30-10-2024, 10:27 PM
শুভর মা অর্থাৎ শতরূপা সাহা, বয়স 40, বাংলার প্রফেসর। একটু গম্ভীর ধরনের, পাড়ার লোকজন থেকে কলেজ স্টুডেন্টস সবাই শতরূপাকে সমীহ করে। শতরূপা দিব্যকে পছন্দ করে না। দিব্যর কিছু বদনামও রয়েছে আর সেগুলি নারীঘটিতো। তবে শুভ বিস্তারিত কিছু জানে না ; শুভ দিব্যর বাইকে অনেক মেয়েকে দেখেছে, একদিন পাড়ার মোড়ে, তবে কার সাথে কি সম্পর্ক ছিলো সেটা ও জানে না। একবার দিব্যদার সাথে দেখেছিলো মল্লিকা-দিকে । মল্লিকাদি হলো মাধবী মাসির মেয়ে, মাধবী মাসি ওর মায়ের কলিগ। মাধবী মাসি ওদের বাড়িতে তিন চারবার এসছে, মল্লিকাদি ও এসছে একবার। মল্লিকা শুভর চেয়ে বছর চারেকের বড়; এই মাধবী মাসিই শতরূপাকে দিব্যর ব্যাপারে বলেছে । এরপর থেকে শতরূপা শুভকে দিব্যর সাথে মিশতে বারণ করেছে। একদিন পাড়ার মোড়ে শুভ আর শমীককে দিব্যর সাথে গল্প করতে দেখেছিলো শতরূপা। সেদিন ই শুভ বাড়ি ফেরার পর শতরূপা বলেছিলো "আজকের পর থেকে যেন এমন ছেলের সাথে তোমায় আর না দেখি, যারা সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেহাল্লাপানা করে বেড়ায়- এসব অসৎ সঙ্গ তোমায় ছাড়তে হবে।" শুভ শতরূপার একমাত্র ছেলে সন্তান, শুভ একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। শতরূপার উচিত ছিল শুভর অনুমোদন নিয়ে পুনরায় বিয়ে করা। শতরূপা পুনরায় বিয়ের জন্য তার একমাত্র ছেলে শুভকে অন্যত্র পাঠানো কি মানবিক হয়েছিল , শতরূপা তার একমাত্র ছেলেকে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করছে। শতরূপা একজন উচ্চ মশিক্ষিত মহিলা, তার বয়স ৪০ , এই বয়সের যে কোন মহিলা আবেগ দিয়ে নয় বিবেক দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন।