10-01-2025, 07:11 AM
(This post was last modified: 10-01-2025, 01:06 PM by Rasamay. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
সুশীল ও রচনার সুখের সংসার। সুশীল এর বয়স 38 এবং রচনার 32.
আট বছর আগে যখন তাদের বয়স ছিল 30 আর 24 তখন দেখাশোনা করে তাদের বিয়ে হয়েছিল। এই আট বছরে তাদের ঘর আলো করে আছে বছরের সন্তান শ্রেয়ান। সুশীল এর একটা ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান আছে এবং সরকারি চাকুরীরত বাবার জমানো অর্থ দিয়ে বেশ ভালো ভাবেই সংসার চলে যায়। দুর্ভাগ্যের বিষয় করোনা মহামারি তার পিতা-মাতা দুজনকেই কেড়ে নেয়। এখন স্বামী স্ত্রী নিয়ে তাদের সুখের সংসার। সুশীলের হাইট 5 ফুট 7 ইঞ্চি। এবং বিছানাতে মাঝারিমানের।
রচনা পুরোপুরি গৃহবধূ, উচ্চতা 5 ফুট 4 ইঞ্চি, ফর্সা, শরীরে এখনো মেদ জমেনি, টানা টানা চোখ, নরম লাল গোলাপের মত ঠোঁট, স্তন এর সাইজ 34, সুগভীর নাভী, দেখতে অনেকটা তামান্না ভাটিয়ার মত। বাইরের কাজ সে করেনা বললেই চলে। তবে এই জানুয়ারির 2 তারিখ থেকেই ছেলে কে একটা বিদ্যালয় এ ভর্তি করিয়েছে। যেটা বাড়ি থেকে প্রায় 300 মিটার দূরে। সে নিজেই ছেলেকে নিয়ে সকাল 10 টার দিকে বাড়ি থেকে যায়, এবং 2 টো এর সময় গিয়ে ছেলে কে আবার নিয়ে আসে।
সুশীল সকাল 8.30 এর সময় দোকানে চলে যায় এবং ফিরে আসতে আসতে রাত 8 টা বেজে যায়। তবে ইদানিং ব্যবসা টা আর আগের মতো ভালো চলছিল না।
গল্পের শুরু টা 3 তারিখ সে যখন ছেলে কে কলেজে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল, তখন একটা ছেলে হেলমেট পড়া অবস্থায় সামনে দিয়ে আসতে আসতে হঠাৎ ওর হাতে একটা খাম গুঁজে দিয়ে দৌড় মেরে চলে যায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে, খামটা হাতে নিয়ে সে বাড়ি চলে আসে। বাড়ি এসে খাম খুলে দেখে, তাতে লেখা আপনাকে প্রথম দিন দেখেই আমি আপনার প্রেমে পরে গিয়েছি। আমি আমার ফোন নম্বর লিখে হানিফ এর হাত দিয়ে পাঠালাম। সঙ্গে আমার ফোন নম্বর দেওয়া আছে, আপনি একবার আমাকে মেসেজ করবেন। আমার মেসেজ ঠুনকো ভেবে ফেলে দেবেন না, আপনাকে পাওয়ার জন্য আমি যতদূর খুশি যেতে পারি। অনেক অনেক ভালোবাসা নেবেন। আপনার উত্তরের অপেক্ষায় মির্জা।
চিঠিটা হাতে নিয়ে রচনা চিন্তান্বিত হয়ে পড়ে। এইমাত্র দুদিন হলো বলতে হবে সে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়েছে, এর মাঝে এ কোন বিপদে পড়ে গেল। একবার ভাবতে থাকে সুশীল ক সব খুলে বলবে। পর মুহূর্ত চিন্তা করে, এতে সুশীল যদি তাকে ভুল বুঝে? তাই সে চিঠিটা নিয়ে, নিজের আলমারির লকারে রেখে দেয়। এবং চেষ্টা করে এই ঘটনা ভুলে যাওয়ার।
পরের দিন, আবার ছেলেকে কলেজে দিয়ে ফেরার পথে পিছন থেকে একটা হেলমেট পড়া ছেলে এসে, ওর কাছে আর একটা খাম দিয়ে চলে যায়।
বাড়িতে এসে যথারীতি খামটা খুলে দেখে, আমি আপনাকে আমার নম্বরে মেসেজ করতে বলেছিলাম। আপনি সেটা না করে, আমাকে ইগনোর করেছেন। আজকে যদি আপনি আমাকে মেসেজ না করেন তাহলে আমি আগামীকাল রাস্তার মাঝে বিড়ম্বনায় ফেলবো।
এবার আপনি চিন্তা করে দেখেন আপনি আজকে আমাকে মেসেজ করবেন কিনা। ইতি আপনার ভালোবাসার মির্জা।
চিঠিটা পড়ার পরে রচনা ভাবতে লাগলো, এই বিপদ থেকে কি করে রক্ষা পাওয়া যায়। আগের দিন চিঠিতে বলেছে, ওকে পাওয়ার জন্য সে যতদূর সম্ভব যাবে। আজকে আবার হুমকি দিয়েছে রাস্তার মাঝে বিরম্বনায় ফেলবে। এই বারাসাত শহরের বুকে তার নিজের চেনা চেনা তেমন কেউ নেই। যাকে বললে নিজের মনের ভয় দূর হবে।
কিছু ভেবে উঠতে না পেরে, আগের দিনের খামটা বের করে তার থেকে মোবাইল নম্বরটা নিয়ে নিজের মোবাইলে মির্জা নামে সেভ করে নম্বরটা।
Whatsapp এ গিয়ে মেসেজ করবে কি করবে না, এইসব চিন্তাভাবনা করতে করতে দুপুর বারোটা বেজে যায়।
শেষে কিছু ভাবনা-চিন্তা করে কুল কেনার না পেয়ে, অচেনা অজানা নম্বরে মেসেজ করে ফেলে রচনা।
রচনা:- আপনি কি দরকার এ আমাকে মেসেজ করতে বলেছেন?
বলতে হবে সঙ্গে সঙ্গে দুটো নীল কালির চিহ্ন দেখে রচনার মনে হল কেউ যেন তার মেসেজের অপেক্ষাতেই ছিল।
উল্টো দিক থেকে তৎক্ষণাৎ রিপ্লাই এলো:-
আট বছর আগে যখন তাদের বয়স ছিল 30 আর 24 তখন দেখাশোনা করে তাদের বিয়ে হয়েছিল। এই আট বছরে তাদের ঘর আলো করে আছে বছরের সন্তান শ্রেয়ান। সুশীল এর একটা ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান আছে এবং সরকারি চাকুরীরত বাবার জমানো অর্থ দিয়ে বেশ ভালো ভাবেই সংসার চলে যায়। দুর্ভাগ্যের বিষয় করোনা মহামারি তার পিতা-মাতা দুজনকেই কেড়ে নেয়। এখন স্বামী স্ত্রী নিয়ে তাদের সুখের সংসার। সুশীলের হাইট 5 ফুট 7 ইঞ্চি। এবং বিছানাতে মাঝারিমানের।
রচনা পুরোপুরি গৃহবধূ, উচ্চতা 5 ফুট 4 ইঞ্চি, ফর্সা, শরীরে এখনো মেদ জমেনি, টানা টানা চোখ, নরম লাল গোলাপের মত ঠোঁট, স্তন এর সাইজ 34, সুগভীর নাভী, দেখতে অনেকটা তামান্না ভাটিয়ার মত। বাইরের কাজ সে করেনা বললেই চলে। তবে এই জানুয়ারির 2 তারিখ থেকেই ছেলে কে একটা বিদ্যালয় এ ভর্তি করিয়েছে। যেটা বাড়ি থেকে প্রায় 300 মিটার দূরে। সে নিজেই ছেলেকে নিয়ে সকাল 10 টার দিকে বাড়ি থেকে যায়, এবং 2 টো এর সময় গিয়ে ছেলে কে আবার নিয়ে আসে।
সুশীল সকাল 8.30 এর সময় দোকানে চলে যায় এবং ফিরে আসতে আসতে রাত 8 টা বেজে যায়। তবে ইদানিং ব্যবসা টা আর আগের মতো ভালো চলছিল না।
গল্পের শুরু টা 3 তারিখ সে যখন ছেলে কে কলেজে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল, তখন একটা ছেলে হেলমেট পড়া অবস্থায় সামনে দিয়ে আসতে আসতে হঠাৎ ওর হাতে একটা খাম গুঁজে দিয়ে দৌড় মেরে চলে যায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে, খামটা হাতে নিয়ে সে বাড়ি চলে আসে। বাড়ি এসে খাম খুলে দেখে, তাতে লেখা আপনাকে প্রথম দিন দেখেই আমি আপনার প্রেমে পরে গিয়েছি। আমি আমার ফোন নম্বর লিখে হানিফ এর হাত দিয়ে পাঠালাম। সঙ্গে আমার ফোন নম্বর দেওয়া আছে, আপনি একবার আমাকে মেসেজ করবেন। আমার মেসেজ ঠুনকো ভেবে ফেলে দেবেন না, আপনাকে পাওয়ার জন্য আমি যতদূর খুশি যেতে পারি। অনেক অনেক ভালোবাসা নেবেন। আপনার উত্তরের অপেক্ষায় মির্জা।
চিঠিটা হাতে নিয়ে রচনা চিন্তান্বিত হয়ে পড়ে। এইমাত্র দুদিন হলো বলতে হবে সে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়েছে, এর মাঝে এ কোন বিপদে পড়ে গেল। একবার ভাবতে থাকে সুশীল ক সব খুলে বলবে। পর মুহূর্ত চিন্তা করে, এতে সুশীল যদি তাকে ভুল বুঝে? তাই সে চিঠিটা নিয়ে, নিজের আলমারির লকারে রেখে দেয়। এবং চেষ্টা করে এই ঘটনা ভুলে যাওয়ার।
পরের দিন, আবার ছেলেকে কলেজে দিয়ে ফেরার পথে পিছন থেকে একটা হেলমেট পড়া ছেলে এসে, ওর কাছে আর একটা খাম দিয়ে চলে যায়।
বাড়িতে এসে যথারীতি খামটা খুলে দেখে, আমি আপনাকে আমার নম্বরে মেসেজ করতে বলেছিলাম। আপনি সেটা না করে, আমাকে ইগনোর করেছেন। আজকে যদি আপনি আমাকে মেসেজ না করেন তাহলে আমি আগামীকাল রাস্তার মাঝে বিড়ম্বনায় ফেলবো।
এবার আপনি চিন্তা করে দেখেন আপনি আজকে আমাকে মেসেজ করবেন কিনা। ইতি আপনার ভালোবাসার মির্জা।
চিঠিটা পড়ার পরে রচনা ভাবতে লাগলো, এই বিপদ থেকে কি করে রক্ষা পাওয়া যায়। আগের দিন চিঠিতে বলেছে, ওকে পাওয়ার জন্য সে যতদূর সম্ভব যাবে। আজকে আবার হুমকি দিয়েছে রাস্তার মাঝে বিরম্বনায় ফেলবে। এই বারাসাত শহরের বুকে তার নিজের চেনা চেনা তেমন কেউ নেই। যাকে বললে নিজের মনের ভয় দূর হবে।
কিছু ভেবে উঠতে না পেরে, আগের দিনের খামটা বের করে তার থেকে মোবাইল নম্বরটা নিয়ে নিজের মোবাইলে মির্জা নামে সেভ করে নম্বরটা।
Whatsapp এ গিয়ে মেসেজ করবে কি করবে না, এইসব চিন্তাভাবনা করতে করতে দুপুর বারোটা বেজে যায়।
শেষে কিছু ভাবনা-চিন্তা করে কুল কেনার না পেয়ে, অচেনা অজানা নম্বরে মেসেজ করে ফেলে রচনা।
রচনা:- আপনি কি দরকার এ আমাকে মেসেজ করতে বলেছেন?
বলতে হবে সঙ্গে সঙ্গে দুটো নীল কালির চিহ্ন দেখে রচনার মনে হল কেউ যেন তার মেসেজের অপেক্ষাতেই ছিল।
উল্টো দিক থেকে তৎক্ষণাৎ রিপ্লাই এলো:-