনে হচ্ছিল এগুলো কোনো সতর্কবার্তা দিচ্ছে, বা কারও উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
গাছের ডালে বসে থাকা এক দল কাক হঠাৎ যেন অস্থির হয়ে উঠল। তারা একসঙ্গে ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে গেল, তাদের আওয়াজে বাতাস যেন ভারী হয়ে উঠল। আশেপাশের সবুজ প্রকৃতির মধ্যেও একটা অজানা অস্বস্তি ঘুরপাক খাচ্ছিল। দূরে শুকনো বাঁশবাগানের মধ্য থেকে এক ঝলক বাতাস এলো, মীনার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেল।
মীনার খারাপ লাগা ও ভয়ের অনুভূতি
মীনা অনুভব করলেন, শরীর কেমন যেন দুর্বল লাগছে। হালকা শীতের সকাল, তবু গায়ের মধ্যে ঘাম জমে উঠছে। মনটা অকারণে ভারী হয়ে আসছে, যেন চোখের আড়ালে কেউ দাঁড়িয়ে আছে, তাকিয়ে আছে।
তিনি ধীরে ধীরে ঘরে ফিরে এলেন, কিন্তু অস্বস্তি কমলো না। রান্নাঘরে ঢুকতে গিয়ে হঠাৎ মনে হলো কেউ যেন তাঁর কাঁধের ওপর নিঃশ্বাস ফেলল। চমকে পেছন ফিরে তাকালেন, কিন্তু কেউ নেই।
মীনা দ্রুত রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন, কিন্তু মনে হলো করিডোরের শেষ প্রান্তে… ছায়ার আড়ালে কেউ দাঁড়িয়ে ছিল।
শুভর অনুভূতি
শুভ দোতলার জানালার পাশে বসে ছিল, বাইরের গাছগুলো দুলছিল হালকা বাতাসে। কিন্তু সবকিছু কেমন যেন থমথমে। আশেপাশের প্রকৃতি সাধারণত সজীব থাকে, কিন্তু এখানে আসার পর থেকে পরিবেশটা যেন কিছু একটা চেপে রেখেছে।
হঠাৎ, একটা পাখি জানালার কাঁচে এসে ধাক্কা খেলো! শুভ চমকে উঠল। নিচে তাকিয়ে দেখল, ছোট্ট একটা শালিক মাটিতে পড়ে ছটফট করছে, তার চোখ দুটো বিস্ফারিত, শরীরটা অবশ হয়ে যাচ্ছে।
শুভর গলা শুকিয়ে গেল। সে জানালার কাঁচে হাত রাখতেই একটা ঠান্ডা অনুভূতি টের পেল—অস্বাভাবিক ঠান্ডা।
তারপর আবার শুনতে পেল সেই চাপা শব্দ…
মৃদু, ফিসফিসানির মতো… যেন খুব দূর থেকে ভেসে আসছে—
“তুই ফিরে এসেছিস…”
(চলবে…)