21-02-2025, 05:27 AM
✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪
হোস্টেল থেকে এসেই বাবাকে জানিয়ে রেখেছিলাম দেশের বাড়িতে পিসিমার ওখানে গিয়ে থাকবো এই দু'মাস। ওহো! একটা কথা তো বলাই হয়নি। বাবা যেহেতু পিসিমা বলে ডাকতো, আমিও পিসি ঠাম্মাকে পিসিমা বলেই ডাকতাম।
সেই মতো ভোর হবার আগেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। সাতটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম সাজ্জাদপুরে। মাঝখানে একবার দাঁড়িয়েছিলাম চা খাবার জন্যে। বাড়ির সামনে গাড়িটা রেখে "পিসিমা পিসিমা" বলে হাঁক পাড়তে পাড়তে বাড়িতে ঢুকলাম।
- - কে এলো? — বলে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ঠাকুর ঘর থেকে বেরিয়ে এলো পিসি ঠাম্মা,
- - দাদুভাই! মনে পড়লো বুড়িটাকে। — দু'হাতে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
- - আমার খুব অন্যায় হয়ে গেছে পিসিমা, পড়াশোনার এতো চাপ ছিলো যে গ্রামের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। — পিসি ঠাম্মা হাসতে হাসতে আমার কান ধরে বললো,
- - বাঁদর ছেলে, আবার পিসিমা বলছিস! আমি তোর বাবার পিসিমা।
- - তোমাকে ডাকতে গেলেই আমার 'পিসিমা' ডাকটাই মুখে আসে। যাই হোক, আমি এখন থেকে এখানেই থাকবো। কেলটিকে বলো, আমার ব্যাগগুলো গাড়ি থেকে নিয়ে আসতে। কেলটি আছে নাকি ওরও বিয়ে দিয়ে দিয়েছো?
- - ঐ তো, ওখান থেকে উঁকি মারছে। তোকে চিনতে পারেনি তাই কাছে আসতে লজ্জা পাচ্ছে। এই কেলটি, এদিকে আয়, এটা তোর গোতি দাদা। দাদাকে প্রণাম কর, আর গাড়ি থেকে দাদার ব্যাগ আর কি কি আছে, সব নিয়ে আমার পাশের ঘরে রাখ। আর শোন, এখন থেকে দাদা বাবুর কাছে কাছে থাকবি; কোনও দরকার হলে দেখবি। — কালো বিদ্যুৎ ঝিলিকের মতো এসে পায়ের কাছে মাথা ঠুকে প্রণাম করেই উল্টো মুখে দৌড়লো।
- - চলো পিসিমা; আমি কোন ঘরে থাকবো দেখিয়ে দাও।
- - আমার পাশের ঘরটাই তোকে দিলাম। ওটা তোর দাদুর মানে আমার ভাইয়ের ঘর ছিলো। তোর বাবা-মা ঐ ঘরেই থাকতো। তারপর তোর মা চলে যাবার পর; তোকে এখানে রেখে তোর বাবা শহরে চলে যায়। তারপর, এই ঘর খোলা হয়নি।
- - কি দরকার? আমি তো আগের মতো তোমার সঙ্গেই শুতে পারি।
✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪