10-01-2025, 09:53 PM
পর্ব: ২৮
পার্ক সার্কাসে আজ ভীষণ ভিড়। পার্টির মিছিলে ছয়লাপ এলাকা। পুলিশ পথ আটকে রেখেছে। মিছিল ছাড়তে গাড়ি ছাড়লো এক এক করে। জয়ন্তের খেয়াল হল সুচির মায়ের জন্য একটা প্রেসার মেশিন কেনার কথা। এই চত্বরে তার অতি পরিচিত একটি দোকান রয়েছে। বহুদিন আসা হয় না এখানে।
ফ্রি কলেজ স্ট্রীটের এই ফার্মেসিতে আসলে জয়ন্তের পুরোনো ড্রাইভার চন্দনের এক আত্মীয় কাজ করে। জয়ন্ত ঐ ফার্মেসির সামনে পার্কিং এরিয়ায় গাড়ি দাঁড় করে উঠে এলো দোকানে।
মন্টু চন্দনের সম্পর্কে ভায়ারাভাই। ওর স্ত্রীর প্রেগনেন্সির সময় জয়ন্ত হেল্প করেছিল। বড্ড ক্রিটিকাল কন্ডিশন ছিল ওর বউয়ের। সেই সুবাদে সুচির সাথেও সামান্য পরিচয় আছে মন্টুর। জয়ন্তকে দেখেই মন্টু বললে---স্যার! কেমন আছেন? বহুদিন পর।
জয়ন্ত মৃদু হেসে বলল---ভালো। তুমি কেমন আছো? আর তোমার মেয়ে?
মন্টু লাজুক হেসে বলল---মেয়ে এবারে কলেজে ভর্তি হল স্যার।
---সেদিন জন্ম নিল পুচকেটা। ইতিমধ্যে কলেজে?
মন্টু হাসলো। বলল---চন্দন দা তো এখন পরেশ মল্লিকের গাড়ি চালায়।
পরেশ মল্লিক মন্ত্রী। চন্দন সরকারি গাড়ির ড্রাইভিং চাকরিটা পেয়েছে ওর শ্যালকের সৌজন্যে। সে বলল---হ্যা, তোমার ভায়রাভাই এখন আর ডাক্তার নয় নেতার ড্রাইভার।
মুচকি হাসলো মন্টু। বলল---স্যার, কি দিই?
--তোমরা প্রেসার মেশিন রাখো?
মন্টু বললে---ডিজিটাল দেব নাকি নরম্যাল?
জয়ন্ত ভাবলে ডিজিটাল দিলে সুচির সুবিধে হয়। কিন্তু সুচির ওটা আবার জানা দরকার। নরম্যালটা ওর জানা আছে। তাই বললে---না না। তুমি নরম্যালটাই দাও।
মন্টু চলে গেল। কয়েক মিনিটের মাথায় তিন চারটে প্যাকিং বাক্স আনলো। বলল---স্যার, দিদিমনি মাঝে মধ্যে আসেন। আপনার দেখা পাই না।
---আমার স্ত্রীকে তুমি চেনো?
---চিনব না? সেবার যা হেল্প করলেন, আমার ফুলকি না হলে কি জগতের আলো দেখত! দিদিমণি এসেছিলেন না সেবারে হাসপাতালে?
জয়ন্তের মনে পড়ল না। হয়ত পাঁচ-ছয় বছর আগের কথা। বোধ হয় চন্দনের শ্যালকি বলেই সুচি এসেছিল হয়ত। জয়ন্ত ভাবলে সুচি পার্ক সার্কাসে এসেছিল মেডিসিন নিতে, এত দূরে কেন কে জানে?
মন্টু প্যাকিং বাক্স খুলে দেখাতে লাগলো মেশিনগুলি। সেই সাথে বলতে লাগলো---বৌদি প্রথম দুবার যখন এসেছিলেন, তখন আমি ছুটিতে ছিলাম। তৃতীয়বার যখন এলেন দেখা হল। কিছু এন্টিবায়োটিক নিয়ে চলে গেলেন। পরে রাজু বলল নাকি অর্ডার ফেলে রেখে বৌদি চলে গেছে। ভালোই হল আপনার হাতে দিয়ে দেব।
জয়ন্ত বলল---কিসের অর্ডার?
মন্টু বললে---স্যার, দাঁড়ান রাজুকে ডাকলেই বোঝা যাবে।
রাজু মন্টুর দোকানের কর্মচারী। ও' হাঁক ডাক করতে একটা কম বয়সী ছোকরা হাজির হল। বলল---ঐ যে আমার পরিচিত দিদিমণি এসেছিলেন, তার অর্ডার ছিল না?
মন্টুর কাছ থেকে প্রেসার মেশিন ক্রয় করার পর রাজু বলে ছেলেটা একটা ব্রাউন কাগজে প্যাকেট ধরিয়ে দিল। বলল---পেইড করা আছে স্যার। ম্যাডাম পেইড করে দিয়ে গেছিলেন।
---কি আছে ওতে?
জয়ন্তের প্রশ্নের উত্তর দিতে ইতস্তত করল রাজু। মন্টু বললে---স্যার বড় ডাক্তার। কি অর্ডার ছিল বলে দে স্যার কে।
রাজু তখনও বলতে ইতস্তত করল। জয়ন্ত বুঝলে এমন কিছু সুচি অর্ডার করেছে যা হয়ত রাজুর বলতে দ্বিধা হচ্ছে। মন্টুও বুঝলে মেয়েলি কিছু হয়ত। জয়ন্ত জানে সুচি অনেক সময় নিজেই স্যানিটারি প্যাড কেনে। তাই হবে হয়ত।
***
পার্ক সার্কাসে আজ ভীষণ ভিড়। পার্টির মিছিলে ছয়লাপ এলাকা। পুলিশ পথ আটকে রেখেছে। মিছিল ছাড়তে গাড়ি ছাড়লো এক এক করে। জয়ন্তের খেয়াল হল সুচির মায়ের জন্য একটা প্রেসার মেশিন কেনার কথা। এই চত্বরে তার অতি পরিচিত একটি দোকান রয়েছে। বহুদিন আসা হয় না এখানে।
ফ্রি কলেজ স্ট্রীটের এই ফার্মেসিতে আসলে জয়ন্তের পুরোনো ড্রাইভার চন্দনের এক আত্মীয় কাজ করে। জয়ন্ত ঐ ফার্মেসির সামনে পার্কিং এরিয়ায় গাড়ি দাঁড় করে উঠে এলো দোকানে।
মন্টু চন্দনের সম্পর্কে ভায়ারাভাই। ওর স্ত্রীর প্রেগনেন্সির সময় জয়ন্ত হেল্প করেছিল। বড্ড ক্রিটিকাল কন্ডিশন ছিল ওর বউয়ের। সেই সুবাদে সুচির সাথেও সামান্য পরিচয় আছে মন্টুর। জয়ন্তকে দেখেই মন্টু বললে---স্যার! কেমন আছেন? বহুদিন পর।
জয়ন্ত মৃদু হেসে বলল---ভালো। তুমি কেমন আছো? আর তোমার মেয়ে?
মন্টু লাজুক হেসে বলল---মেয়ে এবারে কলেজে ভর্তি হল স্যার।
---সেদিন জন্ম নিল পুচকেটা। ইতিমধ্যে কলেজে?
মন্টু হাসলো। বলল---চন্দন দা তো এখন পরেশ মল্লিকের গাড়ি চালায়।
পরেশ মল্লিক মন্ত্রী। চন্দন সরকারি গাড়ির ড্রাইভিং চাকরিটা পেয়েছে ওর শ্যালকের সৌজন্যে। সে বলল---হ্যা, তোমার ভায়রাভাই এখন আর ডাক্তার নয় নেতার ড্রাইভার।
মুচকি হাসলো মন্টু। বলল---স্যার, কি দিই?
--তোমরা প্রেসার মেশিন রাখো?
মন্টু বললে---ডিজিটাল দেব নাকি নরম্যাল?
জয়ন্ত ভাবলে ডিজিটাল দিলে সুচির সুবিধে হয়। কিন্তু সুচির ওটা আবার জানা দরকার। নরম্যালটা ওর জানা আছে। তাই বললে---না না। তুমি নরম্যালটাই দাও।
মন্টু চলে গেল। কয়েক মিনিটের মাথায় তিন চারটে প্যাকিং বাক্স আনলো। বলল---স্যার, দিদিমনি মাঝে মধ্যে আসেন। আপনার দেখা পাই না।
---আমার স্ত্রীকে তুমি চেনো?
---চিনব না? সেবার যা হেল্প করলেন, আমার ফুলকি না হলে কি জগতের আলো দেখত! দিদিমণি এসেছিলেন না সেবারে হাসপাতালে?
জয়ন্তের মনে পড়ল না। হয়ত পাঁচ-ছয় বছর আগের কথা। বোধ হয় চন্দনের শ্যালকি বলেই সুচি এসেছিল হয়ত। জয়ন্ত ভাবলে সুচি পার্ক সার্কাসে এসেছিল মেডিসিন নিতে, এত দূরে কেন কে জানে?
মন্টু প্যাকিং বাক্স খুলে দেখাতে লাগলো মেশিনগুলি। সেই সাথে বলতে লাগলো---বৌদি প্রথম দুবার যখন এসেছিলেন, তখন আমি ছুটিতে ছিলাম। তৃতীয়বার যখন এলেন দেখা হল। কিছু এন্টিবায়োটিক নিয়ে চলে গেলেন। পরে রাজু বলল নাকি অর্ডার ফেলে রেখে বৌদি চলে গেছে। ভালোই হল আপনার হাতে দিয়ে দেব।
জয়ন্ত বলল---কিসের অর্ডার?
মন্টু বললে---স্যার, দাঁড়ান রাজুকে ডাকলেই বোঝা যাবে।
রাজু মন্টুর দোকানের কর্মচারী। ও' হাঁক ডাক করতে একটা কম বয়সী ছোকরা হাজির হল। বলল---ঐ যে আমার পরিচিত দিদিমণি এসেছিলেন, তার অর্ডার ছিল না?
মন্টুর কাছ থেকে প্রেসার মেশিন ক্রয় করার পর রাজু বলে ছেলেটা একটা ব্রাউন কাগজে প্যাকেট ধরিয়ে দিল। বলল---পেইড করা আছে স্যার। ম্যাডাম পেইড করে দিয়ে গেছিলেন।
---কি আছে ওতে?
জয়ন্তের প্রশ্নের উত্তর দিতে ইতস্তত করল রাজু। মন্টু বললে---স্যার বড় ডাক্তার। কি অর্ডার ছিল বলে দে স্যার কে।
রাজু তখনও বলতে ইতস্তত করল। জয়ন্ত বুঝলে এমন কিছু সুচি অর্ডার করেছে যা হয়ত রাজুর বলতে দ্বিধা হচ্ছে। মন্টুও বুঝলে মেয়েলি কিছু হয়ত। জয়ন্ত জানে সুচি অনেক সময় নিজেই স্যানিটারি প্যাড কেনে। তাই হবে হয়ত।
***