19-01-2025, 03:53 PM
(This post was last modified: 19-01-2025, 04:11 PM by kumdev. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
ত্রয়শ্চত্বারিংশতি পরিচ্ছেদ
সন্ধ্যে হবার মুখে সমাগমের নীচে ট্যাক্সি এসে থামল।পাড়ার মধ্যে ট্যাক্সি কে এল আবার?পাসের ফ্লাটের সুজন চক্রবর্তি বাসা থেকে বেরিয়ে কৌতূহল বশত রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে পড়লেন।দু-হাতে মালপত্র ইলিনা ব্রাউন ট্যাক্সি হতে নেমে ভাড়া মেটাতে থাকে।সঙ্গে স্যুট পরা এক মাঝ বয়সী ভদ্রলোককে দেখে সুজনবাবুর মাথায় পোকা নড়ে ওঠে।সিগারেট ধরিয়ে বাজারের দিকে হাটতে থাকেন।
সন্ধ্যেবেলা দোকান খুলেছেন সন্তোষ মাইতি।খদ্দের সামলাচ্ছেন।একপাশে ছেলে ছোকরাদের দল আলোচনায় মেতে।কখনো খেলাধূলা কখনো রাজনীতি আবার কখনো পাড়ার সমস্যা।
দোকানে এসে সুজনবাবু বললেন,কি দাদা আপনি?রণো নেই?
সন্তোষ মাইতি চোখ তুলে এক পলক দেখে বললেন,দেখতে তো পাচ্ছেন।তাকে কি দরকার?
আপনার কাছেই পার্টি অফিসে যাচ্ছিলাম--।কথাটা কিভাবে বলবে সুজনবাবু ভাবে।
সুজনবাবুর উসখুস ভাব দেখে মাইতি জিজ্ঞেস করে, কিছু বলবেন?
ছেলেদের দিকে তাকিয়ে সুজন বাবু বললেন,আপনাকে আলাদাভাবে বলতে চাই।
এই প্রভাত শোন।
প্রভাত আড্ডা ছেড়ে এসে বলল,বলুন দাদা।
কিরে কোনো খবর পেলি?
না খবর পাইনি তবে শুনেছি অনেকে ডানলপের দিকে যেতে দেখছে।
সন্তোষ মাইতি কি যেন ভাবলেন তারপর বললেন, তুই একটু দোকানটা সামলা আমি পার্টি অফিস থেকে একটা চক্কর দিয়ে আসি।চলুন চক্কোত্তি।
সুজনবাবুকে নিয়ে সন্তোষ মাইতি দোকান ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বিশু হেসে বলল,কিরে দোকান সামলাচ্ছিস?
কি ঝামেলা বলত কখন ফিরবে এখন--।
বেশী পিরীত মারাও।মান্তু বলল।
পিরীত মারানোর কি হল পার্টির নেতা মুখের উপর না বলি কি ভাবে বল?
এটা পার্টির কাজ?
সুজনবাবুর একটু আগে দেখা দৃশ্যটা মনে ভাসতে থাকে।ফরেনারদের ফিগারই আলাদা।
যেতে যেতে সন্তোষ মাইতি জিজ্ঞেস করেন,কি বলছিলেন?
কথাটা আপনাকে জানানো উচিত মনে হল।
কথাটা কি বলবেন তো।
মেম সাহেব ঘরে লোক নেয়।
সন্তোষ মাইতি থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন।চক্কোত্তীর উপর একনজর বুলিয়ে বললেন,মানে আপনি ফরেনার মেয়েটির কথা বলছেন?
অবশ্য মেমসাহেবদের শরীর নিয়ে তেমন ছুৎমার্গী নেই।সিনেমায় দেখায় একেতাকে চকাম-চকাম চুমু খাচ্ছে।
লোক নেয় কিভাবে জানলেন?
বাড়ি থেকে বেরোবার সময় দেখলাম স্যুট টাই পরা একটা লোককে নিয়ে ট্যক্সি থেকে নামল।
ইলিনা ব্রাউন ঘরে ঢুকে এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলীকে সোফা দেখিয়ে বলল,এক্টু বসুন।চা খাবেন তো?
আদার পার্টিকে খবর দিয়েছেন?
সম্মতিসুচক ঘাড় নেড়ে ইনিনা ব্রাউন নিজের ঘরে ঢুকে গেল।
এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশ দেখতে ভাবেন ভদ্রমহিলা চমৎকার বাংলা বলেন।যাকে বিয়ে করবেন তিনিও বাঙালী।সুন্দর সাজানো ঘরদোর একাই সব করেন।
পোশাক বদলে ইলিনা মাছ সবজি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রান্না ঘরে চা করতে গেল।
গাঙ্গুলী লক্ষ্য করেন লাইফ স্টাইলও বাঙালীর মতো।নিজের কাজ নিজে করতে ভালোবাসেন।যাকে বিয়ে করছে হি ইজ ভেরি লাকি।
শব্দ পেয়ে আরণ্যক উঠে বসেছে।বুঝতে পারে লিনা ফিরে এসেছে।তাকে ডাকেনি কি করছে।সব ব্যাপারে চমক দেওয়া লিনার স্বভাব মনে মনে হাসে।ভাব করে যেন সত্যিকারের বিয়ে করা বউ।কি করছে ও ভেবে উঠতে যাবে দেখল চায়ের কাপ নিয়ে লিনা ঢুকছে।চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বলল,ভাল করে ভেবে দেখো আমাকে বউ হিসেবে মানতে তোমার আপত্তি নেই তো?
হঠাৎ কি হল আরণ্যক বিরক্ত হয়।চোখ কুচকে বলল,আপত্তি আছে বলেছি?
তা হলে চা খেয়ে এই জামা প্যাণ্ট পরে বসার ঘরে এসো।ইলিনা চলে যেতে জামা-প্যাণ্ট তুলে দেখতে থাকে।আজই কিনে এনেছে।এই জন্য এত দেরী।এখানে বসেই চা খেতে পারতো, বসার ঘরে যেতে বলার কারণ কি?চেঞ্জ করার সুযোগ দিয়ে গেল।কারো কথায় চলার পাত্র নয় আরণ্যক কিন্তু লিনার অবাধ্য হতে বাধে।প্রেম ভালবাসার কথা গল্প উপন্যাসে পড়েছে বন্ধু-বান্ধবদের প্রেম দেখছে প্রেমে দাগা খেতেও দেখেছে।তবু ভালবাসা নিয়ে তার স্বচ্ছ ধারণা নেই।লিনা খুশী হলে আনন্দ পেলে তার ভাল লাগে।এইকি ভালবাসা?
চায়ে চুমুক দিতে দিতে এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী বললেন,বেশী দেরী করতে পারবোনা খবর দিয়েছেন?
এখুনি আসছে।
আফটার ম্যারেড ম্যাম আপনি কি দেশে চলে যাবেন?
দেশে যাব কেন?এখানে আমার চাকরি,এই ফ্লাটও আমার।বেঙ্গল আমার দেশ।
আরণ্যক পোশাক বদলে বেরিয়ে অবাক লিনা আবার কাকে নিয়ে এল?ইলিনা বলল,এসো তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
দীর্ঘ দেহ সুঠাম দেহ সুদর্শন আরণ্যককে দেখে এ্যাডভোকেট অবাক হয়ে ভাবেন ম্যাডামের চয়েস আছে।
ইলিনা বলল,বোসো।উনি যা জিজ্ঞেস করবেন বলো।
আরণ্যক লিনার পাশে সোফায় বসল।
এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী নাম বাবার নাম বয়স জিজ্ঞেস করে করে ফর্ম পুরণ করে মিনিট দশেক সময় নিয়ে বললেন, মিঃ সোম এবার বলুন।আমি স্বেচ্ছায় স্বমতে কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ইলিনা ব্রাউনকে আমার পত্নী হিসেবে গ্রহন করলাম।
আরণ্যকের মজা লাগে,বিড় বিড় করে কথাগুলো বলল।
একটু স্পষ্ট করে জোরে বলুন।
আরণ্যক আবার উচু গলায় বলল।
এবার এখানে সই করুন।
আরণ্যক সই করার পর ইলিনা ব্রাউনকে বললেন,মিস ব্রাউন এবার আপনি বলুন,আমি স্বেচ্ছায় স্বমতে কারো দ্বারা প্রভাবিত নাহয়ে আরণ্যক সোমকে আমার স্বামী হিসেবে গ্রহণ করলাম।
সব কাজ মিটে যাবার পর এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী বললেন,মিসেস ব্রাউন স্যরি মিসেস সোম এবার আমাকে বিদায় দিন।
হ্যা এক মিনিট।ইলিনা ব্রাউন ব্যাগ খুলে টাকা বের করে এগিয়ে দিল।
এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী টাকা গুনে ব্যাগে ভরে বললেন,সার্টিফিকেট কি আপনি নিতে আসবেন নাকি বাই রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠিয়ে দেবো?
পাঠিয়ে দিলে আমাকে আর যেতে হয় না।
ওকে আমি তাহলে আসি?
ইলিনা ব্রাউন দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে দিতে বলল,চালতা বাগান মোড় থেকে বাস ট্যাক্সি সব পেয়ে যাবেন।
আমাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়ে গেল আরণ্যক বসে ভাবে।লিনা আমার বউ।এবার বুঝতে পারে লিনা আপত্তির কথা কেন বলছিল।আজ বেরিয়ে সারাদিন এইসব করেছে।
এ্যাডভোকেট দরজার কাছে গিয়ে চাপা গলায় বললেন,হি ইজ ভেরি হ্যাণ্ডসাম,এনজয়।
সন্ধ্যে হবার মুখে সমাগমের নীচে ট্যাক্সি এসে থামল।পাড়ার মধ্যে ট্যাক্সি কে এল আবার?পাসের ফ্লাটের সুজন চক্রবর্তি বাসা থেকে বেরিয়ে কৌতূহল বশত রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে পড়লেন।দু-হাতে মালপত্র ইলিনা ব্রাউন ট্যাক্সি হতে নেমে ভাড়া মেটাতে থাকে।সঙ্গে স্যুট পরা এক মাঝ বয়সী ভদ্রলোককে দেখে সুজনবাবুর মাথায় পোকা নড়ে ওঠে।সিগারেট ধরিয়ে বাজারের দিকে হাটতে থাকেন।
সন্ধ্যেবেলা দোকান খুলেছেন সন্তোষ মাইতি।খদ্দের সামলাচ্ছেন।একপাশে ছেলে ছোকরাদের দল আলোচনায় মেতে।কখনো খেলাধূলা কখনো রাজনীতি আবার কখনো পাড়ার সমস্যা।
দোকানে এসে সুজনবাবু বললেন,কি দাদা আপনি?রণো নেই?
সন্তোষ মাইতি চোখ তুলে এক পলক দেখে বললেন,দেখতে তো পাচ্ছেন।তাকে কি দরকার?
আপনার কাছেই পার্টি অফিসে যাচ্ছিলাম--।কথাটা কিভাবে বলবে সুজনবাবু ভাবে।
সুজনবাবুর উসখুস ভাব দেখে মাইতি জিজ্ঞেস করে, কিছু বলবেন?
ছেলেদের দিকে তাকিয়ে সুজন বাবু বললেন,আপনাকে আলাদাভাবে বলতে চাই।
এই প্রভাত শোন।
প্রভাত আড্ডা ছেড়ে এসে বলল,বলুন দাদা।
কিরে কোনো খবর পেলি?
না খবর পাইনি তবে শুনেছি অনেকে ডানলপের দিকে যেতে দেখছে।
সন্তোষ মাইতি কি যেন ভাবলেন তারপর বললেন, তুই একটু দোকানটা সামলা আমি পার্টি অফিস থেকে একটা চক্কর দিয়ে আসি।চলুন চক্কোত্তি।
সুজনবাবুকে নিয়ে সন্তোষ মাইতি দোকান ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বিশু হেসে বলল,কিরে দোকান সামলাচ্ছিস?
কি ঝামেলা বলত কখন ফিরবে এখন--।
বেশী পিরীত মারাও।মান্তু বলল।
পিরীত মারানোর কি হল পার্টির নেতা মুখের উপর না বলি কি ভাবে বল?
এটা পার্টির কাজ?
সুজনবাবুর একটু আগে দেখা দৃশ্যটা মনে ভাসতে থাকে।ফরেনারদের ফিগারই আলাদা।
যেতে যেতে সন্তোষ মাইতি জিজ্ঞেস করেন,কি বলছিলেন?
কথাটা আপনাকে জানানো উচিত মনে হল।
কথাটা কি বলবেন তো।
মেম সাহেব ঘরে লোক নেয়।
সন্তোষ মাইতি থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন।চক্কোত্তীর উপর একনজর বুলিয়ে বললেন,মানে আপনি ফরেনার মেয়েটির কথা বলছেন?
অবশ্য মেমসাহেবদের শরীর নিয়ে তেমন ছুৎমার্গী নেই।সিনেমায় দেখায় একেতাকে চকাম-চকাম চুমু খাচ্ছে।
লোক নেয় কিভাবে জানলেন?
বাড়ি থেকে বেরোবার সময় দেখলাম স্যুট টাই পরা একটা লোককে নিয়ে ট্যক্সি থেকে নামল।
ইলিনা ব্রাউন ঘরে ঢুকে এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলীকে সোফা দেখিয়ে বলল,এক্টু বসুন।চা খাবেন তো?
আদার পার্টিকে খবর দিয়েছেন?
সম্মতিসুচক ঘাড় নেড়ে ইনিনা ব্রাউন নিজের ঘরে ঢুকে গেল।
এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশ দেখতে ভাবেন ভদ্রমহিলা চমৎকার বাংলা বলেন।যাকে বিয়ে করবেন তিনিও বাঙালী।সুন্দর সাজানো ঘরদোর একাই সব করেন।
পোশাক বদলে ইলিনা মাছ সবজি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রান্না ঘরে চা করতে গেল।
গাঙ্গুলী লক্ষ্য করেন লাইফ স্টাইলও বাঙালীর মতো।নিজের কাজ নিজে করতে ভালোবাসেন।যাকে বিয়ে করছে হি ইজ ভেরি লাকি।
শব্দ পেয়ে আরণ্যক উঠে বসেছে।বুঝতে পারে লিনা ফিরে এসেছে।তাকে ডাকেনি কি করছে।সব ব্যাপারে চমক দেওয়া লিনার স্বভাব মনে মনে হাসে।ভাব করে যেন সত্যিকারের বিয়ে করা বউ।কি করছে ও ভেবে উঠতে যাবে দেখল চায়ের কাপ নিয়ে লিনা ঢুকছে।চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বলল,ভাল করে ভেবে দেখো আমাকে বউ হিসেবে মানতে তোমার আপত্তি নেই তো?
হঠাৎ কি হল আরণ্যক বিরক্ত হয়।চোখ কুচকে বলল,আপত্তি আছে বলেছি?
তা হলে চা খেয়ে এই জামা প্যাণ্ট পরে বসার ঘরে এসো।ইলিনা চলে যেতে জামা-প্যাণ্ট তুলে দেখতে থাকে।আজই কিনে এনেছে।এই জন্য এত দেরী।এখানে বসেই চা খেতে পারতো, বসার ঘরে যেতে বলার কারণ কি?চেঞ্জ করার সুযোগ দিয়ে গেল।কারো কথায় চলার পাত্র নয় আরণ্যক কিন্তু লিনার অবাধ্য হতে বাধে।প্রেম ভালবাসার কথা গল্প উপন্যাসে পড়েছে বন্ধু-বান্ধবদের প্রেম দেখছে প্রেমে দাগা খেতেও দেখেছে।তবু ভালবাসা নিয়ে তার স্বচ্ছ ধারণা নেই।লিনা খুশী হলে আনন্দ পেলে তার ভাল লাগে।এইকি ভালবাসা?
চায়ে চুমুক দিতে দিতে এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী বললেন,বেশী দেরী করতে পারবোনা খবর দিয়েছেন?
এখুনি আসছে।
আফটার ম্যারেড ম্যাম আপনি কি দেশে চলে যাবেন?
দেশে যাব কেন?এখানে আমার চাকরি,এই ফ্লাটও আমার।বেঙ্গল আমার দেশ।
আরণ্যক পোশাক বদলে বেরিয়ে অবাক লিনা আবার কাকে নিয়ে এল?ইলিনা বলল,এসো তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
দীর্ঘ দেহ সুঠাম দেহ সুদর্শন আরণ্যককে দেখে এ্যাডভোকেট অবাক হয়ে ভাবেন ম্যাডামের চয়েস আছে।
ইলিনা বলল,বোসো।উনি যা জিজ্ঞেস করবেন বলো।
আরণ্যক লিনার পাশে সোফায় বসল।
এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী নাম বাবার নাম বয়স জিজ্ঞেস করে করে ফর্ম পুরণ করে মিনিট দশেক সময় নিয়ে বললেন, মিঃ সোম এবার বলুন।আমি স্বেচ্ছায় স্বমতে কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ইলিনা ব্রাউনকে আমার পত্নী হিসেবে গ্রহন করলাম।
আরণ্যকের মজা লাগে,বিড় বিড় করে কথাগুলো বলল।
একটু স্পষ্ট করে জোরে বলুন।
আরণ্যক আবার উচু গলায় বলল।
এবার এখানে সই করুন।
আরণ্যক সই করার পর ইলিনা ব্রাউনকে বললেন,মিস ব্রাউন এবার আপনি বলুন,আমি স্বেচ্ছায় স্বমতে কারো দ্বারা প্রভাবিত নাহয়ে আরণ্যক সোমকে আমার স্বামী হিসেবে গ্রহণ করলাম।
সব কাজ মিটে যাবার পর এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী বললেন,মিসেস ব্রাউন স্যরি মিসেস সোম এবার আমাকে বিদায় দিন।
হ্যা এক মিনিট।ইলিনা ব্রাউন ব্যাগ খুলে টাকা বের করে এগিয়ে দিল।
এ্যাডভোকেট গাঙ্গুলী টাকা গুনে ব্যাগে ভরে বললেন,সার্টিফিকেট কি আপনি নিতে আসবেন নাকি বাই রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠিয়ে দেবো?
পাঠিয়ে দিলে আমাকে আর যেতে হয় না।
ওকে আমি তাহলে আসি?
ইলিনা ব্রাউন দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে দিতে বলল,চালতা বাগান মোড় থেকে বাস ট্যাক্সি সব পেয়ে যাবেন।
আমাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়ে গেল আরণ্যক বসে ভাবে।লিনা আমার বউ।এবার বুঝতে পারে লিনা আপত্তির কথা কেন বলছিল।আজ বেরিয়ে সারাদিন এইসব করেছে।
এ্যাডভোকেট দরজার কাছে গিয়ে চাপা গলায় বললেন,হি ইজ ভেরি হ্যাণ্ডসাম,এনজয়।