17-01-2025, 02:50 PM
অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে এসব ঘটনা ঘটার পর থেকে রন আর নিরার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারে না, এমনকি যখনই নিরা ওর রুমে এসে ও তখন ঘুমের ভান করে পরে থাকে, যাতে নিরা চলে যায়। প্রথম দিকে নিরা ভাবে রন মাত্রই অসুখ থেকে উঠেছে তাই হয়তো ছেলেটার শরীর দূর্বল তাই এভাবে পরে পরে ঘুমায়। কিন্তু পরপর কয়েকদিন এমন করার পর নিরা বুঝতে পারে যে রন তাকেই একমাত্র উপেক্ষা করছে, কারণ অন্য সবার সাথে রন স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলে। নীরা কষ্ট পায় ভীষণ কষ্ট পায়। প্রথমে সব সময়ের অভ্যাস মত চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়, পরে ভাবে, নিশ্চয়ই সেই আবার এমন কিছু করেছে যাতে রন হয়তো কষ্ট পেয়েছে বা অভিমান করেছে। এখন যদি শুরুতেই রনের অভিমান না ভাঙায় তাহলে হয়তো আবার আগের মত দূরে সরে যাবে ছেলেটা, মাত্রই তো সব ঠিক হতে যাচ্ছিল। নীরা অনেক সাহস করে গিয়ে রনের বিছানার পাশে দাড়ায়। রন নিরাকে দেখেই শুয়ে চোখ বন্ধ করে থাকে। নীরা রনের হাত ধরে বলে, বাবু আমি জানি তুই জেগে আছিস। আমি কি আবার তোকে কোনো কষ্ট দিয়েছি! আমার উপর আবার কি তুই রাগ করেছিস! আবার কেন দূরে সরে যাচ্ছিস বাবু?
বলতে বলতে নিরা কান্না করে দেয়, আর রন ঝটকে উঠে বসে। তার এমন বোকামির জন্য তার মা আবার কষ্ট পেয়েছে, দোষ তারই ছিল, পাপ সে করেছে, কিন্তু কষ্ট তার মা পেল, আবারো তারই করবে তার মা কাদলো। কিন্তু রন কেন যে এমন করেছে তার এক্সপ্ল্যানেশন দেবে তার মাকে। কিন্তু কিছু একটা না বললে যে মা কষ্টই পেয়ে যাবে। রন তার মায়ের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে কি বলা হয়, কি করলে মাঝে শান্ত করা যাবে, এরপর হুট করেই বলে ফেলে, হ্যা রাগ করেছি, তুমি রজনীকে অসুখ হলে বুকে জড়িয়ে রাখো, সারা মুখে চুমু দাও।অথচ আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়েই শেষ। দেখলে তো তুমি তোমার মেয়েকেই বেশি ভালোবাসো!
নীরা কান্না ফেলে অবাক চোখে ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকে, এরপর ফিক করে হেসে ফেলে। তার মায়ের গজ দাঁতের এমন প্রাণবন্ত হাসি দেখে যেন তার একটা শিহরণ খেলে গেল। নিজেকে মনে মনে গালি দিয়ে আবার সামলে নিল। নীরা ছেলের কপালে চুমু খেয়ে বলে, এমা আমি তো ভেবেছিলাম তুই বড় হয়ে গেছিস! আজকালকার বাচ্চাদের মত এসব তোর বিরক্ত লাগবে, কিন্তু তুই তো এখনো ছোটই আছিস, তার উপর নিজের ছোট বোনটার সাথে এমন হিংসা করছিস!
রন আবেগে তার মার হাত ধরে বলে, আমি তো ছোট বেলায় তোমার আদর পাইনি মা, রজনী যা পেয়েছে তার 10 ভাগের একভাগ ও পাইনি। হিংসা কেন হবে না? এখন থেকে আমায় বেশি বেশি আদর করবে। না হলে কিন্তু আবার রাগ করবো।
নীরা হেসে ফেলে, বলে আচ্ছা রে বাবু।
বলতে বলতে নিরা কান্না করে দেয়, আর রন ঝটকে উঠে বসে। তার এমন বোকামির জন্য তার মা আবার কষ্ট পেয়েছে, দোষ তারই ছিল, পাপ সে করেছে, কিন্তু কষ্ট তার মা পেল, আবারো তারই করবে তার মা কাদলো। কিন্তু রন কেন যে এমন করেছে তার এক্সপ্ল্যানেশন দেবে তার মাকে। কিন্তু কিছু একটা না বললে যে মা কষ্টই পেয়ে যাবে। রন তার মায়ের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে কি বলা হয়, কি করলে মাঝে শান্ত করা যাবে, এরপর হুট করেই বলে ফেলে, হ্যা রাগ করেছি, তুমি রজনীকে অসুখ হলে বুকে জড়িয়ে রাখো, সারা মুখে চুমু দাও।অথচ আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়েই শেষ। দেখলে তো তুমি তোমার মেয়েকেই বেশি ভালোবাসো!
নীরা কান্না ফেলে অবাক চোখে ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকে, এরপর ফিক করে হেসে ফেলে। তার মায়ের গজ দাঁতের এমন প্রাণবন্ত হাসি দেখে যেন তার একটা শিহরণ খেলে গেল। নিজেকে মনে মনে গালি দিয়ে আবার সামলে নিল। নীরা ছেলের কপালে চুমু খেয়ে বলে, এমা আমি তো ভেবেছিলাম তুই বড় হয়ে গেছিস! আজকালকার বাচ্চাদের মত এসব তোর বিরক্ত লাগবে, কিন্তু তুই তো এখনো ছোটই আছিস, তার উপর নিজের ছোট বোনটার সাথে এমন হিংসা করছিস!
রন আবেগে তার মার হাত ধরে বলে, আমি তো ছোট বেলায় তোমার আদর পাইনি মা, রজনী যা পেয়েছে তার 10 ভাগের একভাগ ও পাইনি। হিংসা কেন হবে না? এখন থেকে আমায় বেশি বেশি আদর করবে। না হলে কিন্তু আবার রাগ করবো।
নীরা হেসে ফেলে, বলে আচ্ছা রে বাবু।