(01-02-2025, 12:47 PM)prshma Wrote: সমীরেরও দায় ছিল, তবুও যখন অনুরিমা ওকে ফোন করে নিজের কিডন্যাপিং এর ঢপ টা দেয় তখন সমীর কিন্তু অনুরিমার কথা কে সত্য বলেই ধরে নেয়, এক বারের জন্যও নিজের স্ত্রী কে অবিশ্বাস করেনি।উল্টে নিজের বিপদের কথা এক বারও চিন্তা না করে নিজের বউকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ে। সে একবারও ভাবেনি যে কতজন কিডন্যাপার আছে, তারা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে বা তাদের কাছে কি অস্ত্রশস্ত্র আছে।অনুরিমাকে রক্ষা করাই তার ফার্স্ট প্রেফারেন্স ছিল আর এগুলো অনুরিমার প্রতি সমীরের গভীর ভালবাসার ই নিদর্শন। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে ঘটনা সে দেখল আর অনুরিমা যা ব্যাবহার করলো তাতে তার মন ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
আর অনুরিমা তুই কি করলি ? তুই দেখলি তোর স্বামী নিজের জীবনের কোন পরোয়া না করে শুধুমাত্র তোকে বাঁচাতে ছুটে এসেছে তাও তুই তার সামনে ওই জানোয়ার রাকিব টাকে নিজের কাছে টেনে নিলি। শুধু তাতেই ক্ষান্ত হসনি তুই, একটা বাইরের ক্যারেক্টারলেস ছেলে যার সাথে তোর দুদিনের পরিচয়, যার চালচুলোর কোন খবর তোর কাছে নেই তার সামনে নিজের জীবনসঙ্গীকে জঘন্য ভাবে অপমান করলি। সারা জীবন নিজের স্বামীর খারাপটাই দেখে এলি, তার তোর প্রতি এই গভীর ভালবাসাটা তোর চোখে পড়ল না ? আসলে তোর মধ্যে না আছে হৃদয়, না আছে মন। তুই শুধুই যৌনাঙ্গ সর্বস্ব একটা মেয়ে। এখন বাড়ি ফিরে যখন শুধুমাত্র তোর ব্যাভিচারের জন্য সমীরের সাথে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার খবর পাবি তখন নিজের মধ্যে যদি বিন্দুমাত্র অনুশোচনা, পাপবোধ ও মনুষ্যত্ব বাকি থেকে থাকে তাহলে সারা জীবন নিজের স্বামী (যদি উনি বেঁচে যান) আর পরিবারের প্রতি সম্পূর্ণ ভাবে সমর্পিত থাকবি আর জীবনে কোনদিন রাকিব নামক পাষণ্ড টার মুখদর্শন করবি না।
মানালি, আপনি ঠিক ই বলেছেন যে ফাটল দিয়েই এই রাকিব টাইপের আগাছা গুলো মাথা তোলার সুযোগ পায়। কিন্তু এসব আগাছা কে খুব তাড়াতাড়ি অ্যাসিড ধেলে মারতে হয় যদি বাড়ির স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি ঠিক রাখতে হয়। তাই আপনার কাছে আমার বিনিত অনুরোধ আপনি ও আগাছা রাকিবের ওপরেও আপনার লেখনীর দ্বারা অ্যাসিড প্রয়োগ করে দয়া করে এই পরিবারটিকে বাঁচান। এটাই আমার অনুরোধ বাকি আপনি যা ভালো মনে করেন।
আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত, আশা করছি মানালী দেবী একটি শুভ সমাপ্তি টানবেন গল্পটার, আশা করছি, বাকিটা ওনার ওপর।