22-11-2024, 11:44 AM
সন্ধে নাগাদ অংশুর যখন ঘুম ভাঙল দেখল বাড়িটা শান্ত হয়ে আছে। যা হেস্তনেস্ত হওয়ার ছিল তার আর কোনো নমুনা নেই। বাবা নিজের ঘরে চশমা এঁটে বড় একটা মেডিক্যাল সায়েন্সের বই নিয়ে পড়তে বসেছেন। বিট্টু-লাট্টু খেলনাগুলি মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেছে। মা ঘুমিয়ে রয়েছে ঘরের ভেতর।
সচরাচর মা এতক্ষণ ঘুমোয় না। আজ যে মায়ের মন ভালো নেই, তা বুঝতে পারছে অংশু। অংশুরও পড়তে বসতে ইচ্ছে করল না। ও' টিভিটা চালিয়ে দিল। ও চ্যানেল এ চ্যানেল বদল করে এসে ঠেকল একটা স্পোর্টস চ্যানেলে। চ্যাম্পিয়নস লীগের পুরোনো খেলাগুলো দেখতে লাগলো সে।
আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠল সুচিত্রা। জয়ন্ত দেখলে এখনো ওর মুখভার। বাথরুম থেকে বেরিয়ে সোজা রান্নাঘরে চলে গেল ও'।
দুপুর বেলা সুচির কোনো কথারই জবাব দিতে পারেনি জয়ন্ত। না, সুচি খানিক চেঁচিয়ে রণমূর্তি ধরেই ক্ষান্ত হয়। তারপর থেকে একটাও কথা বলেনি তার সাথে।
জয়ন্ত জানে এখন পরিস্থিতি ঠান্ডা হতে দিতে হবে তাকে। সুচিত্রার যে কোনো অভিযোগ, গ্লানি, তর্ককে সহ্য করতে হবে তাকে। অনলের মত তার সংসারে যেন কোনো বিপদ ডেকে না আনে সুচি, ভয় হয় জয়ন্তের।
রাত বাড়লো। সুচিত্রা খুব স্বাভাবিক ভাবেই রান্না শেষ করে খাবার বাড়লো। অংশুকে বললে---তোর বাবাকে ডাক।
অংশু ও জয়ন্তকে খেতে দিয়ে সে টেবিলের অন্য পাশে বিট্টু-লাট্টুকে খাওয়াতে লাগলো। অংশু বললে---মা, তুমি খাবে না?
নিরুত্তর সুচি লাট্টুকে গলা ভাতের মন্ড খাওয়াতে ব্যস্ত। বিট্টুকে ভাজা মাছের কাঁটা বেছে দিল সুচিত্রা। জয়ন্ত খাওয়া সেরে উঠে গেল। অংশু লক্ষ্য করল বাবা-মায়ের কথা বন্ধ হয়েছে। এমন কথা বন্ধ হলে মা'ই প্রথম কথা বলে। কিন্তু সে নেহাত কোনো ছোটখাটো ঝগড়া। কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনো যে হয়নি এ' বাড়িতে!
রাতে মা খায়নি। শুয়ে পড়েছে বিট্টু-লাট্টুর পাশে। মাঝরাতে অংশুর যখন ঘুম ভাঙলো ড্রয়িং রুমে আলো জ্বলছে। অংশু দেখলে সামান্য ভাত নিয়ে খেতে বসেছে মা। মা যে রাতে ঘুমোয়নি চোখ-মুখ স্পষ্ট।
অংশু উঠে এলো মায়ের কাছে। বলল---মা, তুমি এখন খাচ্ছ?
এবারেও সুচিত্রা নিরুত্তর। তারপর বলল---অংশু, আমি এ বাড়ি ছেড়ে পাকপাকি চলে যাবো মায়ের কাছে। তুই যদি চাস আমার সাথে যেতে পারিস।
অংশু কোনো উত্তর করল না। সে সটান চলে এলো বিছানায়। পাশবালিশ আঁকড়ে শুয়ে থাকলো সে। কান্না পাচ্ছে তার।
+++++
সচরাচর মা এতক্ষণ ঘুমোয় না। আজ যে মায়ের মন ভালো নেই, তা বুঝতে পারছে অংশু। অংশুরও পড়তে বসতে ইচ্ছে করল না। ও' টিভিটা চালিয়ে দিল। ও চ্যানেল এ চ্যানেল বদল করে এসে ঠেকল একটা স্পোর্টস চ্যানেলে। চ্যাম্পিয়নস লীগের পুরোনো খেলাগুলো দেখতে লাগলো সে।
আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠল সুচিত্রা। জয়ন্ত দেখলে এখনো ওর মুখভার। বাথরুম থেকে বেরিয়ে সোজা রান্নাঘরে চলে গেল ও'।
দুপুর বেলা সুচির কোনো কথারই জবাব দিতে পারেনি জয়ন্ত। না, সুচি খানিক চেঁচিয়ে রণমূর্তি ধরেই ক্ষান্ত হয়। তারপর থেকে একটাও কথা বলেনি তার সাথে।
জয়ন্ত জানে এখন পরিস্থিতি ঠান্ডা হতে দিতে হবে তাকে। সুচিত্রার যে কোনো অভিযোগ, গ্লানি, তর্ককে সহ্য করতে হবে তাকে। অনলের মত তার সংসারে যেন কোনো বিপদ ডেকে না আনে সুচি, ভয় হয় জয়ন্তের।
রাত বাড়লো। সুচিত্রা খুব স্বাভাবিক ভাবেই রান্না শেষ করে খাবার বাড়লো। অংশুকে বললে---তোর বাবাকে ডাক।
অংশু ও জয়ন্তকে খেতে দিয়ে সে টেবিলের অন্য পাশে বিট্টু-লাট্টুকে খাওয়াতে লাগলো। অংশু বললে---মা, তুমি খাবে না?
নিরুত্তর সুচি লাট্টুকে গলা ভাতের মন্ড খাওয়াতে ব্যস্ত। বিট্টুকে ভাজা মাছের কাঁটা বেছে দিল সুচিত্রা। জয়ন্ত খাওয়া সেরে উঠে গেল। অংশু লক্ষ্য করল বাবা-মায়ের কথা বন্ধ হয়েছে। এমন কথা বন্ধ হলে মা'ই প্রথম কথা বলে। কিন্তু সে নেহাত কোনো ছোটখাটো ঝগড়া। কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনো যে হয়নি এ' বাড়িতে!
রাতে মা খায়নি। শুয়ে পড়েছে বিট্টু-লাট্টুর পাশে। মাঝরাতে অংশুর যখন ঘুম ভাঙলো ড্রয়িং রুমে আলো জ্বলছে। অংশু দেখলে সামান্য ভাত নিয়ে খেতে বসেছে মা। মা যে রাতে ঘুমোয়নি চোখ-মুখ স্পষ্ট।
অংশু উঠে এলো মায়ের কাছে। বলল---মা, তুমি এখন খাচ্ছ?
এবারেও সুচিত্রা নিরুত্তর। তারপর বলল---অংশু, আমি এ বাড়ি ছেড়ে পাকপাকি চলে যাবো মায়ের কাছে। তুই যদি চাস আমার সাথে যেতে পারিস।
অংশু কোনো উত্তর করল না। সে সটান চলে এলো বিছানায়। পাশবালিশ আঁকড়ে শুয়ে থাকলো সে। কান্না পাচ্ছে তার।
+++++