10-01-2025, 10:02 PM
টিভিতে দুটি খবরই বারবার দেখাচ্ছে; এক হাসপাতালে ডাক্তারের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু, আরেকটি উত্তরবঙ্গে নাকি খুব বৃষ্টি হয়েছে। আর কলকাতায় বৃষ্টি কোথায়! এক পশলা হয়েই আকাশ ফাঁকা। জয়ন্ত লক্ষ্য করল বিকেলের আকাশ পরিচ্ছন্ন।
ছাদ বারান্দা হতে ঘরে এলো সে। সকালের কাগজটা বোধ হয় বার দুয়েক পড়া হল। লম্বা করে দেহটা মেলে দিল বিছানায়। ছবি রান্নাঘরে কাজ সেরে বললে---দাদা, আসি গো।
ছবি বেরিয়ে যাবার মিনিট পাঁচকের মধ্যেই ঘুম ধরে গেছিল জয়ন্তের। কলিং বেলের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেল। এই ভর সন্ধ্যায় এ বাড়িতে কে এলো!
গ্রিল গেটের ওপারে কম বয়সী কয়েকটা ছোকরা। ওদের কয়েকজনকে এই পাড়ায় ঘোরাঘুরি করতে আগেও দেখেছে জয়ন্ত। পাড়ারই ছেলে বলে মনে হল। সে বললে---কি ব্যাপার?
---ডাক্তার বাবু, আমরা নব যুবক সঙ্ঘ থেকে এসেছি। পূজার চাঁদার জন্য।
---পূজার চাঁদা? এতদিন আগে থেকে?
ওদের মধ্যে একটি ছেলে হেসে উঠে বলল---কত আর দিন হবে। আজ নিয়ে ছাব্বিশ দিন বাকি। দেখেননি ফুটবল মাঠের পাশে প্যান্ডেল উঠছে।
জয়ন্ত বিরক্ত হয়ে বলল---কত দিতে হবে?
----দু' হাজার টাকা।
জয়ন্ত পুজোর চাঁদা এত দেয়ার পক্ষপাতী নয়। সে বলল---দু' হাজার মানে? আমি কি টাঁকশাল চালাই নাকি? এরপর তো আরো কত ক্লাব আসবে। সবাইকে কি এমন বিলোতে থাকবো নাকি?
সর্দার গোছের ঐ ছেলেটা ঠাট্টা করে বলল---পাড়ার পুজো। আপনার চেম্বারের একদিনের আয়েই পুজোটা উতরে যাবে...
কথার মাঝপথে জয়ন্ত বললে---আমি চেম্বার করি না। পাঁচশ টাকার একটাকাও বেশি দেব না।
---বৌদি নেই? বৌদি থাকলে বেশি দিতেন। পাশ থেকে আর একটা ছোকরা বলল।
জয়ন্ত হেসে বললে---বৌদি থাকলে আরো কম দিত। বৌদিকে তো চেন না। ফালতু খরচের লোক ও' নয়। যা বলছি তাই লেখো।
চাঁদার রশিদ কেটে পয়সা নিয়ে ওরা চলে গেল। জয়ন্ত চা বসালো সসপ্যানে। টিভিটা চালিয়ে দিল সশব্দে। একইভাবে কর্কশ শব্দে চেঁচিয়ে যাচ্ছেন খবর সঞ্চালিকা। দু'পাশে এক দল লোকের ভিড়। যারা প্রতিদিনই সন্ধে হলে বিতর্ক সভায় এসে চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। আজকের বিষয় ডাক্তারের অবহেলায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভাঙছে। কাউন্সিলর বিকাশ বণিকও হাজির। বেশ গলা চড়িয়ে পেশেন্ট পার্টিরই পক্ষ নিচ্ছেন তিনি।
***
ছাদ বারান্দা হতে ঘরে এলো সে। সকালের কাগজটা বোধ হয় বার দুয়েক পড়া হল। লম্বা করে দেহটা মেলে দিল বিছানায়। ছবি রান্নাঘরে কাজ সেরে বললে---দাদা, আসি গো।
ছবি বেরিয়ে যাবার মিনিট পাঁচকের মধ্যেই ঘুম ধরে গেছিল জয়ন্তের। কলিং বেলের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেল। এই ভর সন্ধ্যায় এ বাড়িতে কে এলো!
গ্রিল গেটের ওপারে কম বয়সী কয়েকটা ছোকরা। ওদের কয়েকজনকে এই পাড়ায় ঘোরাঘুরি করতে আগেও দেখেছে জয়ন্ত। পাড়ারই ছেলে বলে মনে হল। সে বললে---কি ব্যাপার?
---ডাক্তার বাবু, আমরা নব যুবক সঙ্ঘ থেকে এসেছি। পূজার চাঁদার জন্য।
---পূজার চাঁদা? এতদিন আগে থেকে?
ওদের মধ্যে একটি ছেলে হেসে উঠে বলল---কত আর দিন হবে। আজ নিয়ে ছাব্বিশ দিন বাকি। দেখেননি ফুটবল মাঠের পাশে প্যান্ডেল উঠছে।
জয়ন্ত বিরক্ত হয়ে বলল---কত দিতে হবে?
----দু' হাজার টাকা।
জয়ন্ত পুজোর চাঁদা এত দেয়ার পক্ষপাতী নয়। সে বলল---দু' হাজার মানে? আমি কি টাঁকশাল চালাই নাকি? এরপর তো আরো কত ক্লাব আসবে। সবাইকে কি এমন বিলোতে থাকবো নাকি?
সর্দার গোছের ঐ ছেলেটা ঠাট্টা করে বলল---পাড়ার পুজো। আপনার চেম্বারের একদিনের আয়েই পুজোটা উতরে যাবে...
কথার মাঝপথে জয়ন্ত বললে---আমি চেম্বার করি না। পাঁচশ টাকার একটাকাও বেশি দেব না।
---বৌদি নেই? বৌদি থাকলে বেশি দিতেন। পাশ থেকে আর একটা ছোকরা বলল।
জয়ন্ত হেসে বললে---বৌদি থাকলে আরো কম দিত। বৌদিকে তো চেন না। ফালতু খরচের লোক ও' নয়। যা বলছি তাই লেখো।
চাঁদার রশিদ কেটে পয়সা নিয়ে ওরা চলে গেল। জয়ন্ত চা বসালো সসপ্যানে। টিভিটা চালিয়ে দিল সশব্দে। একইভাবে কর্কশ শব্দে চেঁচিয়ে যাচ্ছেন খবর সঞ্চালিকা। দু'পাশে এক দল লোকের ভিড়। যারা প্রতিদিনই সন্ধে হলে বিতর্ক সভায় এসে চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। আজকের বিষয় ডাক্তারের অবহেলায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভাঙছে। কাউন্সিলর বিকাশ বণিকও হাজির। বেশ গলা চড়িয়ে পেশেন্ট পার্টিরই পক্ষ নিচ্ছেন তিনি।
***