17-12-2024, 10:39 PM
পর্ব: ২৪
পিউ এসেছে আজ। কদিনের জন্য মাত্র ও' আসতে পেরেছে বলেই ট্রেনের ঝক্কি নেয়নি। সুচিত্রা অবশ্য মেয়েকে একা একা ফ্লাইটের ঝামেলা নেওয়ার জন্য বকাঝকা করেনি।
জয়ন্ত নিজেকে মেয়ে আসায় মানসিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সুচিত্রা তাকে চিট করেছে, সুচি পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে পারে, এটা এখনো তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। মনে হচ্ছে ওর; এটাই ভাগ্যের পরিহাস, কর্মফল, যা কিছু বলা যায়। জয়ন্ত ভাবছে অনবরত, মিতার সাথে তার পরকীয়ায় যে ঘটনা সামান্য মনে হচ্ছিল, সেই ঘটনা তার বিশ্বাসী স্ত্রী সুচিত্রা করতে পারাটা বড্ড আপত্তিকর ঠেকছে। কিন্তু সে অসহায়, সুচি তাকে লঘু পাপে এত বড় দন্ড দিল! নাকি পাপ দুজনেরই একই! এ দুই প্রশ্ন ওর মননে বড্ড গ্লানি তৈরি করেছে।
পিউয়ের আজ জন্মদিনও। জয়ন্ত ভুলে গেছিল। সুচি মনে রেখেছে। সুচি সংসারের দায়িত্ব সামলে, কলেজ সামলেও ছেলে-মেয়েদের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী সব মনে রাখে। জয়ন্ত পারে না। অথচ সেই সুচিই কিনা পর পুরুষের সাথে শুয়েছে! কে সেই পরপুরুষ!
জয়ন্ত প্রশ্ন করেনি। জানার ইচ্ছাও নেই। ডিভোর্স এখন তাদের সময়ের অপেক্ষা। জয়ন্তের কাছে সুচিত্রা কোনো খোরপোষ দাবী করবে না। সুচিত্রা স্বাবলম্বী। মায়ের কাছে চলে গেলে, তার নিজস্ব বাড়ি, একার জীবন। সুচি যদি প্রতিহিংসার জন্য এই পাপকাজ না করত হয়ত জয়ন্ত অপরাধী হয়ে থাকতো, সুচি কি তার অপরাধ কমিয়ে দিল?
জয়ন্তর মনদ্বন্দ্বে ঢুকছে না বাড়ির হৈ হৈ পরিবেশ। পিউ বিট্টু-লাট্টুর সাথে বেশ মানিয়ে নিয়েছে। বরং বাচ্চাদুটো পিউকে বেশ পছন্দ করায় সুচিত্রা একটু হালকা হয়েছে।
বাড়ির ড্রয়িং রুম বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। ছবির বাচ্চা মেয়েটাও এসেছে। এতকিছুর মধ্যে বিষন্ন হয়ে আছে অংশু।
অংশু দিদিকে আড়ালে পেলে জিজ্ঞেস করলে---বাবা-মায়ের ঝগড়াঝাটি চলছে জানিস?
পিউ লাট্টুকে দেখাচ্ছিল ওর মোবাইল ফোনে বিভিন্ন রঙ বেরঙের কার্টুন ভিডিও। সে বলল---হুম্ম। বাবা-মা এডাল্ট। তাদের ডিসিশন নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি না থাকাই দরকার। ভাই, তুইও বড় হয়েছিস। তাছাড়া...
---তা বলে বাবা-মা আলাদা হয়ে যাবে?
পিউ হাসলো। লাট্টুর হাতে মোবাইলটা দিয়ে বললে---সাবধানে দেখিস। মোবাইলটা ফেলে দিসনা।
তারপর সে অংশুর দিকে তাকালো। বলল---বাবা-মা যদি মনে করে তারা আর একসাথে থাকতে পারবে না, সেখানে আমরা কি করতে পারি। আমাদের সেপারেট লাইফ আছে। আমি ফরেনে সেটল হতে চাই। তুই মেডিক্যালে যাবি এইচএসের পর। তখন তো এমনিতেই আমরা বাবা-মার থেকে আলাদা হয়ে যাবো। ম্যাচিওর হ' ভাই।
অংশু চুপ করে গেল। সন্ধে সাড়ে সাতটার দিকে কেক কাটা হল। এ বাড়ির ছেলেমেয়েদের এমন গম্ভীর জন্মদিন পালন হয়নি। সকলেই জানে এই পরিবার ভেঙে যাচ্ছে, অথচ তারা আচরণ করতে সচেষ্ট স্বাভাবিক ভাবে।
***
পিউ এসেছে আজ। কদিনের জন্য মাত্র ও' আসতে পেরেছে বলেই ট্রেনের ঝক্কি নেয়নি। সুচিত্রা অবশ্য মেয়েকে একা একা ফ্লাইটের ঝামেলা নেওয়ার জন্য বকাঝকা করেনি।
জয়ন্ত নিজেকে মেয়ে আসায় মানসিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সুচিত্রা তাকে চিট করেছে, সুচি পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে পারে, এটা এখনো তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। মনে হচ্ছে ওর; এটাই ভাগ্যের পরিহাস, কর্মফল, যা কিছু বলা যায়। জয়ন্ত ভাবছে অনবরত, মিতার সাথে তার পরকীয়ায় যে ঘটনা সামান্য মনে হচ্ছিল, সেই ঘটনা তার বিশ্বাসী স্ত্রী সুচিত্রা করতে পারাটা বড্ড আপত্তিকর ঠেকছে। কিন্তু সে অসহায়, সুচি তাকে লঘু পাপে এত বড় দন্ড দিল! নাকি পাপ দুজনেরই একই! এ দুই প্রশ্ন ওর মননে বড্ড গ্লানি তৈরি করেছে।
পিউয়ের আজ জন্মদিনও। জয়ন্ত ভুলে গেছিল। সুচি মনে রেখেছে। সুচি সংসারের দায়িত্ব সামলে, কলেজ সামলেও ছেলে-মেয়েদের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী সব মনে রাখে। জয়ন্ত পারে না। অথচ সেই সুচিই কিনা পর পুরুষের সাথে শুয়েছে! কে সেই পরপুরুষ!
জয়ন্ত প্রশ্ন করেনি। জানার ইচ্ছাও নেই। ডিভোর্স এখন তাদের সময়ের অপেক্ষা। জয়ন্তের কাছে সুচিত্রা কোনো খোরপোষ দাবী করবে না। সুচিত্রা স্বাবলম্বী। মায়ের কাছে চলে গেলে, তার নিজস্ব বাড়ি, একার জীবন। সুচি যদি প্রতিহিংসার জন্য এই পাপকাজ না করত হয়ত জয়ন্ত অপরাধী হয়ে থাকতো, সুচি কি তার অপরাধ কমিয়ে দিল?
জয়ন্তর মনদ্বন্দ্বে ঢুকছে না বাড়ির হৈ হৈ পরিবেশ। পিউ বিট্টু-লাট্টুর সাথে বেশ মানিয়ে নিয়েছে। বরং বাচ্চাদুটো পিউকে বেশ পছন্দ করায় সুচিত্রা একটু হালকা হয়েছে।
বাড়ির ড্রয়িং রুম বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। ছবির বাচ্চা মেয়েটাও এসেছে। এতকিছুর মধ্যে বিষন্ন হয়ে আছে অংশু।
অংশু দিদিকে আড়ালে পেলে জিজ্ঞেস করলে---বাবা-মায়ের ঝগড়াঝাটি চলছে জানিস?
পিউ লাট্টুকে দেখাচ্ছিল ওর মোবাইল ফোনে বিভিন্ন রঙ বেরঙের কার্টুন ভিডিও। সে বলল---হুম্ম। বাবা-মা এডাল্ট। তাদের ডিসিশন নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি না থাকাই দরকার। ভাই, তুইও বড় হয়েছিস। তাছাড়া...
---তা বলে বাবা-মা আলাদা হয়ে যাবে?
পিউ হাসলো। লাট্টুর হাতে মোবাইলটা দিয়ে বললে---সাবধানে দেখিস। মোবাইলটা ফেলে দিসনা।
তারপর সে অংশুর দিকে তাকালো। বলল---বাবা-মা যদি মনে করে তারা আর একসাথে থাকতে পারবে না, সেখানে আমরা কি করতে পারি। আমাদের সেপারেট লাইফ আছে। আমি ফরেনে সেটল হতে চাই। তুই মেডিক্যালে যাবি এইচএসের পর। তখন তো এমনিতেই আমরা বাবা-মার থেকে আলাদা হয়ে যাবো। ম্যাচিওর হ' ভাই।
অংশু চুপ করে গেল। সন্ধে সাড়ে সাতটার দিকে কেক কাটা হল। এ বাড়ির ছেলেমেয়েদের এমন গম্ভীর জন্মদিন পালন হয়নি। সকলেই জানে এই পরিবার ভেঙে যাচ্ছে, অথচ তারা আচরণ করতে সচেষ্ট স্বাভাবিক ভাবে।
***