25-10-2024, 11:19 PM
(This post was last modified: 25-10-2024, 11:20 PM by Henry. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
মা স্কু ল গেলে পরে বাড়িতে দস্যু দুটোকে সামলানো বড্ড কঠিন অংশুর পক্ষে। টিভির ওপরে রাখা শান্তি নিকেতন থেকে কেনা মাটির বাউলের মূর্তিটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে লাট্টু। অংশুর ইচ্ছে করছিল কানটা মলে দেয় ওর। কিন্তু মায়ের নির্দেশ অনুযায়ী ওদের বকা বারণ আছে।
এদিকে সারা দিন ঘ্যানঘ্যান করছে বিল্টুটা। দু' সপ্তাহ বাড়িতে থেকে ওরা যেন মায়ের সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে। মায়ের কোলে চড়ে, গা ঘেঁষে, হামি দিয়ে সর্বদা আদর খাচ্ছে দুটো।
আজ সকালে মা দুটোকে স্নান করাচ্ছিল যখন তখন বলছিল---তোদের গায়ে কি সাত জনমের ময়লা!
অবশ্য মায়ের আদর যত্নে এখন বেশ পরিপাটি হয়েছে ফুটপাতের দুটো শিশু। তবু মায়ের কোলে যখন ওরা আদর খায়, তখন অংশুর মা আর দুটি শিশুর বর্ণে, পরিচ্ছন্নতায় বড্ড বেমানান লাগে। মায়ের গায়ের বনেদীয়ানার ফর্সা রঙ আর ওরা কালচে তামাটে দুটো ফুটপাতের লালচুলো শিশু।
কলিংয়ের শব্দে অংশু ঘড়ির দিকে তাকালো। এই মাত্র ছবি মাসি কাজ সেরে বেরিয়ে গেল। এখন আবার এলো কে?
অংশু মেইন গেট খুলে দিতেই দেখল আর কেউ নয়; মা! মায়ের কলেজ থেকে ফিরতে সাড়ে চারটে-থেকে পাঁচটা হয়। অংশু অবাক হয়ে বললে---মা? এত তাড়াতাড়ি কলেজ ছুটি হয়ে গেল?
মা অংশুর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলল---ছবি চলে গেছে?
অংশু হ্যা সূচক মাথা নাড়তেই সে দেখলে আর কোনো কথা না বলে মা তড়বড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেল দোতলায়। যেন খুব তাড়া আছে মায়ের। মাকে দেখেই বিল্টু-লাট্টুর আনন্দ ধরে না। মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে লাট্টু নাচতে লাগলো আনন্দে---মা..মা..
মা তখন তার পরনের হালকা নীল তাঁত শাড়িটা খুলতে ব্যস্ত। সোফার হাতলে উঠে বিট্টু ততক্ষনে মায়ের উচ্চতায় এসে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে গালে হামি দিচ্ছে আদরে আদরে। মা এক দুটো হামির জবাব হামিতে দিয়ে হেসে বললে---হয়েছে আদর দেওয়া। এবার ছাড়। গোটা গায়ে ঘাম, শাড়িটা বদলাতে দে।
মা শাড়িটা খুলে ড্রয়িং রুমে সোফায় মিলিয়ে দিয়ে সায়া-ব্লাউজ পরা অবস্থায় লাট্টুকে কোলে তুলে ঢুকে গেল বেডরুমে। বিট্টুও মায়ের পিছু পিছু ও' ঘরে চলে গেল। নিস্তার পেল অংশু। বিট্টুর জ্বালায় টিভির রিমোটটাও পায়নি এতক্ষণ সে।
আজ ভারত-দঃ আফ্রিকা একদিনের ম্যাচ রয়েছে। স্কোরটুকু দেখার সুযোগ হয়নি অংশুর। বিট্টু যে সেই দুপুর থেকে ডিজনি চ্যানেল নিয়ে বসেছিল, এই যা ছাড়লো। অবশ্য বিট্টুকে থামাতে অংশু নিজেই বাধ্য হয়ে টিভির রিমোট দিয়ে ক্ষান্ত করেছিল তাকে।
ভারতের চার উইকেট চলে গেছে ইতিমধ্যে। মাত্র ছাপান্ন রান। দঃ আফ্রিকার মাটিতে ভারতের যে এমন নাকানিচোবানি হবে অংশুও তাই মনে করেছিল। শেষ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজই তার প্রমান। ধোনি আর জাদেজা ব্যাট করছে। দুজনেই উইকেট হারিয়ে বড্ড ধীর গতিতে খেলছে। বিরক্তি অনুভূত হচ্ছে অংশুর।
ঘড়ির দিকে তাকালো সে। চারটে বাজলো। সেই দুপুর একটা নাগাদ ভাত খেয়েছিল অংশু। মৃদু খিদে পাচ্ছে। মাকে নুডলস করে দিতে বলবে ভাবতেই খেয়াল হল মা এখনো স্নানে যায়নি।
মা যে সেই ঘরে ঢুকেছে দুটো ছেলেকে নিয়ে এখনো বেরোলো না। অংশু নজর করল বিট্টু-লাট্টুর গলাও আর পাওয়া যাচ্ছে না। ওরাও অকস্মাৎ চুপ করে গেছে যেন। মায়ের কি শরীর খারাপ? তাই কি সাড়ে তিনটার সময় কলেজ থেকে চলে এলো? অংশু ভাবলে; মা তো কলেজ থেকে বাড়ি ফিরলে আগে স্নানে যায়। তাহলে কি শরীর খারাপের জন্য মা এসেই শুয়ে পড়েছে।
শোবার ঘরের দরজাটা হালকা ভেজানো। অংশু উঠে গিয়ে ফাঁকটা মৃদু বাড়িয়ে দিল। চমকে গেল সে। এসিটা চালিয়ে দিয়ে মা শুয়ে আছে বিছানায়। মায়ের ঘর্মাক্ত গায়ে সায়া ছাড়া কিছু নেই। বিট্টু আর লাট্টু মায়ের সেই ফর্সা ঘাম ভেজা গায়েই লেপ্টে রয়েছে দুটো বাঁদর ছানার মত। দুজনেই মায়ের দুটো আলগা দুদুর উপর হামলে পড়েছে! মা ওদের বুকে চেপে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর দিতে দিতে দুধ খাওয়াচ্ছে এক পরম মাতৃত্বের স্নেহে!
অংশু বিস্মিত। সুচিত্রা যে বিট্টু-লাট্টুকে ব্রেস্টফিড করায় অংশু এর আগে কখনো দেখেনি। সুচি আলাদা করে দরজায় খিল দিয়ে দুজনকে বুকের দুধ দেয় প্রতিদিন। আকস্মিক ল্যাকটেশগনের পর থেকে সুচির বুকে প্রচুর দুধ হচ্ছে। সব সময় তার স্তন দুটো ভরে যাচ্ছে দুধে। বাচ্চাদুটোকে আগে শুধু ও' ঘুম পাড়ানোর জন্য চুষতে দিত। এখন দুধের ভারে দুই স্তন ব্যথায় টনটন করে ওঠে। তাই নিয়ম করে চার পাঁচবার ওদের স্তনপান করাচ্ছে সুচি। বাচ্চাদুটোও তাদের এই আশ্রয়দাত্রী মায়ের স্তনে সত্যিকারের দুধ পেয়ে বড্ড খুশি। সুচিরও ভালো লাগে দুটোকে তার বুকের দুধে পেট ভরিয়ে রাখতে। ওদের খুশি খুশি মুখটাও যেমন ওর মধ্যে মায়াময় অনুভূতির সৃষ্টি করে, তেমন বুকের ব্যথারও প্রশমন হয় তাতে।
এদিকে সারা দিন ঘ্যানঘ্যান করছে বিল্টুটা। দু' সপ্তাহ বাড়িতে থেকে ওরা যেন মায়ের সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে। মায়ের কোলে চড়ে, গা ঘেঁষে, হামি দিয়ে সর্বদা আদর খাচ্ছে দুটো।
আজ সকালে মা দুটোকে স্নান করাচ্ছিল যখন তখন বলছিল---তোদের গায়ে কি সাত জনমের ময়লা!
অবশ্য মায়ের আদর যত্নে এখন বেশ পরিপাটি হয়েছে ফুটপাতের দুটো শিশু। তবু মায়ের কোলে যখন ওরা আদর খায়, তখন অংশুর মা আর দুটি শিশুর বর্ণে, পরিচ্ছন্নতায় বড্ড বেমানান লাগে। মায়ের গায়ের বনেদীয়ানার ফর্সা রঙ আর ওরা কালচে তামাটে দুটো ফুটপাতের লালচুলো শিশু।
কলিংয়ের শব্দে অংশু ঘড়ির দিকে তাকালো। এই মাত্র ছবি মাসি কাজ সেরে বেরিয়ে গেল। এখন আবার এলো কে?
অংশু মেইন গেট খুলে দিতেই দেখল আর কেউ নয়; মা! মায়ের কলেজ থেকে ফিরতে সাড়ে চারটে-থেকে পাঁচটা হয়। অংশু অবাক হয়ে বললে---মা? এত তাড়াতাড়ি কলেজ ছুটি হয়ে গেল?
মা অংশুর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলল---ছবি চলে গেছে?
অংশু হ্যা সূচক মাথা নাড়তেই সে দেখলে আর কোনো কথা না বলে মা তড়বড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেল দোতলায়। যেন খুব তাড়া আছে মায়ের। মাকে দেখেই বিল্টু-লাট্টুর আনন্দ ধরে না। মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে লাট্টু নাচতে লাগলো আনন্দে---মা..মা..
মা তখন তার পরনের হালকা নীল তাঁত শাড়িটা খুলতে ব্যস্ত। সোফার হাতলে উঠে বিট্টু ততক্ষনে মায়ের উচ্চতায় এসে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে গালে হামি দিচ্ছে আদরে আদরে। মা এক দুটো হামির জবাব হামিতে দিয়ে হেসে বললে---হয়েছে আদর দেওয়া। এবার ছাড়। গোটা গায়ে ঘাম, শাড়িটা বদলাতে দে।
মা শাড়িটা খুলে ড্রয়িং রুমে সোফায় মিলিয়ে দিয়ে সায়া-ব্লাউজ পরা অবস্থায় লাট্টুকে কোলে তুলে ঢুকে গেল বেডরুমে। বিট্টুও মায়ের পিছু পিছু ও' ঘরে চলে গেল। নিস্তার পেল অংশু। বিট্টুর জ্বালায় টিভির রিমোটটাও পায়নি এতক্ষণ সে।
আজ ভারত-দঃ আফ্রিকা একদিনের ম্যাচ রয়েছে। স্কোরটুকু দেখার সুযোগ হয়নি অংশুর। বিট্টু যে সেই দুপুর থেকে ডিজনি চ্যানেল নিয়ে বসেছিল, এই যা ছাড়লো। অবশ্য বিট্টুকে থামাতে অংশু নিজেই বাধ্য হয়ে টিভির রিমোট দিয়ে ক্ষান্ত করেছিল তাকে।
ভারতের চার উইকেট চলে গেছে ইতিমধ্যে। মাত্র ছাপান্ন রান। দঃ আফ্রিকার মাটিতে ভারতের যে এমন নাকানিচোবানি হবে অংশুও তাই মনে করেছিল। শেষ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজই তার প্রমান। ধোনি আর জাদেজা ব্যাট করছে। দুজনেই উইকেট হারিয়ে বড্ড ধীর গতিতে খেলছে। বিরক্তি অনুভূত হচ্ছে অংশুর।
ঘড়ির দিকে তাকালো সে। চারটে বাজলো। সেই দুপুর একটা নাগাদ ভাত খেয়েছিল অংশু। মৃদু খিদে পাচ্ছে। মাকে নুডলস করে দিতে বলবে ভাবতেই খেয়াল হল মা এখনো স্নানে যায়নি।
মা যে সেই ঘরে ঢুকেছে দুটো ছেলেকে নিয়ে এখনো বেরোলো না। অংশু নজর করল বিট্টু-লাট্টুর গলাও আর পাওয়া যাচ্ছে না। ওরাও অকস্মাৎ চুপ করে গেছে যেন। মায়ের কি শরীর খারাপ? তাই কি সাড়ে তিনটার সময় কলেজ থেকে চলে এলো? অংশু ভাবলে; মা তো কলেজ থেকে বাড়ি ফিরলে আগে স্নানে যায়। তাহলে কি শরীর খারাপের জন্য মা এসেই শুয়ে পড়েছে।
শোবার ঘরের দরজাটা হালকা ভেজানো। অংশু উঠে গিয়ে ফাঁকটা মৃদু বাড়িয়ে দিল। চমকে গেল সে। এসিটা চালিয়ে দিয়ে মা শুয়ে আছে বিছানায়। মায়ের ঘর্মাক্ত গায়ে সায়া ছাড়া কিছু নেই। বিট্টু আর লাট্টু মায়ের সেই ফর্সা ঘাম ভেজা গায়েই লেপ্টে রয়েছে দুটো বাঁদর ছানার মত। দুজনেই মায়ের দুটো আলগা দুদুর উপর হামলে পড়েছে! মা ওদের বুকে চেপে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর দিতে দিতে দুধ খাওয়াচ্ছে এক পরম মাতৃত্বের স্নেহে!
অংশু বিস্মিত। সুচিত্রা যে বিট্টু-লাট্টুকে ব্রেস্টফিড করায় অংশু এর আগে কখনো দেখেনি। সুচি আলাদা করে দরজায় খিল দিয়ে দুজনকে বুকের দুধ দেয় প্রতিদিন। আকস্মিক ল্যাকটেশগনের পর থেকে সুচির বুকে প্রচুর দুধ হচ্ছে। সব সময় তার স্তন দুটো ভরে যাচ্ছে দুধে। বাচ্চাদুটোকে আগে শুধু ও' ঘুম পাড়ানোর জন্য চুষতে দিত। এখন দুধের ভারে দুই স্তন ব্যথায় টনটন করে ওঠে। তাই নিয়ম করে চার পাঁচবার ওদের স্তনপান করাচ্ছে সুচি। বাচ্চাদুটোও তাদের এই আশ্রয়দাত্রী মায়ের স্তনে সত্যিকারের দুধ পেয়ে বড্ড খুশি। সুচিরও ভালো লাগে দুটোকে তার বুকের দুধে পেট ভরিয়ে রাখতে। ওদের খুশি খুশি মুখটাও যেমন ওর মধ্যে মায়াময় অনুভূতির সৃষ্টি করে, তেমন বুকের ব্যথারও প্রশমন হয় তাতে।