Thread Rating:
  • 2 Vote(s) - 3 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
জীবনের তৃষ্ণা (পরের অংশ)
#2
Thumbs Down 
নিচে নেমে যাওয়ার ঠিক কিছুক্ষণ পরে, যখন সে রান্না ঘরে কিছু কাজ করছিল, তখন হঠাৎ করে কলিংবেলের আওয়াজ শুনতে পেল, এখন তো দুপুরের সময় কে আসতে পারে এই ভাবনা চিন্তা তৃষ্ণার মাথায় চলতে লাগলো, জীবনের কাজ তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে বলে কি চলে আসছে না কি সে, তবে সে এলে তো তাকে ফোন করে একবার জানিয়ে দিতো, যাইহোক রান্না ঘরের থালা-বাসন গুলো গোছানো বাদ দিয়ে সে দরজা খোলার জন্য উদ্যত হলো, সাধারণত সে যখন বাড়িতে থাকে তখন বেশিরভাগ সময় নাইটি পড়ে থাকে, নাইটিটা যদিও খুব পাতলা নয়, তবুও তার দেহের গঠন এরকম যে নাইটিটা তার ওপর সুন্দর মানিয়ে যায়, স্বাভাবিকভাবেই দেখলে মনে হয় তার বক্ষ যূগল এবং নিতম্ব কিঞ্চিৎ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে নাইটির। তৃষ্ণা দরজার সামনে গিয়ে কিছু ভাবল এবং তারপরে দরজা খুলল, দরজা খুলে সে খানিকটা অবাক হল, তার সামনে যে আছে তার সঙ্গে একপাক্ষিক সাক্ষাৎ কিছুক্ষণ আগে ছাদে হয়ে গেছে, যেহেতু দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাৎ হয়নি তাই স্বাভাবিকভাবেই তৃষ্ণা দরজা খোলার পর তাকে জিজ্ঞেস করল কে আপনি, অন্য দিক থেকে উত্তর এলো আমি আপনার পাশের বাড়ির প্রতিবেশী, আসলে কিছুদিন হলো অফিস থেকে এই শহরে ট্রান্সফার করেছে, আগে ওই পোস্ট অফিসের পাশের একটা জায়গায় থাকা হতো, কিন্তু সেটা বড্ড ভিড়ভাট্টা মই এলাকা, টাকাটা কম লাগলেও সেখানে থাকার মত পরিস্থিতি আর ইচ্ছা কোনটাই আমার মনে তৈরি হয়নি, তাই আপাতত এখানে আশ্রয়, ছেলেটির অনর্গল কথা বলে যাওয়া দেখে তৃষ্ণার একটু বিরক্তি বোধ হল, যদিও শেষে সে বলল আচ্ছা। তারপর পরক্ষণে তৃষ্ণা  জিজ্ঞেস করল, কোন সমস্যা হয়েছে নাকি, ছেলে টি একটু লজ্জিত ভাবে বলল হ্যাঁ আসলে, আমার আসলে কফি খাওয়ার খুব অভ্যাস, কিন্তু মনে না থাকায়, বাজার থেকে চিনিটা আনতে ভুলে গেছি, আর আশেপাশে কোথায় মুদিখানা দোকান সেটা জানি না সেই ভাবে, সেই কারণে আপনার কাছে যদি একটু চিনি পাওয়া যেত, তৃষ্ণা বলল ও আচ্ছা আচ্ছা, হ্যাঁ আমি এনে দিচ্ছি আপনি বাইরে একটু দাঁড়ান, কথোপকথনের সময় হুট করে নিজের মাথায় আলতো একটু চাটি মেরে ছেলেটি বলল ইস দেখছেন কি ভুল মন আমি তো আপনার নামটা জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেছি, তৃষ্ণা বলল ও হ্যাঁ আমার নাম তৃষ্ণা, আর আপনার আমার নাম অনল রায়, এইচডিএফসি ব্যাংকের একজন কর্মচারী। ও আচ্ছা,ভালো। এই কথা বলে তৃষ্ণা তার জন্য কিছু চিনি আনতে গেল, রান্নাঘরে জিনিসগুলো সাজাচ্ছিল বলে, চিনির কৌটোটা সামনেই ছিল তাই খুঁজতে বেশি দেরি হলো না, সে চিনির কৌটো টা হাতে নিল। রান্নাঘরটার অবস্থান দরজা থেকে তীর্যক কোনে ছিল, 

অর্থাৎ দরজা থেকে সরাসরি রান্নাঘর দেখা না গেলেও, রান্নাঘর থেকে দেখা যেত যে দরজাতে কে রয়েছে, হঠাৎ করে কৌটোটা হাতে নিয়েই তার কিছুক্ষণ আগের ছাদে ঘটে যাওয়া ঘটনাটার কথা মনে পড়ল, না চাইতেও তার ওই চোখ আগে যে জিনিসটা দেখে ছিল, আবারো তার চোখ সেই দিকেই গেল, তবে এবার আগের থেকে বেশি অবাক হল সে, কেন জানে না, এখন সেই দড়ির পাশে মোটা দড়িটাকে আরো বেশি মোটা লাগছে, তার শরীর এ বিদ্যুৎ খেলে গেলো,হালকা সুরসুরি ও অনুভব করলো দেহে।
Like Reply


Messages In This Thread
জীবনের তৃষ্ণা (পরের অংশ) - by Suhan002 - 16-01-2025, 12:00 AM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)