25-01-2025, 12:18 AM
পর্ব ২: অশুভ ইতিহাসের সূচনা)
সর্বনাশ কখনো বলে কয়ে আসেনা। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের মত হুট করেই সে লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় গোটা চারপাশ । ভোরের সুন্দর সকাল দেখেও বোঝা যায়না যে রাতে
কি ভীষণ প্রলয় অপেক্ষা করছে। তাই তো যখন আমাদের ঘর আলো করে পুত্রসন্তান এলো আমি আর আমার স্ত্রী যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছিলাম। ডাক্তার বলেছিলেন
আমার স্ত্রী কখনো মা হতে পারবেন না। সেই শঙ্কা যখন ভুল প্রমাণিত হল তখন আমাদের কৃতজ্ঞতার অন্ত ছিল না। এক চাঁদেই আমরা খুশি ছিলাম। আর ঝুঁকি নিতে চাইনি
আমরা কেউই। আমার স্ত্রী ছিলেন পুত্র বলতে অজ্ঞান। আমিও ছেলেকে একটু বেশিই ভালবাসতাম। এই আদর-ভালবাসার আধিক্যেই কিনা পুত্র আমার কিশোর বয়সে ভুল পথে
যেতে লাগলো। যতদিনে আমরা বুঝে উঠতে পেরেছিলাম যে ছেলেকে হারিয়ে ফেলছি ততদিনে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল। অধিক কথা না বাড়িয়ে অতি সংক্ষেপে যেটা হয়েছিল
জানাচ্ছি।
সদ্য কিশোরে পা দেওয়া অতি আদরের পুত্র আমার কুসঙ্গে পরে যায়। সিগারেট এবং আরও কি কি সব দিয়ে নিজের ফুসফুসকে দূষিত করতে শুরু করে। একই সাথে কলেজেরই
এক মেয়ের জন্যে দিওয়ানা হয়ে নাওয়া খাওয়া ভুলে বসে। আবার সেই মেয়েটি তাকে মোটেও পছন্দ করত না । তাছাড়া খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম মেয়ের পরিবার আর্থিক ও
সামাজিকভাবেও আমাদের চাইতে বেশ নিচুতে। পুত্রের মা তাকে বোঝাচ্ছিল যদিও । কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে যেতে থাকে। রেজাল্ট খারাপ হতে থাকে।এসএসসি পাশ করবে কিনা
তা নিয়েই আমরা পিতামাতা দুশ্চিন্তায় পরে যাই। সেই সাথে প্রতিদিন আমি অফিস থেকে ফিরলেই নিত্য মাতা-পুত্রের কলহ। কলহের শব্দে প্রতিবেশিরাও জানতে শুরু করেছিল
যে আমাদের ভেতরে সমস্যা হয়েছে কোন । এভাবেই একদিন আমি মাত্র অফিস থেকে ফিরে লাঞ্চ করে কেবল উঠেছি আর ঠিক তখনি শুনতে পেলাম মা ছেলের চিৎকার।
চিৎকার ভেসে আসছিল ছেলের রুম থেকে। এমন কলহ নতুন নয়। তাই সেখানে যাবার প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে সবই শুনতে পাচ্ছিলাম। পুত্রের মা বলছিল, “ওই এক
মেয়ের ভেতর কি আছে যে নষ্ট করছিস নিজের জীবন? সময়ে সময়ে তোকে অপমাণ করে। আর সেই ঝাল ঘরে আমাদের দেখাস। ওর চিন্তা বাদ দে। পড়াশোনা কর।
স্বাভাবিক হ। বাজে মুভি দেখা ছাড়, সিগারেট ছাড়!” ইত্যাদি। স্বস্নেহে বড় করা ছেলের প্রতি এমন মাতৃউপদেশ প্রতিনিয়তই শুনতে পেতাম। তাই গা করিনি। কিন্তু সেদিনটি
ব্যতিক্রম ছিল । একটু পরে শুনি চড়ের ঠাস ঠাস আওয়াজ । কাছে গিয়ে দেখি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে আর ওর মা ওকে একে একে মেরেই চলেছে পাগলের মত । আমি গিয়ে
বহু কষ্টে স্ত্রীকে ঠেকাই। ওর মা কাঁদছিল। ছেলে কোন শব্দ করেনি। স্থানুর মত দাঁড়িয়েছিল। কেনই বা স্ত্রীর এ অগ্নিমূর্তি তা আমি সেদিন জানতাম না। জানতে পেরেছিলাম
আরও দিন ১৫ পরে। জানতে পেরেছিলাম যে আমার ছেলে নাকি তার মায়ের সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বলে বসেছিল যে, “ওই মেয়েকে যদি না পাই তাহলে কি তুমি শোবে
আমার সাথে?” এতেই ওর মা পুরা অগ্নিশর্মা হয়ে গেছিল।
এ ঘটনার ঠিক পরে দিন সকালে অফিস যাবার আগে আবার ঝামেলা হল। আমি তখন সবে খেতে বসেছি। ওর মা তখন রান্না করছিলো। ছেলে রান্নাঘরে কি কাজে যেন
গিয়েছিল। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় আমার স্ত্রী রেগে পুত্রকে কি যেন একটা বলেছে। আমি সেটা শুনতে পাইনি। ছেলে সতেজে মায়ের মুখের ওপর প্রতিউত্তর দেয়ায়
আবারো এই কলহের সূত্রপাত। তবে এরপরে দুজনেরই গলার আওয়াজ ক্রমশ চড়ে গেলে তাদের কথপোকথন স্পষ্টতই শোনা যাচ্ছিল। ছেলে বলছিল, "কি এমন বলেছি
কালকে? লজিকাল কথা বললে এত লাগে কেন? মুভি দেখলে দোষ। পিসি চালালে ‘কি দেখিস’ প্রশ্ন, ‘কাকে মেসেজ দিচ্ছিস?’, ‘ওই মেয়ের পিছনে যাবিনা’-- আমি
ফেডাপ আম্মু । কিছু না করে বাসায় বসে থাকব আমি? আমার কোন গালফ্রেন্ড হবেনা । আমি কোন মেয়ের কাছে যাব না । আমি একটা ছেলেমানুষ। আমার বয়সের চাহিদা
কি তবে তুমি ঠিক রাখবা? লজিকাল না কথাটা?" ছেলে রেগে বলে চলেছিল। ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে এবারে ওর মা ওকে রুটি বানানোর বেলন দিয়ে মারছিলো আর চিল্লাচ্ছিল।
“কত বড় কাফের পেটে ধরছি আমি। লজ্জা নাই, হায়া নাই! মাকে কি তোর ছেনাল মাগী লাগে? মায়ের সাথে এভাবে কথা বলিস তুই?” এমন আরও বহু কিছু। আমি
কোনরকমে সেদিন সামলাই দুজনাকে । ওদের কাছে গিয়ে বলি, “অফিসে যাবার আগে প্রতিদিন এসব কি করো তোমরা?” ছেলেকে বলি, “তুমি ঘরে যাও। কোচিং এর জন্যে
রেডি হও।“ ছেলে চলে গেলে দেখলাম আমার আমার স্ত্রীর ঘর্মাক্ত মুখটি ক্রোধে যেন লাল হয়ে আছে। এখন বর্তমানে আমি বেশ বুঝতে পারি যে আমার পুত্র সেদিন এসব
অশ্লীল কথা বলেছিল শুধুমাত্র তর্কের খাতিরে। কিশোর বয়সের অহংকে সমুন্নত রাখতে অথবা শুধুই ওর মাকে রাগাতে। তবে সম্ভবত ঠিক এ ঘটনার পরেই ও বুঝতে পারে ও
যে কথাগুলো বলেছিল তার অর্থ আসলে কতটা গভীর আর আর নোংরা ছিল। হয়তবা এটা উপলব্ধি করেই এর পর থেকে ওর মায়ের প্রতি ওর চিন্তাধারা পরিবর্তন হতে
থাকে। এছাড়া সেই সহপাঠী মেয়ের থেকেও সারা পাচ্ছিল না। আমাদের সন্তান দেখতেও এমন আহামরি নয় যে অন্য মেয়ের কাছে পাত্তা পাবে। তাই সব মিলিয়ে আমার মনে
হয় ওই সময়টাতেই প্রথমবারের মত সে তার মাকে নিয়ে কিছুটা অন্যরকম ভাবে ভাবতে শুরু করে।
এরপর আসে সেই মহা সর্বনাশের দিন। যে সর্বনাশ ছেলে বখে যাবার সাথে শুরু হয়েছিল সেই সর্বনাশ সেদিন তার অন্তিম পরিণতি লাভ করে। অথবা বলা যায় এক কালো
অধ্যায়ের কুসূচনা করে। সেই অপয়া দিনে দুপুরবেলা খাবার খেতে বসতে যাব। স্ত্রী তখন রান্না ঘরে। হঠাৎই স্ত্রীর চড়া গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। স্ত্রী বলে যাচ্ছিল, “এত
সাহস বাড়ছে তোর? এত? আমাকে উলটাপালটা বলিস আবার এখন পেছন থেকে হাত দেয়াও শিখে গেছিস? লুচ্চা কুকুর, অমানুষ!” ছেলে কি বলছিল নিচু গলায় শুনতে
পাচ্ছিলাম না। তবে ছেলের কথায় যে স্ত্রী আরও ক্ষেপে গেল সেটা বুঝতে পেরেছিলাম স্ত্রীর গলার আওয়াজ আরও বেড়ে যাওয়ায়। তার গলা শুনতে পাচ্ছিলাম। “আবার কথা
বলিস? সামাণ্য জিনিস? সামান্য জিনিস চাচ্ছিস তুই আমার কাছে? সামাণ্য জিনিস?” আমি শুনে চলেছিলাম। তবে এই নিত্যকলহে বাগড়া দেবার কোন সাধ আমার ছিল না।
তবে সে দিনটি আগের অন্যদিনের মত ছিল না । আমার ওয়াইফ হিস্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীর মত গলার জোরে চিৎকার করছিল। এভাবে কিছু কথা কাটাকাটির পর হুট করেই
আমার ওয়াইফের যেন বিস্ফোরণ হয়। গায়ের জোরে চিৎকার দিয়ে সে বলতে থাকে, “খুব লাগবে না তোর? অনেক খাই তোর কুত্তা, তোর খাই মেটাচ্ছি আয়।“ স্ত্রীর গলার
আওয়াজের প্রচন্ডতায় শঙ্কিত হয়ে উঠলাম । ভয় পাচ্ছিলাম অন্য ফ্ল্যাটের মানুষজনও না শুনতে পায়। এর পর আরও জোরে চিৎকার পুত্রের মায়ের। “ওরে কুত্তা! সত্যি
আসতেছিস? লজ্জা নাই? এত খাই? মানে আসলেই চাস? শুয়োরের বাচ্চা দিচ্ছি তোকে দাঁড়া। আয় দজ্জালের বাচ্চা আয়। তোকে দেই। এই রান্না ঘরে না। খাবার রুমে তোর
বাপের সামনে চল । ওখানে দেব তোকে। উনিও দেখুক ওনার ছেলে কি জিনিস! সারাদিন তোর বাপ আমাকে বলে ছেলের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে। ফ্রেন্ডশিপ তাই না? চল
ওই রুমে। ওর ছেলে কি জিনিস ওকে দেখাব আজ ।“ আমার স্ত্রীর মেজাজ আমার অজানা নয়। স্ত্রীর মুখে এসব শুনে আমারই ভয় ধরে গেল। মনে হচ্ছিল আমার স্ত্রী আর
স্বাভাবিক নেই । এরপরেই দেখলাম আমার ওয়াইফ ডাইনিং রুমে এ চলে আসলো। তার মুঠিতে ছেলের চুল। চুল ধরে ছেলেকেও এনেছে। আমার সামনে এনে ছেড়ে দিয়ে গর্জে
উঠলো, “কুত্তা এবার কর যা করার!” ছেলে নিশ্চুপ । ওর মা চিল্লাচ্ছে সর্বশক্তিতে, “কেন? এখন লজ্জা হচ্ছে? গত ২ সপ্তাহ ধরে আমার কাছে নোংরা আবদার করতে
লজ্জা লাগে নাই? এখন তো দিলামই! দাঁড়ায় আছিস কেন? খোল? টান দে শাড়ি। খুলে ফেল তোর বাপের সামনে! সেও দেখুক তার ছেলে কত বড় দানব!” এরপর আমার
স্ত্রী আমার দিকে তাকিয়ে গর্জন করে উঠলো, “আমাকে তো খুব ফ্রেন্ডশিপ করতে বলো ছেলের সাথে। তো দেখে নাও ফ্রেন্ডশিপের নমুনা!” তারপর আবার ছেলের দিকে
ফিরে বললো, “আয়। আসিস না কেন হারামজাদা?” ছেলে মূর্তির মত দাঁড়ানো। মা চিল্লাচ্ছে। এরপরে হুট করে একসাথে অনেকগুলো ঘটনা ঘটলো যার জন্যে আমরা ৩
জনের কেউই প্রস্তত ছিলাম না।
ওর মা হিস্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীর মত চিল্লাতে চিল্লাতে হুট করেই একটানে নিজের ঘিয়ে রং এর শাড়ির আচল একটানে ফেলে দিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো, “শুয়োরের বাচ্চা!
মায়ের সাথে নখরামি করতে চাস! তো এখন নড়িস না কেন? আয়? ভয় পাচ্ছিস? নাকি লজ্জা? তুই তো বেজন্মা, বেহায়া । তোর আবার লজ্জা কিসের? তুই না পারলে
আমিই খুলছি শাড়ি আয়!” এই বলে বাম হাত দিয়ে নিজের পেটের কাছে থাকা শাড়ির অংশ ধরে পিছনে নিয়ে অপর হাত দিয়ে টেনে সামনে নিয়ে আসতে থাকে। ঘটনাটি
এত দ্রুত ঘটতে থাকে যে আমরা বাবা আর ছেলে দুজনেই হতভম্ব হয়ে যাই। ঘরের মধ্যে তখন এক নারকীয় দৃশ্যের অবতারণা চলছে। চল্লিশ ছুঁই ছুঁই এক মধ্যবয়স্কা লম্বা
চওড়া শরীরের সংসারী নারী ক্রোধে অন্ধ হয়ে মুখে গালির তুবড়ি ছোটাচ্ছে । আর সাথে তার দুই হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টানছে নিজ পরনের শাড়ি । হস্তদ্বয়ের এই প্রতি ঘূর্ণনে
লুকিয়ে থাকা সায়ার ভেতর থেকে দ্রুত বেড়িয়ে আসছে শাড়িটি। আচল ফেলাতেই উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া ব্লাউজ এর নিচে দ্রুত উন্মুক্ত হচ্ছে তার কিছুটা মেদবহুল ফর্সা পেট।
এভাবে দ্রুতই মহিলাটির সুগভীর নাভীকে উন্মুক্ত করে মাত্র ২৫ সেকেন্ডের ভিতরে মেঝেতে লুটালো শাড়িটি । ক্রোধে অন্ধ পৃথুলা রমণীর শরীরে তখন শুধুমাত্র সায়া আর
ব্লাউজ। ঘোরের মধ্যে থাকা মধ্যবয়স্কা রমণীটির হয়ত খেয়ালই নেই সেই আগের যুগের মা-খালা-চাচীদের মত বক্ষবন্ধনী বিহীন শুধু ব্লাউজ তার ভরাট ভারী স্তনের আকৃতিকে
কি কুৎসিত ভাবেই না ফুটিয়ে তুলেছে। ঘরের মধ্যে এক মধ্যবয়সী পুরুষ আর এক কিশোরের সামনে তার আঁটসাঁট ব্লাউজ যে অভ্যন্তরে থাকা স্তনের খাঁড়া বোটাগুলোকে যে
স্পষ্ট প্রকাশ করে দিচ্ছে তাতে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। পুরুষদের মাঝে আমারই প্রথম হুশ ফেরে । দ্রুত শাড়িটি তুলে, “আহ রোকসানা! পাগল হয়ে গেলে নাকি?” বলে
যেই না আবার তার ব্লাউজ আবৃত উদ্ধত স্তনযুগল আর উন্মুক্ত নাভীদেশ ঢেকে দিতে যাব ঠিক এমনি সময় দড়জায় বেল বেজে উঠলো! আমাদের প্রতিবেশিরা চিল্লাচিল্লির
শব্দে চলে এসেছে বাসায়। দরজা ধাক্কাচ্ছে। খুবই বাজে পরিস্থিতি। ভয় না পেয়ে পারলাম না। মধ্যবিত্তের সবচাইতে বড় ভয় মান সম্মানের ভয়। কিন্তু আমার বউয়ের কোন হুশ
নেই। সে না থেমেই চিৎকার করে চলেছে, “আসুক। সবাই জানুক। কেমন জানোয়ার পুষছি ঘরে দেখুক সবাই।“ আমি তাকে ঠেলে, “যাও তো রুমে” বলে দ্রুত গেলাম
দড়জার কাছে। দড়জা খুলতে। কারণ গায়ে শাড়ি জরাবার আর সময় নেই । ছেলেও ঝামেলা বুঝে দ্রুত ওর মাকে ঠেলে ঘরের ভেতরে নিয়ে গেল। আমি দরজা খুলে
প্রতিবেশিদের ভেতরে আসতে বললাম। সবাইকে ড্রইং রুমে বসতে দিয়ে নিচু মুখে তাদের বোঝালাম, যে ছেলের মডেল টেস্টের রেজাল্ট ভাল হয়নি । তাই ওর মা রাগারাগি
করছে। সিরিয়াস কিছু নয়। এভাবে ওদের সাথে ৫/৭ মিনিট আড্ডা দিলাম। এই অল্প কয়েক মিনিটের মাঝে আমার স্ত্রী একবারও চিল্লায় নি। শুধুমাত্র শেষদিকে একবার জোরে
"আহ!" শুনতে পেরেছিলাম। প্রতিবেশিরা জিজ্ঞেস করেনি অবশ্য । আমিও বলিনি কিছু। দুপুর ছিল তাই কেউ তাই বেশিক্ষণ বসে নি। চলে গেল। মূলত এই অল্প কয়েক
মিনিটেই আমার জীবন বদলে যায় ।
আমি যখন কথা বলছিলাম প্রতিবেশিদের সাথে আমার ছেলে তখন ঠেলে তার মাকে রুমে নিয়ে গিয়ে শান্ত করতে চেষ্টা করছিল যাতে প্রতিবেশিরা না শুনতে পায়। কিন্তু ওর
মা তখনো ভয়ানক রেগে ছিল। বারবার অশ্রাব্য গালাগালি করছিল। তাই বাধ্য হয়ে ছেলে ওর মাকে ধাক্কা দিয়ে উঁচু তাকওয়ালা পড়ার টেবিলের পাশে অবস্থিত খাটে ফেলে
দিয়ে বলে ওঠে, “চুপ! একদম চুপ। সবাই শুনতে পাবে।“ খাটের উপর আমার জীবনসঙ্গীনি মহিলাটি ধপাস করে পরলেও তার রাগ তখনো পরেনি। তার নিতম্ব থেকে মাথা
পর্যন্ত উচু বিছানার উপরে থাকলেও উরু থেকে পায়ের বাকি অংশ বিছানা থেকে ঝুলে তার পায়ের আঙুলগুলো কোনমতে মেঝে স্পর্শ করেছিল। তার লম্বা পায়ের পাতা সম্পূর্ণ
ভাবে পায়ের ভর নিয়ে মেঝের স্পর্শ নিতে পারেনি। স্বাভাবিক মানুষের সাধারণ রিফ্লেক্স বশতই তার মাংসল উরুসমেত দুই পা দুদিকে কিছুটা সরে গিয়ে ভারী শরীর আর
বিছানার ভারসাম্য রক্ষা করছিল। এই অবস্থাতেই আমার স্ত্রী ও সন্তানের জননী ঘৃণায় মুখ বাঁকা করে তার ছেলের উদ্দেশ্যে বলে চলেছিল, “কুত্তা। লোকে শুনলে ভাল হবে।
তুই কত বড় জাহেল সবাই জানবে । এখন লজ্জা পাচ্ছিস জানোয়ার! তোর লজ্জা আছে? তুই তো খবিশ, চামার!” ভেবে দেখলে বোঝা যায় সেই মুহুর্তে ছেলেটির পরিস্থিতি
ছিল অত্যন্ত নাজুক । একে কিশোর বয়সের ছেলে তাতে আবার মাথা গরম। উপরন্তু তার অতি আপন-অতি প্রিয় “আম্মু” যে কিনা তাকে অত্যন্ত আদর-সোহাগ দিয়ে বড়
করেছে সেই কিনা আজ তাকে নির্মম ভাবে রাগ আর অপমাণ করে চলেছে বিছানায় শুয়ে। সেই মায়ের গায়ে আবার শুধুমাত্র সায়া আর ব্লাউজ। বিছানায় শোয়া তার আংশিক
অনাবৃত লম্বা-চওড়া শরীরের মায়ের অশ্রাব্য গালিবর্ষণ, ক্রোধ এবং ভরদুপুরের গরমের আধিক্যে গলা আর নাভীর পার্শ্বদেশে জমে থাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম আর নিরবিচ্ছিন্ন অশ্রাব্য
খিস্তির মাঝে থেকে থেকে শ্বাস নেবার সময় ব্লাউজের নিচে পর্বতের মত দাঁড়িয়ে থাকা স্তনবৃন্তদ্বয়ের ওঠানামা তাকে সহ্যশক্তির শেষ পর্যায়ে নিয়ে যায়। দুর্ভাগা পুত্রটি শাড়ি
খোলার সময় থেকেই প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিল। তার লিঙ্গ ছিল উত্থিত। তার ওপর মায়ের এই অবস্থা। বেচারা আর থাকতে পারেনি। যা ঘটেছিল সেটা সেকেন্ডের মাঝে। নিয়ন্ত্রন
হারিয়ে এক লাফে সে চলে যায় আমার স্ত্রীর দুদিকে ছাড়ানো দুই পায়ের মাঝে। আর মুহুর্তের মাঝেই মায়ের চোখে চোখ রেখেই এক হ্যাচকা টানে মায়ের গোড়ালি থেকে সায়া
উপরে তুলে ফেলে আর একই সাথে আরেক হাতে নামিয়ে দেয় নিজের পরনের ট্রাউজার। এর পরে নিমেষেই দুই পা মেঝেতে রেখে শরীরের উপরের অংশের ভর ছেড়ে দেয়
বিছানায় নিজের জন্মদাত্রীর শরীরের উপর । যেহেতু নারীর সায়াটি ছিল কোমরের উপরে আর কিশোর ছেলেটির ঢোলা ট্রাউজারটি ছিল নিচে পায়ের কাছে। তাই শরীরে ভর
ছেড়ে দেয়াতে ওর সটান পুরুষাঙ্গটি এক ধাক্কাতে ওর মায়ের উন্মুক্ত যোণীপথে ঢুকে যায়। মুহুর্তের ব্যবধানে বহুদিনের অব্যবহৃত যোণীমুখ দিয়ে আপন সন্তানের লৌহদন্ডটির
ক্ষেপনাস্ত্রের ন্যায় সকল বাঁধা অতিক্রম করে অভ্যন্তরে গমন এবং যোণীদ্বারের নরম মাংস চিড়ে অপ্রত্যাশিত এই অনুপ্রবেশের অস্বস্তি, শিহরণ ও বেদনায় নিজের অজান্তেই
আমার স্ত্রীর তথা প্রতিবেশিদের কাছে ভদ্র, সামাজিক, হাস্যোজ্জ্বল হিসেবে সুপরিচিত মিসেস রোকসানার গলা চিড়ে বেরিয়ে আসে “আহ-হা!” আর্তচিৎকার । যা কিনা
ড্রইংরুমে প্রতিবেশিদের সাথে আলাপরত তার স্বামী ও প্রতিবেশিদের কানে পর্যন্ত পৌছেছিল।
ঘটনা ও তার প্রেক্ষিতে শারীরিক ব্যথা, মানসিক বেদনা, স্পর্শকাতর শিহরণ এবং এই তিন সম্মিলিত অনুভূতির জন্যে দায়ী নিষিদ্ধ উৎসের দুশ্চিন্তার আকস্মিকতায় আমার স্ত্রী
বিস্ময়ে বিমূর হয়ে যান। দু হাত দিয়ে পাগলের মত ছেলেকে ঠেলে সরাতে থাকেন নিজের ওপর থেকে। ছেলেও ঝোঁকের বশে হওয়া ভুল বুঝতে পারে। তাই সেও হুশ ফিরে
পেয়ে উঠে আসছিল তার মায়ের ওপর থেকে। প্রবল ধাক্কায় মাতৃজঠরে ঢুকে যাওয়া তার উত্থিত লিঙ্গটি সে কোমর তুলে বের করে নিয়ে আসছিল নিষিদ্ধ গহবর থেকে।
জানালা দিয়ে আসা ভর দুপুরের রোদ্দুরে দ্রুত বেরিয়ে আসতে থাকা কালো দন্ডটি চিক চিক করে আলো প্রতিফলিত করছিল। মধ্যবয়স্ক মহিলাটি উত্তেজিত ছিলেন না । তাই
বেরিয়ে আসতে থাকা আধারদন্ডে আলো প্রতিফলিতকারী তরলটি তার ছিল না। বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয় যে কিশোর ছেলেটি সম্ভবত সেই শাড়ির পতন থেকেই এই পূর্বকাম
তরল ক্ষরণ করে চলেছিল। যা যোণীতে প্রবেশের সময় অভ্যন্তরস্থ গরম মাংসপেশীর চাপে পুরো দণ্ডে মাখিয়ে যায়। পুত্রের লিঙ্গটি যখন প্রায় বাইরে বেরিয়ে এসেছে এবং
শুধুমাত্র মাশরুমের ন্যায় ফুলে থাকা বড় লিচুর মত লাল মুণ্ডিটি ভেতরে রয়ে গিয়েছে ঠিক এমনি সময় আমি সেই রুমের দিকে এগোতে থাকি। রুমের দড়জা ছিল খাটের
পেছন দিকে। রুমের প্রবেশপথ থেকে খাটটিকে আড়াল করে রেখেছিল মাঝে থাকা থরে থরে বই সজানো উঁচু তাকওয়ালা পড়ার টেবিলটি। আমার পায়ের আওয়াজে আমার স্ত্রী
ভীত হয়ে পরে এটা ভেবে যে বোধহয় প্রতিবেশিরাও আসছে। ভয় পেয়ে সে ঠেলতে থাকা তার নাড়িছেড়া ধনকে আবার বুকে টেনে নেয় যাতে টেবিলের আড়ালে কেউ দেখতে
না পায় যে কি চলছে । আর এতেই হিতে বিপরীত হয়। আবার টান দেয়াতে প্রায় বেরিয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গটি আবার ঢুকে যায় অনভ্যস্ত গহবরে। একটি টিনেজ ছেলে যে কিনা
মারাত্নক উত্তেজিত। সাথে আবার জীবনে প্রথম গরম যোণীর স্বাদ। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেটির পুংলিঙ্গ তার সহ্যক্ষমতা হারায়। হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা সমাজিক
রীতিনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দমকে দমকে সে ঢেলে দিতে থাকে ঘন সাদা গরম পায়েসের ন্যায় উর্বর উত্তপ্ত বীর্য। আমি পেছন থেকে এসে দেখি মায়ের উপর তার সন্তান।
উভয়ের নিতম্ব একে অপরের উপরে। সন্তানের পুংলিঙ্গ তার জননীর ভেতরে। আমি এত বেশি হতবিহবল হয়ে যাই যে স্থান কাল পাত্র ভুলে নিজের অজান্তেই ডেকে উঠি,
"এই
সামী!" আমার গলার আওয়াজ পেয়েই ছেলে ঝড়ের মত উঠে ট্রাউজার টানতে টানতে রুম থেকে বের হয়ে চলে যায়। আর আমার স্ত্রী বোবার মত কয়েক সেকেন্ড সিলিং এর
দিকে তাকিয়ে থেকে ছাড়িয়ে থাকা দুই পা ভাজ করে আপন সন্তানের বীর্যে মাখানো অরক্ষিত স্ত্রীলিঙ্গকে আড়াল করে বিশাল চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করে। একেবারে মানুষ মরা
বিলাপ যাকে বলে।
এভাবেই প্রথমবারে আমাদের জীবন ওলটপালট হয়।
সর্বনাশ কখনো বলে কয়ে আসেনা। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের মত হুট করেই সে লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় গোটা চারপাশ । ভোরের সুন্দর সকাল দেখেও বোঝা যায়না যে রাতে
কি ভীষণ প্রলয় অপেক্ষা করছে। তাই তো যখন আমাদের ঘর আলো করে পুত্রসন্তান এলো আমি আর আমার স্ত্রী যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছিলাম। ডাক্তার বলেছিলেন
আমার স্ত্রী কখনো মা হতে পারবেন না। সেই শঙ্কা যখন ভুল প্রমাণিত হল তখন আমাদের কৃতজ্ঞতার অন্ত ছিল না। এক চাঁদেই আমরা খুশি ছিলাম। আর ঝুঁকি নিতে চাইনি
আমরা কেউই। আমার স্ত্রী ছিলেন পুত্র বলতে অজ্ঞান। আমিও ছেলেকে একটু বেশিই ভালবাসতাম। এই আদর-ভালবাসার আধিক্যেই কিনা পুত্র আমার কিশোর বয়সে ভুল পথে
যেতে লাগলো। যতদিনে আমরা বুঝে উঠতে পেরেছিলাম যে ছেলেকে হারিয়ে ফেলছি ততদিনে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল। অধিক কথা না বাড়িয়ে অতি সংক্ষেপে যেটা হয়েছিল
জানাচ্ছি।
সদ্য কিশোরে পা দেওয়া অতি আদরের পুত্র আমার কুসঙ্গে পরে যায়। সিগারেট এবং আরও কি কি সব দিয়ে নিজের ফুসফুসকে দূষিত করতে শুরু করে। একই সাথে কলেজেরই
এক মেয়ের জন্যে দিওয়ানা হয়ে নাওয়া খাওয়া ভুলে বসে। আবার সেই মেয়েটি তাকে মোটেও পছন্দ করত না । তাছাড়া খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম মেয়ের পরিবার আর্থিক ও
সামাজিকভাবেও আমাদের চাইতে বেশ নিচুতে। পুত্রের মা তাকে বোঝাচ্ছিল যদিও । কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে যেতে থাকে। রেজাল্ট খারাপ হতে থাকে।এসএসসি পাশ করবে কিনা
তা নিয়েই আমরা পিতামাতা দুশ্চিন্তায় পরে যাই। সেই সাথে প্রতিদিন আমি অফিস থেকে ফিরলেই নিত্য মাতা-পুত্রের কলহ। কলহের শব্দে প্রতিবেশিরাও জানতে শুরু করেছিল
যে আমাদের ভেতরে সমস্যা হয়েছে কোন । এভাবেই একদিন আমি মাত্র অফিস থেকে ফিরে লাঞ্চ করে কেবল উঠেছি আর ঠিক তখনি শুনতে পেলাম মা ছেলের চিৎকার।
চিৎকার ভেসে আসছিল ছেলের রুম থেকে। এমন কলহ নতুন নয়। তাই সেখানে যাবার প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে সবই শুনতে পাচ্ছিলাম। পুত্রের মা বলছিল, “ওই এক
মেয়ের ভেতর কি আছে যে নষ্ট করছিস নিজের জীবন? সময়ে সময়ে তোকে অপমাণ করে। আর সেই ঝাল ঘরে আমাদের দেখাস। ওর চিন্তা বাদ দে। পড়াশোনা কর।
স্বাভাবিক হ। বাজে মুভি দেখা ছাড়, সিগারেট ছাড়!” ইত্যাদি। স্বস্নেহে বড় করা ছেলের প্রতি এমন মাতৃউপদেশ প্রতিনিয়তই শুনতে পেতাম। তাই গা করিনি। কিন্তু সেদিনটি
ব্যতিক্রম ছিল । একটু পরে শুনি চড়ের ঠাস ঠাস আওয়াজ । কাছে গিয়ে দেখি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে আর ওর মা ওকে একে একে মেরেই চলেছে পাগলের মত । আমি গিয়ে
বহু কষ্টে স্ত্রীকে ঠেকাই। ওর মা কাঁদছিল। ছেলে কোন শব্দ করেনি। স্থানুর মত দাঁড়িয়েছিল। কেনই বা স্ত্রীর এ অগ্নিমূর্তি তা আমি সেদিন জানতাম না। জানতে পেরেছিলাম
আরও দিন ১৫ পরে। জানতে পেরেছিলাম যে আমার ছেলে নাকি তার মায়ের সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বলে বসেছিল যে, “ওই মেয়েকে যদি না পাই তাহলে কি তুমি শোবে
আমার সাথে?” এতেই ওর মা পুরা অগ্নিশর্মা হয়ে গেছিল।
এ ঘটনার ঠিক পরে দিন সকালে অফিস যাবার আগে আবার ঝামেলা হল। আমি তখন সবে খেতে বসেছি। ওর মা তখন রান্না করছিলো। ছেলে রান্নাঘরে কি কাজে যেন
গিয়েছিল। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় আমার স্ত্রী রেগে পুত্রকে কি যেন একটা বলেছে। আমি সেটা শুনতে পাইনি। ছেলে সতেজে মায়ের মুখের ওপর প্রতিউত্তর দেয়ায়
আবারো এই কলহের সূত্রপাত। তবে এরপরে দুজনেরই গলার আওয়াজ ক্রমশ চড়ে গেলে তাদের কথপোকথন স্পষ্টতই শোনা যাচ্ছিল। ছেলে বলছিল, "কি এমন বলেছি
কালকে? লজিকাল কথা বললে এত লাগে কেন? মুভি দেখলে দোষ। পিসি চালালে ‘কি দেখিস’ প্রশ্ন, ‘কাকে মেসেজ দিচ্ছিস?’, ‘ওই মেয়ের পিছনে যাবিনা’-- আমি
ফেডাপ আম্মু । কিছু না করে বাসায় বসে থাকব আমি? আমার কোন গালফ্রেন্ড হবেনা । আমি কোন মেয়ের কাছে যাব না । আমি একটা ছেলেমানুষ। আমার বয়সের চাহিদা
কি তবে তুমি ঠিক রাখবা? লজিকাল না কথাটা?" ছেলে রেগে বলে চলেছিল। ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে এবারে ওর মা ওকে রুটি বানানোর বেলন দিয়ে মারছিলো আর চিল্লাচ্ছিল।
“কত বড় কাফের পেটে ধরছি আমি। লজ্জা নাই, হায়া নাই! মাকে কি তোর ছেনাল মাগী লাগে? মায়ের সাথে এভাবে কথা বলিস তুই?” এমন আরও বহু কিছু। আমি
কোনরকমে সেদিন সামলাই দুজনাকে । ওদের কাছে গিয়ে বলি, “অফিসে যাবার আগে প্রতিদিন এসব কি করো তোমরা?” ছেলেকে বলি, “তুমি ঘরে যাও। কোচিং এর জন্যে
রেডি হও।“ ছেলে চলে গেলে দেখলাম আমার আমার স্ত্রীর ঘর্মাক্ত মুখটি ক্রোধে যেন লাল হয়ে আছে। এখন বর্তমানে আমি বেশ বুঝতে পারি যে আমার পুত্র সেদিন এসব
অশ্লীল কথা বলেছিল শুধুমাত্র তর্কের খাতিরে। কিশোর বয়সের অহংকে সমুন্নত রাখতে অথবা শুধুই ওর মাকে রাগাতে। তবে সম্ভবত ঠিক এ ঘটনার পরেই ও বুঝতে পারে ও
যে কথাগুলো বলেছিল তার অর্থ আসলে কতটা গভীর আর আর নোংরা ছিল। হয়তবা এটা উপলব্ধি করেই এর পর থেকে ওর মায়ের প্রতি ওর চিন্তাধারা পরিবর্তন হতে
থাকে। এছাড়া সেই সহপাঠী মেয়ের থেকেও সারা পাচ্ছিল না। আমাদের সন্তান দেখতেও এমন আহামরি নয় যে অন্য মেয়ের কাছে পাত্তা পাবে। তাই সব মিলিয়ে আমার মনে
হয় ওই সময়টাতেই প্রথমবারের মত সে তার মাকে নিয়ে কিছুটা অন্যরকম ভাবে ভাবতে শুরু করে।
এরপর আসে সেই মহা সর্বনাশের দিন। যে সর্বনাশ ছেলে বখে যাবার সাথে শুরু হয়েছিল সেই সর্বনাশ সেদিন তার অন্তিম পরিণতি লাভ করে। অথবা বলা যায় এক কালো
অধ্যায়ের কুসূচনা করে। সেই অপয়া দিনে দুপুরবেলা খাবার খেতে বসতে যাব। স্ত্রী তখন রান্না ঘরে। হঠাৎই স্ত্রীর চড়া গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। স্ত্রী বলে যাচ্ছিল, “এত
সাহস বাড়ছে তোর? এত? আমাকে উলটাপালটা বলিস আবার এখন পেছন থেকে হাত দেয়াও শিখে গেছিস? লুচ্চা কুকুর, অমানুষ!” ছেলে কি বলছিল নিচু গলায় শুনতে
পাচ্ছিলাম না। তবে ছেলের কথায় যে স্ত্রী আরও ক্ষেপে গেল সেটা বুঝতে পেরেছিলাম স্ত্রীর গলার আওয়াজ আরও বেড়ে যাওয়ায়। তার গলা শুনতে পাচ্ছিলাম। “আবার কথা
বলিস? সামাণ্য জিনিস? সামান্য জিনিস চাচ্ছিস তুই আমার কাছে? সামাণ্য জিনিস?” আমি শুনে চলেছিলাম। তবে এই নিত্যকলহে বাগড়া দেবার কোন সাধ আমার ছিল না।
তবে সে দিনটি আগের অন্যদিনের মত ছিল না । আমার ওয়াইফ হিস্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীর মত গলার জোরে চিৎকার করছিল। এভাবে কিছু কথা কাটাকাটির পর হুট করেই
আমার ওয়াইফের যেন বিস্ফোরণ হয়। গায়ের জোরে চিৎকার দিয়ে সে বলতে থাকে, “খুব লাগবে না তোর? অনেক খাই তোর কুত্তা, তোর খাই মেটাচ্ছি আয়।“ স্ত্রীর গলার
আওয়াজের প্রচন্ডতায় শঙ্কিত হয়ে উঠলাম । ভয় পাচ্ছিলাম অন্য ফ্ল্যাটের মানুষজনও না শুনতে পায়। এর পর আরও জোরে চিৎকার পুত্রের মায়ের। “ওরে কুত্তা! সত্যি
আসতেছিস? লজ্জা নাই? এত খাই? মানে আসলেই চাস? শুয়োরের বাচ্চা দিচ্ছি তোকে দাঁড়া। আয় দজ্জালের বাচ্চা আয়। তোকে দেই। এই রান্না ঘরে না। খাবার রুমে তোর
বাপের সামনে চল । ওখানে দেব তোকে। উনিও দেখুক ওনার ছেলে কি জিনিস! সারাদিন তোর বাপ আমাকে বলে ছেলের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে। ফ্রেন্ডশিপ তাই না? চল
ওই রুমে। ওর ছেলে কি জিনিস ওকে দেখাব আজ ।“ আমার স্ত্রীর মেজাজ আমার অজানা নয়। স্ত্রীর মুখে এসব শুনে আমারই ভয় ধরে গেল। মনে হচ্ছিল আমার স্ত্রী আর
স্বাভাবিক নেই । এরপরেই দেখলাম আমার ওয়াইফ ডাইনিং রুমে এ চলে আসলো। তার মুঠিতে ছেলের চুল। চুল ধরে ছেলেকেও এনেছে। আমার সামনে এনে ছেড়ে দিয়ে গর্জে
উঠলো, “কুত্তা এবার কর যা করার!” ছেলে নিশ্চুপ । ওর মা চিল্লাচ্ছে সর্বশক্তিতে, “কেন? এখন লজ্জা হচ্ছে? গত ২ সপ্তাহ ধরে আমার কাছে নোংরা আবদার করতে
লজ্জা লাগে নাই? এখন তো দিলামই! দাঁড়ায় আছিস কেন? খোল? টান দে শাড়ি। খুলে ফেল তোর বাপের সামনে! সেও দেখুক তার ছেলে কত বড় দানব!” এরপর আমার
স্ত্রী আমার দিকে তাকিয়ে গর্জন করে উঠলো, “আমাকে তো খুব ফ্রেন্ডশিপ করতে বলো ছেলের সাথে। তো দেখে নাও ফ্রেন্ডশিপের নমুনা!” তারপর আবার ছেলের দিকে
ফিরে বললো, “আয়। আসিস না কেন হারামজাদা?” ছেলে মূর্তির মত দাঁড়ানো। মা চিল্লাচ্ছে। এরপরে হুট করে একসাথে অনেকগুলো ঘটনা ঘটলো যার জন্যে আমরা ৩
জনের কেউই প্রস্তত ছিলাম না।
ওর মা হিস্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীর মত চিল্লাতে চিল্লাতে হুট করেই একটানে নিজের ঘিয়ে রং এর শাড়ির আচল একটানে ফেলে দিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো, “শুয়োরের বাচ্চা!
মায়ের সাথে নখরামি করতে চাস! তো এখন নড়িস না কেন? আয়? ভয় পাচ্ছিস? নাকি লজ্জা? তুই তো বেজন্মা, বেহায়া । তোর আবার লজ্জা কিসের? তুই না পারলে
আমিই খুলছি শাড়ি আয়!” এই বলে বাম হাত দিয়ে নিজের পেটের কাছে থাকা শাড়ির অংশ ধরে পিছনে নিয়ে অপর হাত দিয়ে টেনে সামনে নিয়ে আসতে থাকে। ঘটনাটি
এত দ্রুত ঘটতে থাকে যে আমরা বাবা আর ছেলে দুজনেই হতভম্ব হয়ে যাই। ঘরের মধ্যে তখন এক নারকীয় দৃশ্যের অবতারণা চলছে। চল্লিশ ছুঁই ছুঁই এক মধ্যবয়স্কা লম্বা
চওড়া শরীরের সংসারী নারী ক্রোধে অন্ধ হয়ে মুখে গালির তুবড়ি ছোটাচ্ছে । আর সাথে তার দুই হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টানছে নিজ পরনের শাড়ি । হস্তদ্বয়ের এই প্রতি ঘূর্ণনে
লুকিয়ে থাকা সায়ার ভেতর থেকে দ্রুত বেড়িয়ে আসছে শাড়িটি। আচল ফেলাতেই উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া ব্লাউজ এর নিচে দ্রুত উন্মুক্ত হচ্ছে তার কিছুটা মেদবহুল ফর্সা পেট।
এভাবে দ্রুতই মহিলাটির সুগভীর নাভীকে উন্মুক্ত করে মাত্র ২৫ সেকেন্ডের ভিতরে মেঝেতে লুটালো শাড়িটি । ক্রোধে অন্ধ পৃথুলা রমণীর শরীরে তখন শুধুমাত্র সায়া আর
ব্লাউজ। ঘোরের মধ্যে থাকা মধ্যবয়স্কা রমণীটির হয়ত খেয়ালই নেই সেই আগের যুগের মা-খালা-চাচীদের মত বক্ষবন্ধনী বিহীন শুধু ব্লাউজ তার ভরাট ভারী স্তনের আকৃতিকে
কি কুৎসিত ভাবেই না ফুটিয়ে তুলেছে। ঘরের মধ্যে এক মধ্যবয়সী পুরুষ আর এক কিশোরের সামনে তার আঁটসাঁট ব্লাউজ যে অভ্যন্তরে থাকা স্তনের খাঁড়া বোটাগুলোকে যে
স্পষ্ট প্রকাশ করে দিচ্ছে তাতে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। পুরুষদের মাঝে আমারই প্রথম হুশ ফেরে । দ্রুত শাড়িটি তুলে, “আহ রোকসানা! পাগল হয়ে গেলে নাকি?” বলে
যেই না আবার তার ব্লাউজ আবৃত উদ্ধত স্তনযুগল আর উন্মুক্ত নাভীদেশ ঢেকে দিতে যাব ঠিক এমনি সময় দড়জায় বেল বেজে উঠলো! আমাদের প্রতিবেশিরা চিল্লাচিল্লির
শব্দে চলে এসেছে বাসায়। দরজা ধাক্কাচ্ছে। খুবই বাজে পরিস্থিতি। ভয় না পেয়ে পারলাম না। মধ্যবিত্তের সবচাইতে বড় ভয় মান সম্মানের ভয়। কিন্তু আমার বউয়ের কোন হুশ
নেই। সে না থেমেই চিৎকার করে চলেছে, “আসুক। সবাই জানুক। কেমন জানোয়ার পুষছি ঘরে দেখুক সবাই।“ আমি তাকে ঠেলে, “যাও তো রুমে” বলে দ্রুত গেলাম
দড়জার কাছে। দড়জা খুলতে। কারণ গায়ে শাড়ি জরাবার আর সময় নেই । ছেলেও ঝামেলা বুঝে দ্রুত ওর মাকে ঠেলে ঘরের ভেতরে নিয়ে গেল। আমি দরজা খুলে
প্রতিবেশিদের ভেতরে আসতে বললাম। সবাইকে ড্রইং রুমে বসতে দিয়ে নিচু মুখে তাদের বোঝালাম, যে ছেলের মডেল টেস্টের রেজাল্ট ভাল হয়নি । তাই ওর মা রাগারাগি
করছে। সিরিয়াস কিছু নয়। এভাবে ওদের সাথে ৫/৭ মিনিট আড্ডা দিলাম। এই অল্প কয়েক মিনিটের মাঝে আমার স্ত্রী একবারও চিল্লায় নি। শুধুমাত্র শেষদিকে একবার জোরে
"আহ!" শুনতে পেরেছিলাম। প্রতিবেশিরা জিজ্ঞেস করেনি অবশ্য । আমিও বলিনি কিছু। দুপুর ছিল তাই কেউ তাই বেশিক্ষণ বসে নি। চলে গেল। মূলত এই অল্প কয়েক
মিনিটেই আমার জীবন বদলে যায় ।
আমি যখন কথা বলছিলাম প্রতিবেশিদের সাথে আমার ছেলে তখন ঠেলে তার মাকে রুমে নিয়ে গিয়ে শান্ত করতে চেষ্টা করছিল যাতে প্রতিবেশিরা না শুনতে পায়। কিন্তু ওর
মা তখনো ভয়ানক রেগে ছিল। বারবার অশ্রাব্য গালাগালি করছিল। তাই বাধ্য হয়ে ছেলে ওর মাকে ধাক্কা দিয়ে উঁচু তাকওয়ালা পড়ার টেবিলের পাশে অবস্থিত খাটে ফেলে
দিয়ে বলে ওঠে, “চুপ! একদম চুপ। সবাই শুনতে পাবে।“ খাটের উপর আমার জীবনসঙ্গীনি মহিলাটি ধপাস করে পরলেও তার রাগ তখনো পরেনি। তার নিতম্ব থেকে মাথা
পর্যন্ত উচু বিছানার উপরে থাকলেও উরু থেকে পায়ের বাকি অংশ বিছানা থেকে ঝুলে তার পায়ের আঙুলগুলো কোনমতে মেঝে স্পর্শ করেছিল। তার লম্বা পায়ের পাতা সম্পূর্ণ
ভাবে পায়ের ভর নিয়ে মেঝের স্পর্শ নিতে পারেনি। স্বাভাবিক মানুষের সাধারণ রিফ্লেক্স বশতই তার মাংসল উরুসমেত দুই পা দুদিকে কিছুটা সরে গিয়ে ভারী শরীর আর
বিছানার ভারসাম্য রক্ষা করছিল। এই অবস্থাতেই আমার স্ত্রী ও সন্তানের জননী ঘৃণায় মুখ বাঁকা করে তার ছেলের উদ্দেশ্যে বলে চলেছিল, “কুত্তা। লোকে শুনলে ভাল হবে।
তুই কত বড় জাহেল সবাই জানবে । এখন লজ্জা পাচ্ছিস জানোয়ার! তোর লজ্জা আছে? তুই তো খবিশ, চামার!” ভেবে দেখলে বোঝা যায় সেই মুহুর্তে ছেলেটির পরিস্থিতি
ছিল অত্যন্ত নাজুক । একে কিশোর বয়সের ছেলে তাতে আবার মাথা গরম। উপরন্তু তার অতি আপন-অতি প্রিয় “আম্মু” যে কিনা তাকে অত্যন্ত আদর-সোহাগ দিয়ে বড়
করেছে সেই কিনা আজ তাকে নির্মম ভাবে রাগ আর অপমাণ করে চলেছে বিছানায় শুয়ে। সেই মায়ের গায়ে আবার শুধুমাত্র সায়া আর ব্লাউজ। বিছানায় শোয়া তার আংশিক
অনাবৃত লম্বা-চওড়া শরীরের মায়ের অশ্রাব্য গালিবর্ষণ, ক্রোধ এবং ভরদুপুরের গরমের আধিক্যে গলা আর নাভীর পার্শ্বদেশে জমে থাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম আর নিরবিচ্ছিন্ন অশ্রাব্য
খিস্তির মাঝে থেকে থেকে শ্বাস নেবার সময় ব্লাউজের নিচে পর্বতের মত দাঁড়িয়ে থাকা স্তনবৃন্তদ্বয়ের ওঠানামা তাকে সহ্যশক্তির শেষ পর্যায়ে নিয়ে যায়। দুর্ভাগা পুত্রটি শাড়ি
খোলার সময় থেকেই প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিল। তার লিঙ্গ ছিল উত্থিত। তার ওপর মায়ের এই অবস্থা। বেচারা আর থাকতে পারেনি। যা ঘটেছিল সেটা সেকেন্ডের মাঝে। নিয়ন্ত্রন
হারিয়ে এক লাফে সে চলে যায় আমার স্ত্রীর দুদিকে ছাড়ানো দুই পায়ের মাঝে। আর মুহুর্তের মাঝেই মায়ের চোখে চোখ রেখেই এক হ্যাচকা টানে মায়ের গোড়ালি থেকে সায়া
উপরে তুলে ফেলে আর একই সাথে আরেক হাতে নামিয়ে দেয় নিজের পরনের ট্রাউজার। এর পরে নিমেষেই দুই পা মেঝেতে রেখে শরীরের উপরের অংশের ভর ছেড়ে দেয়
বিছানায় নিজের জন্মদাত্রীর শরীরের উপর । যেহেতু নারীর সায়াটি ছিল কোমরের উপরে আর কিশোর ছেলেটির ঢোলা ট্রাউজারটি ছিল নিচে পায়ের কাছে। তাই শরীরে ভর
ছেড়ে দেয়াতে ওর সটান পুরুষাঙ্গটি এক ধাক্কাতে ওর মায়ের উন্মুক্ত যোণীপথে ঢুকে যায়। মুহুর্তের ব্যবধানে বহুদিনের অব্যবহৃত যোণীমুখ দিয়ে আপন সন্তানের লৌহদন্ডটির
ক্ষেপনাস্ত্রের ন্যায় সকল বাঁধা অতিক্রম করে অভ্যন্তরে গমন এবং যোণীদ্বারের নরম মাংস চিড়ে অপ্রত্যাশিত এই অনুপ্রবেশের অস্বস্তি, শিহরণ ও বেদনায় নিজের অজান্তেই
আমার স্ত্রীর তথা প্রতিবেশিদের কাছে ভদ্র, সামাজিক, হাস্যোজ্জ্বল হিসেবে সুপরিচিত মিসেস রোকসানার গলা চিড়ে বেরিয়ে আসে “আহ-হা!” আর্তচিৎকার । যা কিনা
ড্রইংরুমে প্রতিবেশিদের সাথে আলাপরত তার স্বামী ও প্রতিবেশিদের কানে পর্যন্ত পৌছেছিল।
ঘটনা ও তার প্রেক্ষিতে শারীরিক ব্যথা, মানসিক বেদনা, স্পর্শকাতর শিহরণ এবং এই তিন সম্মিলিত অনুভূতির জন্যে দায়ী নিষিদ্ধ উৎসের দুশ্চিন্তার আকস্মিকতায় আমার স্ত্রী
বিস্ময়ে বিমূর হয়ে যান। দু হাত দিয়ে পাগলের মত ছেলেকে ঠেলে সরাতে থাকেন নিজের ওপর থেকে। ছেলেও ঝোঁকের বশে হওয়া ভুল বুঝতে পারে। তাই সেও হুশ ফিরে
পেয়ে উঠে আসছিল তার মায়ের ওপর থেকে। প্রবল ধাক্কায় মাতৃজঠরে ঢুকে যাওয়া তার উত্থিত লিঙ্গটি সে কোমর তুলে বের করে নিয়ে আসছিল নিষিদ্ধ গহবর থেকে।
জানালা দিয়ে আসা ভর দুপুরের রোদ্দুরে দ্রুত বেরিয়ে আসতে থাকা কালো দন্ডটি চিক চিক করে আলো প্রতিফলিত করছিল। মধ্যবয়স্ক মহিলাটি উত্তেজিত ছিলেন না । তাই
বেরিয়ে আসতে থাকা আধারদন্ডে আলো প্রতিফলিতকারী তরলটি তার ছিল না। বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয় যে কিশোর ছেলেটি সম্ভবত সেই শাড়ির পতন থেকেই এই পূর্বকাম
তরল ক্ষরণ করে চলেছিল। যা যোণীতে প্রবেশের সময় অভ্যন্তরস্থ গরম মাংসপেশীর চাপে পুরো দণ্ডে মাখিয়ে যায়। পুত্রের লিঙ্গটি যখন প্রায় বাইরে বেরিয়ে এসেছে এবং
শুধুমাত্র মাশরুমের ন্যায় ফুলে থাকা বড় লিচুর মত লাল মুণ্ডিটি ভেতরে রয়ে গিয়েছে ঠিক এমনি সময় আমি সেই রুমের দিকে এগোতে থাকি। রুমের দড়জা ছিল খাটের
পেছন দিকে। রুমের প্রবেশপথ থেকে খাটটিকে আড়াল করে রেখেছিল মাঝে থাকা থরে থরে বই সজানো উঁচু তাকওয়ালা পড়ার টেবিলটি। আমার পায়ের আওয়াজে আমার স্ত্রী
ভীত হয়ে পরে এটা ভেবে যে বোধহয় প্রতিবেশিরাও আসছে। ভয় পেয়ে সে ঠেলতে থাকা তার নাড়িছেড়া ধনকে আবার বুকে টেনে নেয় যাতে টেবিলের আড়ালে কেউ দেখতে
না পায় যে কি চলছে । আর এতেই হিতে বিপরীত হয়। আবার টান দেয়াতে প্রায় বেরিয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গটি আবার ঢুকে যায় অনভ্যস্ত গহবরে। একটি টিনেজ ছেলে যে কিনা
মারাত্নক উত্তেজিত। সাথে আবার জীবনে প্রথম গরম যোণীর স্বাদ। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেটির পুংলিঙ্গ তার সহ্যক্ষমতা হারায়। হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা সমাজিক
রীতিনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দমকে দমকে সে ঢেলে দিতে থাকে ঘন সাদা গরম পায়েসের ন্যায় উর্বর উত্তপ্ত বীর্য। আমি পেছন থেকে এসে দেখি মায়ের উপর তার সন্তান।
উভয়ের নিতম্ব একে অপরের উপরে। সন্তানের পুংলিঙ্গ তার জননীর ভেতরে। আমি এত বেশি হতবিহবল হয়ে যাই যে স্থান কাল পাত্র ভুলে নিজের অজান্তেই ডেকে উঠি,
"এই
সামী!" আমার গলার আওয়াজ পেয়েই ছেলে ঝড়ের মত উঠে ট্রাউজার টানতে টানতে রুম থেকে বের হয়ে চলে যায়। আর আমার স্ত্রী বোবার মত কয়েক সেকেন্ড সিলিং এর
দিকে তাকিয়ে থেকে ছাড়িয়ে থাকা দুই পা ভাজ করে আপন সন্তানের বীর্যে মাখানো অরক্ষিত স্ত্রীলিঙ্গকে আড়াল করে বিশাল চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করে। একেবারে মানুষ মরা
বিলাপ যাকে বলে।
এভাবেই প্রথমবারে আমাদের জীবন ওলটপালট হয়।