01-01-2025, 06:53 AM
জজ সাহেবা কোর্ট রুমে আ..স..ছে..ন। কোর্টের উপস্থিত সকলে উঠে দাড়াবে। জজসাহেবা নিজ আসনে বসে-অর্ডার অর্ডার। আজকের মামলা শুরু করা হউক।
মি.আকাশ-ইয়োর অনার। আজ একটি
বিশেষ মামলা নিয়ে আপনার দরবারে ন্যায় বিচারের জন্য উপস্থি হয়েছি। আসামীর কাঠ গড়ায় দাড়িয়ে যাকে দেখছেন তিনি একজন স্বনামধন্য বড় অফিসার। দায়িত্বশীল এই অফিসারের বয়স প্রায় পঞ্চাশের উপরে হলেও এখনও তার চরিত্রটি বিতর্কিত। অর্থাৎ আমার মক্কেলা মিসেস আকতারী বেগম ওনার স্ত্রী। বিবাহিত জীবনের এই সায়ন্বে এসে তিনি তাঁর স্বামীকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কারণ তাঁর স্বামী মি. কেরামত আলী অন্যমেয়েতে আসক্ত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে ফাকি দিয়ে অন্য বহু মেয়েকে তাঁর বিছানায় সংগি হিসাবে ব্যবহার করেন। তাই এই শেষ বয়সে এসেও আমার মক্কেলা তালাক দাবী করছেন।
জজসাহেবা-মিস নদী আপনার কোন মন্তব্য আছে ?
আছে ইয়োর অনার। আছে। আমার লার্নেড বন্ধু কোন প্রমান ছাড়া আমার মক্কেল মি. কেরামত আলীকে ঐ ধরনের জঘন্য ও আপত্তিকর চার্জ আনতে পারেন না। বরং আমি প্রমান করে দিতে পারি আমার মক্কেলের স্ত্রী মিসেস আক্তারী বেগম দু সন্তানের মা হয়ে বয়সে অনেক কমবয়সী ছেলেদের সাথে সময়কাটান ও দৈহিক মিলিত হন।
মি.আকাশ-অবজেকশন ইয়োর অনার। আমার সুন্দরী বান্ধবী উকিল সাহেবা একজন ভদ্রঘরের ভদ্র ও সম্ভ্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধে ঐ সব অবাস্তব কালপনিক কথা বলার অধিকার নেই। আমার মক্কেলা একজন সম্ভ্রান্ত গৃহবধূ। তার দু সন্তান বিদেশ থেকে লেখা পড়া করছে। এই ধরনের একজন ধার্মিক মহিলা সম্পর্কে এসব কথা অবজেকশানেবুল ইয়োর অনার।
মিস নদী-ইয়োর অনার। আজকাল ভদ্রঘরের গৃহবধূরা কি করে বেড়ায় তা হয়তো আমার লার্নেড বন্ধু জেনেও না জানার ভান করছেন। কিন্তু আমি প্রমান করে দেবে মিসেস আক্তারী বেগম একজন চরিত্রহীনা নারী।
আদালতে কিছুটা কাথা বার্তা শুরু হয়ে যায়।
অর্ডার অর্ডার। মিস নদী আপনি প্রমান করুন।
ইয়োর অনার। তালাক চেয়েছেন মিসেস আক্তারী বেগম। কাজেই ওনার বক্তব্য না শুনে আগানো সম্ভব হবে না মে লর্ড।
জজ সাহেবা- মিসেস আক্তারী বেগম। আপনার যা বলার স্পষ্টভাবে বলুন।
আক্তারী বেগম-ইয়োর অনার। আমার স্বামী একজন বড় কর্মকর্তা। আমি জানি তার দায়িত্ব অনেক বেশী কিন্তু আমার এই ৩০ বছর বিবাহিত জীবনে ৩ বছরের সমপরিমান সময় তিনি আমাকে দেন নি। সকাল ৭-০০ টায় ঘুমথেকে উঠে স্নান সেরে নাস্তা করে ৮-০০ টায় অফিসে যান আর রাত ১০/১১ টায় বাসায় ফেরেন, আবার অনেক দিন ফেরেনও না। অফিস সেরে ওনাদের অফিসারদের জন্য একটি ক্লাব আছে। সেখানে জুয়া খেলেন আর বেশী রাত হলে রেষ্ট রুমে কোন একজন মহিলা/মেয়ে নিয়ে রাত কাটান। আমি আমার দু’টি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ওদের বুকে নিয়ে এতোদিন সহ্য করেছি। আমি ভেবেছিলাম বয়স হয়েছে এখন মনে হয় পরিবর্তন হবে। কিন্তু না ইয়োর অনার এখন পরিবর্তন তো হয়ইনি বরং এখন তিনি কচি কচি মেয়েদের নিয়ে রাত কাটাতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় সারারাত আমাকে একা একা বিছানায় কাটাতে হয়। তাই আমি ভেবেছি আমাকে যখন একাই থাকতে হবে তাহলে তালাক নেয়াই ভাল।
মি.আকাশ-ইয়োর অনার। আজ একটি
বিশেষ মামলা নিয়ে আপনার দরবারে ন্যায় বিচারের জন্য উপস্থি হয়েছি। আসামীর কাঠ গড়ায় দাড়িয়ে যাকে দেখছেন তিনি একজন স্বনামধন্য বড় অফিসার। দায়িত্বশীল এই অফিসারের বয়স প্রায় পঞ্চাশের উপরে হলেও এখনও তার চরিত্রটি বিতর্কিত। অর্থাৎ আমার মক্কেলা মিসেস আকতারী বেগম ওনার স্ত্রী। বিবাহিত জীবনের এই সায়ন্বে এসে তিনি তাঁর স্বামীকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কারণ তাঁর স্বামী মি. কেরামত আলী অন্যমেয়েতে আসক্ত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে ফাকি দিয়ে অন্য বহু মেয়েকে তাঁর বিছানায় সংগি হিসাবে ব্যবহার করেন। তাই এই শেষ বয়সে এসেও আমার মক্কেলা তালাক দাবী করছেন।
জজসাহেবা-মিস নদী আপনার কোন মন্তব্য আছে ?
আছে ইয়োর অনার। আছে। আমার লার্নেড বন্ধু কোন প্রমান ছাড়া আমার মক্কেল মি. কেরামত আলীকে ঐ ধরনের জঘন্য ও আপত্তিকর চার্জ আনতে পারেন না। বরং আমি প্রমান করে দিতে পারি আমার মক্কেলের স্ত্রী মিসেস আক্তারী বেগম দু সন্তানের মা হয়ে বয়সে অনেক কমবয়সী ছেলেদের সাথে সময়কাটান ও দৈহিক মিলিত হন।
মি.আকাশ-অবজেকশন ইয়োর অনার। আমার সুন্দরী বান্ধবী উকিল সাহেবা একজন ভদ্রঘরের ভদ্র ও সম্ভ্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধে ঐ সব অবাস্তব কালপনিক কথা বলার অধিকার নেই। আমার মক্কেলা একজন সম্ভ্রান্ত গৃহবধূ। তার দু সন্তান বিদেশ থেকে লেখা পড়া করছে। এই ধরনের একজন ধার্মিক মহিলা সম্পর্কে এসব কথা অবজেকশানেবুল ইয়োর অনার।
মিস নদী-ইয়োর অনার। আজকাল ভদ্রঘরের গৃহবধূরা কি করে বেড়ায় তা হয়তো আমার লার্নেড বন্ধু জেনেও না জানার ভান করছেন। কিন্তু আমি প্রমান করে দেবে মিসেস আক্তারী বেগম একজন চরিত্রহীনা নারী।
আদালতে কিছুটা কাথা বার্তা শুরু হয়ে যায়।
অর্ডার অর্ডার। মিস নদী আপনি প্রমান করুন।
ইয়োর অনার। তালাক চেয়েছেন মিসেস আক্তারী বেগম। কাজেই ওনার বক্তব্য না শুনে আগানো সম্ভব হবে না মে লর্ড।
জজ সাহেবা- মিসেস আক্তারী বেগম। আপনার যা বলার স্পষ্টভাবে বলুন।
আক্তারী বেগম-ইয়োর অনার। আমার স্বামী একজন বড় কর্মকর্তা। আমি জানি তার দায়িত্ব অনেক বেশী কিন্তু আমার এই ৩০ বছর বিবাহিত জীবনে ৩ বছরের সমপরিমান সময় তিনি আমাকে দেন নি। সকাল ৭-০০ টায় ঘুমথেকে উঠে স্নান সেরে নাস্তা করে ৮-০০ টায় অফিসে যান আর রাত ১০/১১ টায় বাসায় ফেরেন, আবার অনেক দিন ফেরেনও না। অফিস সেরে ওনাদের অফিসারদের জন্য একটি ক্লাব আছে। সেখানে জুয়া খেলেন আর বেশী রাত হলে রেষ্ট রুমে কোন একজন মহিলা/মেয়ে নিয়ে রাত কাটান। আমি আমার দু’টি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ওদের বুকে নিয়ে এতোদিন সহ্য করেছি। আমি ভেবেছিলাম বয়স হয়েছে এখন মনে হয় পরিবর্তন হবে। কিন্তু না ইয়োর অনার এখন পরিবর্তন তো হয়ইনি বরং এখন তিনি কচি কচি মেয়েদের নিয়ে রাত কাটাতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় সারারাত আমাকে একা একা বিছানায় কাটাতে হয়। তাই আমি ভেবেছি আমাকে যখন একাই থাকতে হবে তাহলে তালাক নেয়াই ভাল।