29-11-2024, 12:24 PM
মা খাতাটা তুলে দেখল। অংশুর চোখ বারবার টিভির পর্দা হতে মায়ের দিকে পড়ছে। সে লক্ষ্য করল মা বকা দিচ্ছে বিট্টুকে। বোধ হয় অক্ষরগুলো ভুল লিখেছে। বেচারা বিট্টুকে আবার লিখতে দিল মা। ছেলেবেলায় অংশুও এমন ভুল করলে বারবার লেখাতো মা। মনে পড়ল তার। শৈশবের দিনগুলি বড্ড ভালো ছিল, অংশুর মনটা অস্থির হয়ে উঠছে। বাবা বিছানায় শায়িত হয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। প্রবল অপরাধবোধ যে কাজ করছে মানুষটার মধ্যে অংশু বুঝতে পারে। কিন্তু মা কেন গফুরের মত একটা মাতাল নোংরা লোকের সাথে...শুধুই কি বাবার উপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে?
অংশু মনে মনে ভাবলো, হয়ত আবার একদিন সাংঘাতিক কান্ড ঘটবে। মায়ের এই অবৈধ সম্পর্ক বাবা জানতে পারবে। তারপর...? অংশু শিউরে উঠছে। লাট্টুকে দুধ ছাড়িয়ে উঠে এলো মা। ড্রয়িং রুমের টিভির আলো পড়েছে অংশুর মুখে।
সুচিত্রা বলল---তোর বাবা কোথায়?
কথাটা কানে এলো জয়ন্তের। সুচি পিউকে ডেকে পাঠিয়েছে। মেয়ের সামনেও তার মান সম্মান যাচ্ছে। কিভাবে সে মুখ দেখাবে তার প্রিয়তমা কন্যার সামনে! সুচি অবশ্য ক'দিন হল জয়ন্তের কথার জবাব দিচ্ছে। একেবারে মুখ গোমড়া করে থাকাটা আর নেই।
অংশু মৃদু উত্তর দিয়ে বলল---ঘরে, শুয়েছে।
সুচিত্রা ঘড়ির দিকে তাকালো। সাড়ে সাতটা। এই বেলাতেই বাড়িটা যেন কেমন নিঝুম হয়ে পড়েছে। সাড়ে সাতটায় একটা দুটো বাংলা সিরিয়াল দেখে সুচি। ছেলেকে বলল---তুই কি টিভি দেখবি? পড়া নেই?
অংশু টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে বলল---এখন ইচ্ছে নেই।
সুচি বকাঝকা করল না অংশুকে। ছেলে-মেয়েদের ছোটবেলায় পড়াশোনার জন্য বকাঝকা করতে হত। যত বড় হয়েছে ওরা, তত পড়াশোনা নিয়ে ওরা যথেস্ট দায়িত্বশীল। বললে---সাড়ে সাতটা বাজলো, 'বকুল কথা' সিরিয়ালটা আছে। দে দেখি রিমোটটা।
অংশু মায়ের হাতে রিমোট দিয়ে নিজের রুমে চলে এলো। একদমই পড়তে ইচ্ছে করছে না তার এ মুহূর্তে। বাবার ঘরে গিয়ে বলল---বাবা, তোমার ল্যাপটপটা নেব?
জয়ন্ত বললে---চার্জে বসিয়ে কাজ করিস। আর ঐ দেখিস তো, কি সব আপডেট চাইছে।
জয়ন্ত অতশত ইন্টারনেট, প্রযুক্তি বোঝে না। কঠিন সমস্যায় পড়লে ছেলের দ্বারস্থ হয়। পিউকে একটা ডেস্কটপ কিনে দিয়েছিল বছর পাঁচেক আগে, ওটাতেই অংশু হাত পাকিয়েছে।
বাবার ল্যাপটপটা নিয়ে ও' নিজের ঘরে যাবার মুখেই লক্ষ্য করল বিট্টু তার খাতা নিয়ে এসে হাজির হয়েছে মায়ের কাছে। মা বললে---অংশু, একটু দেখে নে দেখি, ঠিক লিখেছে কিনা?
অংশু চোখ বুলিয়ে নিয়ে বলল---ছোট হাতের জায়গায় বড় হাতের জেড লিখেছে। আর বি কে ডি, ডি কে বি করেছে।
মা বললে---ওটা আর কিছুতেই করা গেল না। তুইও ছোটবেলায় অমন করতিস।
বিট্টুর মুখটা শুকিয়ে গেছে। ভাবলে আবার তাকে লিখতে হবে। সে মায়ের কাছে গিয়ে মায়ের কাঁধে মুখ গুঁজে ফোঁপাতে লাগলো। মা হেসে বলল---নাটক করছিস তো?
আট বছরের ছেলে বিট্টু। ফোঁপাতে ফোঁপাতে অভিমান করলেও লাট্টুর মত কেঁদে ভাসিয়ে দেয় না। অংশু লক্ষ্য করল মা ওর অভিমানে গলে গেল তক্ষুনি। বিট্টুকে কোলে টেনে নিয়েছে মা। ছেলেটার গালে কপালে চুমু দিয়ে সুতির শাড়িটার আঁচলের ভেতর দুই হাত ঢুকিয়ে ব্লাউজের হুক খুলতে খুলতে বলল---চুপচাপ দুদু খাবি...টিভি দেখছি, ডিস্টার্ব করবি না।
মায়ের কোলে এত বড় ছেলেটা শুয়ে পড়ে আঁচলের মধ্যেই মুখ ঢুকিয়ে দুধপান করতে শুরু করেছে। মা বিট্টুকে দুধপান করাতে করাতে সিরিয়াল দেখছে। অংশু দেখল লাট্টু ঘুমিয়ে রয়েছে নিজের ঘরে। মা যখন ওকে মাই দিচ্ছিল, তখুনি ও' ঘুমিয়ে পড়েছে।
***
অংশু মনে মনে ভাবলো, হয়ত আবার একদিন সাংঘাতিক কান্ড ঘটবে। মায়ের এই অবৈধ সম্পর্ক বাবা জানতে পারবে। তারপর...? অংশু শিউরে উঠছে। লাট্টুকে দুধ ছাড়িয়ে উঠে এলো মা। ড্রয়িং রুমের টিভির আলো পড়েছে অংশুর মুখে।
সুচিত্রা বলল---তোর বাবা কোথায়?
কথাটা কানে এলো জয়ন্তের। সুচি পিউকে ডেকে পাঠিয়েছে। মেয়ের সামনেও তার মান সম্মান যাচ্ছে। কিভাবে সে মুখ দেখাবে তার প্রিয়তমা কন্যার সামনে! সুচি অবশ্য ক'দিন হল জয়ন্তের কথার জবাব দিচ্ছে। একেবারে মুখ গোমড়া করে থাকাটা আর নেই।
অংশু মৃদু উত্তর দিয়ে বলল---ঘরে, শুয়েছে।
সুচিত্রা ঘড়ির দিকে তাকালো। সাড়ে সাতটা। এই বেলাতেই বাড়িটা যেন কেমন নিঝুম হয়ে পড়েছে। সাড়ে সাতটায় একটা দুটো বাংলা সিরিয়াল দেখে সুচি। ছেলেকে বলল---তুই কি টিভি দেখবি? পড়া নেই?
অংশু টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে বলল---এখন ইচ্ছে নেই।
সুচি বকাঝকা করল না অংশুকে। ছেলে-মেয়েদের ছোটবেলায় পড়াশোনার জন্য বকাঝকা করতে হত। যত বড় হয়েছে ওরা, তত পড়াশোনা নিয়ে ওরা যথেস্ট দায়িত্বশীল। বললে---সাড়ে সাতটা বাজলো, 'বকুল কথা' সিরিয়ালটা আছে। দে দেখি রিমোটটা।
অংশু মায়ের হাতে রিমোট দিয়ে নিজের রুমে চলে এলো। একদমই পড়তে ইচ্ছে করছে না তার এ মুহূর্তে। বাবার ঘরে গিয়ে বলল---বাবা, তোমার ল্যাপটপটা নেব?
জয়ন্ত বললে---চার্জে বসিয়ে কাজ করিস। আর ঐ দেখিস তো, কি সব আপডেট চাইছে।
জয়ন্ত অতশত ইন্টারনেট, প্রযুক্তি বোঝে না। কঠিন সমস্যায় পড়লে ছেলের দ্বারস্থ হয়। পিউকে একটা ডেস্কটপ কিনে দিয়েছিল বছর পাঁচেক আগে, ওটাতেই অংশু হাত পাকিয়েছে।
বাবার ল্যাপটপটা নিয়ে ও' নিজের ঘরে যাবার মুখেই লক্ষ্য করল বিট্টু তার খাতা নিয়ে এসে হাজির হয়েছে মায়ের কাছে। মা বললে---অংশু, একটু দেখে নে দেখি, ঠিক লিখেছে কিনা?
অংশু চোখ বুলিয়ে নিয়ে বলল---ছোট হাতের জায়গায় বড় হাতের জেড লিখেছে। আর বি কে ডি, ডি কে বি করেছে।
মা বললে---ওটা আর কিছুতেই করা গেল না। তুইও ছোটবেলায় অমন করতিস।
বিট্টুর মুখটা শুকিয়ে গেছে। ভাবলে আবার তাকে লিখতে হবে। সে মায়ের কাছে গিয়ে মায়ের কাঁধে মুখ গুঁজে ফোঁপাতে লাগলো। মা হেসে বলল---নাটক করছিস তো?
আট বছরের ছেলে বিট্টু। ফোঁপাতে ফোঁপাতে অভিমান করলেও লাট্টুর মত কেঁদে ভাসিয়ে দেয় না। অংশু লক্ষ্য করল মা ওর অভিমানে গলে গেল তক্ষুনি। বিট্টুকে কোলে টেনে নিয়েছে মা। ছেলেটার গালে কপালে চুমু দিয়ে সুতির শাড়িটার আঁচলের ভেতর দুই হাত ঢুকিয়ে ব্লাউজের হুক খুলতে খুলতে বলল---চুপচাপ দুদু খাবি...টিভি দেখছি, ডিস্টার্ব করবি না।
মায়ের কোলে এত বড় ছেলেটা শুয়ে পড়ে আঁচলের মধ্যেই মুখ ঢুকিয়ে দুধপান করতে শুরু করেছে। মা বিট্টুকে দুধপান করাতে করাতে সিরিয়াল দেখছে। অংশু দেখল লাট্টু ঘুমিয়ে রয়েছে নিজের ঘরে। মা যখন ওকে মাই দিচ্ছিল, তখুনি ও' ঘুমিয়ে পড়েছে।
***