23-11-2024, 10:37 PM
লাশ দাফন হয়ে গিয়েছে। সুমনের এলাকার বন্ধুরা ওকে সান্তনা দিচ্ছে। সুমনের বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছে না। আর কোথায় ফিরবে ও? ঐ বাড়িতে কে আছে তার। আছে বলতে ছোট ভাই, আর তার বাবার হত্যাকারী এক নষ্টা হ্যাঁ তার হত্যাকারীই তো। এসব কিছু না ঘটলে কি তার বাবা ঘুমের মধ্যে আজ রাতে মারা যেতো?
খলিল চৌধুরী ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে আছেন। রতনের কাছ থেকে খবরটা শোনার পর থেকেই শরীর কাঁপছে উনার৷ এটা উনি কি করলেন, যে ভয়টা পাচ্ছিলেন এটাই হলো। চার চারটা সুন্দর জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এদের জীবন কি আর তিনি সাজিয়ে দিতে পারবেন? সুমন শাওনের কোনো দোষ ছিল না। এখন এদের সামনে কিভাবে মুখ দেখাবেন তিনি। শিউলিকেই বা কিভাবে সাহায্য করবেন। সব কিছু যে হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। খলিল চৌধুরীর মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে তার চেয়ে একটা খারাপ মানুষ ও কি আছে?
আম্মু, আম্মু ক্ষুধা লেগেছে ভাত খাবো……..
খা, আমার মাথা খা, সব খেয়ে নে……. শাওন কে ঝাড়ি দিয়ে আবার কাঁদতে শুরু করলেন শিউলি।
রত্না ভাবি এগিয়ে এসে শিউলির কাধে হাত রেখে বললেন, ভাবি যা হয়েছে মেনে নিতে হবে। তাছাড়া উপায় নেই৷ ছেলেটাকে বকছেন কেন? আর যাই হোক এসব কিছুর মধ্যে যদি কেউ নিষ্পাপ থেকে থাকে সেটা হচ্ছে শাওন…..
শিউলি পিছন ঘুরে শাওন কে ডাকতে চাইলেন, কিন্তু তার আগেই রত্না শাওন কে ডেকে বললেন, চলো বাবা, আমি তোমাকে খাবার দিচ্ছি।
রাতে শিউলিকে খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করলেন রত্না ভাবি, কিন্তু কিছুই মুখে তুললেন না তিনি। সুমন বাড়ি ফিরতেই রন্তা সুমন এর রুমে খাবার নিয়ে এলেন।
বাবা সুমন, কালকে থেকে কিছুই খাচ্ছো না। এভাবে শ্রীর খারাপ করবে বাবা। একটু খেয়ে নাও……
চাচী, শাওন কে দেখে রাইখেন। আমি ওকে দেখে রাখতে পারব না। শাওনের ওর মাকে প্রয়োজন। আপনি শুধু দেখে রাইখেন। আমি এই বাড়িতে থাকলে আমিও মরে যাব না হলে অন্য কাউকে মেরে ফেলব। কালকে সকালেই আমি ঢাকা চলে যাব……
যেও বাবা, এখন একটু খাও…….
ভোরে রেডি হয়ে শাওনের রুমে গেল সুমন। শাওনের বয়স ৭ পেরিয়ে ৮। এখন আর ওকে চুমু দেয়া যায় না। তবুও ঘুমন্ত শাওনের কপালে চুমু খেয়ে বাড়ি থেকে বের হতে লাগলো সুমন।
পিছন থেকে শিউলি বললেন, বাবা, আমাকে শাস্তি না দিয়ে কোথায় চলে যাচ্ছিস। থেকে যা বাবা……
আমাকে ডাকবেন না। আব্বুর সব চিন্তা ছিল শাওন কে নিয়ে। ওকে দেখে রাইখেন দয়া করে…….
আকাশ ঘুমাচ্ছিলো। দিনের ২ ভাগ অতিবাহিত না হলে ওর ঘুম ভাঙে না। সুমন বাড়ি যাওয়ার পর এই দুই দিন কি ঘটেছে কিছুই জানে না ও। কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দিয়ে দেখলো সুমন।
কিরে সুমন, আজই চলে এসেছিস! থাকতি কয়েক দিন বাড়িতে…..
সুমন কোনো উত্তর না দিয়ে রুমে চলে গেল। রুমে ঢুকে একটা ব্যাগে সব বই আর জিনিসপত্র ঢুকাতে লাগলো। আকাশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কিরে কই যাস?
আমি আর এখানে থাকব না রে…..
থাকবি না মানে? কি হয়েছে, কি সমস্যা……
কোনো সমস্যা না, আমি থাকবো না আর……
আরে কি সমস্যা সেটা তো বলবি, হুট করে এসে বলছিস থাকবি না। কি করেছি আমি…
সুমন একটু জোরে আওয়াজে বললো, শুনবি কি সমস্যা, Your fucking father slept with my mother
আকাশ যেন আকাশ থেকে ধপাস করে পরলো। বিছানায় বসে পরলো ও। কি বলবে বুঝতে পারছে না। কি বলা উচিত এখন তার।
আচ্ছা সুমন, মাথা ঠান্ডা কর। এখন কোথায় যাবি। যা হওয়ার হয়েছে…….
যা হওয়ার হয়েছে মানে, তোর মাদারচোদ বাপ কি করেছে শুনিস নি? আমি ওই মাদারচোদ বাপের ছেলের সাথে থাকতে পারবো না।
সুমনের এই কথা শুনে আকাশের ও মেজাজ খারাপ হলো। একটা বাক্যে দুইবার তার বাবাকে গালি দিয়েছে। আবার ওর সাথে থাকা সম্ভব ও না। প্রচন্ড রাগে আকাশ বললো,
বাল, খালি আমার বাপ তুলে কথা বলতেছিস কেন? আমার বাপ কি তোর মা কে রে*প করেছে? আমি তোর মাকে নিয়ে কিছু বলেছি? আমার বাবা চরিত্রহীন আর তোর মা ধোয়া তুলসি পাতা? আমাকে শুধু শুধু দোষ দিচ্ছিস……
মায়ের কথা শুনে ঠান্ডা হয়ে গেল সুমন। নিচু গলায় বললো, ঠিকই বলেছিস রে। কারো কোনো দোষ নেই, দোষ হলো আমার বাবার। কি আর করা, যাই ভালো থাকিস….
সুমনের মনের অবস্থা বুঝে আকাশ ও বুঝলো এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি ওর। এসব ক্ষেত্রে বাবা আর মায়ের ব্যাপারে অনেক তফাৎ থাকে। বাবার ক্ষেত্রে যেটা মানা সহজ মায়ের ক্ষেত্রে ওটা কঠিন।
আরে ভাই, সরি। রাখ তো ব্যাগ। কই যাবি এখন……
ভালো থাকিস, গেলাম……..
লেকের পারে বসে আছে আকাশ আর রিমা। চুপ করে আছে আকাশ। রিমাকে আকাশ বলেছে সুমন বাসা থেকে চলে গিয়েছে। ঝামেলা হয়েছে বলেছে কিন্তু কোনো কিছু ভেঙে বলে নি আকাশ। রিমা জানে আকাশ-সুমনের বন্ধুত্ব কতটা গাড়।
আচ্ছা আকাশ, অপেক্ষা করো। সুমনের রাগ কমলে চলে আসবে হয়তো…..
আমিও খারাপ ব্যাবহার করে ফেলেছি……
আরে বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে এগুলো হয়ই আকাশ……
না রিমা, আমরা প্রতিদিন দিনে তিন বেলা করে ঝগড়া করি, কিন্তু এটা ভিন্ন, তুমি বুঝবে না……
কেন বুঝব না…???
আকাশের মোবাইল বেজে উঠলো। পকেট থেকে ফোন বের করে দেখলো আননোন নাম্বার। কল রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে এক মধ্যবয়সী নারীর গলা ভেসে আসলো।
হ্যালো আকাশ?
হ্যাঁ কে বলছেন?
আমি তোমার বন্ধু সুমনের চাচী হই। বলছি সুমন কেমন আছে?
ভালো, হটাৎ ফোন করলেন?
সুমনের আম্মু ওর খবর নিতে চাচ্ছে। চলে গেল আর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না তাই। বাবা, সুমন কে একটু দেখে রেখো। হটাৎ ওর আব্বু মারা গেল, সুমন ধাক্কাটা নিতে পারে নি……
আকাশের মনে হচ্ছে সে ভুল শুনেছে, কি বললো ওই মহিলা? ঠিক শুনছে সে? ঢাকা থেকে আঙ্কেল সুস্থই গেল!
বুঝি নি কি বললেন আন্টি?
জানো না, সুমনের বাবা মারা গিয়েছে পরশু রাতে…….
আমাকে তো কেউ জানায় নি…..
আচ্ছা, তুমি সুমন কে একটু দেখে রাইখো…….
আকাশের ভয় পাওয়া মুখ দেখে রিমা জিজ্ঞেস করলো কি হলো আকাশ? খারাপ কিছু?
রিমা, আমি কিছুই জানতাম না। আঙ্কেল মারা গেছে। আর আমি সুমনের সাথে খারাপ ব্যাবহার করলাম, কি যা তা বলেছি।
রিমা দেখলো আকাশ চেষ্টা করেও পাব্লিক প্লেসে কান্না আটকে রাখতে পারছে না। আকাশের কানে বাজছে সুমনের শেষ কথা গুলো “ আসলে দোষ কারোরই না, দোষ আমার বাপের"
খলিল চৌধুরী ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে আছেন। রতনের কাছ থেকে খবরটা শোনার পর থেকেই শরীর কাঁপছে উনার৷ এটা উনি কি করলেন, যে ভয়টা পাচ্ছিলেন এটাই হলো। চার চারটা সুন্দর জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এদের জীবন কি আর তিনি সাজিয়ে দিতে পারবেন? সুমন শাওনের কোনো দোষ ছিল না। এখন এদের সামনে কিভাবে মুখ দেখাবেন তিনি। শিউলিকেই বা কিভাবে সাহায্য করবেন। সব কিছু যে হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। খলিল চৌধুরীর মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে তার চেয়ে একটা খারাপ মানুষ ও কি আছে?
আম্মু, আম্মু ক্ষুধা লেগেছে ভাত খাবো……..
খা, আমার মাথা খা, সব খেয়ে নে……. শাওন কে ঝাড়ি দিয়ে আবার কাঁদতে শুরু করলেন শিউলি।
রত্না ভাবি এগিয়ে এসে শিউলির কাধে হাত রেখে বললেন, ভাবি যা হয়েছে মেনে নিতে হবে। তাছাড়া উপায় নেই৷ ছেলেটাকে বকছেন কেন? আর যাই হোক এসব কিছুর মধ্যে যদি কেউ নিষ্পাপ থেকে থাকে সেটা হচ্ছে শাওন…..
শিউলি পিছন ঘুরে শাওন কে ডাকতে চাইলেন, কিন্তু তার আগেই রত্না শাওন কে ডেকে বললেন, চলো বাবা, আমি তোমাকে খাবার দিচ্ছি।
রাতে শিউলিকে খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করলেন রত্না ভাবি, কিন্তু কিছুই মুখে তুললেন না তিনি। সুমন বাড়ি ফিরতেই রন্তা সুমন এর রুমে খাবার নিয়ে এলেন।
বাবা সুমন, কালকে থেকে কিছুই খাচ্ছো না। এভাবে শ্রীর খারাপ করবে বাবা। একটু খেয়ে নাও……
চাচী, শাওন কে দেখে রাইখেন। আমি ওকে দেখে রাখতে পারব না। শাওনের ওর মাকে প্রয়োজন। আপনি শুধু দেখে রাইখেন। আমি এই বাড়িতে থাকলে আমিও মরে যাব না হলে অন্য কাউকে মেরে ফেলব। কালকে সকালেই আমি ঢাকা চলে যাব……
যেও বাবা, এখন একটু খাও…….
ভোরে রেডি হয়ে শাওনের রুমে গেল সুমন। শাওনের বয়স ৭ পেরিয়ে ৮। এখন আর ওকে চুমু দেয়া যায় না। তবুও ঘুমন্ত শাওনের কপালে চুমু খেয়ে বাড়ি থেকে বের হতে লাগলো সুমন।
পিছন থেকে শিউলি বললেন, বাবা, আমাকে শাস্তি না দিয়ে কোথায় চলে যাচ্ছিস। থেকে যা বাবা……
আমাকে ডাকবেন না। আব্বুর সব চিন্তা ছিল শাওন কে নিয়ে। ওকে দেখে রাইখেন দয়া করে…….
আকাশ ঘুমাচ্ছিলো। দিনের ২ ভাগ অতিবাহিত না হলে ওর ঘুম ভাঙে না। সুমন বাড়ি যাওয়ার পর এই দুই দিন কি ঘটেছে কিছুই জানে না ও। কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দিয়ে দেখলো সুমন।
কিরে সুমন, আজই চলে এসেছিস! থাকতি কয়েক দিন বাড়িতে…..
সুমন কোনো উত্তর না দিয়ে রুমে চলে গেল। রুমে ঢুকে একটা ব্যাগে সব বই আর জিনিসপত্র ঢুকাতে লাগলো। আকাশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কিরে কই যাস?
আমি আর এখানে থাকব না রে…..
থাকবি না মানে? কি হয়েছে, কি সমস্যা……
কোনো সমস্যা না, আমি থাকবো না আর……
আরে কি সমস্যা সেটা তো বলবি, হুট করে এসে বলছিস থাকবি না। কি করেছি আমি…
সুমন একটু জোরে আওয়াজে বললো, শুনবি কি সমস্যা, Your fucking father slept with my mother
আকাশ যেন আকাশ থেকে ধপাস করে পরলো। বিছানায় বসে পরলো ও। কি বলবে বুঝতে পারছে না। কি বলা উচিত এখন তার।
আচ্ছা সুমন, মাথা ঠান্ডা কর। এখন কোথায় যাবি। যা হওয়ার হয়েছে…….
যা হওয়ার হয়েছে মানে, তোর মাদারচোদ বাপ কি করেছে শুনিস নি? আমি ওই মাদারচোদ বাপের ছেলের সাথে থাকতে পারবো না।
সুমনের এই কথা শুনে আকাশের ও মেজাজ খারাপ হলো। একটা বাক্যে দুইবার তার বাবাকে গালি দিয়েছে। আবার ওর সাথে থাকা সম্ভব ও না। প্রচন্ড রাগে আকাশ বললো,
বাল, খালি আমার বাপ তুলে কথা বলতেছিস কেন? আমার বাপ কি তোর মা কে রে*প করেছে? আমি তোর মাকে নিয়ে কিছু বলেছি? আমার বাবা চরিত্রহীন আর তোর মা ধোয়া তুলসি পাতা? আমাকে শুধু শুধু দোষ দিচ্ছিস……
মায়ের কথা শুনে ঠান্ডা হয়ে গেল সুমন। নিচু গলায় বললো, ঠিকই বলেছিস রে। কারো কোনো দোষ নেই, দোষ হলো আমার বাবার। কি আর করা, যাই ভালো থাকিস….
সুমনের মনের অবস্থা বুঝে আকাশ ও বুঝলো এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি ওর। এসব ক্ষেত্রে বাবা আর মায়ের ব্যাপারে অনেক তফাৎ থাকে। বাবার ক্ষেত্রে যেটা মানা সহজ মায়ের ক্ষেত্রে ওটা কঠিন।
আরে ভাই, সরি। রাখ তো ব্যাগ। কই যাবি এখন……
ভালো থাকিস, গেলাম……..
লেকের পারে বসে আছে আকাশ আর রিমা। চুপ করে আছে আকাশ। রিমাকে আকাশ বলেছে সুমন বাসা থেকে চলে গিয়েছে। ঝামেলা হয়েছে বলেছে কিন্তু কোনো কিছু ভেঙে বলে নি আকাশ। রিমা জানে আকাশ-সুমনের বন্ধুত্ব কতটা গাড়।
আচ্ছা আকাশ, অপেক্ষা করো। সুমনের রাগ কমলে চলে আসবে হয়তো…..
আমিও খারাপ ব্যাবহার করে ফেলেছি……
আরে বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে এগুলো হয়ই আকাশ……
না রিমা, আমরা প্রতিদিন দিনে তিন বেলা করে ঝগড়া করি, কিন্তু এটা ভিন্ন, তুমি বুঝবে না……
কেন বুঝব না…???
আকাশের মোবাইল বেজে উঠলো। পকেট থেকে ফোন বের করে দেখলো আননোন নাম্বার। কল রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে এক মধ্যবয়সী নারীর গলা ভেসে আসলো।
হ্যালো আকাশ?
হ্যাঁ কে বলছেন?
আমি তোমার বন্ধু সুমনের চাচী হই। বলছি সুমন কেমন আছে?
ভালো, হটাৎ ফোন করলেন?
সুমনের আম্মু ওর খবর নিতে চাচ্ছে। চলে গেল আর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না তাই। বাবা, সুমন কে একটু দেখে রেখো। হটাৎ ওর আব্বু মারা গেল, সুমন ধাক্কাটা নিতে পারে নি……
আকাশের মনে হচ্ছে সে ভুল শুনেছে, কি বললো ওই মহিলা? ঠিক শুনছে সে? ঢাকা থেকে আঙ্কেল সুস্থই গেল!
বুঝি নি কি বললেন আন্টি?
জানো না, সুমনের বাবা মারা গিয়েছে পরশু রাতে…….
আমাকে তো কেউ জানায় নি…..
আচ্ছা, তুমি সুমন কে একটু দেখে রাইখো…….
আকাশের ভয় পাওয়া মুখ দেখে রিমা জিজ্ঞেস করলো কি হলো আকাশ? খারাপ কিছু?
রিমা, আমি কিছুই জানতাম না। আঙ্কেল মারা গেছে। আর আমি সুমনের সাথে খারাপ ব্যাবহার করলাম, কি যা তা বলেছি।
রিমা দেখলো আকাশ চেষ্টা করেও পাব্লিক প্লেসে কান্না আটকে রাখতে পারছে না। আকাশের কানে বাজছে সুমনের শেষ কথা গুলো “ আসলে দোষ কারোরই না, দোষ আমার বাপের"