Thread Rating:
  • 114 Vote(s) - 2.66 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
কিছু মনের সত্যি কথা
জানেন তো ছোটবেলায় আমিও না অনেক ধনী ছিলাম। 

বৃষ্টির জমে থাকা জলে, আমারও 
তিন-চারটে নৌকা, জাহাজ জলে ভেসে বেড়াতো।
কাগজের হলে কি হবে? 
আবার আকাশে আমার বিমানও উড়ে বেড়াতো। 
 
ছোটখাটো দূরত্বে যাবার জন্য সুপারি, নারকেল পাতার তৈরি দুটো গাড়িও ছিলো।
একজন ড্রাইভার টেনে টেনে গন্তব্যস্থলে নিয়ে যেতো।
 
প্রাসাদ,অট্টালিকা আমিও বানিয়েছিলাম।
সম্পূর্ণ নিজের হাতের তৈরি ছিলো।
হোকনা সেগুলো মাটি বা পাটকাঠি দিয়ে তৈরি । কিন্তু একেবারেই আমার ছিল।
 
ব্যবসা আমারও ছিল। বাড়ির উঠানে পাট কাঠি বা বাশের কঞ্চি দিয়ে খাম গেরে,উপরে মায়ের কাপড় দিয়ে ঢেকে মুদি দোকান বসাতাম।
মাটি দিয়ে বাসন,কই মাছ,হাড়ি পাতিল বানিয়ে রোদে শুকাতাম। 
সুইমিংপুলও ছিলো আমাদের । 
বিশাল আকারের, বড়ো ঘাট বাধানো পুকুর। 
আমাদের সুইমিং পুলে মাছও থাকতো। 
 
তখন, আমিও বিজ্ঞানীও ছিলাম। ফেলে দেওয়া পুরনো ইনজেকশনের সিরিঞ্জে জল ভরে বিভিন্ন গাছের শাখা-প্রশাখায় , ফের ভেতরে ইনজেকশন দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতাম।
দুপুরে খাবার পর আমি সাদাকালো টিভিতে নানা রকমের অনুষ্ঠান দেখতাম ডি, ডি, বাংলায়।
 
গোলাকার লোহার রিং আর টায়ার গুলো চালিয়ে পিছে পিছে দৌড়ে বেড়াতাম সারা গ্রামে। 
শপিংয়ে আমিও যেতাম, মেলা থেকে এটা ওটা কত রকমের খেলনা,কাচের ঝিলিমিলি রকেট,ডুগডুগি,মুড়ি মুড়কি,  ছোলা,বাদামভাজা ,জিলিপি আরো কতো কি সপিং করে আনতাম ! 
পয়সা রাখার জন্য আস্ত ব্যাংকটাই তুলে নিয়ে আসতাম। 
সেটা মাটির তৈরি ছিলো।  মাঝেমধ্যে হাতে তুলে তার ওজন দেখে অনুমান করতাম। মানে আপডেট করতাম কতোর মতো জমা পড়েছে।
কিন্তু ওটা একান্তই আমার ব্যাঙ্ক ছিলো। 
 
এখন আর কোথায় পাব সেই বড়লোকী চাল?
শৈশবটাকে বড্ড বেহিসেবি খরচা করে ফেলেছিলাম। 
                    তাই আজ কাঙ্গাল।
******************************************

Like Reply


Messages In This Thread
RE: কিছু মনের সত্যি কথা - by ddey333 - 29-10-2024, 10:43 AM



Users browsing this thread: 22 Guest(s)