07-12-2024, 03:15 PM
১.
প্রবীরের চাকরিটা সরকারি। প্রকৌশলী সে। মাস ছয়েক হল নতুন শহরে ট্রান্সফার হয়ে এসেছে।এটাও জেলা শহর।মফস্বলে থাকতে থাকতে এমন অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে যে বড় শহরে থাকার কথা ভাবতেই পারেনা আর।এখানে সে কোয়ার্টার পেয়েছে।সেখানে বাবুর্চি,মালি, ড্রাইভার সবাই আছে।বেশ ভালো বন্দোবস্ত। জয় সবেমাত্র ক্লাস টেনে উঠেছে।পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে বলে তাই প্রবীর পরিবার নিয়ে আসেনি নতুন পোস্টিং এর জায়গায়।থাকা খাওয়ার সমস্যা নেই যে শুধু তা নয়, তাপসী জয় যে শহরে থাকে,সেটা থেকে গাড়িতে এখানে আসতে মাত্র দেড় ঘন্টা লাগে।প্রতিদিন যাতায়াত করা যায় চাইলে।তবে সরকারের নতুন প্রজেক্টের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় বলে বাসায় যাওয়া হয়না প্রবীরের।পুরো সপ্তাহ কাটিয়ে,বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করেই রওনা দেয় প্রবীর স্ত্রী সন্তানের কাছে।বৃহস্পতিবার রাত আর শুক্রবারটা সারাদিন থেকে আবার শনিবার ভোরবেলায় ছুটতে হয় অফিসের উদ্দেশ্যে। এভাবেই চলে আসছিল। কিন্তু গত ২ মাস প্রবীর একদমই সময় বের করতে পারেনি। প্রজেক্টের ডিজাইনে ত্রুটি ধরা পড়েছিল।সেটা নিয়ে ঠিকাদার আর উপর মহলের অফিসারদের সাথে দফায় দফায় মিটিং করা লেগেছে তাকে। ঝামেলা এখনও পুরোপুরি মেটেনি।কিন্তু দুই মাস বাসায় না যেয়ে অস্থির হয়ে উঠেছিল তার মনটা।তাই আজ দীর্ঘ দুই মাস পর সে রওনা হয়েছে বাসার উদ্দেশ্যে। লাঞ্চটা অফিসেই সেরে নিয়েছে। সাড়ে ৪ টার মধ্যেই সে পৌঁছে যাবে আশা করা যায়।
প্রবীর যখন পৌঁছল, তখন ঘড়ির কাঁটায় ৫ টা বাজে। গত দুইমাসে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা ভেঙে গেছে জায়গায় জায়গায়। সেজন্য দেরি হয়েছে। কলিং বেল বাজাতে হল বেশ কয়েকবার।
তাপসী জানে যে আজ প্রবীর আসবে।তাই সে প্রস্তুত হয়েই ছিল।কিন্তু প্রবীরের দেরি হওয়ায় চোখ লেগে এসেছিল তার।কলিং বেল এর শব্দে ঘুম ভাঙতেই তড়িঘড়ি করে ওড়নাটা বুকে দিয়ে বসার ঘর পার হয়ে দরজাটা খুলে দিল সে।
প্রবীরের চাকরিটা সরকারি। প্রকৌশলী সে। মাস ছয়েক হল নতুন শহরে ট্রান্সফার হয়ে এসেছে।এটাও জেলা শহর।মফস্বলে থাকতে থাকতে এমন অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে যে বড় শহরে থাকার কথা ভাবতেই পারেনা আর।এখানে সে কোয়ার্টার পেয়েছে।সেখানে বাবুর্চি,মালি, ড্রাইভার সবাই আছে।বেশ ভালো বন্দোবস্ত। জয় সবেমাত্র ক্লাস টেনে উঠেছে।পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে বলে তাই প্রবীর পরিবার নিয়ে আসেনি নতুন পোস্টিং এর জায়গায়।থাকা খাওয়ার সমস্যা নেই যে শুধু তা নয়, তাপসী জয় যে শহরে থাকে,সেটা থেকে গাড়িতে এখানে আসতে মাত্র দেড় ঘন্টা লাগে।প্রতিদিন যাতায়াত করা যায় চাইলে।তবে সরকারের নতুন প্রজেক্টের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় বলে বাসায় যাওয়া হয়না প্রবীরের।পুরো সপ্তাহ কাটিয়ে,বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করেই রওনা দেয় প্রবীর স্ত্রী সন্তানের কাছে।বৃহস্পতিবার রাত আর শুক্রবারটা সারাদিন থেকে আবার শনিবার ভোরবেলায় ছুটতে হয় অফিসের উদ্দেশ্যে। এভাবেই চলে আসছিল। কিন্তু গত ২ মাস প্রবীর একদমই সময় বের করতে পারেনি। প্রজেক্টের ডিজাইনে ত্রুটি ধরা পড়েছিল।সেটা নিয়ে ঠিকাদার আর উপর মহলের অফিসারদের সাথে দফায় দফায় মিটিং করা লেগেছে তাকে। ঝামেলা এখনও পুরোপুরি মেটেনি।কিন্তু দুই মাস বাসায় না যেয়ে অস্থির হয়ে উঠেছিল তার মনটা।তাই আজ দীর্ঘ দুই মাস পর সে রওনা হয়েছে বাসার উদ্দেশ্যে। লাঞ্চটা অফিসেই সেরে নিয়েছে। সাড়ে ৪ টার মধ্যেই সে পৌঁছে যাবে আশা করা যায়।
প্রবীর যখন পৌঁছল, তখন ঘড়ির কাঁটায় ৫ টা বাজে। গত দুইমাসে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা ভেঙে গেছে জায়গায় জায়গায়। সেজন্য দেরি হয়েছে। কলিং বেল বাজাতে হল বেশ কয়েকবার।
তাপসী জানে যে আজ প্রবীর আসবে।তাই সে প্রস্তুত হয়েই ছিল।কিন্তু প্রবীরের দেরি হওয়ায় চোখ লেগে এসেছিল তার।কলিং বেল এর শব্দে ঘুম ভাঙতেই তড়িঘড়ি করে ওড়নাটা বুকে দিয়ে বসার ঘর পার হয়ে দরজাটা খুলে দিল সে।