30-01-2025, 10:11 PM
Update:19©
গ্রামের মূল চওড়া রাস্তা ধরে ঊষা আর গুরুদেব আলো-আঁধারি রাস্তায় হেঁটে চলেছে।তারা যাচ্ছে মন্টুর বাড়িতে,গুরুদেব আগে আগে চলছেন আর ঊষা ধীর পায়ে পিছে পিছে।চুপচাপ দুজনে।দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে দেখে গুরুদেব থমকে দাঁড়ালেন।ঊষাকে বললেন
- কি হইল তোর?তাড়াতাড়ি চ, দেরি হইয়া গেল। '
ঊষার কানে বোধয় গুরুদেবের কথা প্রবেশ করল না।মাথা নিচু করেই কেমন খাপছাড়া পায়ে হেঁটে চলল।কিছু যেন ভাবছে ঊষা সেই ভাবনাই ঊষাকে চলতে দিচ্ছে না ঠিক মতো। এদিকে গুরুদেবের ভালো লাগছে না এভাবে থমকে থমকে দাঁড়ানো।একসাথে এসেছে একসাথে পথ চলবে দু-একটা কথা বলবে। তা না করে মুখ গুমরো করে আস্তে আস্তে হাঁটছে।গুরুদেব সেই থমকে দাঁড়ানো অবস্থাতেই আবার ঊষাকে বললেন
- কি রে কি হইল তোর, অম্বা কইরা হাঁটতেচাস ক্যা?
ঊষা তখনও কিছুটা দূরে, গুরুদেবের কথা কানে যেতেই মুখ তুলে তাকালো, তারপর আস্তে ধীরে বলল
-- আপনে হাটেন আমি যাইতেচি।
বলেই আবার মাথা নিচু করে আগের মতোই হাঁটতে লাগল।আসলে ঊষা ভাবছে কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা।ছেলের চোখে সে নিচু হয়ে গেছে এক শ্বশুর ছিল আজ তার সামনেও আর কিছু বাকি রইল না।আজ পালিয়ে এসে বেঁচেছে কিন্তু সকাল হলেই তো মুখ দেখতে হবে একে অপরের। লজ্জার কি শেষ থাকবে তখন।ওই ঘটনার জন্য ঊষা গুরুদেবকেই দায়ী করছে।উনি জেনে বুঝেই একাজ করেছে সেই সাথে ঊষা কিছুটা নিজেকেও দোষারোপ করল।চাইলেই তো সে বন্ধ করে দিতে পারত প্রথমেই।এইসব ভাবনার মাঝেই ঊষা গমগম আওয়াজ শুনে দূরে তাকাতেই দেখল প্রায় পৌচ্ছে গেছে তারা, আলো দেখা যাচ্ছে ঝলমলে,তার সাথে কোলাহল।
সারা বাড়ি জুড়ে প্যান্ডেল।আলো ঝকমক করছে, খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে চারিপাশ। বাড়িতে প্রবেশ করেই ঊষার চোখ জুড়িয়ে আসে, এত সুন্দর আয়োজন।টাকা থাকলে কি না হয়?
গুরুদেব আর ঊষাকে দেখে মন্টু এগিয়ে এলো। গুরুদেবকে প্রণাম করে নিয়ে গেল নিজের সঙ্গে। ঊষা দেখল পুজোর স্থানে গ্রামের মহিলারা সবজি কুটছে, সাথে খিল খিল হাসছে সবাই। পুরোহিত পুজোর আয়োজন করছেন, আর বাড়ির উত্তর দিকে জমজমাট ভীড়- সিডি লাগিছে সেখানে। ঊষা সেদিকেই এগিয়ে গেল।শুধু কালো কালো মাথা দেখা যায়।টিভিতে একটা বাংলা সিনেমা চলছে।ঊষা কিন্তু সিনেমা দেখার জন্য এখানে আসেনি,এসেছে ছেলের খোঁজে।কিছুক্ষণ এদিক সেদিক খুঁজাখুজির পর ঊষার নজর পরল ছেলের দিকে।ছেলে তার একমনে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেকে দেখে ঊষা একটু শান্তি পেল তারপর ধীরে ধীরে ঊষা সেই মহিলারা যেখানে সবজি কুটছে সেখানে চলে গেল।ঊষাকে দেখেই গ্রামের এক অল্প বয়সী মহিলা বলে উঠল
- কি লো ঊষা এত দেরি করলি ক্যা?
ঊষা একটু হেসে কিছু বলবে তার আগেই আরেকজন বলল
-- দেরি হইব না?গুরুদেব ছাড়লি সে আইসপ।
বলার সঙ্গে সঙ্গে সবাই খিলখিল করে হেসে উঠল।আরেকজন বলে উঠল
- তা যা কইচাস লতা,ঊষা বিনে গুরুদেবের তো এহন চলেই না।
ঊষা ভীষণ লজ্জায় পরে গেল এই মুহুর্তে।এদের কথা যে কোন এঙ্গেলের তা স্পষ্ট।ঊষার মুখ একটু শুকনো দেখে আরেকজনের হয়ত একটু মায়া হলো, তাই বলল
- আয় বয় এহেনে, অগো কথায় কিছু মনে করিস না,মাগি গো খালি আজাইরা কথা।নে এই মরিচের বুটা গুনা খসাই দে।
বলেই একগাদা মরিচ এগিয়ে দিল।তাও বাঁচা গেল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঊষাও সবার সাথে গুলিয়ে গেল।একপাল মহিলা থাকলে গ্রামের এমন কোন কথা নেই যে সেখানে উঠে না,তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয়গুলোও বড়ো সম্মানের সাথে সেখানে তুলে ধরা হয়।ঊষাও সবার সাথে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করছে আর খিলখিল করছে হাসছে।এভাবেই মিলে মিশে কাজ করে যে যার মতো উঠে পরল। কেউ অন্য কাজে কেউ পুজোর আয়োজনে কেউ বা টিভি দেখতে।ঊষার মনটাও টিভি দেখতে চাইছে, বহুদিন হয়ে গেল কোন সিনেমা দেখা হয় না। সেই শেষবার সুনীলের বাড়ি সিডি এনেছিল তখন একটা সিনেমা দেখেছে।ঊষা তাই আস্তে আস্তে সিনেমা দেখতে উঠে এলো। কিন্তু ভীড় প্রচুর বসবে কই?এদিকটায় বুড়ো বেটারা বসেছে, ওই দিকটায় কয়েকজন মহিলা কিন্তু এই দিকটায় জায়গাই নেই।ঊষা তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই সিনেমা দেখছে।
মন্টুর বউ পুষ্পমালা কি কারণে যেন রান্না ঘরে যাচ্ছিল।যাওয়ার সময় ঊষাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল
- আ লো ঊষা দাঁড়াই রইচাস ক্যা,বয় যাইয়া।
- নাহ কাকি, দাড়াইয়াই ঠিক আচি।
পুষ্পমালা তবু ঊষার কোন কথা শুনল না হাত টেনে নিয়ে গেল মহিলাদের ওইদিকে।কিন্তু সত্যিই ভীষণ ভীড় এদিকে।মহিলাদের পেছনে একটু জায়গা আছে তবে কয়েকটি ছেলে বসে আছে, তার মধ্যে অমরও।পুষ্পমালা সেখানে নিয়ে গিয়ে এক ছেলেকে বলল
- 'ওই ভজা অল্প সইরা বয় তো তোর কাকিরে বইসপার দে অল্প।'
ভজা একটু ওপর দিকে মুখ করে তাকিয়ে দেখল ঊষা দাঁড়িয়ে, সঙ্গে সঙ্গে একটু পিছিয়ে বসে সামনে একটু জায়গা দেখিয়ে বলল
-- এহেনে বসো কাকি।
ভজা অমরের সমবয়সীই বলা যায় তবে অমরের চেয়ে স্বাস্থ্যবান,নাদুসনুদুস। বিশ্বাস বাড়ির ছোট ছেলে, ওর মায়ের সাথে ঊষার বড় ভাব,অনেকবার ওদের বাড়িতে গেছে, অমরেরও বন্ধু একসাথে পড়াশোনা করে।ঊষা ভজার দিকে একটু হেসে সেই সামান্য একটু জায়গায় গিয়ে বসে পরল।ঊষার সামনে আরও দুই- তিনটা ছেলে তার কিছুটা আগে অমর বসেছে।বসার জায়গা পেয়ে ঊষা টিভিতে মনযোগ দিল।তখন একটা দুঃখের সিন চলছে।
প্রায় ঘন্টা খানেক পার হয়েছে মজার সিন চলছে তখন, সেই সিন দেখে সবাই হাসিতে লুটপাট খাচ্ছে। ঠিক সেই মুহুর্তে ঊষার ধামসা পাছায় কিছু একটা খুচা লাগল। ঊষা একটু নড়ে সামান্য এগিয়ে গেল।তবু খুচা লাগছে একদম থলথলে পাছায়।কিসের খুচা দেখার জন্য ঘাড় ঘুরালো ঊষা, দেখল ভজার পায়ের বুড়ো আঙুল-সমানে খুটে চলেছে, ভজার চোখ কিন্তু একদম টিভির পর্দায়,দেখে মনে হচ্ছে ভুলবশত আঙুলটা লেগে যাচ্ছে। তাই ঊষা কিছু না বলে আবার সামনে মুখ ঘুরিয়ে নিল।
আরো কিছুক্ষণ কেটে গেছে কিন্তু আঙুলের খুচা কমেনি আরও বেড়ে গেছে, ঊষার একটু অস্বস্তি লাগছে, তার ছেলের বয়সী একটা ছেলের আঙুলের খুচা পাছায় পেয়ে, উশখুশ করতে লাগল ঊষা।এখন আঙুলটা শুধু খুচাচ্ছে না বরং নরম পাছায় গেঁথে দিচ্ছে।এটা যে ইচ্ছাকৃত সেটা ঊষা বুঝতে পারল।কি করবে ভেবে পেল না ঊষা, ভাবল উঠে চলে যাই, কিন্তু গিয়েই বা কি করবে কোথায় গিয়ে বসবে। সবাই সবার মতো ব্যস্ত।সামনে যে এগিয়ে বসবে তারও উপায় নেই।শেষে আস্তে আস্তে ঊষা সকলের চোখ বাঁচিয়ে হাত পেছনে নিয়ে গিয়ে ভজার পায়ে রাখল,আঙুল ধরে সরিয়ে দিল পা।রেহাই পেল খোচা থেকে।
টিভিতে তখন রোমান্টিক একটা নাচ-গানের সিন চলছে,বৃস্টিতে ভিজে ভিজে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে নাচ করছে নায়ক-নায়িকা।নায়কের হাত পাছা বেয়ে বেয়ে ওপর দিকে উঠে এসে নায়িকার গভীর নাভীর চারপাশে ঘুরঘুর করছে।ইসসস ভীষণ লজ্জা লাগে ঊষার,ছেলের দিকে চোখ যায়,দেখে ছেলে তার ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে যেন ঢোক গিলছে।এর মাঝেই ঊষার সারা শরীর শিরশির করে উঠল কোমরে হাতের স্পর্শ পেয়ে। একটা হাত তার কোমরে আস্তে আস্তে ঘুরে বেরাচ্ছে। ঊষা অবাক হয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল ভজা হাত বাড়িয়ে তার কোমরে রেখেছে, সঙ্গে সঙ্গে এক ঝটকায় ঊষা হাত সরিয়ে দিল।কি সাহস ছেলের তার মায়ের বয়সী এক মহিলার শরীরে হাত দেয়।
কিছুক্ষণ পরে আবার সেই হাত কোমরে অনুভব করল ঊষা।কি জ্বালা! এতটুকু লজ্জা- শরম নেই ছেলেটার,ঊষা রাগান্বিত হয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই ভজা ভয়ে হাত সরিয়ে নিল। চোখের দিকে চোখ পরতেই কেমন ভয় জড়িত একটা হাসি দেখা গেল ভজার ঠোঁটে।ঊষা কিছুক্ষণ চোখ পাকিয়ে শাসালো, যেন বলল খবরদার আর এমন করবি না।
পুনরায় মগ্ন হয়ে সিনেমা দেখছে ঊষা।কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই আবার টের পেল কোমরে হাত ঘুরা ফেরা করছে।এবার সত্যি সত্যি ভীষণ রেগে উঠল ঊষা,শান্তিতে একটু সিনেমাটাও দেখতে দিচ্ছে না,বজ্জাত ছেলে একটা। ছেলেটাকে জব্দ করা উচিত। এবার তাই হাত সরিয়ে না দিয়ে জোরছে এক চিমটি কেটে দিল হাতে।উহুউউউ একটা শব্দ পেল ঊষা।বেশ ব্যথা পেয়েছে ছোড়া এখন বোঝ কেমন লাগে।এটা ভেবে কিছুটা তৃপ্তি পেল মনে কিন্তু ঊষা অবাক হলো এত জোরে চিমটি কাটার পরেও ছেলেটা হাত সরায়নি বরংচ সাহস করে হাত পেটের দিকে সরিয়ে এনেছে।ঊষা আরও শায়েস্তা করার জন্য আরও একটা চিমটি কাটল হাতে।তবু সরায় না,একের পর এক চিমটি কেটেই চলল ।যতই চিমটি কাটে ততই যেন হাত বেপরোয়া হয়ে উঠছে এখন তো হাত ফেরাচ্ছে না, খামছে খামছে ধরছে নরম তুলতুলে পেট।নাভীর চারিপাশে ঘুরছে আঙুল গুলো। একটা চাপা ইসসস বেরিয়ে আসে ঊষার মুখ থেকে।এমন কচি ছেলের নরম হাত তার পেটে ঘুরছে।আহহ কত আর চিমটাবে? ঊষার মনে হলো রক্ত বেরচ্ছে ভজার হাত থেকে কারণ ভেজা ভেজা লাগছে।কেমন ছেলে এত কষ্ট ভোগ করছে কিসের আশায়?একটু মায়াও হলো ঊষার তার ছেলের বয়সী একটা ছেলেকে এভাবে কষ্ট দিত। সে করবেই বা কি? শেষে মনের সাথে বোঝাপড়া করল ঊষা।সামান্য একটু পেটই তো হাতাচ্ছে,হাতাক আর ওকে কষ্ট দিয়ে লাভ নেই।
ঊষা চিমটি কাটা বাদ দিয়ে সিনেমা দেখছে।এদিকে ভজা আর বিরোধ না পেয়ে আস্তে করে একটা আঙুল ভরে দিল ঊষার নরম গহীন নাভীতে।হাতটা ফুলে উঠেছে চিমটি খেয়ে,একটু একটু রক্তও বেরিয়েছে, তা বেরক কষ্ট সহ্য করছে বলেই না এখন এই অমৃত ভাণ্ডারের নাগাল পাচ্ছে।মৌচাক থেকে মধু চাইলে হূল তো ফুটবেই।
ভজা আঙুলটা আস্তে আস্তে ঘুরাচ্ছে নাভীতে ।ঊষা চুপচাপ সবই বুঝতে পারছে, এটা অতিরিক্ত করছে ছেলেটা তবু কিছু বলল না আর।শুধু কোমরের শাড়িটা ভালো করে গুঁজে নিল কারো নজরে যাতে না পরে।
শাড়িতে হাত ঢাকা পরায় ভজার সাহস যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেল।বুঝতে পেরেছে তার কাকিমা আর বাধা দিবে না।তাই মধ্যমাঙ্গুল নাভীতে ভরে বাকি আঙুল গুলো দিয়ে নাভীর চারপাশে ফেরাতে লাগল।ইসস এত নরম।ভজার মনে হয় মাখনে হাত ডুবিয়েছে।উঠতি বয়সের ছোড়া নারী শরীরের প্রতি ভীষণ আকৃষ্ট। শুধু নাভীতে আঙুল ভরে মনে ভরল না তাই হাতটা আস্তে আস্তে উপর দিকে তুলতে লাগল।ঊষা বুঝতে পারছে তুরতুর করে হাত বেয়ে বেয়ে উপর দিকে উঠছে। কি চাইছে ও? স্তন ছুঁতে? এটা মনে আসতেই শিউরে উঠল গা। দুধে হাত পৌচ্ছানোর আগেই খফাত করে ধরে ফেলল ঊষা।এর বেশি আর এগোতে দেওয়া ঠিক হবে না।হঠাৎ বাধা পেয়ে ভজা কড়বড় করতে লাগল বাধা অতিক্রম করে তার লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে, কিন্তু কিছুতেই পারল না।এবার যেন কেঁদেই ফেলে সে।অমৃতের সন্ধান পেয়েও তাকে কি বঞ্চিত হতে হবে?
ঊষা শক্ত করে বাঁধ তৈরী করে নিশ্চিন্তে টিভিতে মন দিয়েছে,একটা দুর্ধষ সংঘর্ষ হচ্ছে তখন পর্দায়।সেদিকেই ঊষার চোখ, মন দিয়ে দেখছে, তখনই কেমন ফুসফুসানি একটা ভেজা গরম শ্বাস ঊষার কানের লতিসহ ঘাড়ে পরল।আবারও শিউরে উঠল সারা গা,সেই গরম নিশ্বাসে যেন অনুরোধ ছিল, যেন ভজা তার কাকিমাকে অনুরোধ করে বলছে--কাকি হাতখান সরাও না...।
ছেলেটার সাহস দেখে ঊষা ভীষণ অবাক হলো এত এত সাহস পাশেই লোকজনের ভীড় তার মধ্যেই এগিয়ে এসে প্রায় ঊষার পাছায় সেটে বসে ঘাড়ে গরম নিশ্বাস ছাড়ছে আর হাতের কথা তো বলারই নেই।ঊষা কি যে করবে ভেবে পাচ্ছে না।এদিকে ভজার হাত বাধা অতিক্রম করে ওপরদিকে উঠতে মরিয়া হয়ে উঠেছে,ঊষা যেন আর আটকে রাখতে পারছে না,ঘাড়ে গরম নিশ্বাস পেয়ে সারা শরীর ঝাকুনি দিয়ে উঠল, হাতের কড়া বাধন আলগা হয়ে আসছে, এই ফাঁকেই ভজা সুরসুর করে হাত পৌচ্ছে দিল তার কাকিমার ডাসা নরম তুলতুলে দুধে।
দুধে হাতের স্পর্শ পেয়েই ঊষা কেঁপে উঠল, ঝটপট বাধা দেওয়ার জন্য হাত বাড়ানোর আগেই ভজা আলত করে মুঠিতে ভরে নিয়ে পত করে টিপে ধরল। নিম্ন একটা 'উহহহ' বেরিয়ে এলো ঊষার মুখ থেকে।তবু নিজেকে সংযত করে ঘাড় ঘুড়িয়ে প্রায় ভজার কানের কাছে আস্তে করে বলল
- 'হাত সরা ভজা,ভালো হইতেচে না কইলাম, নইলে তোর মায়রে কইয়া দিমু।'
মায়ের কথা শুনে ভয়ে না অন্য কারণে যাই হোক ফট করে হাত সরিয়ে নিয়ে প্রায় ফালদে পিছিয়ে বসল ভজা।ভজার এই ভয়ে ফিক করে হেসে উঠল ঊষা।মনে মনে ভাবল মায়ের কথায় বেশ ভয় পেয়েছে ছোড়া।
এর কিছুক্ষণ পরেই কেউ একজন এসে সবাইকে বলে গেল পুজো শেষ যার যার ইচ্ছে প্রসাদ নিয়ে যাক।অনেকেই উঠে গেল,সাথে ভজাও।
গ্রামের মূল চওড়া রাস্তা ধরে ঊষা আর গুরুদেব আলো-আঁধারি রাস্তায় হেঁটে চলেছে।তারা যাচ্ছে মন্টুর বাড়িতে,গুরুদেব আগে আগে চলছেন আর ঊষা ধীর পায়ে পিছে পিছে।চুপচাপ দুজনে।দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে দেখে গুরুদেব থমকে দাঁড়ালেন।ঊষাকে বললেন
- কি হইল তোর?তাড়াতাড়ি চ, দেরি হইয়া গেল। '
ঊষার কানে বোধয় গুরুদেবের কথা প্রবেশ করল না।মাথা নিচু করেই কেমন খাপছাড়া পায়ে হেঁটে চলল।কিছু যেন ভাবছে ঊষা সেই ভাবনাই ঊষাকে চলতে দিচ্ছে না ঠিক মতো। এদিকে গুরুদেবের ভালো লাগছে না এভাবে থমকে থমকে দাঁড়ানো।একসাথে এসেছে একসাথে পথ চলবে দু-একটা কথা বলবে। তা না করে মুখ গুমরো করে আস্তে আস্তে হাঁটছে।গুরুদেব সেই থমকে দাঁড়ানো অবস্থাতেই আবার ঊষাকে বললেন
- কি রে কি হইল তোর, অম্বা কইরা হাঁটতেচাস ক্যা?
ঊষা তখনও কিছুটা দূরে, গুরুদেবের কথা কানে যেতেই মুখ তুলে তাকালো, তারপর আস্তে ধীরে বলল
-- আপনে হাটেন আমি যাইতেচি।
বলেই আবার মাথা নিচু করে আগের মতোই হাঁটতে লাগল।আসলে ঊষা ভাবছে কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা।ছেলের চোখে সে নিচু হয়ে গেছে এক শ্বশুর ছিল আজ তার সামনেও আর কিছু বাকি রইল না।আজ পালিয়ে এসে বেঁচেছে কিন্তু সকাল হলেই তো মুখ দেখতে হবে একে অপরের। লজ্জার কি শেষ থাকবে তখন।ওই ঘটনার জন্য ঊষা গুরুদেবকেই দায়ী করছে।উনি জেনে বুঝেই একাজ করেছে সেই সাথে ঊষা কিছুটা নিজেকেও দোষারোপ করল।চাইলেই তো সে বন্ধ করে দিতে পারত প্রথমেই।এইসব ভাবনার মাঝেই ঊষা গমগম আওয়াজ শুনে দূরে তাকাতেই দেখল প্রায় পৌচ্ছে গেছে তারা, আলো দেখা যাচ্ছে ঝলমলে,তার সাথে কোলাহল।
সারা বাড়ি জুড়ে প্যান্ডেল।আলো ঝকমক করছে, খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে চারিপাশ। বাড়িতে প্রবেশ করেই ঊষার চোখ জুড়িয়ে আসে, এত সুন্দর আয়োজন।টাকা থাকলে কি না হয়?
গুরুদেব আর ঊষাকে দেখে মন্টু এগিয়ে এলো। গুরুদেবকে প্রণাম করে নিয়ে গেল নিজের সঙ্গে। ঊষা দেখল পুজোর স্থানে গ্রামের মহিলারা সবজি কুটছে, সাথে খিল খিল হাসছে সবাই। পুরোহিত পুজোর আয়োজন করছেন, আর বাড়ির উত্তর দিকে জমজমাট ভীড়- সিডি লাগিছে সেখানে। ঊষা সেদিকেই এগিয়ে গেল।শুধু কালো কালো মাথা দেখা যায়।টিভিতে একটা বাংলা সিনেমা চলছে।ঊষা কিন্তু সিনেমা দেখার জন্য এখানে আসেনি,এসেছে ছেলের খোঁজে।কিছুক্ষণ এদিক সেদিক খুঁজাখুজির পর ঊষার নজর পরল ছেলের দিকে।ছেলে তার একমনে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেকে দেখে ঊষা একটু শান্তি পেল তারপর ধীরে ধীরে ঊষা সেই মহিলারা যেখানে সবজি কুটছে সেখানে চলে গেল।ঊষাকে দেখেই গ্রামের এক অল্প বয়সী মহিলা বলে উঠল
- কি লো ঊষা এত দেরি করলি ক্যা?
ঊষা একটু হেসে কিছু বলবে তার আগেই আরেকজন বলল
-- দেরি হইব না?গুরুদেব ছাড়লি সে আইসপ।
বলার সঙ্গে সঙ্গে সবাই খিলখিল করে হেসে উঠল।আরেকজন বলে উঠল
- তা যা কইচাস লতা,ঊষা বিনে গুরুদেবের তো এহন চলেই না।
ঊষা ভীষণ লজ্জায় পরে গেল এই মুহুর্তে।এদের কথা যে কোন এঙ্গেলের তা স্পষ্ট।ঊষার মুখ একটু শুকনো দেখে আরেকজনের হয়ত একটু মায়া হলো, তাই বলল
- আয় বয় এহেনে, অগো কথায় কিছু মনে করিস না,মাগি গো খালি আজাইরা কথা।নে এই মরিচের বুটা গুনা খসাই দে।
বলেই একগাদা মরিচ এগিয়ে দিল।তাও বাঁচা গেল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঊষাও সবার সাথে গুলিয়ে গেল।একপাল মহিলা থাকলে গ্রামের এমন কোন কথা নেই যে সেখানে উঠে না,তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয়গুলোও বড়ো সম্মানের সাথে সেখানে তুলে ধরা হয়।ঊষাও সবার সাথে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করছে আর খিলখিল করছে হাসছে।এভাবেই মিলে মিশে কাজ করে যে যার মতো উঠে পরল। কেউ অন্য কাজে কেউ পুজোর আয়োজনে কেউ বা টিভি দেখতে।ঊষার মনটাও টিভি দেখতে চাইছে, বহুদিন হয়ে গেল কোন সিনেমা দেখা হয় না। সেই শেষবার সুনীলের বাড়ি সিডি এনেছিল তখন একটা সিনেমা দেখেছে।ঊষা তাই আস্তে আস্তে সিনেমা দেখতে উঠে এলো। কিন্তু ভীড় প্রচুর বসবে কই?এদিকটায় বুড়ো বেটারা বসেছে, ওই দিকটায় কয়েকজন মহিলা কিন্তু এই দিকটায় জায়গাই নেই।ঊষা তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই সিনেমা দেখছে।
মন্টুর বউ পুষ্পমালা কি কারণে যেন রান্না ঘরে যাচ্ছিল।যাওয়ার সময় ঊষাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল
- আ লো ঊষা দাঁড়াই রইচাস ক্যা,বয় যাইয়া।
- নাহ কাকি, দাড়াইয়াই ঠিক আচি।
পুষ্পমালা তবু ঊষার কোন কথা শুনল না হাত টেনে নিয়ে গেল মহিলাদের ওইদিকে।কিন্তু সত্যিই ভীষণ ভীড় এদিকে।মহিলাদের পেছনে একটু জায়গা আছে তবে কয়েকটি ছেলে বসে আছে, তার মধ্যে অমরও।পুষ্পমালা সেখানে নিয়ে গিয়ে এক ছেলেকে বলল
- 'ওই ভজা অল্প সইরা বয় তো তোর কাকিরে বইসপার দে অল্প।'
ভজা একটু ওপর দিকে মুখ করে তাকিয়ে দেখল ঊষা দাঁড়িয়ে, সঙ্গে সঙ্গে একটু পিছিয়ে বসে সামনে একটু জায়গা দেখিয়ে বলল
-- এহেনে বসো কাকি।
ভজা অমরের সমবয়সীই বলা যায় তবে অমরের চেয়ে স্বাস্থ্যবান,নাদুসনুদুস। বিশ্বাস বাড়ির ছোট ছেলে, ওর মায়ের সাথে ঊষার বড় ভাব,অনেকবার ওদের বাড়িতে গেছে, অমরেরও বন্ধু একসাথে পড়াশোনা করে।ঊষা ভজার দিকে একটু হেসে সেই সামান্য একটু জায়গায় গিয়ে বসে পরল।ঊষার সামনে আরও দুই- তিনটা ছেলে তার কিছুটা আগে অমর বসেছে।বসার জায়গা পেয়ে ঊষা টিভিতে মনযোগ দিল।তখন একটা দুঃখের সিন চলছে।
প্রায় ঘন্টা খানেক পার হয়েছে মজার সিন চলছে তখন, সেই সিন দেখে সবাই হাসিতে লুটপাট খাচ্ছে। ঠিক সেই মুহুর্তে ঊষার ধামসা পাছায় কিছু একটা খুচা লাগল। ঊষা একটু নড়ে সামান্য এগিয়ে গেল।তবু খুচা লাগছে একদম থলথলে পাছায়।কিসের খুচা দেখার জন্য ঘাড় ঘুরালো ঊষা, দেখল ভজার পায়ের বুড়ো আঙুল-সমানে খুটে চলেছে, ভজার চোখ কিন্তু একদম টিভির পর্দায়,দেখে মনে হচ্ছে ভুলবশত আঙুলটা লেগে যাচ্ছে। তাই ঊষা কিছু না বলে আবার সামনে মুখ ঘুরিয়ে নিল।
আরো কিছুক্ষণ কেটে গেছে কিন্তু আঙুলের খুচা কমেনি আরও বেড়ে গেছে, ঊষার একটু অস্বস্তি লাগছে, তার ছেলের বয়সী একটা ছেলের আঙুলের খুচা পাছায় পেয়ে, উশখুশ করতে লাগল ঊষা।এখন আঙুলটা শুধু খুচাচ্ছে না বরং নরম পাছায় গেঁথে দিচ্ছে।এটা যে ইচ্ছাকৃত সেটা ঊষা বুঝতে পারল।কি করবে ভেবে পেল না ঊষা, ভাবল উঠে চলে যাই, কিন্তু গিয়েই বা কি করবে কোথায় গিয়ে বসবে। সবাই সবার মতো ব্যস্ত।সামনে যে এগিয়ে বসবে তারও উপায় নেই।শেষে আস্তে আস্তে ঊষা সকলের চোখ বাঁচিয়ে হাত পেছনে নিয়ে গিয়ে ভজার পায়ে রাখল,আঙুল ধরে সরিয়ে দিল পা।রেহাই পেল খোচা থেকে।
টিভিতে তখন রোমান্টিক একটা নাচ-গানের সিন চলছে,বৃস্টিতে ভিজে ভিজে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে নাচ করছে নায়ক-নায়িকা।নায়কের হাত পাছা বেয়ে বেয়ে ওপর দিকে উঠে এসে নায়িকার গভীর নাভীর চারপাশে ঘুরঘুর করছে।ইসসস ভীষণ লজ্জা লাগে ঊষার,ছেলের দিকে চোখ যায়,দেখে ছেলে তার ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে যেন ঢোক গিলছে।এর মাঝেই ঊষার সারা শরীর শিরশির করে উঠল কোমরে হাতের স্পর্শ পেয়ে। একটা হাত তার কোমরে আস্তে আস্তে ঘুরে বেরাচ্ছে। ঊষা অবাক হয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখল ভজা হাত বাড়িয়ে তার কোমরে রেখেছে, সঙ্গে সঙ্গে এক ঝটকায় ঊষা হাত সরিয়ে দিল।কি সাহস ছেলের তার মায়ের বয়সী এক মহিলার শরীরে হাত দেয়।
কিছুক্ষণ পরে আবার সেই হাত কোমরে অনুভব করল ঊষা।কি জ্বালা! এতটুকু লজ্জা- শরম নেই ছেলেটার,ঊষা রাগান্বিত হয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই ভজা ভয়ে হাত সরিয়ে নিল। চোখের দিকে চোখ পরতেই কেমন ভয় জড়িত একটা হাসি দেখা গেল ভজার ঠোঁটে।ঊষা কিছুক্ষণ চোখ পাকিয়ে শাসালো, যেন বলল খবরদার আর এমন করবি না।
পুনরায় মগ্ন হয়ে সিনেমা দেখছে ঊষা।কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই আবার টের পেল কোমরে হাত ঘুরা ফেরা করছে।এবার সত্যি সত্যি ভীষণ রেগে উঠল ঊষা,শান্তিতে একটু সিনেমাটাও দেখতে দিচ্ছে না,বজ্জাত ছেলে একটা। ছেলেটাকে জব্দ করা উচিত। এবার তাই হাত সরিয়ে না দিয়ে জোরছে এক চিমটি কেটে দিল হাতে।উহুউউউ একটা শব্দ পেল ঊষা।বেশ ব্যথা পেয়েছে ছোড়া এখন বোঝ কেমন লাগে।এটা ভেবে কিছুটা তৃপ্তি পেল মনে কিন্তু ঊষা অবাক হলো এত জোরে চিমটি কাটার পরেও ছেলেটা হাত সরায়নি বরংচ সাহস করে হাত পেটের দিকে সরিয়ে এনেছে।ঊষা আরও শায়েস্তা করার জন্য আরও একটা চিমটি কাটল হাতে।তবু সরায় না,একের পর এক চিমটি কেটেই চলল ।যতই চিমটি কাটে ততই যেন হাত বেপরোয়া হয়ে উঠছে এখন তো হাত ফেরাচ্ছে না, খামছে খামছে ধরছে নরম তুলতুলে পেট।নাভীর চারিপাশে ঘুরছে আঙুল গুলো। একটা চাপা ইসসস বেরিয়ে আসে ঊষার মুখ থেকে।এমন কচি ছেলের নরম হাত তার পেটে ঘুরছে।আহহ কত আর চিমটাবে? ঊষার মনে হলো রক্ত বেরচ্ছে ভজার হাত থেকে কারণ ভেজা ভেজা লাগছে।কেমন ছেলে এত কষ্ট ভোগ করছে কিসের আশায়?একটু মায়াও হলো ঊষার তার ছেলের বয়সী একটা ছেলেকে এভাবে কষ্ট দিত। সে করবেই বা কি? শেষে মনের সাথে বোঝাপড়া করল ঊষা।সামান্য একটু পেটই তো হাতাচ্ছে,হাতাক আর ওকে কষ্ট দিয়ে লাভ নেই।
ঊষা চিমটি কাটা বাদ দিয়ে সিনেমা দেখছে।এদিকে ভজা আর বিরোধ না পেয়ে আস্তে করে একটা আঙুল ভরে দিল ঊষার নরম গহীন নাভীতে।হাতটা ফুলে উঠেছে চিমটি খেয়ে,একটু একটু রক্তও বেরিয়েছে, তা বেরক কষ্ট সহ্য করছে বলেই না এখন এই অমৃত ভাণ্ডারের নাগাল পাচ্ছে।মৌচাক থেকে মধু চাইলে হূল তো ফুটবেই।
ভজা আঙুলটা আস্তে আস্তে ঘুরাচ্ছে নাভীতে ।ঊষা চুপচাপ সবই বুঝতে পারছে, এটা অতিরিক্ত করছে ছেলেটা তবু কিছু বলল না আর।শুধু কোমরের শাড়িটা ভালো করে গুঁজে নিল কারো নজরে যাতে না পরে।
শাড়িতে হাত ঢাকা পরায় ভজার সাহস যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেল।বুঝতে পেরেছে তার কাকিমা আর বাধা দিবে না।তাই মধ্যমাঙ্গুল নাভীতে ভরে বাকি আঙুল গুলো দিয়ে নাভীর চারপাশে ফেরাতে লাগল।ইসস এত নরম।ভজার মনে হয় মাখনে হাত ডুবিয়েছে।উঠতি বয়সের ছোড়া নারী শরীরের প্রতি ভীষণ আকৃষ্ট। শুধু নাভীতে আঙুল ভরে মনে ভরল না তাই হাতটা আস্তে আস্তে উপর দিকে তুলতে লাগল।ঊষা বুঝতে পারছে তুরতুর করে হাত বেয়ে বেয়ে উপর দিকে উঠছে। কি চাইছে ও? স্তন ছুঁতে? এটা মনে আসতেই শিউরে উঠল গা। দুধে হাত পৌচ্ছানোর আগেই খফাত করে ধরে ফেলল ঊষা।এর বেশি আর এগোতে দেওয়া ঠিক হবে না।হঠাৎ বাধা পেয়ে ভজা কড়বড় করতে লাগল বাধা অতিক্রম করে তার লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে, কিন্তু কিছুতেই পারল না।এবার যেন কেঁদেই ফেলে সে।অমৃতের সন্ধান পেয়েও তাকে কি বঞ্চিত হতে হবে?
ঊষা শক্ত করে বাঁধ তৈরী করে নিশ্চিন্তে টিভিতে মন দিয়েছে,একটা দুর্ধষ সংঘর্ষ হচ্ছে তখন পর্দায়।সেদিকেই ঊষার চোখ, মন দিয়ে দেখছে, তখনই কেমন ফুসফুসানি একটা ভেজা গরম শ্বাস ঊষার কানের লতিসহ ঘাড়ে পরল।আবারও শিউরে উঠল সারা গা,সেই গরম নিশ্বাসে যেন অনুরোধ ছিল, যেন ভজা তার কাকিমাকে অনুরোধ করে বলছে--কাকি হাতখান সরাও না...।
ছেলেটার সাহস দেখে ঊষা ভীষণ অবাক হলো এত এত সাহস পাশেই লোকজনের ভীড় তার মধ্যেই এগিয়ে এসে প্রায় ঊষার পাছায় সেটে বসে ঘাড়ে গরম নিশ্বাস ছাড়ছে আর হাতের কথা তো বলারই নেই।ঊষা কি যে করবে ভেবে পাচ্ছে না।এদিকে ভজার হাত বাধা অতিক্রম করে ওপরদিকে উঠতে মরিয়া হয়ে উঠেছে,ঊষা যেন আর আটকে রাখতে পারছে না,ঘাড়ে গরম নিশ্বাস পেয়ে সারা শরীর ঝাকুনি দিয়ে উঠল, হাতের কড়া বাধন আলগা হয়ে আসছে, এই ফাঁকেই ভজা সুরসুর করে হাত পৌচ্ছে দিল তার কাকিমার ডাসা নরম তুলতুলে দুধে।
দুধে হাতের স্পর্শ পেয়েই ঊষা কেঁপে উঠল, ঝটপট বাধা দেওয়ার জন্য হাত বাড়ানোর আগেই ভজা আলত করে মুঠিতে ভরে নিয়ে পত করে টিপে ধরল। নিম্ন একটা 'উহহহ' বেরিয়ে এলো ঊষার মুখ থেকে।তবু নিজেকে সংযত করে ঘাড় ঘুড়িয়ে প্রায় ভজার কানের কাছে আস্তে করে বলল
- 'হাত সরা ভজা,ভালো হইতেচে না কইলাম, নইলে তোর মায়রে কইয়া দিমু।'
মায়ের কথা শুনে ভয়ে না অন্য কারণে যাই হোক ফট করে হাত সরিয়ে নিয়ে প্রায় ফালদে পিছিয়ে বসল ভজা।ভজার এই ভয়ে ফিক করে হেসে উঠল ঊষা।মনে মনে ভাবল মায়ের কথায় বেশ ভয় পেয়েছে ছোড়া।
এর কিছুক্ষণ পরেই কেউ একজন এসে সবাইকে বলে গেল পুজো শেষ যার যার ইচ্ছে প্রসাদ নিয়ে যাক।অনেকেই উঠে গেল,সাথে ভজাও।
Mrpkk