10-01-2025, 09:54 PM
টেলিফোনটা ছবিই ধরেছিল। বলল---বাবু, ডালিয়া নামে কেউ ফোন করেছে।
ডালিয়া মাসি! কেন? দিদার কিছু হল না তো! অংশু দ্রুত ফোনটা ধরল এসে। ডালিয়া বললে---দাদাবাবু?
---বাবা ডিউটিতে ডালিয়া মাসি। আমি অংশু বলছি।
---ও অংশু? ভালো আছিস বাবু?
---হ্যা মাসি, তুমি?
ডালিয়ার গলায় যেন ভয়ার্ত স্বর। বলল---আর ভালো থাকি কি করে। এ ঘর ছাড়তে পারলে বাঁচি।
---কেন কি হয়েছে? অংশু বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করল।
---তোর মা যা শুরু করেছে! তোর বাবা কি কিচ্ছু জানে না?
---কি হয়েছে?
---কি হয়েছে? সুচি দি'র মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি! তোর বাবাকে দে। সব বলব।
---বাবা নেই। তুমি আমাকে বলতে পারো। আমি যথেস্ট বড়।
---সে হুঁশ কি তোর মায়ের আছে? এত বড় বড় ছেলে মেয়ের মা, ইকলেজের দিদিমণি, এত পড়ালেখা, বাগচী বাড়ির মেয়ে হয়ে...ছিঃ!
অংশু এবার খানিক অনুধাবন করতে পারলো। বলল---খুলে বলো তো ডালিয়া মাসি। কি হয়েছে?
---তোর মা কাকে এনে এ বাড়িতে তুলেছে জানিস? একটা মাতাল এসে এ বাড়িতে হাজির হয়েছে! সে নাকি এ বাড়ির কেয়ারটেকারের ছেলে। তোর মা...বলতেও লজ্জা হয়! ঐ লোকের সাথে শোয়! ছিঃ কি অভদ্র অশিক্ষিত নোংরা লোক রে, কি করে বোঝাই তোকে অংশু! ঘেন্না হয় ঐ লোককে দেখলে। সঙ্গে আবার দু দুটো বাচ্চা! দরদ দেখলে মনে হয়, তোদের পেটে ধরেনি, সুচি দি ওদেরই পেটে ধরেছে!
---তুমি গফুরের কথা বলছ?
---তুই চিনিস! ডালিয়ার গলায় বিস্ময় ধরা পড়ল।
---হ্যা জানি। মা আর বাবার ডিভোর্স হয়ে গেছে।
---কি বলছিস অংশু! তার মানে এই লোককে যে বিয়ে করবে বলছে সুচি দি, সেটা সত্যি? ও মা! গো! পিসি জানলে এ বয়সে আর বাঁচবে না রে! লোকটা মাতাল, গালি গালাচ করে, তুই জানিস সুচি দি'কে মারধর করে লোকটা। চিড়িয়াখানা থেকে পালানো একটা জানোয়ার রে!
মাকে গফুর মারধর করে শুনে অংশুর ভীষণ রাগ হল। বলল---মারধর করে?
---তা নয় তো কি! পিশাচের মত চেহারা! কাল রাতেই তো নেশা করে এসে সুচি দিকে চুল মুঠিয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেল। ঘরে খিল দিয়ে মারধর করে। আর বলিহারি সুচি দি'কে! সকাল বেলা ভাবটি এমন করবে যেন কিছুই হয়নি। ঐ লোকের জন্য আবার কত পিরিত!
অংশুর গা গির গির করে উঠল রাগে। মা ঐ লোকটাকে ভালোবাসা দিল, তার বিনিময়ে লোকটা মাকে মারধর করছে! বললে---মা কোথায়?
---তোর মা থাকলে কি আর ফোন করে এত কথা বলতে পারতাম? সুচি দি ইকলেজে। তোর বাবাকে বল, ডাইভোর্স হলেও তো বউ নাকি? মাথাটা জিনে ধরেছে সুচি দি'র। দাদাবাবু তো ডাক্তার, জিনে তাড়াতে পারলো না?
অংশু বললে---মা, কখন ফিরবে?
---তিনটে নাগাদ। তোর মাকে আবার বলিসনি বাপু। তখন হিতে বিপরীত হবে। আমি কি বাগচী বাড়ির কেউ নাকি? আশ্রিতার মেয়ে!
অংশু বলল---ঠিক আছে। আমি বলব না।
টেলিফোনটা রেখে দিল অংশু। বড্ড অস্বস্তি হচ্ছে। অসহায় লাগছে তার। তার প্রিয়তমা মায়ের গায়ে কেউ হাত তুলবে, সহ্য করতে পারছে না সে। এত দাম্পত্য কলহের পরও বাবা কোনোদিন মায়ের গায়ে হাত তোলেনি। অংশুর মনে পড়ল মায়ের ডায়েরির কথা। সেখানেও মস উল্লেখ করেছে, লোকটা মাকে চড় মেরেছিল। বড্ড রাগ, বড্ড অস্বস্তি আর একরাশ অসহায়ত্ব নিয়ে চুপটি করে বসে রইল অংশুমান। কি করার আছে তার ভাবতে লাগলো।
***
ডালিয়া মাসি! কেন? দিদার কিছু হল না তো! অংশু দ্রুত ফোনটা ধরল এসে। ডালিয়া বললে---দাদাবাবু?
---বাবা ডিউটিতে ডালিয়া মাসি। আমি অংশু বলছি।
---ও অংশু? ভালো আছিস বাবু?
---হ্যা মাসি, তুমি?
ডালিয়ার গলায় যেন ভয়ার্ত স্বর। বলল---আর ভালো থাকি কি করে। এ ঘর ছাড়তে পারলে বাঁচি।
---কেন কি হয়েছে? অংশু বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করল।
---তোর মা যা শুরু করেছে! তোর বাবা কি কিচ্ছু জানে না?
---কি হয়েছে?
---কি হয়েছে? সুচি দি'র মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি! তোর বাবাকে দে। সব বলব।
---বাবা নেই। তুমি আমাকে বলতে পারো। আমি যথেস্ট বড়।
---সে হুঁশ কি তোর মায়ের আছে? এত বড় বড় ছেলে মেয়ের মা, ইকলেজের দিদিমণি, এত পড়ালেখা, বাগচী বাড়ির মেয়ে হয়ে...ছিঃ!
অংশু এবার খানিক অনুধাবন করতে পারলো। বলল---খুলে বলো তো ডালিয়া মাসি। কি হয়েছে?
---তোর মা কাকে এনে এ বাড়িতে তুলেছে জানিস? একটা মাতাল এসে এ বাড়িতে হাজির হয়েছে! সে নাকি এ বাড়ির কেয়ারটেকারের ছেলে। তোর মা...বলতেও লজ্জা হয়! ঐ লোকের সাথে শোয়! ছিঃ কি অভদ্র অশিক্ষিত নোংরা লোক রে, কি করে বোঝাই তোকে অংশু! ঘেন্না হয় ঐ লোককে দেখলে। সঙ্গে আবার দু দুটো বাচ্চা! দরদ দেখলে মনে হয়, তোদের পেটে ধরেনি, সুচি দি ওদেরই পেটে ধরেছে!
---তুমি গফুরের কথা বলছ?
---তুই চিনিস! ডালিয়ার গলায় বিস্ময় ধরা পড়ল।
---হ্যা জানি। মা আর বাবার ডিভোর্স হয়ে গেছে।
---কি বলছিস অংশু! তার মানে এই লোককে যে বিয়ে করবে বলছে সুচি দি, সেটা সত্যি? ও মা! গো! পিসি জানলে এ বয়সে আর বাঁচবে না রে! লোকটা মাতাল, গালি গালাচ করে, তুই জানিস সুচি দি'কে মারধর করে লোকটা। চিড়িয়াখানা থেকে পালানো একটা জানোয়ার রে!
মাকে গফুর মারধর করে শুনে অংশুর ভীষণ রাগ হল। বলল---মারধর করে?
---তা নয় তো কি! পিশাচের মত চেহারা! কাল রাতেই তো নেশা করে এসে সুচি দিকে চুল মুঠিয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেল। ঘরে খিল দিয়ে মারধর করে। আর বলিহারি সুচি দি'কে! সকাল বেলা ভাবটি এমন করবে যেন কিছুই হয়নি। ঐ লোকের জন্য আবার কত পিরিত!
অংশুর গা গির গির করে উঠল রাগে। মা ঐ লোকটাকে ভালোবাসা দিল, তার বিনিময়ে লোকটা মাকে মারধর করছে! বললে---মা কোথায়?
---তোর মা থাকলে কি আর ফোন করে এত কথা বলতে পারতাম? সুচি দি ইকলেজে। তোর বাবাকে বল, ডাইভোর্স হলেও তো বউ নাকি? মাথাটা জিনে ধরেছে সুচি দি'র। দাদাবাবু তো ডাক্তার, জিনে তাড়াতে পারলো না?
অংশু বললে---মা, কখন ফিরবে?
---তিনটে নাগাদ। তোর মাকে আবার বলিসনি বাপু। তখন হিতে বিপরীত হবে। আমি কি বাগচী বাড়ির কেউ নাকি? আশ্রিতার মেয়ে!
অংশু বলল---ঠিক আছে। আমি বলব না।
টেলিফোনটা রেখে দিল অংশু। বড্ড অস্বস্তি হচ্ছে। অসহায় লাগছে তার। তার প্রিয়তমা মায়ের গায়ে কেউ হাত তুলবে, সহ্য করতে পারছে না সে। এত দাম্পত্য কলহের পরও বাবা কোনোদিন মায়ের গায়ে হাত তোলেনি। অংশুর মনে পড়ল মায়ের ডায়েরির কথা। সেখানেও মস উল্লেখ করেছে, লোকটা মাকে চড় মেরেছিল। বড্ড রাগ, বড্ড অস্বস্তি আর একরাশ অসহায়ত্ব নিয়ে চুপটি করে বসে রইল অংশুমান। কি করার আছে তার ভাবতে লাগলো।
***